‼️ পোস্টটি সুন্দরভাবে দেখতে এখানে ক্লিক করুন।‼️

প্রশ্নোত্তর প্রশ্ন: রোযা অবস্থায় নাকে বা মুখে স্প্রে ব্যবহার বৈধ কি?

FORUM BOT

Doing Automated Jobs

Threads
4,141
Comments
4,353
Solutions
1
Reactions
37,756
Credits
24,212
উওর: স্প্রে দুই প্রকার; প্রথম প্রকার হল ক্যাপসুল স্প্রে পাউডার জাতীয়। যা পিস্তলের মত কোন পাত্রে রেখে পুশ করে স্প্রে করা হয় এবং ধুলার মত উড়ে গিয়ে গলার পৌছলে রোগী তা গিলতে থাকে। এই প্রকার স্প্রেতে রোযা নষ্ট হয়ে যাবে। রোযাদারকে যদি এমন স্প্রে বছরের সব মাসে এবং দিনেও ব্যবহার করতেই হয়, তাহলে তাকে এমন রোগী গণ্য করা হবে, যার রোগ সারার কোন আশা নেই। সুতরাং সে রোযা না রেখে প্রত্যেক দিনের বিনিময়ে একটি করে মিসকীন খাইয়ে দেবে।


দ্বিতীয় প্রকার স্প্রে হল বাষ্প জাতীয়। এই প্রকার স্প্রেতে রোযা ভাঙ্গবে না। কেননা, তা পাকস্থলীতে পৌঁছে না। ৩০৭ (ইবনে উষাইমীন, ক্যাসেটঃ আহকামুন মিনাস সিয়াম)কারণ, তা হল এক প্রকার কমপ্রেসড গ্যাস; যার ডিব্বায় প্রেশার পড়লে উড়ে গিয়ে (নিঃশ্বাসের বাতাসের সাথে) ফুসফুসে পৌঁছে এবং শ্বাসকষ্ট দূর হয়। এমন গ্যাস কোন প্রকার খাদ্য নয়। আর রমযানে অরমযানে এবং দিনে রাত্রে সব সময়ে (বিশেষ করে শ্বাসরোধ বা শ্বাসকষ্ট জাতীয় যেমন হাঁফানির রোগী)এর মুখাপেক্ষী থাকে। ৩০৮ (ইবনে বায, ফাতাওয়া মুহিম্মাহ, তাতাআল্লাকু বিসসিয়াম ৩৬ পৃঃ)


অনুরূপভাবে মুখের দুর্গন্ধ দূরীকরণের উদ্দেশ্যে ব্যবহার্য স্প্রে রোযাদারদের জন্য ব্যবহার করা দোষাবহ নয়। তবে শর্ত হল, সে স্প্রে পবিত্র ও হালাল হতে হবে। ৩০৯ (মাজাল্লাতুল বুহূসিল ইসলামিয়্যাহ ৩০/১১২)


সূত্র: দ্বীনী প্রশ্নোত্তর
লেখক: আব্দুল হামিদ ফাইযী আল মাদানী
 

Share this page