Doing Automated Jobs
উত্তর : প্রচলিত মাযহাব ইমামগণ সৃষ্টি করেননি; বরং তাদের মৃত্যুর প্রায় সাড়ে তিনশ’ বছর পরে মাযহাব সৃষ্টি হয়েছে। ইমাম আবু হানীফা (রাহিমাহুল্লাহ) ১৫০ হি., ইমাম মালেক (রাহিমাহুল্লাহ) ১৭৯ হি., ইমাম শাফেঈ (রাহিমাহুল্লাহ) ২০৪ হি. এবং ইমাম আহমাদ বিন হাম্বল (রাহিমাহুল্লাহ) ২৪১ হিজরীতে মৃত্যুবরণ করেন। অথচ ইমামগণের নামে মাযহাবের প্রচলন হয় ৪র্থ শতাব্দী হিজরীতে। শাহ অলিউল্লাহ মুহাদ্দিছ দেহলভী (রাহিমাহুল্লাহ) এ সম্পর্কে পরিষ্কারভাবে বলেন যে, إِعْلَمْ أَنَّ النَّاسَ كَانُوْا قَبْلَ الْمِائَةِ الرَّابِعَةِ غَيْرَ مُجْمَعِيْنَ عَلَى التَّقْلِيْدِ الْخَالِصِ مَذْهَبٌ وَاحِدٌ بِعَيْنِهِ. ‘জেনে রাখ হে পাঠক! ৪র্থ শতাব্দী হিজরীর পূর্বে কোন মুসলিম নির্দিষ্টভাবে কোন একজন বিদ্বানের মাযহাবের তাক্বলীদের উপরে সংঘবদ্ধ ছিল না’। তিনি আরো বলেন, ‘কোন সমস্যা সৃষ্টি হলে লোকেরা যেকোন আলেমের নিকট থেকে ফৎওয়া জেনে নিত। এ ব্যাপারে কারু মাযহাব যাচাই করা হত না’ (শাহ অলিউল্লাহ, হুজ্জাতুল্লাহিল বালিগাহ, ১ম খণ্ড, পৃ. ১৫২-৫৩ ‘৪র্থ শতাব্দী ও তার পরের লোকদের অবস্থা বর্ণনা’ অনুচ্ছেদ)।
সূত্র: মাসিক আল-ইখলাছ।
সূত্র: মাসিক আল-ইখলাছ।