‼️ পোস্টটি সুন্দরভাবে দেখতে এখানে ক্লিক করুন।‼️

প্রশ্নোত্তর প্রশ্ন : নামের সাথে ছিদ্দীক উপাধি লাগানো যাবে কি?

FORUM BOT

Doing Automated Jobs

Threads
4,134
Comments
4,353
Solutions
1
Reactions
37,583
Credits
24,212
উত্তর : ছিদ্দীক অর্থ মহাসত্যবাদী। এতে তাযকিয়া তথা অধিক প্রশংসাসূচক অর্থ রয়েছে। এই ধরনের অতি প্রশংসাসূচক নাম রাখা অপসন্দনীয়। তবে যদি কেউ তাযকিয়া উদ্দেশ্য ছাড়াই এরূপ নাম রাখে, তাতে কোন দোষ নেই (নববী, শরহ মুসলিম ১৪/১১৯; তুহফা ৮/১০১; মিরক্বাত ৭/২৯৯৭)। কারণ আক্বীক্বার সময় শিশু সন্তানের যে প্রশংসাসূচক নাম রাখা হয় তার জন্য আত্মপ্রশংসা হিসাবে নয়। বরং পিতা ও অভিভাবকদের পক্ষ হ’তে তার জন্য শুভ কামনা বা দো‘আ স্বরূপ। যেমন রাসূল (ছাঃ)-এর নাম তার দাদা রেখেছিলেন ‘মুহাম্মাদ’ ও মা রেখেছিলেন ‘আহমাদ’ (প্রশংসিত)। অনুরূপভাবে রাসূল (ছাঃ) মুতার যুদ্ধবিজয়ী সেনাপতি খালেদকে দো‘আ করে অশ্রুসজল নেত্রে বলেছিলেন, এবারে ঝান্ডা হাতে নিয়েছে ‘আল্লাহর তরবারি সমূহের অন্যতম ‘তরবারি’। অতঃপর আল্লাহ তাদের হাতে বিজয় দান করেন’ (বুখারী হা/৪২৬২)। অর্থাৎ খালেদ নিজে ঐ নাম অর্থাৎ ‘সায়ফুল্লাহ’ নাম গ্রহণ করেননি, বরং তাঁর অভিভাবক রাসূল (ছাঃ) তাকে ঐ লকব দিয়েছিলেন। রাসূল (ছাঃ)-এর নিজের ছেলে আব্দুল্লাহর লকব ছিল ত্বাইয়িব ও ত্বাহির (পবিত্র)। অতএব পিতা-মাতা তার সন্তানের জন্য দো‘আ হিসাবে উক্ত গুণবাচক নাম সমূহ রাখতে পারেন। জাবের (রাঃ) বলেন, রাসূল (ছাঃ) ইয়া‘লা, বারাকাহ, আফলাহ, ইয়াসার ও নাফে‘ ইত্যাদি নাম রাখা বারণ করার ইচ্ছা পোষণ করেছিলেন। অতঃপর তাকে আমি লক্ষ্য করলাম যে, এ ব্যাপারে তিনি নিশ্চুপ থাকলেন, কিছু বললেন না। তারপর রাসূল (ছাঃ) কে উঠিয়ে নেওয়া হ’ল এবং তিনি তা (শক্তভাবে) নিষেধ করেননি। পরে ওমর (রাঃ) তা বারণ করার ইচ্ছা পোষণ করলেন, তারপর তিনিও তা পরিত্যাগ করেন (মুসলিম হা/২১৩৮; মিশকাত হা/৪৭৫৪)
সূত্র: মাসিক আত-তাহরীক।
 

Share this page