‼️ পোস্টটি সুন্দরভাবে দেখতে এখানে ক্লিক করুন।‼️

প্রশ্নোত্তর প্রশ্নঃ মুরতাদ, আহলে কিতাব এবং ফাসেক কাদেরকে বলে?

FORUM BOT

Doing Automated Jobs

Threads
4,134
Comments
4,353
Solutions
1
Reactions
34,836
Credits
24,212
উত্তর: ✒ “মুর্তাদ” ‘রিদ্দা’ অর্থ হচ্ছে পূর্বের অবস্থানে প্রত্যাবর্তন করা বা ফিরে যাওয়া। যে ব্যক্তি একবার ইসলাম ধর্ম কবুল করে মুসলিম হয়ে অথবা পূর্বে মুসলিম থাকার পরে কুফুরী অথবা শিরক করে অথবা ইসলামকে অস্বীকার করে পুনরায় কাফের হয়ে যায়, তাকে মুর্তাদ বলা হয়। দেশে ইসলামী আইন চালু থাকলে এবং সরকার প্রধান যদি মুসলিম হয় তাহলে আদালতে নেওয়ার পূর্বে সে যদি তোওবাহ না করে, তাহলে আদলতে বিচার প্রক্রিয়ার মাধ্যমে মুর্তাদকে হত্যা করা হবে। কারণ রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আ’লাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন, “যদি কেউ দ্বীন ত্যাগ করে (কুফুরীতে) ফিরে যায় তাহলে তোমরা তাকে হত্যা করো” [সহীহ বুখারীঃ ৩০১৭] কোন ব্যক্তি যদি সারা জীবন নামায রোযা করে কিন্তু মৃত্যুর পূর্বে কাফের হয়ে মুর্তাদ অবস্থায় মারা যায়, কোন সন্দেহ নেই সে ব্যক্তি চির জাহান্নামী, সে কোনদিন জাহান্নাম থেকে বের হতে পারবেনা। অনন্তকাল সে জাহান্নামে কঠিন শাস্তি পেতে থাকবে। উদাহরণঃ যে ব্যক্তি মুসলমানদের ঘরে মুসলমান হিসেবে বেড়ে উঠে কিন্তু পরবর্তীতে নাস্তিক হয়ে যায় অথবা ইয়াহুদী বা খ্রীস্টান হয়ে যায়, রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আ’লাইহি ওয়া সাল্লাম কে গালিগালাজ করে বা ইসলাম সম্পর্কে কটুক্তি করে তবে সে মুর্তাদ হয়ে যাবে। ✒ “ আহলে কিতাব ” আহলে কিতাব অর্থ হচ্ছে আল্লাহর নাযিল করা আসমানী কিতাব এর অনুসারী। ইয়াহুদী ও খ্রীস্টানদেরকে আহলে কিতাব বলা হয়। কারণ ইয়াহুদীরা দাবী করে তারা মুসা আলাইহিস সালাম এর উপর নাযিল করা তাওরাত (Old testament) এর অনুসরণ করে আর খ্রীস্টানরা দাবী করে তারা ঈসা আলাইহিস সালাম এর উপর নাযিল করা ইঞ্জীল (New testament) এর অনুসরণ করে। উল্লেখ্য, যদিও তাদেরকে আহলে কিতাব বলা হয় পরিচয় হিসেবে, প্রকৃতপক্ষে তারা তাওরাত বা ইঞ্জীলের অনুসরণ করেনা। ইয়াহুদী ও খ্রীস্টানরা তাদের সুবিধা ও খেয়াল-খুশি অনুযায়ী কিতাবের বিকৃত বা অপব্যখ্যা করে সেইগুলোকে পরিবর্তন করে ফেলেছে। বর্তমানে ‘বাইবেল’ নামে যা আছে ইয়াহুদী ও খ্রীস্টানদের কাছে, Old testament ও New testament এর সমন্বয়ে, এটা আসলে তাওরাত ও ইঞ্জীলের বিকৃত রূপ। ✒ “ফাসেক” ‘ফিসক’ শব্দের অর্থ হচ্ছে অবাধ্যতা। বাংলাতে ‘ফাসেক’ শব্দের অর্থ করা হয় পাপীষ্ঠ। যে ব্যক্তি নিয়মিত কবীরাহ গুনাহতে লিপ্ত থাকে অথবা প্রকাশ্যে আল্লাহর নিষিদ্ধ ঘোষিত হারাম কাজ করতে অভ্যস্ত এবং তোওবা করে পাপ কাজ থেকে ফিরে আসেনা, তাকে ফাসেক বলা হয়। ফাসেক ব্যক্তি যদি নামাযী মুসলমান হয়, দ্বীনের অন্য বিধি-বিধান মেনে চলে কিন্তু কিছু কবীরাহ গুনাহতে লিপ্ত থাকে, তাহলে মীযানে তার নেক আমল যদি পাপ কাজের ওজনের চাইতে ভারী হয় তাহলে সে জান্নাতে যাবে। অথবা আল্লাহর বিশেষ রহমতে তাকে যদি ক্ষমা করে দেন, তাহলে সে কোন শাস্তি ছাড়াই সরাসরি জান্নাতে যাবে। কিন্তু তার পাপ কাজ যদি নেকীর চাইতে বেশি ভারী হয় এবং আল্লাহর রহমত পেতে ব্যর্থ হয় তাহলে সে জাহান্নামে পাপের শাস্তি ভোগ করবে। জাহান্নামে কঠিন শাস্তির পরে পাপের প্রায়শ্চিত্ত হলে এর পরে সে জান্নাতে যাবে ইন শা’ আল্লাহ্।
 

Share this page