• আসসালামু আলাইকুম, আগামী কয়েকদিনের মধ্যে আমাদের ফোরামে মেজর কিছু চেঞ্জ আসবে যার ফলে ফোরামে ১-৩ দিন মেইনটেনেন্স মুডে থাকবে। উক্ত সময়ে আপনাদের সকলকে ধৈর্য ধারণের অনুরোধ জানাচ্ছি।
‼️ পোস্টটি সুন্দরভাবে দেখতে এখানে ক্লিক করুন।‼️

ফাযায়েলে আমল প্রথম বা দ্বিতীয় কাতারে সালাত আদায় করা

Habib Bin Tofajjal

If you're in doubt ask الله.

Forum Staff
Moderator
Generous
ilm Seeker
Uploader
Exposer
HistoryLover
Q&A Master
Salafi User
Threads
690
Comments
1,222
Solutions
17
Reactions
7,100
Credits
5,778
ফেরেশতাদের দুআ পাবার আরেকটি গুরুত্বপূর্ণ মাধ্যম হলো প্রথম বা দ্বিতীয় কাতারে সালাত আদায় করা। এ ব্যাপারে রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বলেন, ‘নিশ্চয় আল্লাহ প্রথম কাতারের লোকের ওপর রহমত বর্ষণ করেন এবং ফেরেশতাগণ তাদের জন্য দুআ করেন।’

অন্য বর্ণনায় রয়েছে, রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বলেন, ‘নিশ্চয় আল্লাহ প্রথম কাতারের লোকের ওপর রহমত বর্ষণ করেন এবং ফেরেশতাগণ তাদের জন্য দুআ করেন। তখন সাহাবীগণ বলেন, ‘দ্বিতীয় কাতার?’ তিনি বলেন, ‘রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বলেন, ‘নিশ্চয় আল্লাহ প্রথম কাতারের লোকের ওপর রহমত বর্ষণ করেন এবং ফেরেশতাগণ তাদের জন্য দুআ করেন।’ সাহাবীগণ বলেন, ‘দ্বিতীয় কাতার?’ তিনি বলেন, দ্বিতীয় কাতারের উপরও।’

তবে আরেক বর্ণনায় বলা হয়েছে, প্রথম কাতারের জন্য ফেরেশতাগণ তিনবার ইসতিগফার করেন আর দ্বিতীয় কাতারের জন্য একবার করেন।

প্রথম কাতারের বিভিন্ন ফযীলত থাকা সত্ত্বেও বর্তমানে প্রথম কাতারগুলো অবহেলায় পড়ে থাকে। প্রথম কাতার পাবার চেষ্টা তো দূরের কথা অনেক মুসল্লী তো জামাআত শুরু হওয়ার পর জামাআতে শরীক হয়। আবার অনেক মুসল্লী মসজিদে আগে আসলেও প্রথম কাতারে যেতে চায় না। অথচ হাদীসে বলা হয়েছে, মানুষ যদি জানতো প্রথম কাতারে সালাত আদায়ের ফযীলত কী, তাহলে প্রথম কাতার পাবার জন্য মানুষের মাঝে লটারি করার প্রয়োজন দেখা দিতো। এমনকী হাদীসে প্রথম কাতারকে ফেরেশতাদের কাতার বলা হয়েছে। প্রথম কাতারের প্রতি এমন অবহেলার অন্যতম প্রধান কারণ হচ্ছে, মানুষের প্রথম কাতারে সালাত আদায়ের ফযীলতের ব্যাপারে অজ্ঞতা। কাজেই আল্লাহর বান্দা, ফরয সালাত জামাআতে আদায় করার ব্যাপারেই কেবল সচেষ্ট থাকলে চলবে না, বরং প্রথম কাতারে সালাত আদায় করার ব্যাপারে সচেষ্ট ও যত্নবান হতে হবে। তাহলে আমরা ফেরেশতাদের ইসতিগফার ও দুআয় শামিল হতে পারব।

সোর্স: যে আমলে সৃষ্টিকুলের দুআ মিলে।
- আব্দুল্লাহ মাহমুদ।​

১. সুনান ইবন মাজাহ, ৯৯৭; সহীহুল জামি, ১৮৩৯; আলবানী হাদীসটিকে সহীহ বলেছেন।
২. সহীহুত তারগীব, ৪৯১; আলবানী হাদীসটিকে হাসান বলেছেন।
৩. সুনানু ইবন মাজাহ, ৯৯৭; সহীহুত তারগীব, ৪৯০; আলবানী হাদীসটিকে সহীহ বলেছেন।
৪. সহীহ মুসলিম, ৪৩৯; সুনানু ইবন মাজাহ, ৯৯৮।
৫. সুনানু আবী দাউদ, ৫৫৪; সুনানুন নাসায়ী, ৮৪৩; সহীহুত তারগীব, ৪১১; আলবানী হাদীসটিকে হাসান বলেছেন।
 

Share this page