- Joined
- Jun 16, 2023
- Threads
- 60
- Comments
- 86
- Reactions
- 928
- Thread Author
- #1
"পৃথিবীকে গোল বলে বিশ্বাস করা শরীয়তের কোনো আরকানকে লঙ্ঘন করে না" - শাইখ রাবী বিন হাদী উমাইর আল মাদখালি (হাফিযাহুল্লাহ)
বর্তমান সময়ে কিছু মানুষ বলছে পৃথিবীকে সমতল না মানলে আক্বীদা ঠিক থাকবে না, যেখানে এটা গ্রহণ বা অস্বীকার করার সাথে শরীয়তের কোনো সম্পর্কই নেই। কিছু নস অনুযায়ী কেউ সমতল হবার মত নিয়েছেন আবার কেউ গোলাকার। দুনিয়াবী বাস্তবিক বিষয়ে কাফিরদের সকল তত্ত্বই বাতিল এটা শরীয়ত কখনো বলেনি। যারা এটাকে আকীদার বিষয় বানিয়েছে তাদের জন্য শায়েখ রাবী আল মাদখালি (হাফিযাহুল্লাহ) এর ফতোয়া দিয়ে দিলাম। তিনি বলেন,
"সম্ভবত এই ব্যাপক প্রচারণার কারণগুলোর মধ্যে একটি হলো যে একজন সম্মানিত আলেম এমন কিছু বক্তব্য দিয়েছেন, যা কিছু বৈজ্ঞানিক তত্ত্বের দাবির সঙ্গে সম্পর্কিত, যেমন সূর্য স্থির ও নিশ্চল, গতিশীল নয়; বরং পৃথিবীই সূর্যের চারপাশে এবং নিজ অক্ষের উপর ঘূর্ণনশীল। তিনি তার এই দৃষ্টিভঙ্গির ইস্তিদালাল করতে কুরআনের আয়াত ও নববী হাদীসের প্রমাণ উপস্থাপন করেছেন, যেভাবে আলেমরা করে থাকেন।
সূর্যের গতিশীলতা বিষয়ে তিনি যা প্রমাণ করতে চেয়েছেন সেটাই সত্য। এ বিষয়ে কুরআনের বাণীসমূহ অকাট্য প্রমাণ। বর্তমানে জ্যোতির্বিজ্ঞানীরাও এই সত্যের দিকে প্রত্যাবর্তন করেছেন। প্রকৃতপক্ষে, ইসলামী শরীয়তের উলামাগণ জ্যোতির্বিদদের তত্ত্ব, এমনকি মুসলিম জ্যোতির্বিদদের তত্ত্বও তাৎক্ষণিকভাবে গ্রহণে তড়িঘড়ি করতেন না। সূরা গাশিয়ার তাফসীরে জালালুদ্দীন আল-মাহল্লী উল্লেখ করেছেন: “سطحت" (সমতল করা হয়েছে) এই শব্দটি সুস্পষ্টভাবে ইঙ্গিত করে যে পৃথিবী সমতল, যা শরী‘য়তের আলেমদের মত। এটি গোলাকার নয়, যেমন জ্যোতির্বিদরা বলেছেন। তবে গোলাকার মত পোষণ করাটা শরী‘য়তের কোনো রুকনকে লঙ্ঘন করে না।
যদি পাঠক প্রসিদ্ধ মুফাসসিরদের গ্রন্থসমূহ পর্যালোচনা করেন, তবে সেখানে তিনি পৃথিবীর গোলাকারত্বের উল্লেখ পাবেন না। এটা কি তাদের মর্যাদাকে হ্রাস করে? তাদেরকে বেদুঈন এবং আদিম চিন্তাধারার বলে চিত্রিত করে? কখনোই না! বরং মুসলিম জ্যোতির্বিজ্ঞানীদের গুরুত্বও তাদের তুলনায় নগণ্য, অমুসলিম বিজ্ঞানীদের কথা তো নিতান্তই তুচ্ছ।
আসলে বিদ্বেষবশত অশান্তি ও ফিতনা সৃষ্টির উদ্দেশ্যই কিছু ভ্রান্ত ব্যক্তিবর্গকে বড় ও গুরুত্বপূর্ণ বিষয়গুলোকে তুচ্ছতাচ্ছিল্য করতে তাড়িত করে, যা তাদেরকে তুচ্ছ জীব ও আগাছায় পরিণত করে।
ইসলাম যেসব বিষয়কে গুরত্ব দেয় না বা বিরোধিতা করে না সেগুলোকে নিয়েই তারা বাড়াবাড়ি করে, আর সেটাকেই তারা উসূল ও মূল বিষয় হিসেবে দেখে। সেটাকেই (তাদের মনগড়া মতবাদকেই) সভ্যতা ও অগ্রগতির মাপকাঠি হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করতে চায়।
لعل من أسباب هذه الحملات الشاملة : أن عالما فاضلا قال كلاما حول ما تقول به بعض النظريات من أن الشمس ثابتة ساكنة لا تتحرك، وأن الأرض تدور حولها وحول نفسها . واستدل لوجهة نظره بآيات قرآنية، وأحاديث نبوية، كما هو شأن العلماء.
وما قرره من إثبات أن الشمس تجري هو الحق، ونصوص القرآن فيه قطعية وقد رجع إليه علماء الفلك أنفسهم . وفي الواقع أن علماء الشريعة الإسلامية ما كانوا يتسرعون بتصديق نظريات الفلكيين، ولو كانوا من المسلمين . قال جلال الدين المحلي في تفسير سورة الغاشية: قوله : (سُطِحَتْ : ظاهر في أن الأرض سطح، وعليه علماء الشرع، لا كرة كما قال أهل الهيئة، وإن لم ينقض ركنا من أركان الشرع ..
وإذا رجع القارئ إلى كتب فحول المفسرين لا يجد فيها أن الأرض كروية فهل يحط هذا من منازلهم ويجعلهم بدوا وبدائيين؟ كلا ثم كلا ، بل لا يساوي علماء الفلك من المسلمين كبير شيء إلى جانبهم، فضلا عن علمائه من غير المسلمين .
وفي الحقيقة إن الرغبة في الشغب وإثارة الفتن تدفع أهل الأهواء إلى تحقير الأمور الجليلة العظيمة، فيصيرونها طفيليات وقشورًا، ويضخمون أمورًا لا يعبأ بها الإسلام أو يحاربها، فيرون أنها هي الأصول وهي الجذور، وهي مقياس الحضارة والتقدم
মাজমূ' কুতুব ওয়া রাসায়েল ওয়া ফাতাওয়া ফাদ্বিলাতিশ
শাইখ আল-আল্লামা রাবী‘ বিন হাদী উমাইর আল-মাদখালি, ১১/৩২৮
শায়েখ আরো বলেন,
বিষয়টিকে আরো স্পষ্টভাবে বুঝানোর স্বার্থে বলছি: পাশ্চাত্য দার্শনিকদের জ্যোতির্বৈজ্ঞানিক আবিষ্কারসমূহকে তড়িঘড়ি করে "চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত" বা "অকাট্য সত্য" বলা অনুচিত। বরং ধৈর্য ধরতে হবে, যাচাই-বাছাই ও গভীরভাবে অধ্যয়ন করতে হবে। এসব তত্ত্বের ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নিম্নোক্ত তিনটির মধ্যে যেকোনো একটি পন্থার মাধ্যমে হবে:
প্রথমত:
এসব তত্ত্ব কুরআন ও সুন্নাহর বর্ণনার সাথে সামঞ্জস্যপূর্ণ হবে। এমন ক্ষেত্রে একে অবশ্যই মেনে নিতে হবে, কারণ এটি ইসলামের শিক্ষা। এটাকে অস্বীকার করা ইসলামের কোনো একটি বিধানকে অস্বীকার করার সমান, যা অত্যন্ত গুরুতর পাপ।
দ্বিতীয়ত:
তত্ত্বটি কুরআন ও সুন্নাহর সুস্পষ্ট নির্দেশনার সাথে সাংঘর্ষিক হবে। যেমন—"সূর্য স্থির, এর কোনো আবর্তনশীলতা এবং গতি নেই" এমন দাবি, যা কুরআনের বক্তব্য "وَالشَّمْسُ تَجْرِي* (সূর্য গতিশীল)"-এর সম্পূর্ণ বিপরীত। এমন মতবাদ গ্রহণ করা কুফরী, এবং কুরআনকে মিথ্যা বলে মানার শামিল।
তৃতীয়ত:
এমন কিছু বিষয় যা কুরআন সুন্নাহর নুসুসের সাথে আংশিকভাবে সামঞ্জস্যপূর্ণ, আবার আংশিকভাবে সাংঘর্ষিক, কিন্তু সেটা গ্রহণ বা বর্জনের ব্যাপারে শরঈ কোনো সুস্পষ্ট ও বাহ্যিক নির্দেশনা নেই। যেমন "পৃথিবী ঘূর্ণনশীল" এই কথা বলা। এসব ক্ষেত্রে কোনো ব্যক্তির স্বীয় গবেষণা ও বিশ্বাসের ভিত্তিতে উক্ত তত্ত্বকে গ্রহণ বা প্রত্যাখ্যান করার স্বাধীনতা রয়েছে। তবে এরূপ তত্ত্ব গ্রহণ বা অস্বীকারকারী কাউকে হেয় করা, তার প্রতি বুদ্ধিবৃত্তিক সন্ত্রাস (যেমন—তিরস্কার বা অপমান) চালানো জায়েজ নয়।
وأزيد الأمر إيضاحا فأقول : ما جاء عن فلاسفة الغرب من اكتشافات فلكية فلا تتسرع وتطلق عليه أنه كله مقررات و حقائق بل نتأنى ونتثبت وندرس، فلابد أن ينجلي الأمر عن واحد من ثلاثة :
أولها : أن يوافق ما جاء به القرآن والسنة، فهذا يجب التسليم به، لأنه جاء به الإسلام، ولأن إنكاره إنكار لشيء من الإسلام، وهو خطير جدا .
وثانيها : أن يأتي مناقضا لما قرره القرآن والسنة، فهذا يرد مثل القول: بأن الشمس ثابتة لا تتحرك ولا تجري كما أخبر القرآن، ولأن قبوله كفر به وتكذيب للقرآن .
ثالثها : أن تحتمله بعض النصوص احتمالاً، ويحتمل بعضها رده، وليس فيه نصوص صريحة ولا ظاهرة في قبوله أو رده، كالقول بأن الأرض تدور فهذا يفسحفيه المجال للقبول والرد لكل فهمه وقناعته، ولا يجوز فيه استخدام الإرهاب الفكري ، بالطعن والتحقير لمن يقبل أو يرد.
মাজমূ' কুতুব ওয়া রাসায়েল ওয়া ফাতাওয়া ফাদ্বিলাতিশ শাইখ আল-আল্লামা রাবী‘ বিন হাদী উমাইর আল-মাদখালি, ১১/৩৩০
অনুবাদ - সাফিন চৌধুরী
Telegram: t.me/ideologyofsalaf
বর্তমান সময়ে কিছু মানুষ বলছে পৃথিবীকে সমতল না মানলে আক্বীদা ঠিক থাকবে না, যেখানে এটা গ্রহণ বা অস্বীকার করার সাথে শরীয়তের কোনো সম্পর্কই নেই। কিছু নস অনুযায়ী কেউ সমতল হবার মত নিয়েছেন আবার কেউ গোলাকার। দুনিয়াবী বাস্তবিক বিষয়ে কাফিরদের সকল তত্ত্বই বাতিল এটা শরীয়ত কখনো বলেনি। যারা এটাকে আকীদার বিষয় বানিয়েছে তাদের জন্য শায়েখ রাবী আল মাদখালি (হাফিযাহুল্লাহ) এর ফতোয়া দিয়ে দিলাম। তিনি বলেন,
"সম্ভবত এই ব্যাপক প্রচারণার কারণগুলোর মধ্যে একটি হলো যে একজন সম্মানিত আলেম এমন কিছু বক্তব্য দিয়েছেন, যা কিছু বৈজ্ঞানিক তত্ত্বের দাবির সঙ্গে সম্পর্কিত, যেমন সূর্য স্থির ও নিশ্চল, গতিশীল নয়; বরং পৃথিবীই সূর্যের চারপাশে এবং নিজ অক্ষের উপর ঘূর্ণনশীল। তিনি তার এই দৃষ্টিভঙ্গির ইস্তিদালাল করতে কুরআনের আয়াত ও নববী হাদীসের প্রমাণ উপস্থাপন করেছেন, যেভাবে আলেমরা করে থাকেন।
সূর্যের গতিশীলতা বিষয়ে তিনি যা প্রমাণ করতে চেয়েছেন সেটাই সত্য। এ বিষয়ে কুরআনের বাণীসমূহ অকাট্য প্রমাণ। বর্তমানে জ্যোতির্বিজ্ঞানীরাও এই সত্যের দিকে প্রত্যাবর্তন করেছেন। প্রকৃতপক্ষে, ইসলামী শরীয়তের উলামাগণ জ্যোতির্বিদদের তত্ত্ব, এমনকি মুসলিম জ্যোতির্বিদদের তত্ত্বও তাৎক্ষণিকভাবে গ্রহণে তড়িঘড়ি করতেন না। সূরা গাশিয়ার তাফসীরে জালালুদ্দীন আল-মাহল্লী উল্লেখ করেছেন: “سطحت" (সমতল করা হয়েছে) এই শব্দটি সুস্পষ্টভাবে ইঙ্গিত করে যে পৃথিবী সমতল, যা শরী‘য়তের আলেমদের মত। এটি গোলাকার নয়, যেমন জ্যোতির্বিদরা বলেছেন। তবে গোলাকার মত পোষণ করাটা শরী‘য়তের কোনো রুকনকে লঙ্ঘন করে না।
যদি পাঠক প্রসিদ্ধ মুফাসসিরদের গ্রন্থসমূহ পর্যালোচনা করেন, তবে সেখানে তিনি পৃথিবীর গোলাকারত্বের উল্লেখ পাবেন না। এটা কি তাদের মর্যাদাকে হ্রাস করে? তাদেরকে বেদুঈন এবং আদিম চিন্তাধারার বলে চিত্রিত করে? কখনোই না! বরং মুসলিম জ্যোতির্বিজ্ঞানীদের গুরুত্বও তাদের তুলনায় নগণ্য, অমুসলিম বিজ্ঞানীদের কথা তো নিতান্তই তুচ্ছ।
আসলে বিদ্বেষবশত অশান্তি ও ফিতনা সৃষ্টির উদ্দেশ্যই কিছু ভ্রান্ত ব্যক্তিবর্গকে বড় ও গুরুত্বপূর্ণ বিষয়গুলোকে তুচ্ছতাচ্ছিল্য করতে তাড়িত করে, যা তাদেরকে তুচ্ছ জীব ও আগাছায় পরিণত করে।
ইসলাম যেসব বিষয়কে গুরত্ব দেয় না বা বিরোধিতা করে না সেগুলোকে নিয়েই তারা বাড়াবাড়ি করে, আর সেটাকেই তারা উসূল ও মূল বিষয় হিসেবে দেখে। সেটাকেই (তাদের মনগড়া মতবাদকেই) সভ্যতা ও অগ্রগতির মাপকাঠি হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করতে চায়।
لعل من أسباب هذه الحملات الشاملة : أن عالما فاضلا قال كلاما حول ما تقول به بعض النظريات من أن الشمس ثابتة ساكنة لا تتحرك، وأن الأرض تدور حولها وحول نفسها . واستدل لوجهة نظره بآيات قرآنية، وأحاديث نبوية، كما هو شأن العلماء.
وما قرره من إثبات أن الشمس تجري هو الحق، ونصوص القرآن فيه قطعية وقد رجع إليه علماء الفلك أنفسهم . وفي الواقع أن علماء الشريعة الإسلامية ما كانوا يتسرعون بتصديق نظريات الفلكيين، ولو كانوا من المسلمين . قال جلال الدين المحلي في تفسير سورة الغاشية: قوله : (سُطِحَتْ : ظاهر في أن الأرض سطح، وعليه علماء الشرع، لا كرة كما قال أهل الهيئة، وإن لم ينقض ركنا من أركان الشرع ..
وإذا رجع القارئ إلى كتب فحول المفسرين لا يجد فيها أن الأرض كروية فهل يحط هذا من منازلهم ويجعلهم بدوا وبدائيين؟ كلا ثم كلا ، بل لا يساوي علماء الفلك من المسلمين كبير شيء إلى جانبهم، فضلا عن علمائه من غير المسلمين .
وفي الحقيقة إن الرغبة في الشغب وإثارة الفتن تدفع أهل الأهواء إلى تحقير الأمور الجليلة العظيمة، فيصيرونها طفيليات وقشورًا، ويضخمون أمورًا لا يعبأ بها الإسلام أو يحاربها، فيرون أنها هي الأصول وهي الجذور، وهي مقياس الحضارة والتقدم
মাজমূ' কুতুব ওয়া রাসায়েল ওয়া ফাতাওয়া ফাদ্বিলাতিশ
শাইখ আল-আল্লামা রাবী‘ বিন হাদী উমাইর আল-মাদখালি, ১১/৩২৮
শায়েখ আরো বলেন,
বিষয়টিকে আরো স্পষ্টভাবে বুঝানোর স্বার্থে বলছি: পাশ্চাত্য দার্শনিকদের জ্যোতির্বৈজ্ঞানিক আবিষ্কারসমূহকে তড়িঘড়ি করে "চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত" বা "অকাট্য সত্য" বলা অনুচিত। বরং ধৈর্য ধরতে হবে, যাচাই-বাছাই ও গভীরভাবে অধ্যয়ন করতে হবে। এসব তত্ত্বের ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নিম্নোক্ত তিনটির মধ্যে যেকোনো একটি পন্থার মাধ্যমে হবে:
প্রথমত:
এসব তত্ত্ব কুরআন ও সুন্নাহর বর্ণনার সাথে সামঞ্জস্যপূর্ণ হবে। এমন ক্ষেত্রে একে অবশ্যই মেনে নিতে হবে, কারণ এটি ইসলামের শিক্ষা। এটাকে অস্বীকার করা ইসলামের কোনো একটি বিধানকে অস্বীকার করার সমান, যা অত্যন্ত গুরুতর পাপ।
দ্বিতীয়ত:
তত্ত্বটি কুরআন ও সুন্নাহর সুস্পষ্ট নির্দেশনার সাথে সাংঘর্ষিক হবে। যেমন—"সূর্য স্থির, এর কোনো আবর্তনশীলতা এবং গতি নেই" এমন দাবি, যা কুরআনের বক্তব্য "وَالشَّمْسُ تَجْرِي* (সূর্য গতিশীল)"-এর সম্পূর্ণ বিপরীত। এমন মতবাদ গ্রহণ করা কুফরী, এবং কুরআনকে মিথ্যা বলে মানার শামিল।
তৃতীয়ত:
এমন কিছু বিষয় যা কুরআন সুন্নাহর নুসুসের সাথে আংশিকভাবে সামঞ্জস্যপূর্ণ, আবার আংশিকভাবে সাংঘর্ষিক, কিন্তু সেটা গ্রহণ বা বর্জনের ব্যাপারে শরঈ কোনো সুস্পষ্ট ও বাহ্যিক নির্দেশনা নেই। যেমন "পৃথিবী ঘূর্ণনশীল" এই কথা বলা। এসব ক্ষেত্রে কোনো ব্যক্তির স্বীয় গবেষণা ও বিশ্বাসের ভিত্তিতে উক্ত তত্ত্বকে গ্রহণ বা প্রত্যাখ্যান করার স্বাধীনতা রয়েছে। তবে এরূপ তত্ত্ব গ্রহণ বা অস্বীকারকারী কাউকে হেয় করা, তার প্রতি বুদ্ধিবৃত্তিক সন্ত্রাস (যেমন—তিরস্কার বা অপমান) চালানো জায়েজ নয়।
وأزيد الأمر إيضاحا فأقول : ما جاء عن فلاسفة الغرب من اكتشافات فلكية فلا تتسرع وتطلق عليه أنه كله مقررات و حقائق بل نتأنى ونتثبت وندرس، فلابد أن ينجلي الأمر عن واحد من ثلاثة :
أولها : أن يوافق ما جاء به القرآن والسنة، فهذا يجب التسليم به، لأنه جاء به الإسلام، ولأن إنكاره إنكار لشيء من الإسلام، وهو خطير جدا .
وثانيها : أن يأتي مناقضا لما قرره القرآن والسنة، فهذا يرد مثل القول: بأن الشمس ثابتة لا تتحرك ولا تجري كما أخبر القرآن، ولأن قبوله كفر به وتكذيب للقرآن .
ثالثها : أن تحتمله بعض النصوص احتمالاً، ويحتمل بعضها رده، وليس فيه نصوص صريحة ولا ظاهرة في قبوله أو رده، كالقول بأن الأرض تدور فهذا يفسحفيه المجال للقبول والرد لكل فهمه وقناعته، ولا يجوز فيه استخدام الإرهاب الفكري ، بالطعن والتحقير لمن يقبل أو يرد.
মাজমূ' কুতুব ওয়া রাসায়েল ওয়া ফাতাওয়া ফাদ্বিলাতিশ শাইখ আল-আল্লামা রাবী‘ বিন হাদী উমাইর আল-মাদখালি, ১১/৩৩০
অনুবাদ - সাফিন চৌধুরী
Telegram: t.me/ideologyofsalaf