প্রশ্ন: “এমন কিছু মহিলাদের ব্যাপারে আপনার মত কি যারা পুরুষদের সাথে কথা বলার সময় অকঠোর এবং অবাধ? আশা করা যায় যে, আপনি তাদের [কিছু] হিদায়াতের বাণী প্রদান করবেন এবং জাযাকুমুল্লাহু খাইরান।”
উত্তর: একজন মহিলার পক্ষে যে তার মাহরাম নয় এমন পুরুষদের সাথে প্রয়োজনীয় [কথা] ব্যতীত আলাপ বাড়ানো জায়েয নয়। এর কারণ এটি ফিতনাহ্’র দিকে ধাবিত করে এবং আল্লাহ্ তাবারাকা ওয়া তা’আলা বলেন:
“...তাহলে পর পুরুষের সঙ্গে আকর্ষণীয় ভঙ্গিতে কথা বলো না, যাতে যার অন্তরে ব্যাধি আছে সে প্রলুদ্ধ হয়। তোমরা সঙ্গত কথা বলবে।” [সূরা আহযাব: ৩২ নং আয়াত]
[তাই] তাকে [বাজারের] ব্যবসায়ীর সাথে তার প্রয়োজন অনুসারে কথা বলতে হবে, [কথা] না বাড়িয়েই; এর কারণ হল শয়ত্বান আদম সন্তানের মধ্যে দিয়ে প্রবাহিত হয় যেভাবে রক্ত প্রবাহিত হয়। এবং কতক মহিলা মনে করে যে, সে ফিতনাহ্ থেকে অনেক দূরে, কিন্তু শয়ত্বান তাকে ফিতনাহ্তে আমন্ত্রণ জানানোর জন্য এখনও তার সাথে রয়েছে৷
এটা সম্ভব যে সে এমন এক ব্যক্তির [সঙ্গ] ছেড়েছে যার সাথে সে অকারণে আলাপ বাড়িয়েছে, এবং তারপরে শয়ত্বান তার কাছে খারাপ চিন্তাগুলো ফিসফিস করে [ততক্ষণ] যতক্ষণ না সে এই ব্যক্তিটির কাছে [আবার] ফিরে আসে এবং প্রথম শব্দগুলি যা [তারা বিনিময় করে] স্ফূলিঙ্গ হয়ে যায় [যা ফিতনাহ্’র সূচনা করে] এবং চূড়ান্ত শব্দগুলি— একটি জলন্ত জাহান্নাম [যখন তারা উভয়ই ফিতনাহ্তে পড়ে গিয়েছে], ওয়াল ইয়াযু বিল্লাহ্!
তাই নারীদের উচিত আল্লাহ্’কে ভয় করা এবং এই ধরনের আলাপের দিকে নিমজ্জিত না হওয়া, এবং না যা প্রয়োজন [তা] ব্যতীত আলাপ বাড়ানো। এবং এর একটি উদাহরণ— এবং এটি নিঃসন্দেহে একটি সুস্পষ্ট রোগ, বরং একটি বড় রোগ— এবং টেলিফোনের মাধ্যমে এটাই ঘটে। যেমন অনেক তুচ্ছ মূর্খ আছে যারা যে কোনো এলোমেলো নাম্বার ডায়াল করে [একজন মহিলার সাথে কথা বলার আশায়] এবং [তারপর তারা খুঁজে পায়] একজন মহিলা [যে অবশেষে] তাদের সাথে কথা বলে। এইভাবে সে তাকে ভালবাসার কথা বলে এবং এইভাবেই বারবার চলতে থাকে। ঐ সময় সে তাদের কথোপকথন রেকর্ড করে, এবং এটি একটি জটিল সমস্যা, কারণ সে কখনই তাকে একা ছাড়বে না। তাই সে তাদের সব কথোপকথন রেকর্ড করে, এবং যখন বিষয়গুলি [তাদের মধ্যে] কুরুচিপূর্ণ হয়ে যায়, তখন সে তাকে বলে: “হয় তুমি [এমন এমন] করো অথবা আমি তোমার ছেলে বা ভাই বা বাবা বা অন্যকাউকে [এই রেকর্ডিংগুলো] দেব, যাতে তারা তোমার আওয়াজ [এবং আমরা যা নিয়ে কথা বলেছি] তা শুনতে পায়।
তাই এই কারণে, আমি মহিলাদের [অপ্রয়োজনীয়ভাব] পুরুষদের সাথে কথোপকথন থেকে সাবধান করছি, প্রকৃতপক্ষে এটি বিরাট পরিমাণের বিপদ, এবং আমরা ফিতান থেকে আল্লাহ্'র কাছে নিরাপত্তা চাই।
শায়খ মুহাম্মদ ইবনু ছালেহ আল-‘উছাইমীন রাহিমাহুল্লাহ্।
বঙ্গানুবাদ: আব্দুল্লাহ মুহাম্মদ রাকিব খান।
বই: ই’লাম আল-মুআছিরীন বি ফতওয়া ইবনু ‘উছাইমীন: ৩৯১-৩৯২ পৃষ্ঠা।
উত্তর: একজন মহিলার পক্ষে যে তার মাহরাম নয় এমন পুরুষদের সাথে প্রয়োজনীয় [কথা] ব্যতীত আলাপ বাড়ানো জায়েয নয়। এর কারণ এটি ফিতনাহ্’র দিকে ধাবিত করে এবং আল্লাহ্ তাবারাকা ওয়া তা’আলা বলেন:
“...তাহলে পর পুরুষের সঙ্গে আকর্ষণীয় ভঙ্গিতে কথা বলো না, যাতে যার অন্তরে ব্যাধি আছে সে প্রলুদ্ধ হয়। তোমরা সঙ্গত কথা বলবে।” [সূরা আহযাব: ৩২ নং আয়াত]
[তাই] তাকে [বাজারের] ব্যবসায়ীর সাথে তার প্রয়োজন অনুসারে কথা বলতে হবে, [কথা] না বাড়িয়েই; এর কারণ হল শয়ত্বান আদম সন্তানের মধ্যে দিয়ে প্রবাহিত হয় যেভাবে রক্ত প্রবাহিত হয়। এবং কতক মহিলা মনে করে যে, সে ফিতনাহ্ থেকে অনেক দূরে, কিন্তু শয়ত্বান তাকে ফিতনাহ্তে আমন্ত্রণ জানানোর জন্য এখনও তার সাথে রয়েছে৷
এটা সম্ভব যে সে এমন এক ব্যক্তির [সঙ্গ] ছেড়েছে যার সাথে সে অকারণে আলাপ বাড়িয়েছে, এবং তারপরে শয়ত্বান তার কাছে খারাপ চিন্তাগুলো ফিসফিস করে [ততক্ষণ] যতক্ষণ না সে এই ব্যক্তিটির কাছে [আবার] ফিরে আসে এবং প্রথম শব্দগুলি যা [তারা বিনিময় করে] স্ফূলিঙ্গ হয়ে যায় [যা ফিতনাহ্’র সূচনা করে] এবং চূড়ান্ত শব্দগুলি— একটি জলন্ত জাহান্নাম [যখন তারা উভয়ই ফিতনাহ্তে পড়ে গিয়েছে], ওয়াল ইয়াযু বিল্লাহ্!
তাই নারীদের উচিত আল্লাহ্’কে ভয় করা এবং এই ধরনের আলাপের দিকে নিমজ্জিত না হওয়া, এবং না যা প্রয়োজন [তা] ব্যতীত আলাপ বাড়ানো। এবং এর একটি উদাহরণ— এবং এটি নিঃসন্দেহে একটি সুস্পষ্ট রোগ, বরং একটি বড় রোগ— এবং টেলিফোনের মাধ্যমে এটাই ঘটে। যেমন অনেক তুচ্ছ মূর্খ আছে যারা যে কোনো এলোমেলো নাম্বার ডায়াল করে [একজন মহিলার সাথে কথা বলার আশায়] এবং [তারপর তারা খুঁজে পায়] একজন মহিলা [যে অবশেষে] তাদের সাথে কথা বলে। এইভাবে সে তাকে ভালবাসার কথা বলে এবং এইভাবেই বারবার চলতে থাকে। ঐ সময় সে তাদের কথোপকথন রেকর্ড করে, এবং এটি একটি জটিল সমস্যা, কারণ সে কখনই তাকে একা ছাড়বে না। তাই সে তাদের সব কথোপকথন রেকর্ড করে, এবং যখন বিষয়গুলি [তাদের মধ্যে] কুরুচিপূর্ণ হয়ে যায়, তখন সে তাকে বলে: “হয় তুমি [এমন এমন] করো অথবা আমি তোমার ছেলে বা ভাই বা বাবা বা অন্যকাউকে [এই রেকর্ডিংগুলো] দেব, যাতে তারা তোমার আওয়াজ [এবং আমরা যা নিয়ে কথা বলেছি] তা শুনতে পায়।
তাই এই কারণে, আমি মহিলাদের [অপ্রয়োজনীয়ভাব] পুরুষদের সাথে কথোপকথন থেকে সাবধান করছি, প্রকৃতপক্ষে এটি বিরাট পরিমাণের বিপদ, এবং আমরা ফিতান থেকে আল্লাহ্'র কাছে নিরাপত্তা চাই।
শায়খ মুহাম্মদ ইবনু ছালেহ আল-‘উছাইমীন রাহিমাহুল্লাহ্।
বঙ্গানুবাদ: আব্দুল্লাহ মুহাম্মদ রাকিব খান।
বই: ই’লাম আল-মুআছিরীন বি ফতওয়া ইবনু ‘উছাইমীন: ৩৯১-৩৯২ পৃষ্ঠা।
Last edited by a moderator: