ইদ্দত এর সময়কাল :
ইদ্দত মানে গণনা করা। তিন হায়যের সময়কালকে এক ইদ্দত বলা হয়। অর্থাৎ তিন মাস।
(১) গর্ভবতী নারী তালাক প্রাপ্তা হলে সন্তান প্রসব পর্যন্ত তাকে ইদ্দত পালন করতে হবে। সন্তান ভুমিষ্ট হওয়ার পর পরই তার ইদ্দত খতম হয়ে যাবে।
- [সূরা তালাক আয়াত নং ৪; ইবনু মাজাহ হাদীস নং ২০২৬।]
(২) গর্ভবতী না হলে তিন মাস পালন করতে হবে।
(৩) খোলা তালাকের ক্ষেত্রে নারী এক মাস ইদ্দত পালন করবে।
- [আবূ দাঊদ হাদীস নং ২২২৯।] অর্থাৎ এক হায়েয সময়কাল।
(৪) গর্ভহীন নারী বিধবা হলে চার মাস দশদিন ইদ্দত পালন করবে।
- [সূরা বাকারা আয়াত নং ২৩৪।]
গর্ভবতী হলে সন্তান প্রসব পর্যন্ত সময়কালকে ইদ্দত হিসেবে গণ্য করা হবে।
- [সূরা তালাক আয়াত নং ৪।]
বিয়ের পর সহবাসের পূর্বেই যদি স্বামী মারা যায় তাহলেও স্ত্রীকে ইদ্দত পালন করতে হবে। সহবাস না করলে ইদ্দত পালন করতে হবে না-মর্মের দাবী ঠিক নয়।
- [আবূ দাঊদ হাদীস নং ২১১৬; তিরমিযী হাদীস নং ১১৪৫; ইবনু মাজাহ হাদীস নং ১৮৯১।]
যদি স্বামী বিবাহের পর সহবাসের পূর্বেই তালাক দেয় তাহলে তালাকপ্রাপ্ত স্ত্রীর জন্য কোন ইদ্দত নেই। তালাকের পর সাথে সাথেই উক্ত স্ত্রী অন্যত্র বিবাহ করতে পারবে।
- [সূরা আহযাব আয়াত নং ৪৯।]
রজঈ তালাক প্রাপ্ত স্ত্রীকে স্বামীর ঘরেই ইদ্দত পালন করা উচিৎ।
- [সূরা তালাক, আয়াত নং ১।]
এ সময়ে স্ত্রীর যাবতীয় খরচ বহন করার দায়িতব থাকবে স্বামীর কাঁধে। স্বামী স্ত্রীর খরচ বহন করার ক্ষেত্রে কোনরূপ অস্বীকৃতি জ্ঞাপন করতে পারবে না। তবে ‘বায়েন কুবরা’ তালাক প্রাপ্তা স্ত্রী স্বামীর ঘরে নয় বরং নিজের যে কোন সুবিধামত স্থানে ইদ্দত পালন করবে।
- [আবূ দাঊদ হাদীস নং ২২৮৪।]
কেননা বায়েন কুবরা তালাক হয়ে যাওয়ার পর তারা আর স্বামী-স্ত্রী হিসেবে গণ্য হন না। সম্পূর্ণ ভিন্ন হয়ে যায়। দুজনেই দুজনের জন্য হারাম হয়ে যায়। সুতরাং ইদ্দত পালনকালে স্বামীর (যার সাথে বিচ্ছিন্ন হয়ে গেল) ঘরে থাকা যাবে না। বিধবা হলে স্বামীর ঘরেই ইদ্দত পালন করতে হবে।
- [আবূ দাঊদ হাদীস নং ২৩০০।]
আর যদি স্বামী হারিয়ে যায় কিংবা নিখোঁজ থাকে তাহলে চার বছর অপেক্ষা করার পর স্ত্রী ইদ্দত পালন শুরু করবে। অর্থাৎ ৪ মাস ১০ দিন ইদ্দত পালনের পর অন্যত্র বিবাহ করতে পারবে। এ বিষয়ক কোন সরাসরি মারফূ হাদীস পাওয়া যায় না। তবে হাদীসের আলোকে ইজতিহাদ করেই একে সর্বাধিক বিশুদ্ধ মত হিসেবে গণ্য করা হয়েছে।
- [সুনানে সাঈদ বিন মানসূর, বাবুত তালাক; নাসাঈ কুবরা, মুসান্নাফ আব্দুর রাযযাক। ইবারতের জন্য তালাক কী কিতাবের ১৯৬ পৃ. দেখতে হবে।]
চার বছর অতিক্রান্ত হবার পরও যদি স্ত্রী তার জন্য অপেক্ষায় থাকতে চায় তাহলে অপেক্ষায় থাকবে। সেক্ষেত্রে বিবাহ অটুট থাকবে। ফলে ইদ্দত পালনেরও কোন প্রশ্ন আসবে না।
আর যদি চার বছর অপেক্ষার পর স্ত্রী নতুন বিবাহ করে; এবং পরবর্তীতে যদি (দ্বিতীয় স্বামীর সাথে ঘর সংসারকালে) প্রথম (হারিয়ে যাওয়া) স্বামী প্রত্যাবর্তন করেন তাহলে স্ত্রীর স্বাধীনতা থাকবে যে কোন একজনকে বহাল রাখার।
- [বুখারী হাদীস নং ৫২৯১-এর পূর্বে।]
ইদ্দতপালনকালে স্ত্রী প্রয়োজনে বাসা হতে বের হতে পারবে।
- [আবূ দাঊদ হাদীস নং ২২৯৭; ইবনু মাজাহ হাদীস নং ২০৩৪।]
ইদ্দতপালনকালে স্ত্রী বিবাহ করতে পারবে না।
- [সূরা বাকারা, আয়াত নং ২৩২, ২৩৪।]
ক্রীত দাসী হলে দুমাস তথা দুই হায়েযকাল ইদ্দত পালন করবে।
- [ইরওয়াউল গলীল হাদীস নং ২০৬৭।]
তবে গর্ভবতী হলে সন্তান প্রসব না হওয়া পর্যন্ত ইদ্দত পালন করতে হবে।
- [আবূ দাঊদ হাদীস নং ২১৫৭।]
সন্তান ভুমিষ্ট হওয়া মাত্রই ইদ্দতকাল শেষ। সন্তান জীবিত বের হোক কিংবা মৃত। বন্দী নারীর ক্ষেত্রেও একই বিধান প্রযোজ্য।
উল্লেখ্য, গর্ভবতী দাসীর বাচ্চা প্রসবের পূর্বে তার সাথে সহবাস করা হারাম। গর্ভবতী না হলে এক হায়েয পেরোনোর পর সহবাস করা যাবে। তার আগে নয়।
- [তিরমিযী হাদীস নং ১৫৬৩।]
উল্লেখ্য, তালাকে রজঈ প্রাপ্ত নারীর স্বামী যদি মারা যায় তাহলে স্বামীর মৃত্যুর পর থেকে উক্ত নারী চার মাস ১০ দিন ইদ্দত পালন করবে। সেক্ষেত্রে তালাকে রজঈর ইদ্দত বাতিল হবে। আর তালাকে রজঈ প্রাপ্ত নারী স্বামীর মৃত্যুর পর তার সম্পদের ওয়ারিস হবে। তালাকে বায়েন প্রাপ্ত নারীর ক্ষেত্রে এই হুকুম প্রযোজ্য নয়।
ইদ্দত মানে গণনা করা। তিন হায়যের সময়কালকে এক ইদ্দত বলা হয়। অর্থাৎ তিন মাস।
(১) গর্ভবতী নারী তালাক প্রাপ্তা হলে সন্তান প্রসব পর্যন্ত তাকে ইদ্দত পালন করতে হবে। সন্তান ভুমিষ্ট হওয়ার পর পরই তার ইদ্দত খতম হয়ে যাবে।
- [সূরা তালাক আয়াত নং ৪; ইবনু মাজাহ হাদীস নং ২০২৬।]
(২) গর্ভবতী না হলে তিন মাস পালন করতে হবে।
- [সূরা বাকারা আয়াত নং ২২৮; ইবনু মাজাহ হাদীস নং ২০৭৭; ইরওয়াউল গলীল হাদীস নং ২১২০।] যাদের হায়েয হয় না তারাও তিন মাস ইদ্দত পালন করবে।
- [সূরা তালাক আয়াত নং ৪।]
(৩) খোলা তালাকের ক্ষেত্রে নারী এক মাস ইদ্দত পালন করবে।
- [আবূ দাঊদ হাদীস নং ২২২৯।] অর্থাৎ এক হায়েয সময়কাল।
(৪) গর্ভহীন নারী বিধবা হলে চার মাস দশদিন ইদ্দত পালন করবে।
- [সূরা বাকারা আয়াত নং ২৩৪।]
গর্ভবতী হলে সন্তান প্রসব পর্যন্ত সময়কালকে ইদ্দত হিসেবে গণ্য করা হবে।
- [সূরা তালাক আয়াত নং ৪।]
বিয়ের পর সহবাসের পূর্বেই যদি স্বামী মারা যায় তাহলেও স্ত্রীকে ইদ্দত পালন করতে হবে। সহবাস না করলে ইদ্দত পালন করতে হবে না-মর্মের দাবী ঠিক নয়।
- [আবূ দাঊদ হাদীস নং ২১১৬; তিরমিযী হাদীস নং ১১৪৫; ইবনু মাজাহ হাদীস নং ১৮৯১।]
যদি স্বামী বিবাহের পর সহবাসের পূর্বেই তালাক দেয় তাহলে তালাকপ্রাপ্ত স্ত্রীর জন্য কোন ইদ্দত নেই। তালাকের পর সাথে সাথেই উক্ত স্ত্রী অন্যত্র বিবাহ করতে পারবে।
- [সূরা আহযাব আয়াত নং ৪৯।]
রজঈ তালাক প্রাপ্ত স্ত্রীকে স্বামীর ঘরেই ইদ্দত পালন করা উচিৎ।
- [সূরা তালাক, আয়াত নং ১।]
এ সময়ে স্ত্রীর যাবতীয় খরচ বহন করার দায়িতব থাকবে স্বামীর কাঁধে। স্বামী স্ত্রীর খরচ বহন করার ক্ষেত্রে কোনরূপ অস্বীকৃতি জ্ঞাপন করতে পারবে না। তবে ‘বায়েন কুবরা’ তালাক প্রাপ্তা স্ত্রী স্বামীর ঘরে নয় বরং নিজের যে কোন সুবিধামত স্থানে ইদ্দত পালন করবে।
- [আবূ দাঊদ হাদীস নং ২২৮৪।]
কেননা বায়েন কুবরা তালাক হয়ে যাওয়ার পর তারা আর স্বামী-স্ত্রী হিসেবে গণ্য হন না। সম্পূর্ণ ভিন্ন হয়ে যায়। দুজনেই দুজনের জন্য হারাম হয়ে যায়। সুতরাং ইদ্দত পালনকালে স্বামীর (যার সাথে বিচ্ছিন্ন হয়ে গেল) ঘরে থাকা যাবে না। বিধবা হলে স্বামীর ঘরেই ইদ্দত পালন করতে হবে।
- [আবূ দাঊদ হাদীস নং ২৩০০।]
আর যদি স্বামী হারিয়ে যায় কিংবা নিখোঁজ থাকে তাহলে চার বছর অপেক্ষা করার পর স্ত্রী ইদ্দত পালন শুরু করবে। অর্থাৎ ৪ মাস ১০ দিন ইদ্দত পালনের পর অন্যত্র বিবাহ করতে পারবে। এ বিষয়ক কোন সরাসরি মারফূ হাদীস পাওয়া যায় না। তবে হাদীসের আলোকে ইজতিহাদ করেই একে সর্বাধিক বিশুদ্ধ মত হিসেবে গণ্য করা হয়েছে।
- [সুনানে সাঈদ বিন মানসূর, বাবুত তালাক; নাসাঈ কুবরা, মুসান্নাফ আব্দুর রাযযাক। ইবারতের জন্য তালাক কী কিতাবের ১৯৬ পৃ. দেখতে হবে।]
চার বছর অতিক্রান্ত হবার পরও যদি স্ত্রী তার জন্য অপেক্ষায় থাকতে চায় তাহলে অপেক্ষায় থাকবে। সেক্ষেত্রে বিবাহ অটুট থাকবে। ফলে ইদ্দত পালনেরও কোন প্রশ্ন আসবে না।
আর যদি চার বছর অপেক্ষার পর স্ত্রী নতুন বিবাহ করে; এবং পরবর্তীতে যদি (দ্বিতীয় স্বামীর সাথে ঘর সংসারকালে) প্রথম (হারিয়ে যাওয়া) স্বামী প্রত্যাবর্তন করেন তাহলে স্ত্রীর স্বাধীনতা থাকবে যে কোন একজনকে বহাল রাখার।
- [বুখারী হাদীস নং ৫২৯১-এর পূর্বে।]
ইদ্দতপালনকালে স্ত্রী প্রয়োজনে বাসা হতে বের হতে পারবে।
- [আবূ দাঊদ হাদীস নং ২২৯৭; ইবনু মাজাহ হাদীস নং ২০৩৪।]
ইদ্দতপালনকালে স্ত্রী বিবাহ করতে পারবে না।
- [সূরা বাকারা, আয়াত নং ২৩২, ২৩৪।]
ক্রীত দাসী হলে দুমাস তথা দুই হায়েযকাল ইদ্দত পালন করবে।
- [ইরওয়াউল গলীল হাদীস নং ২০৬৭।]
তবে গর্ভবতী হলে সন্তান প্রসব না হওয়া পর্যন্ত ইদ্দত পালন করতে হবে।
- [আবূ দাঊদ হাদীস নং ২১৫৭।]
সন্তান ভুমিষ্ট হওয়া মাত্রই ইদ্দতকাল শেষ। সন্তান জীবিত বের হোক কিংবা মৃত। বন্দী নারীর ক্ষেত্রেও একই বিধান প্রযোজ্য।
উল্লেখ্য, গর্ভবতী দাসীর বাচ্চা প্রসবের পূর্বে তার সাথে সহবাস করা হারাম। গর্ভবতী না হলে এক হায়েয পেরোনোর পর সহবাস করা যাবে। তার আগে নয়।
- [তিরমিযী হাদীস নং ১৫৬৩।]
উল্লেখ্য, তালাকে রজঈ প্রাপ্ত নারীর স্বামী যদি মারা যায় তাহলে স্বামীর মৃত্যুর পর থেকে উক্ত নারী চার মাস ১০ দিন ইদ্দত পালন করবে। সেক্ষেত্রে তালাকে রজঈর ইদ্দত বাতিল হবে। আর তালাকে রজঈ প্রাপ্ত নারী স্বামীর মৃত্যুর পর তার সম্পদের ওয়ারিস হবে। তালাকে বায়েন প্রাপ্ত নারীর ক্ষেত্রে এই হুকুম প্রযোজ্য নয়।