পুরুষদের দিকে তাকানো নারীদের জন্য জায়েয নয়

Abdullah Rakib

Susceptible
Exposer
Salafi User
Joined
Dec 9, 2022
Threads
25
Comments
26
Reactions
192
ছুয়াইদ আমাদেরকে বলেছেন > আব্দুল্লাহ আমাদেরকে বলেছেন > ইউনূছ বিন ইয়াযীদ আমাদেরকে খবর দিয়েছেন > ইবনু শিহাব থেকে > নাবহান মাওলা উম্মু ছালামাহ থেকে > উম্মু ছালামাহ তাকে বলেছেন: তিনি ও মাইমূনা রাছূল ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া-‘ছাল্লামের পাশে হাযির ছিলেন। তিনি বলেন, আমরা দু'জন তার নিকটে অবস্থানরত থাকতেই ইবনু উম্মু মাকতুম তাঁর নিকট এলেন। এটা পর্দার নির্দেশ অবতীর্ণ হওয়ার পরের ঘটনা। রাছূল ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া-‘ছাল্লাম বললেন: তোমরা উভয়ে তার থেকে পর্দা কর। আমি বললাম, হে আল্লাহ্’র রাছূল! তিনি কি অন্ধ নন? তিনি তো আমাদেরকে দেখতেও পারছেন না চিনতেও পারছেন না। রাছূল ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া-‘ছাল্লাম বলেন: তোমরাও কি অন্ধ, তোমরাও কি তাকে দেখতে পাচ্ছ না।” [মুছনাদে আহমাদ, তিরমিযী, আবু দাউদ]
عن أم سلمة قالت: «كنت عند النبي - صلى الله عليه وسلم - وميمونة، فأقبل ابن أم مكتوم حتى دخل عليه. وذلك بعد أن أمر بالحجاب، فقال رسول الله - صلى الله عليه وسلم -: احتجبا منه، فقلنا: يا رسول الله أليس أعمى لا يبصرنا ولا يعرفنا؟ فقال: أفعمياوان أنتما، ألستما تبصرانه؟» رواه أحمد وأبو داود والترمذي وصححه«

আয়িশাহ থেকে > তিনি বলেন, আমি একদিন হাবশীদের খেলা দেখছিলাম। তারা মাছজিদের আঙ্গিনায় খেলা খেলছিল। আমি খেলা দেখে ক্লান্ত না হওয়া পর্যন্ত দেখছিলাম। তখন নাবী ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া-‘ছাল্লাম তাঁর চাদর দিয়ে আমাকে আড়াল করে রেখেছিলেন। তোমরা অনুমান কর যে, অল্পবয়স্কা মেয়েরা খেলাধূলা দেখতে কী পরিমাণ আগ্রহী!” [বুখারী: ৫২৩৬ নং]
إِسْحَاقُ بْنُ إِبْرَاهِيمَ الْحَنْظَلِيُّ عَنْ عِيسٰى عَنِالأَوْزَاعِيِّ عَنْ الزُّهْرِيِّ عَنْ عُرْوَةَ عَنْ عَائِشَةَ قَالَتْ رَأَيْتُ النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم يَسْتُرُنِي بِرِدَائِه„ وَأَنَا أَنْظُرُ إِلَى الْحَبَشَةِ يَلْعَبُونَ فِي الْمَسْجِدِ حَتّٰى أَكُونَ أَنَا الَّتِي أَسْأَمُ فَاقْدُرُوا قَدْرَ الْجَارِيَةِ الْحَدِيثَةِ السِّنِّ الْحَرِيصَةِ عَلٰى اللَّهْوِ.

যারা বলেছেন পুরুষদের দিকে মহিলাদের তাকানো নাজায়েয তারা উম্মু ছালামার হাদীছ দ্বারা দালীল দিয়েছেন— এই হাদীছ নাছাঈ এবং ইবনু হিব্বানও অন্তর্ভুক্ত করেছেন— এটি শাফেঈ, আহমাদ এবং হাদাউয়ীয়ার একটি মত। নাওয়াউয়ী বলেন: এটা অধিকতর সঠিক, আল্লাহ্’র কথার কারণে: “মুমিনা নারীদের বলো, তাদের দৃষ্টি নিচু করতে”[ছূরা নূর: ৩১ নং আয়াত]—
وهو أصح ولقوله تعالى: {وقل للمؤمنات يغضضن من أبصارهن}
আর যেহেতু নারী হচ্ছে দুই প্রকার মানুষের মধ্য থেকে— একটি প্রকার, যদি কিয়াছ করি তাহলে তাদের জন্য অন্য প্রকার অর্থাৎ পুরুষদের দিকে তাকানো হারাম, যেমনটি পুরুষদের জন্য অন্য প্রকারের দিকে তাকানো হারাম। এই বিধান মূলত ফিতনার কারণে, আর এটা জানা বিষয় যে নারীরা বেশি কামনাদ্বারা পরিপূর্ণ এবং কম বিচক্ষণ— তাই তাদের জন্য এই বিধান আরো বেশি যুক্তিযুক্ত।
আর যারা বলেছেন, পুরুষদের দিকে তাকানো জায়েয, তবে নাভী এবং হাটুর মধ্যবর্তী স্থান বাদ দিয়ে, তারা দালীল হিসেবে আয়িশার হাদীছটাকে উল্লেখ করেছেন। কিন্তু হাদীছটা হিজাবের বিধান নাযিল হওয়ার আগে। এবং নাওয়াউয়ী বলেছেন, আয়িশা তখনও ছোট ছিলেন এবং বালিগা হননি, ইবনু হাজার তাকে এই বিষয়ে অনুসরণ করেছেন এবং বলেছেন, এটি আবিছিনিয়ান দল আসার পরে, এবং তাদের আগমন হয়েছিল সপ্তম বছরে, আয়িশার বয়স তখন ছিল ষোল। তারা দালীল হিসেবে ফাতিমা বিনতে কায়ছের হাদীছকেও উপস্থাপন করে যে তিনি ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া-‘ছাল্লাম তাকে বলেছেন: ‘তুমি ইবনু উম্মু মাখতূমের ঘরে ইদ্দত পালন কর, এবং আরো বলেছেন: সে একজন অন্ধ ব্যক্তি, তোমার কাপড় তার সামনে উন্মুক্ত হলেও সমস্যা নেই।” [মুয়াত্তা মালিক] এর জবাব হল: বাড়িতে থাকা এবং তাকানোর ব্যাপারে কোন সম্পর্ক নেই, বাড়িতে থেকেও তার থেকে দৃষ্টি নিচু করে রাখা সম্ভব। তারা আরো একটা হাদীছকে দালীল হিসেবে উপস্থাপন করে যে: “ঈদের খুতবার পরে রাছূল মহিলাদের নছহীত করার সময় বিলালের হাতে ভর দিয়েছিলেন এবং বিলাল তাঁর কাপড় প্রসারিত করে ধরেছিলেন এবং মহিলারা সেটাতে দান সামগ্রী ফেলছিল।” এর জবাব হল: খুতবা তাঁরা তাদের দিকে না তাকিয়েও শুনতে পারে এবং দান সামগ্রী দেওয়ার জন্য তাদের দিকে তাকানোর প্রয়োজন নেই।
আর অন্ধ ব্যক্তিদের দিকে তাকানো মহিলাদের জন্য হারাম নয়, আসলে অন্ধ ব্যক্তি তো জানবে না যে তার কোন অংশ অনাবৃত নাকি আবৃত, তাই সতর্কতা অবলম্বনে রাছূল তাদের দিকে তাকাতে নিষেধ করেছেন। কিন্তু পুরুষদের দিকে তাকানো হারাম।
 
Last edited by a moderator:
You must log in or register to view this reply.
 
You must log in or register to view this reply.
 
Similar threads Most view View more
Back
Top