আব্দুল্লাহ আবূ যায়েদ রাহিমাহুল্লাহ বলেন, 'শরীআত নিষিদ্ধ কাজে জড়িয়ে গেলে সাধারণত তার কাফফারা হচ্ছে, তা থেকে তাওবা করা। তবে শরীআত যদি কোনো ক্ষেত্রে কাফফারা নির্দিষ্ট করে দেয়, তবে তা ভিন্ন কথা। যেমন, শপথ ভঙ্গের কাফফারা, ভুলক্রমে হত্যার কাফফারা, সিয়াম অবস্থায় রামাযান মাসের মিলন করার কাফফারা ইত্যাদি। তাই কোনো ব্যক্তি যদি কোনো নিষিদ্ধ বা ভুল কথা বলে ফেলে, সে আল্লাহর কাছে ইস্তিগফার করবে এবং তা থেকে তাওবা করবে।
আল্লাহ তাআলা বলেন,
মুমিনগণ, তোমরা সবাই আল্লাহর কাছে তাওবা করো; যেন তোমরা সফল হতে পারো। ১
শরীআত নিষিদ্ধ কথা মানুষ তখন বলে, যখন সে শয়তানের ওয়াসওয়াসা ও কুমন্ত্রণার শিকার হয়। সে জন্য তাকে শয়তান থেকে আল্লাহর কাছে আশ্রয় চাইতে হবে। আল্লাহ তাআলা তাঁর বান্দাদের পরামর্শ দিয়ে বলেন,
আর যদি শয়তানের পক্ষ থেকে তোমার কাছে কোনো কুমন্ত্রণা আসে তাহলে আল্লাহর কাছে আশ্রয় চাও। তিনি অবশ্যই সবকিছু শোনেন, সবকিছু দেখেন। ২
আল্লাহ তাআলা আরও বলেন,
আর যারা কোনো অশ্লীল কাজ করে ফেললে অথবা নিজেদের প্রতি জুলুম করে ফেললে, আল্লাহকে স্মরণ করে এবং নিজেদের পাপের জন্য ক্ষমা চায়। আল্লাহ ছাড়া পাপ ক্ষমা করবে কে? আর তারা জেনেশুনে নিজেদের কৃতকর্মের ওপর জিদ ধরে থাকে না।
তবে কোনো কোনো নিষিদ্ধ শব্দের কাফফারা রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলে দিয়েছেন। যেমন, আবূ হুরাইরাহ রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত, তিনি নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম থেকে বর্ণনা করেন। নবিজি বলেন, যে ব্যক্তি কসম করে বলে, লাত ও উযযার কসম, সে যেন বলে, লা ইলাহা ইল্লাল্লাহ। আর যে ব্যক্তি তার সাথীকে বলে, চলো তোমার সাথে জুয়া খেলব, সে যেন সাদকা করে। ৩, ৪
১. সূরা নূর, আয়াত : ৩১
২. সূরা আরাফ, আয়াত : ২০০ ৩৯. সূরা আল ইমরান, আয়াত : ১৩৫
৩. সহীহুল বুখারী, ৪৮৬০; সহীহ মুসলিম, ৪১৪২
৪. মুজামুল মানাহী আল-লাকযিয়্যাহ, ৩০-৩১
আল্লাহ তাআলা বলেন,
وَتُوبُوا إِلَى اللَّهِ جَمِيعًا أَيُّهَ الْمُؤْمِنُونَ لَعَلَّكُمْ تُفْلِحُونَ (۱۳)
মুমিনগণ, তোমরা সবাই আল্লাহর কাছে তাওবা করো; যেন তোমরা সফল হতে পারো। ১
শরীআত নিষিদ্ধ কথা মানুষ তখন বলে, যখন সে শয়তানের ওয়াসওয়াসা ও কুমন্ত্রণার শিকার হয়। সে জন্য তাকে শয়তান থেকে আল্লাহর কাছে আশ্রয় চাইতে হবে। আল্লাহ তাআলা তাঁর বান্দাদের পরামর্শ দিয়ে বলেন,
وَإِمَّا يَنْزَغَنَّكَ مِنَ الشَّيْطَانِ نَزْغٌ فَاسْتَعِذْ بِاللَّهِ إِنَّهُ سَمِيعٌ عَلِيمٌ (٠٠٢)
আর যদি শয়তানের পক্ষ থেকে তোমার কাছে কোনো কুমন্ত্রণা আসে তাহলে আল্লাহর কাছে আশ্রয় চাও। তিনি অবশ্যই সবকিছু শোনেন, সবকিছু দেখেন। ২
আল্লাহ তাআলা আরও বলেন,
وَالَّذِينَ إِذَا فَعَلُوا فَاحِشَةً أَوْ ظَلَمُوا أَنْفُسَهُمْ ذَكَرُوا اللَّهَ فَاسْتَغْفَرُوا لِذُنُوبِهِمْ وَمَنْ يَغْفِرُ الذُّنُوبَ إِلَّا اللَّهُ وَلَمْ يُصِرُّوا عَلَى مَا فَعَلُوا وَهُمْ يَعْلَمُونَ (٥٣١)
আর যারা কোনো অশ্লীল কাজ করে ফেললে অথবা নিজেদের প্রতি জুলুম করে ফেললে, আল্লাহকে স্মরণ করে এবং নিজেদের পাপের জন্য ক্ষমা চায়। আল্লাহ ছাড়া পাপ ক্ষমা করবে কে? আর তারা জেনেশুনে নিজেদের কৃতকর্মের ওপর জিদ ধরে থাকে না।
তবে কোনো কোনো নিষিদ্ধ শব্দের কাফফারা রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলে দিয়েছেন। যেমন, আবূ হুরাইরাহ রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত, তিনি নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম থেকে বর্ণনা করেন। নবিজি বলেন, যে ব্যক্তি কসম করে বলে, লাত ও উযযার কসম, সে যেন বলে, লা ইলাহা ইল্লাল্লাহ। আর যে ব্যক্তি তার সাথীকে বলে, চলো তোমার সাথে জুয়া খেলব, সে যেন সাদকা করে। ৩, ৪
- উস্তায আব্দুল্লাহ মাহমুদ।
১. সূরা নূর, আয়াত : ৩১
২. সূরা আরাফ, আয়াত : ২০০ ৩৯. সূরা আল ইমরান, আয়াত : ১৩৫
৩. সহীহুল বুখারী, ৪৮৬০; সহীহ মুসলিম, ৪১৪২
৪. মুজামুল মানাহী আল-লাকযিয়্যাহ, ৩০-৩১