প্রশ্নোত্তর নামাযের বাহিরে ‘আউজুবিল্লাহ’ ছাড়া কুরআন পড়ার হুকুম কী?

Golam Rabby

Knowledge Sharer

ilm Seeker
HistoryLover
Q&A Master
Salafi User
Joined
Jan 3, 2023
Threads
1,129
Comments
1,321
Solutions
1
Reactions
12,516
উত্তর : আলেমগণ ইজমা বা ঐকমত্য হয়েছেন যে, ‘আউজুবিল্লাহ’ কুরআনের অংশ নয়। তবে কুরআন তেলাওয়াতের সময় আউজুবিল্লাহ পড়তে হয়। জমহুর ফিকাহবিদগণের মতে, ‘আউজুবিল্লাহ’ পড়া সুন্নত। ইমাম আতা ও ছাওরি এর মতে, এটি পড়া ওয়াজিব। যেহেতু আল্লাহ বলেছেন: “যখন তুমি কুরআন তেলাওয়াত করবে তখন আল্লাহর নিকট আশ্রয় প্রার্থনা করবে (১) এবং যেহেতু নবী ﷺ নিয়মিত তা পড়তেন এবং যেহেতু এটি শয়তানের অনিষ্টকে প্রতিহত করে। আর যা ছাড়া কোন ওয়াজিব আমল সম্পন্ন করা যায় না সেটাও ওয়াজিব।

পক্ষান্তরে জমহুর ফিকাহবিদ দলিল দিয়েছেন, আয়াতে নির্দেশসূচক ক্রিয়াটি মুস্তাহাব অর্থে ব্যবহৃত হয়েছে। যেহেতু সলফে সালেহিন ‘আউজুবিল্লাহ পড়া’ সুন্নত হওয়ার পক্ষে ইজমা করেছেন। সুতরাং তাদের ইজমা আয়াতের নির্দেশসূচক ক্রিয়াটি ওয়াজিব বা ‘আবশ্যকীয়’ অর্থের পরিবর্তে মুস্তাহাব বা উত্তমতার অর্থে ব্যবহৃত হওয়ার পক্ষে দলিল (২)

আর নামাযে ‘আউজুবিল্লাহ’ পড়াকে কোন কোন আলেম ‘ওয়াজিব’ বলেছেন। তবে অধিকাংশ আলেম ‘মুস্তাহাব’ বলেছেন। এটি সাহাবায়ে কেরাম, তাবেয়ীন, ইমাম আবু হানিফা, ইমাম শাফেয়ী ও নির্ভরযোগ্য মতে ইমাম আহমাদ সহ অধিকাংশ আলেমের অভিমত।

অতএব, অধিকাংশ আলেমের মতে, নামাযের মধ্যে অথবা নামাযের বাহিরে ‘আউজুবিল্লাহ’ পড়া সুন্নতে মুয়াক্কাদা; ওয়াজিব নয়। এটাই অগ্রগণ্য অভিমত।

সুতরাং যে ব্যক্তি কুরআন তেলাওয়াতের আগে আউজুবিল্লাহ পড়বে না তার গুনাহ হবে না। কিন্তু এটি উত্তমতার খেলাফ।

তথ্য সুত্র :
(১) সূরা নাহল, ৯৮
(২) আল-মাউসুআ আল-ফিকহিয়্যা ৪/৬
উৎস : ইসলাম জিজ্ঞাসা ও জবাব, প্রশ্ন নং ২২৪০৭০
 
Back
Top