- Joined
- Jan 12, 2023
- Threads
- 790
- Comments
- 1,042
- Solutions
- 19
- Reactions
- 10,755
- Thread Author
- #1
প্রশ্ন: আল্লাহ তা‘আলা রাসূলুল্লাহ (ﷺ)কে সম্বোধন করে এ কথা— ‘‘আর আল্লাহ ছাড়া এমন কিছুকে ডেকো না, যা তোমার উপকার করতে পারে না এবং তোমার ক্ষতিও করতে পারে না” [সূরা ইউনুস, আয়াত: ১০৬] কেন বলেছেন? অথচ রাসূলুল্লাহ (ﷺ) শির্ক থেকে সম্পূর্ণ নিষ্পাপ এবং তার থেকে শির্ক পাওয়া যাওয়া অসম্ভব?
উত্তর: আয়াতের বাহ্যিক বর্ণনা ভঙ্গি দ্বারা বুঝা যায় যে, এখানে রাসূলুল্লাহ (ﷺ)কেই সম্বোধন করা হয়েছে। কোন কোন আলেম বলেন, রাসূলকে সম্বোধন করা হয়েছে, এ কথা বলা সঠিক নয়। কারণ, রাসূলুল্লাহ (ﷺ) থেকে শির্ক প্রকাশ পাওয়া সম্পূর্ণ অসম্ভব। আয়াতের শুরুতে قل শব্দটি উহ্য আছে। (তখন অর্থ হবে হে রাসূল! আপনি বলুন)। এ ব্যাখ্যাটি দুর্বল কারণ, এ দ্বারা আয়াতকে তার বর্ণনা ভঙ্গি থেকে দূরে সরানো হয়।
সঠিক উত্তর: সম্বোধনটি রাসূলুল্লাহ (ﷺ)-এর জন্য খাস। কিন্তু বিধানটি তার জন্য ও অন্যদের জন্য ব্যাপক। অথবা সম্বোধনটি যাদের সম্বোধন করা যায় তাদের সবার জন্য ব্যাপক। তাতে রাসূলুল্লাহ (ﷺ)ও অন্তর্ভুক্ত। এ ধরনের সম্বোধন রাসূলুল্লাহের প্রতি নির্দেশিত হওয়া এ কথাকে বাধ্য করে না যে, তার থেকে শির্ক পাওয়া যাওয়া সম্ভব। আল্লাহ তা‘আলা বলেন,
ফলে সম্বোধনটি তার জন্য এবং সব নবী ও রাসূলদের জন্য যাদের থেকে শির্ক পাওয়া যাওয়া অসম্ভব। রাসূলুল্লাহ (ﷺ) থেকে তার অবস্থান বিবেচনায় শির্ক পাওয়া যাওয়া কখনোই সম্ভব নয়। তারপরও তাকে নিষেধ করার হিকমত হলো, যাতে অন্যরা এ কথা দ্বারা উপদেশ গ্রহণ করে এবং সতর্ক হয়, যাদের থেকে শির্ক পাওয়া যাওয়া তার অবস্থান বিবেচনায় অসম্ভব তার জন্য যদি এত বড় কড়াকড়ি ও নিষেধাজ্ঞা হয়, তাহলে যারা তাদের মানের লোক নয়-নবী বা রাসূল নয়- তাদের জন্য কি ধরনের কড়াকড়ি হতে পারে?। ফলে তাদের সাবধান ও সতর্ক হওয়া তাদের তুলনায় আরো অধিক গুরুত্বপূর্ণ ও শ্রেয়। আল্লাহ তা‘আলাই তাওফীক দেওয়ার মালিক এবং তিনিই অভিবাবক।
উত্তর: আয়াতের বাহ্যিক বর্ণনা ভঙ্গি দ্বারা বুঝা যায় যে, এখানে রাসূলুল্লাহ (ﷺ)কেই সম্বোধন করা হয়েছে। কোন কোন আলেম বলেন, রাসূলকে সম্বোধন করা হয়েছে, এ কথা বলা সঠিক নয়। কারণ, রাসূলুল্লাহ (ﷺ) থেকে শির্ক প্রকাশ পাওয়া সম্পূর্ণ অসম্ভব। আয়াতের শুরুতে قل শব্দটি উহ্য আছে। (তখন অর্থ হবে হে রাসূল! আপনি বলুন)। এ ব্যাখ্যাটি দুর্বল কারণ, এ দ্বারা আয়াতকে তার বর্ণনা ভঙ্গি থেকে দূরে সরানো হয়।
সঠিক উত্তর: সম্বোধনটি রাসূলুল্লাহ (ﷺ)-এর জন্য খাস। কিন্তু বিধানটি তার জন্য ও অন্যদের জন্য ব্যাপক। অথবা সম্বোধনটি যাদের সম্বোধন করা যায় তাদের সবার জন্য ব্যাপক। তাতে রাসূলুল্লাহ (ﷺ)ও অন্তর্ভুক্ত। এ ধরনের সম্বোধন রাসূলুল্লাহের প্রতি নির্দেশিত হওয়া এ কথাকে বাধ্য করে না যে, তার থেকে শির্ক পাওয়া যাওয়া সম্ভব। আল্লাহ তা‘আলা বলেন,
وَلَقَدۡ أُوحِيَ إِلَيۡكَ وَإِلَى ٱلَّذِينَ مِن قَبۡلِكَ لَئِنۡ أَشۡرَكۡتَ لَيَحۡبَطَنَّ عَمَلُكَ وَلَتَكُونَنَّ مِنَ ٱلۡخَٰسِرِينَ
“আর অবশ্যই তোমার কাছে এবং তোমার পূর্ববর্তীদের কাছে ওহী পাঠানো হয়েছে যে, তুমি শির্ক করলে তোমার কর্ম নিষ্ফল হবেই।” [সূরা আয-যুমার আয়াত: ৬৪]ফলে সম্বোধনটি তার জন্য এবং সব নবী ও রাসূলদের জন্য যাদের থেকে শির্ক পাওয়া যাওয়া অসম্ভব। রাসূলুল্লাহ (ﷺ) থেকে তার অবস্থান বিবেচনায় শির্ক পাওয়া যাওয়া কখনোই সম্ভব নয়। তারপরও তাকে নিষেধ করার হিকমত হলো, যাতে অন্যরা এ কথা দ্বারা উপদেশ গ্রহণ করে এবং সতর্ক হয়, যাদের থেকে শির্ক পাওয়া যাওয়া তার অবস্থান বিবেচনায় অসম্ভব তার জন্য যদি এত বড় কড়াকড়ি ও নিষেধাজ্ঞা হয়, তাহলে যারা তাদের মানের লোক নয়-নবী বা রাসূল নয়- তাদের জন্য কি ধরনের কড়াকড়ি হতে পারে?। ফলে তাদের সাবধান ও সতর্ক হওয়া তাদের তুলনায় আরো অধিক গুরুত্বপূর্ণ ও শ্রেয়। আল্লাহ তা‘আলাই তাওফীক দেওয়ার মালিক এবং তিনিই অভিবাবক।
শাইখ মুহাম্মদ ইবন উসাইমীন (রাহি.)