‼️ পোস্টটি সুন্দরভাবে দেখতে এখানে ক্লিক করুন।‼️

উসূলুল ফিকহ দলীল দ্বারা কোনো বিষয় সাব্যস্ত করা পূর্ণতায় পৌঁছবে না, যতক্ষণ পর্যন্ত দলীলের বাচনভঙ্গি গভীরভাবে পর্যবেক্ষণ করা না হবে এবং দলীলের প্রাসঙ্গিক ...

Habib Bin Tofajjal

If you're in doubt ask الله.

Forum Staff
Moderator
Generous
ilm Seeker
Uploader
Exposer
HistoryLover
Q&A Master
Salafi User
Threads
690
Comments
1,222
Solutions
17
Reactions
7,065
Credits
5,703
দলীল দ্বারা কোনো বিষয় সাব্যস্ত করা পূর্ণতায় পৌঁছবে না, যতক্ষণ পর্যন্ত দলীলের বাচনভঙ্গি গভীরভাবে পর্যবেক্ষণ করা না হবে এবং দলীলের প্রাসঙ্গিক অবস্থার দিকে দৃষ্টিপাত করা না হবে

ইবনুল ক্বাইয়্যীম যাদুল মা'আদ গ্রন্থে (২/১২৭) 'নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম হজ্জ্বে (হজ্জ পূর্ণ করার পূর্বেই) স্বীয় ইহরাম খুলে ফেলেছেন বলে যারা দাবি করেছেন তাদের মত খণ্ডন করতে গিয়ে বলেছেন: এই বিষয়টিকে অন্যরা অস্বীকার করেছে, তাদের মধ্যে রয়েছেন আমাদের শায়খ আবূল আব্বাস। তারা বলেন, যে বিস্তৃত পরিসরে বর্ণিত সহীহ হাদীসগুলো পর্যবেক্ষণ করবে, তার সামনে এটা স্পষ্ট হবে যে, নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ইহরাম থেকে মুক্ত হননি, আর না তাঁর এমন কোনো সাহাবী মুক্ত হয়েছেন, যারা হাদী (কুরবানী করার উদ্দেশ্যে হজ্জে নিয়ে আসা পশু) সঙ্গে নিয়ে এসেছিলেন।

ইবনুল ক্বাইয়ীম যাদুল মা'আদ গ্রন্থে (৫/৫৩৭) আরো বলেছেন: মানুষ যেভাবে নচ এর ব্যাপারে উদাসীন থাকে, ঠিক তেমনি সে নছের অর্থ ও প্রসঙ্গের ব্যাপারেও উদাসীন থাকে, নছের সাথে সংযুক্ত এমন বিষয় থেকেও উদাসীন থাকে, যা থেকে নছের উদ্দেশ্য স্পষ্ট হয়। আর অধিকাংশ ক্ষেত্রে সাধারণ নছের অধীনে নির্দিষ্ট ঘটনা অন্তর্ভুক্ত থাকার বিষয়েও উদাসীন থাকে, এটা অনেক বেশি ঘটে, এমন নছ বুঝতে পারা আল্লাহর পক্ষ থেকে দান করা বোধশক্তি সম্পন্ন মানুষের কাজ। আল্লাহ স্বীয় বান্দাদের মধ্যে যাকে চান, তাকেই এই ক্ষমতা দান করেন।

ইবনুল ক্বাইয়্যীম বাদা'য়ীউল ফাওয়ায়িদ গ্রন্থে (২/২২২) বলেছেন: নছের প্রসঙ্গ মুজমাল (অস্পষ্ট দলীল) এর ব্যাখ্যা ও মুহতামাল (একাধিক অর্থবিশিষ্ট দলীল) এর অর্থ নির্দিষ্ট করার পথ দেখায়, নির্দিষ্ট উদ্দেশ্য ছাড়া আর কোনো সম্ভাবনা নেই এই বিষয়টি নিশ্চিত করে, ‘আমকে খাছ করে, শব্দের অর্থ বিভিন্ন রকম হতে পারে সেই বিষয়েরও পথনির্দেশ করে। এটা হলো বক্তার উদ্দেশ্যের পথনির্দেশক নির্দেশনাগুলোর মধ্যে সবচেয়ে শক্তিশালী নির্দেশিকা। যে এটা নিয়ে অবহেলা করবে, সে এটার বিশ্লেষণে ভুল করবে এবং পর্যবেক্ষণেও ভুল করবে। আল্লাহ তা'আলার এই বাণীটি ভেবে দেখো
ذُقْ إِنَّكَ أَنتَ الْعَزِيزُ الْكَرِيمُ
স্বাদ গ্রহণ কর, তুমি তো সম্মানিত, সম্ভ্রান্ত। - [আদ-দুখান: ৪৯]

আয়াতে আলোচিত ব্যক্তি অপদস্থ ও লাঞ্চিত এই বিষয়ের উপরে নির্দেশ করছে প্রসঙ্গটি এটা তুমি কীভাবে বুঝলে?

ইবনুল ক্বাইয়্যীম যাদুল মা'আদ গ্রন্থে (২/৪১৮) আরো বলেছেন: নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর অন্যতম নীতি ছিল তিনি তিনবার সালাম দিতেন। যেমন, সহীহ বুখারীতে আনাস থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন:
كَانَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ إِذَا تَكَلَّمَ بِكَلِمَةٍ أَعَادَهَا ثَلَاثًا حَتَّى تُفْهَمَ عَنْهُ وإِذَا أَتَى عَلَى قَوْمٍ فَسَلَّمَ عَلَيْهِمْ.
“আল্লাহর রসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম যখন কোনো কথা বলতেন, সেই কথা তিনি তিনবার পুনরাবৃত্তি করতেন যাতে সেটা বোঝা যায়, আর যখন কোনো সম্প্রদায়ের নিকটে আগমন করে তাদেরকে সালাম দিতেন, তিনবার সালাম দিতেন”

হয়তবা এটা তাঁর দ্বিতীয় বা তৃতীয় সালামের নীতি ছিল। যখন তিনি মনে করতেন যে, প্রথম সালাম সে শুনতে পায়নি। যেমন তিনি যখন সা'আদ বিন উবাদার বাড়ীতে পৌঁছলেন, তখন সালাম দেওয়ার পরে কেউ উত্তর না দেওয়ায় তিনি ফিরে আসলেন। অন্যথায় তাঁর নীতি যদি সর্বদা তিনবার সালাম দেওয়া হতো, তাহলে তাঁর সাহাবাগণও তাঁকে তিনবার সালাম দিতেন। আর তিনিও যাদের সঙ্গে সাক্ষাৎ করতেন, তাদের প্রত্যেককেই তিনবার করে সালাম দিতেন, যখন নিজ ঘরে প্রবেশ করতেন, তিনবার করে সালাম দিতেন। আর যে তাঁর নীতি পর্যবেক্ষণ করবে, সে জানতে পারবে যে, বিষয়টি আসলে এমন নয়। বরং সালাম একাধিকবার দেওয়াটা সাময়িক ছিল, যা সর্বদা স্থায়ী ছিল না, আল্লাহই সবচেয়ে ভালো জানেন।


তাওদ্বীহু উছূলিল ফিক্বহ
- শাইখ যাকারীয়া ইবনে গুলাম ক্বাদীর পাকিস্থানী
* উসুলুল ফিকহ উস্তাযদের নিকট পড়ুন
 

Share this page