If you're in doubt ask الله.
Forum Staff
Moderator
Generous
ilm Seeker
Uploader
Exposer
HistoryLover
Q&A Master
Salafi User
কোনো দলীলের আলোচনায় উদ্ধৃত নির্দিষ্ট বস্তুসমূহের ক্ষেত্রে মূলনীতি হলো সেই উদ্ধৃত নির্দিষ্ট বস্তুগুলোর মধ্যেই দলীলের লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য সীমাবদ্ধ থাকবে, অন্যকোনো বিষয় সেই দলীলের সাথে সংযোজন করা যাবে না। এই কথাও বলা যাবে না: “উদ্ধৃত নির্দিষ্ট বস্তুগুলো সাধারণ বাচনিক ভঙ্গিতে উল্লেখ করা হয়েছে, এমনিভাবে এটাও বলা যাবে না, উদ্ধৃত বস্তুগুলোকে নির্দিষ্ট করে বলার উদ্দেশ্য হলো অন্যান্য বস্তুগুলোর ক্ষেত্রে সাবধান করে দেওয়া”, তবে এই বিষয়ে কোনো দলীল পাওয়া গেলে ভিন্ন কথা। যেমন: আবূ মূসা ও মু'আয বিন জাবাল এর হাদীস, নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম যখন তাদেরকে ইয়েমেন পাঠালেন, তখন উভয়কে সম্বোধন করে বললেন,
যেহেতু এই হাদীসে যাকাতকে যমীন থেকে উৎপন্ন চারটি বস্তুর সঙ্গে নির্দিষ্ট করে দেওয়া হয়েছে, বিধায় অন্যকোনো বস্তুকে এর সঙ্গে সংযুক্ত করা যাবে না।
আবূ উবায়েদ কিতাবুল আমওয়াল গ্রন্থে (৫৭৫ পৃষ্ঠা) বলেছেন: তবে এই বিষয়ে যে আল্লাহর রসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর সুন্নাহকে গ্রহণ করেছে তার মত হলো: তিনি যেই চার প্রকারের নাম উল্লেখ করেছেন সেগুলো ছাড়া আর কোনো বস্তুতে যাকাত প্রযোজ্য হবে না এবং যাকাতের এই মাসআলায় ছাহাবা ও তাবেঈনগণ একইপথে চলেছেন। এরপরে এই মতকে গ্রহণ করেছেন ইবনু আবী লায়লা ও সুফয়ান। আর এটা এই কারণে যে, নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম যখন এই বিষয়গুলোকে ছদকার সঙ্গে নির্দিষ্ট করে দিয়েছেন এবং অন্যান্য বস্তুগুলো উল্লেখ করা থেকে বিরত থেকেছেন অথচ তিনি জানতেন যে, যমীন থেকে উৎপন্ন হয় এমন আরো অনেক সম্পদ মানুষের মালিকানায় আছে, তখন তাঁর অন্যান্য বস্তুগুলোকে উল্লেখ না করাটা আমাদের নিকটে ঐ বস্তুগুলোর যাকাত থেকে মুক্তি দেওয়ার নিদর্শন সাব্যস্ত হলো। যেমন, তিনি ঘোড়া ও কৃতদাসের যাকাত থেকে মুক্তি দিয়েছেন। আর তাশবীহ (সাদৃশ্য প্রদান করা) ও তামছীল (অবিকল সাদৃশ্য প্রণয়ন) এর প্রয়োজন হয় যখন সংশ্লিষ্ট বিষয়ে কোনো কার্যকরী সুন্নাহ না থাকে, যখনই সুন্নাহ বিদ্যমান থাকবে তখন মানুষের উপরে ঐ সুন্নাহ এর অনুকরণ করা অবধারিত হয়ে যাবে।
لَا تَأْخُذَا فِي الصَّدَقَةِ إِلَّا مِنْ هَذِهِ الْأَصْنَافِ الْأَرْبَعَةِ الشَّعِيرِ وَالحِنْطَةِ وَالرَّبِيبِ وَالتَّمْرِ.
‘তোমরা দুইজন এই চারটি বস্তুর বাহিরে অন্যকোনো বস্তু থেকে যাকাত গ্রহণ করবে না: “যব, গম, কিশমিশ ও খেজুর” হাদীসটি বায়হাক্বী তার সুনানে (৪/১২৫) উল্লেখ করেছেন। আলবানী ইরওয়া গ্রন্থে (৮০১) হাদীসটিকে সহীহ বলেছেন।যেহেতু এই হাদীসে যাকাতকে যমীন থেকে উৎপন্ন চারটি বস্তুর সঙ্গে নির্দিষ্ট করে দেওয়া হয়েছে, বিধায় অন্যকোনো বস্তুকে এর সঙ্গে সংযুক্ত করা যাবে না।
আবূ উবায়েদ কিতাবুল আমওয়াল গ্রন্থে (৫৭৫ পৃষ্ঠা) বলেছেন: তবে এই বিষয়ে যে আল্লাহর রসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর সুন্নাহকে গ্রহণ করেছে তার মত হলো: তিনি যেই চার প্রকারের নাম উল্লেখ করেছেন সেগুলো ছাড়া আর কোনো বস্তুতে যাকাত প্রযোজ্য হবে না এবং যাকাতের এই মাসআলায় ছাহাবা ও তাবেঈনগণ একইপথে চলেছেন। এরপরে এই মতকে গ্রহণ করেছেন ইবনু আবী লায়লা ও সুফয়ান। আর এটা এই কারণে যে, নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম যখন এই বিষয়গুলোকে ছদকার সঙ্গে নির্দিষ্ট করে দিয়েছেন এবং অন্যান্য বস্তুগুলো উল্লেখ করা থেকে বিরত থেকেছেন অথচ তিনি জানতেন যে, যমীন থেকে উৎপন্ন হয় এমন আরো অনেক সম্পদ মানুষের মালিকানায় আছে, তখন তাঁর অন্যান্য বস্তুগুলোকে উল্লেখ না করাটা আমাদের নিকটে ঐ বস্তুগুলোর যাকাত থেকে মুক্তি দেওয়ার নিদর্শন সাব্যস্ত হলো। যেমন, তিনি ঘোড়া ও কৃতদাসের যাকাত থেকে মুক্তি দিয়েছেন। আর তাশবীহ (সাদৃশ্য প্রদান করা) ও তামছীল (অবিকল সাদৃশ্য প্রণয়ন) এর প্রয়োজন হয় যখন সংশ্লিষ্ট বিষয়ে কোনো কার্যকরী সুন্নাহ না থাকে, যখনই সুন্নাহ বিদ্যমান থাকবে তখন মানুষের উপরে ঐ সুন্নাহ এর অনুকরণ করা অবধারিত হয়ে যাবে।
তাওদ্বীহু উছূলিল ফিক্বহ
- শাইখ যাকারীয়া ইবনে গুলাম ক্বাদীর পাকিস্থানী
* উসুলুল ফিকহ উস্তাযদের নিকট পড়ুন
- শাইখ যাকারীয়া ইবনে গুলাম ক্বাদীর পাকিস্থানী
* উসুলুল ফিকহ উস্তাযদের নিকট পড়ুন