সালাফী আকিদা ও মানহাজে - Salafi Forum

Salafi Forum হচ্ছে সালাফী ও সালাফদের আকিদা, মানহাজ শিক্ষায় নিবেদিত একটি সমৃদ্ধ অনলাইন কমিউনিটি ফোরাম। জ্ঞানগর্ভ আলোচনায় নিযুক্ত হউন, সালাফী আলেমদের দিকনির্দেশনা অনুসন্ধান করুন। আপনার ইলম প্রসারিত করুন, আপনার ঈমানকে শক্তিশালী করুন এবং সালাফিদের সাথে দ্বীনি সম্পর্ক গড়ে তুলুন। বিশুদ্ধ আকিদা ও মানহাজের জ্ঞান অর্জন করতে, ও সালাফীদের দৃষ্টিভঙ্গি শেয়ার করতে এবং ঐক্য ও ভ্রাতৃত্বের চেতনাকে আলিঙ্গন করতে আজই আমাদের সাথে যোগ দিন।

সালাত তারাবীহর রাকআত-সংখ্যা

Abu Abdullah

Knowledge Sharer

ilm Seeker
Uploader
Salafi User
Threads
745
Comments
997
Solutions
19
Reactions
10,180
Credits
6,269
সুন্নত ও আফযল হল এই নামায বিত্র সহ ১১ রাকআত পড়া। মহানবী (সাল্লাল্লাহু আলাইহে ওয়াসাল্লাম)-এর রাতের নামায সম্বন্ধে সর্বাধিক বেশী খবর রাখতেন যিনি, সেই আয়েশা (রাঃ)কে জিজ্ঞাসা করা হল যে, রমাযানে আল্লাহর রসূল (সাল্লাল্লাহু আলাইহে ওয়াসাল্লাম)-এর নামায কত রাকআত ছিল? উত্তরে তিনি বললেন, ‘তিনি রমাযানে এবং অন্যান্য মাসেও ১১ রাকআত অপেক্ষা বেশী নামায পড়তেন না।’[1]

সায়েব বিন ইয়াযীদ বলেন, ‘(খলীফা) উমার উবাই বিন কা’ব ও তামীম আদ্-দারীকে আদেশ করেছিলেন, যেন তাঁরা রমাযানে লোকদের নিয়ে ১১ রাকআত তারাবীহ পড়েন।’[2]

কিছু উলামা বলেন, কিন্তু যদি কেউ তার চাইতে বেশী নামায পড়তে চায়, তাহলে তাতে কোন বাধা ও ক্ষতি নেই। কারণ, রাতের নামায প্রসঙ্গে নবী (সাল্লাল্লাহু আলাইহে ওয়াসাল্লাম)-কে জিজ্ঞাসা করা হলে উত্তরে তিনি বললেন, ‘‘রাতের নামায ২ রাকআত ২ রাকআত করে। অতঃপর তোমাদের কেউ যখন ফজর হয়ে যাওয়ার ভয় করে, তখন সে যেন ১ রাকআত বিত্র পড়ে নেয়। এতে তার পড়া নামাযগুলো বেজোড় হয়ে যাবে।’’[3] বলা বাহুল্য, উক্ত নির্দেশ দেওয়ার সময় তিনি রাতের নামাযের কোন নির্দিষ্ট রাকআত নির্ধারিত করেননি; না রমাযানের এবং না অরমাযানের।

তাছাড়া খোদ মহানবী (সাল্লাল্লাহু আলাইহে ওয়াসাল্লাম) কখনো কখনো ১৩ রাকআত নামাযও পড়েছেন। আর তা এ কথারই দলীল যে, রাতের নামাযের ব্যাপারে কোন সংকীর্ণতা নেই; অর্থাৎ তার এমন কোন নির্দিষ্ট রাকআত-সংখ্যা নেই যার অন্যথা করা যাবে না। তবে অবশ্য সেই সংখ্যার নামায পড়তে অভ্যাসী হওয়া অধিক উত্তম ও পূর্ণাঙ্গ আমল, যে সংখ্যার কথা মহানবী (সাল্লাল্লাহু আলাইহে ওয়াসাল্লাম)-এর সুন্নাহতে (খোদ আমলে) এসেছে। পরন্তু সেই সাথে নামায এমন ধীরে-সুস্থে ও লম্বা করে পড়া উচিৎ, যাতে নামাযীদের কষ্টবোধ না হয়। আর এতে কোন সন্দেহের অবকাশ নেই যে, উক্ত (১১ রাকআত) সংখ্যাই সাধারণ মানুষের জন্য অধিকতর সহজ এবং ইমামের জন্যও অধিক উপযোগী। এতে সকলের রুকূ, সিজদা ও কিরাআতে বিনয় রাখা, ধীরে ধীরে স্পষ্টভাবে কুরআন পড়া ও তার অর্থ হৃদয়ঙ্গম করা এবং প্রত্যেক বিষয়ে তাড়াহুড়া না করার ব্যাপারে বড় সহযোগিতা পাওয়া যাবে।[4]

পক্ষান্তরে ২০ রাকআত তারাবীহ নির্দিষ্ট হওয়ার ব্যাপারে কোন হাদীস নেই। সাহাবাদের তরফ থেকে যে আসার বর্ণিত করা হয়, তার সবগুলিই যয়ীফ।[5]


[1] (বুখারী ১১৪৭, মুসলিম ৭৩৮নং)
[2] (মালেক, মুওয়াত্তা ২৪৯নং, বাইহাকী ২/৪৯৬)
[3] (বুখারী ৯৯০, মুসলিম ৭৪৯নং)
[4] (দ্রঃ আশ্শারহুল মুমতে’ ৪/৭০, ৭৩, ইবনে বায সালাতুল লাইল, আলবানী ৫পৃঃ, রিসালাতানি মু’জাযাতানি ফিয যাকাতি অস্সিয়াম ২৬পৃঃ, ফুসূলুন ফিস্-সিয়ামি অত্-তারাবীহি অয্-যাকাহ ১৭পৃঃ)
[5] (মুহাদ্দিস আল্লামা আলবানীর পুস্তিকা ‘স্বালাতুত তারাবীহ’ দ্রষ্টব্য)


রমাযানের ফাযায়েল ও রোযার মাসায়েল
শাইখ আব্দুল হামীদ আল-ফাইযী আল-মাদানী​
 
COMMENTS ARE BELOW
Top