সালাফী আকিদা ও মানহাজে - Salafi Forum

Salafi Forum হচ্ছে সালাফী ও সালাফদের আকিদা, মানহাজ শিক্ষায় নিবেদিত একটি সমৃদ্ধ অনলাইন কমিউনিটি ফোরাম। জ্ঞানগর্ভ আলোচনায় নিযুক্ত হউন, সালাফী আলেমদের দিকনির্দেশনা অনুসন্ধান করুন। আপনার ইলম প্রসারিত করুন, আপনার ঈমানকে শক্তিশালী করুন এবং সালাফিদের সাথে দ্বীনি সম্পর্ক গড়ে তুলুন। বিশুদ্ধ আকিদা ও মানহাজের জ্ঞান অর্জন করতে, ও সালাফীদের দৃষ্টিভঙ্গি শেয়ার করতে এবং ঐক্য ও ভ্রাতৃত্বের চেতনাকে আলিঙ্গন করতে আজই আমাদের সাথে যোগ দিন।

জ্বিন, জাদু ও রোগের চিকিৎসায় যা করণীয়


রোগী জ্বিনগ্রস্ত বলে নিশ্চিত হওয়ার পরেও যদি জ্বিনটি না যায় তাহলে যা পাঠ করতে হবে


إِنَّ الَّذِينَ كَفَرُوا وَصَدُّوا عَن سَبِيلِ اللَّـهِ قَدْ ضَلُّوا ضَلَالًا بَعِيدًا ﴿١٦٧﴾ إِنَّ الَّذِينَ كَفَرُوا وَظَلَمُوا لَمْ يَكُنِ اللَّـهُ لِيَغْفِرَ لَهُمْ وَلَا لِيَهْدِيَهُمْ طَرِيقًا ﴿١٦٨﴾ إِلَّا طَرِيقَ جَهَنَّمَ خَالِدِينَ فِيهَا أَبَدًا ۚ وَكَانَ ذَٰلِكَ عَلَى اللَّـهِ يَسِيرًا ﴿١٦٩﴾ يَا أَيُّهَا النَّاسُ قَدْ جَاءَكُمُ الرَّسُولُ بِالْحَقِّ مِن رَّبِّكُمْ فَآمِنُوا خَيْرًا لَّكُمْ ۚ وَإِن تَكْفُرُوا فَإِنَّ لِلَّـهِ مَا فِي السَّمَاوَاتِ وَالْأَرْضِ ۚ وَكَانَ اللَّـهُ عَلِيمًا حَكِيمًا ﴿١٧٠﴾ يَا أَهْلَ الْكِتَابِ لَا تَغْلُوا فِي دِينِكُمْ وَلَا تَقُولُوا عَلَى اللَّـهِ إِلَّا الْحَقَّ ۚ إِنَّمَا الْمَسِيحُ عِيسَى ابْنُ مَرْيَمَ رَسُولُ اللَّـهِ وَكَلِمَتُهُ أَلْقَاهَا إِلَىٰ مَرْيَمَ وَرُوحٌ مِّنْهُ ۖ فَآمِنُوا بِاللَّـهِ وَرُسُلِهِ ۖ وَلَا تَقُولُوا ثَلَاثَةٌ ۚ انتَهُوا خَيْرًا لَّكُمْ ۚ إِنَّمَا اللَّـهُ إِلَـٰهٌ وَاحِدٌ ۖ سُبْحَانَهُ أَن يَكُونَ لَهُ وَلَدٌ ۘ لَّهُ مَا فِي السَّمَاوَاتِ وَمَا فِي الْأَرْضِ ۗ وَكَفَىٰ بِاللَّـهِ وَكِيلًا ﴿١٧١﴾ لَّن يَسْتَنكِفَ الْمَسِيحُ أَن يَكُونَ عَبْدًا لِّلَّـهِ وَلَا الْمَلَائِكَةُ الْمُقَرَّبُونَ ۚ وَمَن يَسْتَنكِفْ عَنْ عِبَادَتِهِ وَيَسْتَكْبِرْ فَسَيَحْشُرُهُمْ إِلَيْهِ جَمِيعًا ﴿١٧٢﴾ فَأَمَّا الَّذِينَ آمَنُوا وَعَمِلُوا الصَّالِحَاتِ فَيُوَفِّيهِمْ أُجُورَهُمْ وَيَزِيدُهُم مِّن فَضْلِهِ ۖ وَأَمَّا الَّذِينَ اسْتَنكَفُوا وَاسْتَكْبَرُوا فَيُعَذِّبُهُمْ عَذَابًا أَلِيمًا وَلَا يَجِدُونَ لَهُم مِّن دُونِ اللَّـهِ وَلِيًّا وَلَا نَصِيرًا ﴿١٧٣﴾​


অনুবাদঃ (১৬৭) নিশ্চয় যারা কুফরী করেছে এবং আল্লাহ্‌র পথ থেকে বাধা দিয়েছে,তারা অবশ্যই চূড়ান্তভাবে পথভ্রষ্ট হয়েছে। (১৬৮) নিশ্চয়ই যারা কুফরী করেছে এবং যুলম করেছে, আল্লাহ্‌ তাদেরকে ক্ষমা করবেন না এবং তাদেরকে কোন পথ দেখাবেন না। (১৬৯) জাহান্নামের পথ ছাড়া। তারা তাতে স্থায়ী হবে এবং তা আল্লাহ্‌র জন্য সহজ। (১৭০) হে মানুষ, অবশ্যই তোমাদের নিকট রাসূল এসেছে, তোমাদের রবের পক্ষ থেকে সত্য নিয়ে। সুতরাং তোমরা ঈমান আন, তা তোমাদের জন্য উত্তম হবে। আর যদি কুফরী করো, তবে নিশ্চয় আসমানসমূহ ও যমীনে যা রয়েছে, তা আল্লাহ্‌র জন্যই এবং আল্লাহ্‌ সর্বজ্ঞ, প্রজ্ঞাময়। (১৭১) হে কিতাবীগণ, তোমরা তোমাদের দীনের মধ্যে বাড়াবাড়ি করো না এবং আল্লাহ্‌র উপর সত্য ছাড়া অন্য কিছু বলো না। মারইয়ামের পুত্র মাসীহ ঈসা কেবলমাত্র আল্লাহ্‌র রাসূল ও তাঁর কালিমা, যা তিনি প্রেরণ করেছিলেন মারইয়ামের প্রতি এবং তাঁর পক্ষ থেকে রূহ। সুতরাং তোমরা আল্লাহ্‌ ও তাঁর রাসূলগণের প্রতি ঈমান আন এবং বলো না, 'তিন'। তোমরা বিরত হও, তা তোমাদের জন্য উত্তম। আল্লাহ্‌ই কেবল এক ইলাহ, তিনি পবিত্র মহান এ থেকে যে, তাঁর কোন সন্তান হবে। আসমানসূহে যা রয়েছে এবং যা রয়েছে যমীনে, তা আল্লাহ্‌রই। আর কর্মবিধায়ক হিসেবে আল্লাহ্‌ই যথেষ্ট। (১৭২) মাসীহ কখনো আল্লাহ্‌র বান্দা হতে (নিজকে) হেয় মনে করে না এবং নৈকট্যপ্রাপ্ত ফেরেশতারাও না, আর যারা তাঁর ইবাদাতকে হেয় জ্ঞান করে এবং অহঙ্কার করে, তবে অচিরেই আল্লাহ্‌ তাদের সবাইকে তাঁর নিকট সমবেত করবেন। (১৭৩) পক্ষান্তরে যারা ঈমান এনেছে এবং সৎকাজ করেছে, তিনি তাদেরকে তাদের পুরষ্কার পরিপূর্ণ দেবেন এবং তাঁর অনুগ্রহে তাদেরকে বাড়িয়ে দেবেন। আর যারা হেয় জ্ঞান করেছে এবং অহঙ্কার করেছে, তিনি তাদেরকে যন্ত্রণাদায়ক শাস্তি দেবেন এবং তারা তাদের জন্য আল্লাহ্‌ ছাড়া কোন অভিভাবক ও সাহায্যকারী পাবে না।

রেফারেন্স: সূরা নিসাঃ ৪:১৬৭-১৭৩



রোগী জ্বিনগ্রস্ত বলে নিশ্চিত হওয়ার পরেও যদি জ্বিনটি না যায় তাহলে যা পাঠ করতে হবে #২


إِنَّمَا جَزَاءُ الَّذِينَ يُحَارِبُونَ اللَّـهَ وَرَسُولَهُ وَيَسْعَوْنَ فِي الْأَرْضِ فَسَادًا أَن يُقَتَّلُوا أَوْ يُصَلَّبُوا أَوْ تُقَطَّعَ أَيْدِيهِمْ وَأَرْجُلُهُم مِّنْ خِلَافٍ أَوْ يُنفَوْا مِنَ الْأَرْضِ ۚ ذَٰلِكَ لَهُمْ خِزْيٌ فِي الدُّنْيَا ۖ وَلَهُمْ فِي الْآخِرَةِ عَذَابٌ عَظِيمٌ ﴿٣٣﴾ إِلَّا الَّذِينَ تَابُوا مِن قَبْلِ أَن تَقْدِرُوا عَلَيْهِمْ ۖ فَاعْلَمُوا أَنَّ اللَّـهَ غَفُورٌ رَّحِيمٌ ﴿٣٤﴾​


অনুবাদঃ (৩৩) যারা আল্লাহ্‌ ও তাঁর রাসূলের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করে এবং যমীনে ফাসাদ করে বেড়ায়, তাদের আযাব কেবল এই যে, তাদেরকে হত্যা করা হবে অথবা শূলে চড়ানো হবে কিংবা বিপরীত দিক থেকে তাদের হাত ও পা কেটে ফেলা হবে অথবা তাদেরকে দেশ থেকে বের করে দেয়া হবে। এটি তাদের জন্য দুনিয়ায় লাঞ্ছনা এবং তাদের জন্য আখিরাতে রয়েছে মহাআযাব। (৩৪) তারা ছাড়া, যারা তাওবা করে তোমরা তাদের উপর নিয়ন্ত্রণ লাভের পূর্বে; সুতরাং জেনে রাখ যে, আল্লাহ্‌ ক্ষমাশীল, পরম দয়ালু।

রেফারেন্স: সূরা মায়িদাঃ ৫:৩৩-৩৪



রোগী জ্বিনগ্রস্ত বলে নিশ্চিত হওয়ার পরেও যদি জ্বিনটি না যায় তাহলে যা পাঠ করতে হবে #৩

إِذْ يُوحِي رَبُّكَ إِلَى الْمَلَائِكَةِ أَنِّي مَعَكُمْ فَثَبِّتُوا الَّذِينَ آمَنُوا ۚ سَأُلْقِي فِي قُلُوبِ الَّذِينَ كَفَرُوا الرُّعْبَ فَاضْرِبُوا فَوْقَ الْأَعْنَاقِ وَاضْرِبُوا مِنْهُمْ كُلَّ بَنَانٍ ﴿١٢﴾​


অনুবাদঃ (১২) স্মরণ করো, যখন তোমার রব ফেরেশতাদের প্রতি ওহী প্রেরণ করেন যে, ‘নিশ্চয় আমি তোমাদের সাথে আছি। সুতরাং যারা ঈমান এনেছে তোমরা তাদেরকে অনড় রাখ’। অচিরেই আমি ভীতি ঢেলে দেব তাদের হৃদয়ে যারা কুফরী করেছে। অতএব তোমরা আঘাত করো ঘাড়ের উপরে এবং আঘাত করো তাদের প্রত্যেক আঙুলের অগ্রভাগে।

রেফারেন্স: সূরা আনফালঃ ৮:১২



রোগী জ্বিনগ্রস্ত বলে নিশ্চিত হওয়ার পরেও যদি জ্বিনটি না যায় তাহলে যা পাঠ করতে হবে #৪


وَلَقَدْ جَعَلْنَا فِي السَّمَاءِ بُرُوجًا وَزَيَّنَّاهَا لِلنَّاظِرِينَ ﴿١٦﴾ وَحَفِظْنَاهَا مِن كُلِّ شَيْطَانٍ رَّجِيمٍ ﴿١٧﴾ إِلَّا مَنِ اسْتَرَقَ السَّمْعَ فَأَتْبَعَهُ شِهَابٌ مُّبِينٌ ﴿١٨﴾​


অনুবাদঃ (১৬) আর আমি আসমানে স্থাপন করেছি কক্ষপথসমূহ এবং তাকে সৌন্দর্যমন্ডিত করেছি দর্শকদের জন্য। (১৭) আর আমি তাকে সুরক্ষিত করেছি প্রত্যেক বিতাড়িত শয়তান থেকে। (১৮) তবে যে গোপনে শোনে, তৎক্ষণাৎ সুস্পষ্ট জ্বলন্ত অগ্নিশিখা তার পিছু নেয়।

রেফারেন্স: সূরা হিজরঃ ১৫:১৬-১৮



রোগী জ্বিনগ্রস্ত বলে নিশ্চিত হওয়ার পরেও যদি জ্বিনটি না যায় তাহলে যা পাঠ করতে হবে #৫


قُلِ ادْعُوا اللَّـهَ أَوِ ادْعُوا الرَّحْمَـٰنَ ۖ أَيًّا مَّا تَدْعُوا فَلَهُ الْأَسْمَاءُ الْحُسْنَىٰ ۚ وَلَا تَجْهَرْ بِصَلَاتِكَ وَلَا تُخَافِتْ بِهَا وَابْتَغِ بَيْنَ ذَٰلِكَ سَبِيلًا ﴿١١٠﴾ وَقُلِ الْحَمْدُ لِلَّـهِ الَّذِي لَمْ يَتَّخِذْ وَلَدًا وَلَمْ يَكُن لَّهُ شَرِيكٌ فِي الْمُلْكِ وَلَمْ يَكُن لَّهُ وَلِيٌّ مِّنَ الذُّلِّ ۖ وَكَبِّرْهُ تَكْبِيرًا ﴿١١١﴾​


অনুবাদঃ (১১০) বল, ‘তোমরা (তোমাদের রবকে) ‘আল্লাহ্‌’ নামে ডাক অথবা ‘রাহমান’ নামে ডাক, যে নামেই তোমরা ডাক না কেন, তাঁর জন্যই তো রয়েছে সুন্দর নামসমূহ। তুমি তোমার সালাতে স্বর উঁচু করো না এবং তাতে মৃদুও করো না; বরং এর মাঝামাঝি পথ অবলম্বন করো। (১১১) আর বল, ‘সমস্ত প্রশংসা আল্লাহ্‌রই, যিনি কোন সন্তান গ্রহণ করেননি, রাজত্বে তাঁর কোন শরীক নেই এবং অপমান থেকে বাঁচতে তাঁর কোন অভিভাবকের দরকার নেই।’ সুতরাং তুমি পূর্ণরূপে তাঁর বড়ত্ব ঘোষণা করো।

রেফারেন্স: সূরা ইসরাঃ ১৭:১১০-১১১



রোগী জ্বিনগ্রস্ত বলে নিশ্চিত হওয়ার পরেও যদি জ্বিনটি না যায় তাহলে যা পাঠ করতে হবে #৬

وَأَرَادُوا بِهِ كَيْدًا فَجَعَلْنَاهُمُ الْأَخْسَرِينَ ﴿٧٠﴾​


অনুবাদঃ (৭০) আর তারা তার বিরুদ্ধে চক্রান্ত করেছিল, কিন্তু আমি তাদেরকে সবচেয়ে বেশী ক্ষতিগ্রস্ত করে দিলাম।

রেফারেন্স: সূরা আম্বিয়াঃ ২১:৭০



রোগী জ্বিনগ্রস্ত বলে নিশ্চিত হওয়ার পরেও যদি জ্বিনটি না যায় তাহলে যা পাঠ করতে হবে #৭


هَـٰذَانِ خَصْمَانِ اخْتَصَمُوا فِي رَبِّهِمْ ۖ فَالَّذِينَ كَفَرُوا قُطِّعَتْ لَهُمْ ثِيَابٌ مِّن نَّارٍ يُصَبُّ مِن فَوْقِ رُءُوسِهِمُ الْحَمِيمُ ﴿١٩﴾ يُصْهَرُ بِهِ مَا فِي بُطُونِهِمْ وَالْجُلُودُ ﴿٢٠﴾ وَلَهُم مَّقَامِعُ مِنْ حَدِيدٍ ﴿٢١﴾ كُلَّمَا أَرَادُوا أَن يَخْرُجُوا مِنْهَا مِنْ غَمٍّ أُعِيدُوا فِيهَا وَذُوقُوا عَذَابَ الْحَرِيقِ ﴿٢٢﴾​


অনুবাদঃ (১৯) এরা দু’টি বিবাদমান পক্ষ, যারা তাদের রব সম্পর্কে বিতর্ক করে। তবে যারা কুফরী করে তাদের জন্য আগুনের পোশাক প্রস্ত্তত করা হয়েছে। তাদের মাথার উপর থেকে ঢেলে দেয়া হবে ফুটন্ত পানি। (২০) যার দ্বারা তাদের পেটের অভ্যন্তরে যা কিছু রয়েছে তা ও তাদের চামড়াসমূহ বিগলিত করা হবে। (২১) আর তাদের জন্য থাকবে লোহার হাতুড়ী। (২২) যখনই তারা যন্ত্রণাকাতর হয়ে তা থেকে বের হয়ে আসতে চাইবে, তখনই তাদেরকে তাতে ফিরিয়ে দেয়া হবে এবং বলা হবে, দহন-যন্ত্রণা আস্বাদন করো।

রেফারেন্স: সূরা হাজ্জঃ ২২:১৯-২২



রোগী জ্বিনগ্রস্ত বলে নিশ্চিত হওয়ার পরেও যদি জ্বিনটি না যায় তাহলে যা পাঠ করতে হবে #৮


وَالَّذِينَ كَفَرُوا أَعْمَالُهُمْ كَسَرَابٍ بِقِيعَةٍ يَحْسَبُهُ الظَّمْآنُ مَاءً حَتَّىٰ إِذَا جَاءَهُ لَمْ يَجِدْهُ شَيْئًا وَوَجَدَ اللَّـهَ عِندَهُ فَوَفَّاهُ حِسَابَهُ ۗ وَاللَّـهُ سَرِيعُ الْحِسَابِ ﴿٣٩﴾​


অনুবাদঃ (৩৯) আর যারা কুফরী করে, তাদের আমলসমূহ মরুভূমির মরিচিকার মত, পিপাসিত ব্যক্তি যাকে পানি মনে করে। অবশেষে যখন সে তার কাছে আসবে, তখন সে দেখবে সেটা কিছুই নয়। আর সে সেখানে আল্লাহ্‌কে দেখতে পাবে। অতঃপর তিনি তাকে তার হিসাব পরিপূর্ণ করে দেবেন। আর আল্লাহ্‌ অতি দ্রুত হিসাব গ্রহণকারী।

রেফারেন্স: সূরা নূরঃ ২৪:৩৯



রোগী জ্বিনগ্রস্ত বলে নিশ্চিত হওয়ার পরেও যদি জ্বিনটি না যায় তাহলে যা পাঠ করতে হবে #৯


وَقَدِمْنَا إِلَىٰ مَا عَمِلُوا مِنْ عَمَلٍ فَجَعَلْنَاهُ هَبَاءً مَّنثُورًا ﴿٢٣﴾​


অনুবাদঃ (২৩) আর তারা যে কাজ করেছে আমি সেদিকে অগ্রসর হব। অতঃপর তাকে বিক্ষিপ্ত ধূলিকণায় পরিণত করে দেব।

রেফারেন্স: সূরা ফুরকানঃ ২৫:২৩



রোগী জ্বিনগ্রস্ত বলে নিশ্চিত হওয়ার পরেও যদি জ্বিনটি না যায় তাহলে যা পাঠ করতে হবে #১০


فَأَرَادُوا بِهِ كَيْدًا فَجَعَلْنَاهُمُ الْأَسْفَلِينَ ﴿٩٨﴾​


অনুবাদঃ (৯৮) আর তারা তার ব্যাপারে একটা ষড়যন্ত্র করতে চেয়েছিল, কিন্তু আমি তাদেরকে সম্পূর্ণ পরাভূত করে দিলাম।

রেফারেন্স: সূরা আস-সাফ্‌ফাতঃ ৩৭:৯৮



রোগী জ্বিনগ্রস্ত বলে নিশ্চিত হওয়ার পরেও যদি জ্বিনটি না যায় তাহলে যা পাঠ করতে হবে #১১


وَلَقَدْ أَرْسَلْنَا رُسُلًا مِّن قَبْلِكَ مِنْهُم مَّن قَصَصْنَا عَلَيْكَ وَمِنْهُم مَّن لَّمْ نَقْصُصْ عَلَيْكَ ۗ وَمَا كَانَ لِرَسُولٍ أَن يَأْتِيَ بِآيَةٍ إِلَّا بِإِذْنِ اللَّـهِ ۚ فَإِذَا جَاءَ أَمْرُ اللَّـهِ قُضِيَ بِالْحَقِّ وَخَسِرَ هُنَالِكَ الْمُبْطِلُونَ ﴿٧٨﴾​


অনুবাদঃ (৭৮) আর অবশ্যই আমি তোমার পূর্বে অনেক রাসূল পাঠিয়েছি। তাদের মধ্যে কারো কারো কাহিনী আমি তোমার কাছে বর্ণনা করেছি আর কারো কারো কাহিনী তোমার কাছে বর্ণনা করিনি। আর আল্লাহ্‌র অনুমতি ছাড়া কোন নিদর্শন নিয়ে আসা কোন রাসূলের উচিৎ নয়। তারপর যখন আল্লাহ্‌র নির্দেশ আসবে, তখন ন্যায়সঙ্গতভাবে ফয়সালা করা হবে। আর তখনই বাতিলপন্থীরা ক্ষতিগ্রস্ত হবে।

রেফারেন্স: সূরা গাফিরঃ ৪০:৭৮



রোগী জ্বিনগ্রস্ত বলে নিশ্চিত হওয়ার পরেও যদি জ্বিনটি না যায় তাহলে যা পাঠ করতে হবে #১২


وَلَوْ جَعَلْنَاهُ قُرْآنًا أَعْجَمِيًّا لَّقَالُوا لَوْلَا فُصِّلَتْ آيَاتُهُ ۖ أَأَعْجَمِيٌّ وَعَرَبِيٌّ ۗ قُلْ هُوَ لِلَّذِينَ آمَنُوا هُدًى وَشِفَاءٌ ۖ وَالَّذِينَ لَا يُؤْمِنُونَ فِي آذَانِهِمْ وَقْرٌ وَهُوَ عَلَيْهِمْ عَمًى ۚ أُولَـٰئِكَ يُنَادَوْنَ مِن مَّكَانٍ بَعِيدٍ ﴿٤٤﴾​


অনুবাদঃ (৪৪) আর আমি যদি এটাকে অনারবী ভাষার কুরআন বানাতাম তবে তারা নিশ্চিতভাবেই বলত, ‘এর আয়াতসমূহ বিশদভাষায় বর্ণিত হয়নি কেন’? এটি অনারবী ভাষায় আর রাসূল আরবী ভাষী! বল, ‘এটি মুমিনদের জন্য হিদায়াত ও প্রতিষেধক। আর যারা ঈমান আনে না তাদের কানে রয়েছে বধিরতা আর কুরআন তাদের জন্য হবে অন্ধত্ব। তাদেরকেই ডাকা হবে দূরবর্তী স্থান থেকে।

রেফারেন্স: সূরা ফুসসিলাতঃ ৪১:৪৪



রোগী জ্বিনগ্রস্ত বলে নিশ্চিত হওয়ার পরেও যদি জ্বিনটি না যায় তাহলে যা পাঠ করতে হবে #১৩


إِنَّ شَجَرَتَ الزَّقُّومِ ﴿٤٣﴾ طَعَامُ الْأَثِيمِ ﴿٤٤﴾ كَالْمُهْلِ يَغْلِي فِي الْبُطُونِ ﴿٤٥﴾ كَغَلْيِ الْحَمِيمِ ﴿٤٦﴾ خُذُوهُ فَاعْتِلُوهُ إِلَىٰ سَوَاءِ الْجَحِيمِ ﴿٤٧﴾ ثُمَّ صُبُّوا فَوْقَ رَأْسِهِ مِنْ عَذَابِ الْحَمِيمِ ﴿٤٨﴾ ذُقْ إِنَّكَ أَنتَ الْعَزِيزُ الْكَرِيمُ ﴿٤٩﴾ إِنَّ هَـٰذَا مَا كُنتُم بِهِ تَمْتَرُونَ ﴿٥٠﴾​


অনুবাদঃ (৪৩) নিশ্চয় যাক্কূম বৃক্ষ (৪৪) পাপীর খাদ্য; (৪৫) গলিত তামার মত, উদরসমূহে ফুটতে থাকবে। (৪৬) ফুটন্ত পানির মত (৪৭) (বলা হবে) ‘ওকে ধর, অতঃপর তাকে জাহান্নামের মধ্যস্থলে টেনে নিয়ে যাও’। (৪৮) তারপর তার মাথার উপর ফুটন্ত পানির আযাব ঢেলে দাও। (৪৯) (বলা হবে) ‘তুমি আস্বাদন করো, নিশ্চয় তুমিই সম্মানিত, অভিজাত’। (৫০) নিশ্চয় এটা তা-ই যে বিষয়ে তোমরা সন্দেহ করতে।

রেফারেন্স: সূরা দুখানঃ ৪৪:৪৩-৫০



রোগী জ্বিনগ্রস্ত বলে নিশ্চিত হওয়ার পরেও যদি জ্বিনটি না যায় তাহলে যা পাঠ করতে হবে #১৪


وَيْلٌ لِّكُلِّ أَفَّاكٍ أَثِيمٍ ﴿٧﴾ يَسْمَعُ آيَاتِ اللَّـهِ تُتْلَىٰ عَلَيْهِ ثُمَّ يُصِرُّ مُسْتَكْبِرًا كَأَن لَّمْ يَسْمَعْهَا ۖ فَبَشِّرْهُ بِعَذَابٍ أَلِيمٍ ﴿٨﴾​


অনুবাদঃ (৭) দুর্ভোগ প্রত্যেক চরম মিথ্যুক পাপাচারীর জন্য! (৮) সে শোনে আল্লাহ্‌র আয়াতসমূহ যা তার সামনে তিলাওয়াত করা হচ্ছে, তারপর সে ঔদ্ধত্যের সাথে অবিচল থাকে, যেন সে তা শুনতে পায়নি। অতএব তুমি তাকে এক যন্ত্রণাদায়ক আযাবের সুসংবাদ দাও।

রেফারেন্স: সূরা জাসিয়াহঃ ৪৫:৭-৮



রোগী জ্বিনগ্রস্ত বলে নিশ্চিত হওয়ার পরেও যদি জ্বিনটি না যায় তাহলে যা পাঠ করতে হবে #১৫


يَا أَيُّهَا الَّذِينَ آمَنُوا إِنَّ مِنْ أَزْوَاجِكُمْ وَأَوْلَادِكُمْ عَدُوًّا لَّكُمْ فَاحْذَرُوهُمْ ۚ وَإِن تَعْفُوا وَتَصْفَحُوا وَتَغْفِرُوا فَإِنَّ اللَّـهَ غَفُورٌ رَّحِيمٌ ﴿١٤﴾ إِنَّمَا أَمْوَالُكُمْ وَأَوْلَادُكُمْ فِتْنَةٌ ۚ وَاللَّـهُ عِندَهُ أَجْرٌ عَظِيمٌ ﴿١٥﴾ فَاتَّقُوا اللَّـهَ مَا اسْتَطَعْتُمْ وَاسْمَعُوا وَأَطِيعُوا وَأَنفِقُوا خَيْرًا لِّأَنفُسِكُمْ ۗ وَمَن يُوقَ شُحَّ نَفْسِهِ فَأُولَـٰئِكَ هُمُ الْمُفْلِحُونَ ﴿١٦﴾​


অনুবাদঃ (১৪) হে মুমিনগণ, তোমাদের স্বামী-স্ত্রী ও সন্তান-সন্ততিদের কেউ কেউ তোমাদের দুশমন।* অতএব তোমরা তাদের ব্যাপারে সতর্কতা অবলম্বন করো। আর যদি তোমরা মার্জনা করো, এড়িয়ে যাও এবং মাফ করে দাও তবে নিশ্চয় আল্লাহ্‌ পরম ক্ষমাশীল, অসীম দয়ালু। *অর্থাৎ তারা কখনো কখনো আল্লাহ্‌র পথে চলা, তাঁর আনুগত্য করা অথবা আল্লাহ্‌র জিকির ও আখিরাতের স্মরণ থেকে তোমাদের বিরত রাখতে পারে। এ আয়াতে শত্রুতা ও দুশমনি বলতে এর প্রতিই ইঙ্গিত করা হয়েছে। (১৫) তোমাদের ধন-সম্পদ ও সন্তান-সন্ততি তো কেবল পরীক্ষা বিশেষ। আর আল্লাহ্‌র নিকটই মহান প্রতিদান। (১৬) অতএব তোমরা যথাসাধ্য আল্লাহ্‌কে ভয় করো, শ্রবণ করো, আনুগত্য করো এবং তোমাদের নিজদের কল্যাণে ব্যয় করো, আর যাদেরকে অন্তরের কার্পণ্য থেকে রক্ষা করা হয়, তারাই মূলত সফলকাম।

রেফারেন্স: সূরা তাগাবুনঃ ৬৪:১৪-১৬


 
দুআ ও রুকইয়াহ। কৃতজ্ঞতায়: IRD

Book Chapters

Overview
  • Views: 84
দুআর গুরুত্ব
  • Views: 102
আল্লাহ্‌র কাছে যে জিনিসটি চাওয়া সবচাইতে বেশি গুরুত্বপূর্ণ
  • Views: 69
জান্নাত লাভ ও জাহান্নাম থেকে রেহাই
  • Views: 65
দ্বীনের উপর অটল থাকার দুআ
  • Views: 88
সকল কাজে উত্তম পরিণতির দুআ
  • Views: 48
নিয়ামাত বা অনুগ্রহের প্রার্থনা
  • Views: 70
বিভীষিকা, দুর্দশা, মন্দ পরিণতি ও শত্রুর উল্লাস থেকে আশ্রয়
  • Views: 42
যিকিরের ফযীলত
  • Views: 181
দুআ কবুলের সময় ও স্থান সমূহ
  • Views: 230
যাদের দুআ কবুল হয়
  • Views: 180
কখন কি বলা সুন্নাহ
  • Views: 307
সকাল-সন্ধ্যার জিকির ও ফযীলত
  • Views: 197
কর্মব্যস্ত অবস্থার জিকির
  • Views: 95
হাদিসে বর্ণিত কিছু দুআ সমূহ
  • Views: 115
রাব্বানা দিয়ে দুআ সমূহ
  • Views: 47
ঘুমানোর আগে ও পরের দুআ সমূহ
  • Views: 160
কাপড় পরিধান সম্পর্কিত দোয়া সমূহ
  • Views: 77
ঘর-বাড়ি সম্পর্কিত দুআ
  • Views: 55
আযান ও ইকামত সম্পর্কিত দুআ
  • Views: 83
ওযূ সম্পর্কিত দুআ
  • Views: 57
মসজিদ সম্পর্কিত দুআ
  • Views: 81
সালাত সম্পর্কিত দুআ
  • Views: 308
বিতর ও অন্যান্য সালাত সম্পর্কিত দুআ
  • Views: 99
অসুস্থ ব্যক্তির জন্য দুআ সমূহ
  • Views: 233
জ্বিন, জাদু ও রোগের চিকিৎসায় যা করণীয়
  • Views: 49
ইসমু আযম, আল্লাহ্‌র নামের ওসীলার দুআ সমূহ
  • Views: 57
তাওবা-ইসতিগফার সম্পর্কিত দুআ সমূহ
  • Views: 112
যেসকল ইস্তেগফার কুরআনে বর্ণিত হয়েছে
  • Views: 108
তাওবার ব্যপারে কুরআন ও হাদীসের বাণী
  • Views: 47
শয়তান ও তার কুমন্ত্রণা তাড়ানোর দুআ সমূহ
  • Views: 82
সন্তানের নিরাপত্তা সম্পর্কিত দুআ সমূহ
  • Views: 46
অনিষ্ট সম্পর্কিত অন্যান্য দুআ সমূহ
  • Views: 87
অন্তরে কুমন্ত্রণা অনুভব করলে
  • Views: 41
ক্ববরের আযাব ও দাজ্জাল থেকে আশ্রয় চাওয়া
  • Views: 50
রাগান্বিত অবস্থায় দুআ সমূহ
  • Views: 42
মৃতের জন্য করনীয় সম্পর্কিত দুআ সমূহ
  • Views: 67
জানাযার দুআ সমূহ
  • Views: 104
খাবার ও পানীয় গ্রহণের শিষ্টাচার ও দুআ সমূহ
  • Views: 89
Top