‼️ পোস্টটি সুন্দরভাবে দেখতে এখানে ক্লিক করুন।‼️

প্রশ্নোত্তর ছাত্রীগণ কর্তৃক শিক্ষিকাদের সাথে উপহাস করা

FORUM BOT

Doing Automated Jobs

Threads
4,137
Comments
4,353
Solutions
1
Reactions
37,583
Credits
24,212
প্রশ্ন: ছাত্রীদের কেউ কেউ শিক্ষিকাদের সাথে উপহাস করে এবং তাদেরকে মন্দ বা হাস্যকর উপাধি দ্বারা ডাকাডাকি করে; আর তারা বলে যে, আক্ষরিক অর্থে তাদেরকে এই নামে ডাকা হয় না, বরং এমনটি করা হয় শুধু রসিকতার ছলে?


উত্তর: আলহামদুলিল্লাহ্‌।


মুসলিম ব্যক্তির জন্য অবশ্যই করণীয় কাজ হল তার জিহ্বাকে এমন কথা বলা থেকে হেফাজত করা, যা অপর মুসলিমদেরকে কষ্ট দেয় অথবা তাদের সম্মানহানি করে; কারণ, হাদিসের মধ্যে আছে, নবী (ﷺ) বলেছেন:


« لا تؤذوا المسلمين ولا تعيروهم ولا تتبعوا عوراتهم». (أخرجه أحمد و أهل السنن ) .


“তোমরা মুসলিমদেরকে কষ্ট দিয়ো না, তাদেরকে দোষারোপ করো না এবং তাদের গোপন বিষয়ের অনুসরণ করো না।” - (আহমদ, তিরমিযী, আবূ দাউদ, নাসায়ী ও ইবনু মাজাহ); আর আল্লাহ সুবহানাহু ওয়া তা‘আলা বলেন:


﴿ وَيۡلٞ لِّكُلِّ هُمَزَةٖ لُّمَزَةٍ ١ ﴾ [الهمزة: ١]


“দুর্ভোগ প্রত্যেকের, যে পিছনে ও সামনে লোকের নিন্দা করে।”- ( সূরা আল-হুমাযাহ: ১); আল্লাহ তা‘আলা আরও বলেন:


﴿ هَمَّازٖ مَّشَّآءِۢ بِنَمِيمٖ ١١ ﴾ [القلم: ١١]


“পিছনে নিন্দাকারী, যে একের কথা অন্যের কাছে লাগিয়ে বেড়ায়।” - ( সূরা আল-কলম: ১১); আল্লাহ তা‘আলা আরও বলেন:


﴿ وَلَا تَنَابَزُواْ بِٱلۡأَلۡقَٰبِۖ ﴾ [الحجرات: ١١]


“আর তোমরা একে অন্যকে মন্দ নামে ডেকো না ...।” - ( সূরা আল-হুজুরাত: ১১); সুতরাং মুসলিম ব্যক্তির মানহানি করা এবং তাকে কষ্ট দেয়া হারাম; যদি সে রসিকতার ছলে এই ধরনের কথা বলে, তবে সে এটাকে ওযর হিসেবে পেশ করতে পারবে না ঐ ব্যক্তিদের মত, যারা বলে:


﴿ ... إِنَّمَا كُنَّا نَخُوضُ وَنَلۡعَبُۚ ...﴾ [التوبة: ٦٥]


“আমরা তো আলাপ-আলোচনা ও খেল-তামাশা করছিলাম।” - (সূরা আত-তাওবা: ৬৫)।


সুত্রঃ শাইখ ইবনু জিবরীন; ফায়দা ও ফতোয়া (فوائد و فتاوى): পৃ. ১০৮
 

Share this page