Doing Automated Jobs
- Joined
- Nov 1, 2022
- Threads
- 4,871
- Comments
- 4,360
- Solutions
- 1
- Reactions
- 60,549
- Thread Author
- #1
প্রশ্ন: ছাত্রীদের কেউ কেউ শিক্ষিকাদের সাথে উপহাস করে এবং তাদেরকে মন্দ বা হাস্যকর উপাধি দ্বারা ডাকাডাকি করে; আর তারা বলে যে, আক্ষরিক অর্থে তাদেরকে এই নামে ডাকা হয় না, বরং এমনটি করা হয় শুধু রসিকতার ছলে?
উত্তর: আলহামদুলিল্লাহ্।
মুসলিম ব্যক্তির জন্য অবশ্যই করণীয় কাজ হল তার জিহ্বাকে এমন কথা বলা থেকে হেফাজত করা, যা অপর মুসলিমদেরকে কষ্ট দেয় অথবা তাদের সম্মানহানি করে; কারণ, হাদিসের মধ্যে আছে, নবী (ﷺ) বলেছেন:
« لا تؤذوا المسلمين ولا تعيروهم ولا تتبعوا عوراتهم». (أخرجه أحمد و أهل السنن ) .
“তোমরা মুসলিমদেরকে কষ্ট দিয়ো না, তাদেরকে দোষারোপ করো না এবং তাদের গোপন বিষয়ের অনুসরণ করো না।” - (আহমদ, তিরমিযী, আবূ দাউদ, নাসায়ী ও ইবনু মাজাহ); আর আল্লাহ সুবহানাহু ওয়া তা‘আলা বলেন:
﴿ وَيۡلٞ لِّكُلِّ هُمَزَةٖ لُّمَزَةٍ ١ ﴾ [الهمزة: ١]
“দুর্ভোগ প্রত্যেকের, যে পিছনে ও সামনে লোকের নিন্দা করে।”- ( সূরা আল-হুমাযাহ: ১); আল্লাহ তা‘আলা আরও বলেন:
﴿ هَمَّازٖ مَّشَّآءِۢ بِنَمِيمٖ ١١ ﴾ [القلم: ١١]
“পিছনে নিন্দাকারী, যে একের কথা অন্যের কাছে লাগিয়ে বেড়ায়।” - ( সূরা আল-কলম: ১১); আল্লাহ তা‘আলা আরও বলেন:
﴿ وَلَا تَنَابَزُواْ بِٱلۡأَلۡقَٰبِۖ ﴾ [الحجرات: ١١]
“আর তোমরা একে অন্যকে মন্দ নামে ডেকো না ...।” - ( সূরা আল-হুজুরাত: ১১); সুতরাং মুসলিম ব্যক্তির মানহানি করা এবং তাকে কষ্ট দেয়া হারাম; যদি সে রসিকতার ছলে এই ধরনের কথা বলে, তবে সে এটাকে ওযর হিসেবে পেশ করতে পারবে না ঐ ব্যক্তিদের মত, যারা বলে:
﴿ ... إِنَّمَا كُنَّا نَخُوضُ وَنَلۡعَبُۚ ...﴾ [التوبة: ٦٥]
“আমরা তো আলাপ-আলোচনা ও খেল-তামাশা করছিলাম।” - (সূরা আত-তাওবা: ৬৫)।
সুত্রঃ শাইখ ইবনু জিবরীন; ফায়দা ও ফতোয়া (فوائد و فتاوى): পৃ. ১০৮
উত্তর: আলহামদুলিল্লাহ্।
মুসলিম ব্যক্তির জন্য অবশ্যই করণীয় কাজ হল তার জিহ্বাকে এমন কথা বলা থেকে হেফাজত করা, যা অপর মুসলিমদেরকে কষ্ট দেয় অথবা তাদের সম্মানহানি করে; কারণ, হাদিসের মধ্যে আছে, নবী (ﷺ) বলেছেন:
« لا تؤذوا المسلمين ولا تعيروهم ولا تتبعوا عوراتهم». (أخرجه أحمد و أهل السنن ) .
“তোমরা মুসলিমদেরকে কষ্ট দিয়ো না, তাদেরকে দোষারোপ করো না এবং তাদের গোপন বিষয়ের অনুসরণ করো না।” - (আহমদ, তিরমিযী, আবূ দাউদ, নাসায়ী ও ইবনু মাজাহ); আর আল্লাহ সুবহানাহু ওয়া তা‘আলা বলেন:
﴿ وَيۡلٞ لِّكُلِّ هُمَزَةٖ لُّمَزَةٍ ١ ﴾ [الهمزة: ١]
“দুর্ভোগ প্রত্যেকের, যে পিছনে ও সামনে লোকের নিন্দা করে।”- ( সূরা আল-হুমাযাহ: ১); আল্লাহ তা‘আলা আরও বলেন:
﴿ هَمَّازٖ مَّشَّآءِۢ بِنَمِيمٖ ١١ ﴾ [القلم: ١١]
“পিছনে নিন্দাকারী, যে একের কথা অন্যের কাছে লাগিয়ে বেড়ায়।” - ( সূরা আল-কলম: ১১); আল্লাহ তা‘আলা আরও বলেন:
﴿ وَلَا تَنَابَزُواْ بِٱلۡأَلۡقَٰبِۖ ﴾ [الحجرات: ١١]
“আর তোমরা একে অন্যকে মন্দ নামে ডেকো না ...।” - ( সূরা আল-হুজুরাত: ১১); সুতরাং মুসলিম ব্যক্তির মানহানি করা এবং তাকে কষ্ট দেয়া হারাম; যদি সে রসিকতার ছলে এই ধরনের কথা বলে, তবে সে এটাকে ওযর হিসেবে পেশ করতে পারবে না ঐ ব্যক্তিদের মত, যারা বলে:
﴿ ... إِنَّمَا كُنَّا نَخُوضُ وَنَلۡعَبُۚ ...﴾ [التوبة: ٦٥]
“আমরা তো আলাপ-আলোচনা ও খেল-তামাশা করছিলাম।” - (সূরা আত-তাওবা: ৬৫)।
সুত্রঃ শাইখ ইবনু জিবরীন; ফায়দা ও ফতোয়া (فوائد و فتاوى): পৃ. ১০৮