এ কথাও বিশুদ্ধভাবে প্রমাণিত নয় যে, তিনি তাঁর খুতবার মাঝে মাঝে তকবীর পাঠ করতেন। এ বিষয়ে যা বর্ণিত হয়েছে, তা যয়ীফ।[1] সুতরাং ঈদের খুতবাকে তকবীর দিয়ে বৈশিষ্ট্যপূর্ণ করা বৈধ নয়। বাকী থাকল যুহরীর এই কথা যে, ‘ঘর থেকে বের হওয়ার পর থেকে ঈদগাহ পর্যন্ত ইমাম উপস্থিত হওয়া অবধি লোকেরা ঈদের তকবীর পাঠ করত। ইমাম উপস্থিত হলেই সকলে চুপ হয়ে যেত। অতঃপর ইমাম তকবীর দিলে সকলে আবার তকবীর দিত।’[2] এ কথায় ‘ ইমাম তকবীর দিলে সকলে আবার তকবীর দিত’ বলে নামায শুরু করার তাহরীমার তকবীরকে বুঝানো হয়েছে; খুতবার ভিতরের তকবীর নয়।[3]
[1] (ইরওয়াউল গালীল, আলবানী ৬৪৭, যয়ীফ ইবনে মাজাহ, আলবানী ২৬৪নং দ্রঃ)
[2] (ইবনে আবী শাইবাহ, মুসান্নাফ, ইরওয়াউল গালীল, আলবানী ৩/১২১)
[3] (মাজাল্লাতুল বায়ান ১৩৬/২২)
[1] (ইরওয়াউল গালীল, আলবানী ৬৪৭, যয়ীফ ইবনে মাজাহ, আলবানী ২৬৪নং দ্রঃ)
[2] (ইবনে আবী শাইবাহ, মুসান্নাফ, ইরওয়াউল গালীল, আলবানী ৩/১২১)
[3] (মাজাল্লাতুল বায়ান ১৩৬/২২)
রমাযানের ফাযায়েল ও রোযার মাসায়েল
শাইখ আব্দুল হামীদ আল-ফাইযী আল-মাদানী
শাইখ আব্দুল হামীদ আল-ফাইযী আল-মাদানী