কোনো কাফিরকে জনাব বা মিস্টার বা সাইয়েদ বা নেতা বা সম্মানজনক কোনো শব্দ বলা যাবে না। আল্লামা বিন বায রাহিমাহুল্লাহকে জিজ্ঞেস করা হয়, অনেকে জানা সত্ত্বেও কাফিরের মেমো বা চালানে ‘মিস্টার অমুক’ লিখে থাকে। এভাবে লিখা কতটুকু বৈধ? জবাবে তিনি বলেন, কোনো কাফিরকে সাইয়েদ বা মিস্টার বলা যাবে না। রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম ফাসিক ব্যক্তিকে সাইয়েদ বলতে নিষেধ করেছেন। অতএব, কোনো কাফিরকে মিস্টার বা সাইয়েদ বলা যাবে না। কারণ, এটি সম্মানজনক শব্দ। [ফাতওয়া নূরুন আলাদ দারব, ১/৩৮৪-৩৮৬]
রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এক হাদীসে বলেন, "তোমরা কোনো মুনাফিককে সাইয়েদ বলো না। কোনো মুনাফিক যদি সাইয়েদ হয়, তবে তোমরা তোমাদের রবকে রাগান্বিত করলে"। [সুনানু আবু দাউদ, ৪৯৭৭]
তবে সমাজে যদি উল্লিখিত শব্দগুলো সম্মান প্রদর্শনের অর্থে ব্যবহার করা না হয়; বরং ধর্ম, বর্ণ, শ্রেণি নির্বিশেষে সকলের ক্ষেত্রে ব্যবহারের প্রচলন থাকে, তবে অনেকের মতে তা ব্যবহারে তেমন কোনো সমস্যা নেই। [নবাবী, শারহু সহীহ মুসলিম, ৭১৫; মোল্লা আলী কারী, মিরকাতুল মাফাতীহ, ৭/৩০০৯; ফাতহুল বারী, ১/৩৮]
তারপরও কাফেরের ক্ষেত্রে সম্মানজনক যেকোনো শব্দ ব্যবহার না করাই নিরাপদ ও উত্তম।
--- বই: যেসব কথা বলতে মানা, লেখক: উস্তাদ আব্দুল্লাহ মাহমুদ; আযান প্রকাশনী
রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এক হাদীসে বলেন, "তোমরা কোনো মুনাফিককে সাইয়েদ বলো না। কোনো মুনাফিক যদি সাইয়েদ হয়, তবে তোমরা তোমাদের রবকে রাগান্বিত করলে"। [সুনানু আবু দাউদ, ৪৯৭৭]
তবে সমাজে যদি উল্লিখিত শব্দগুলো সম্মান প্রদর্শনের অর্থে ব্যবহার করা না হয়; বরং ধর্ম, বর্ণ, শ্রেণি নির্বিশেষে সকলের ক্ষেত্রে ব্যবহারের প্রচলন থাকে, তবে অনেকের মতে তা ব্যবহারে তেমন কোনো সমস্যা নেই। [নবাবী, শারহু সহীহ মুসলিম, ৭১৫; মোল্লা আলী কারী, মিরকাতুল মাফাতীহ, ৭/৩০০৯; ফাতহুল বারী, ১/৩৮]
তারপরও কাফেরের ক্ষেত্রে সম্মানজনক যেকোনো শব্দ ব্যবহার না করাই নিরাপদ ও উত্তম।
--- বই: যেসব কথা বলতে মানা, লেখক: উস্তাদ আব্দুল্লাহ মাহমুদ; আযান প্রকাশনী