- Joined
- Jan 3, 2023
- Threads
- 647
- Comments
- 790
- Reactions
- 6,875
- Thread Author
- #1
এটি কোন সালাত এ বিষয়ে ওলামায়ে কেরামের মধ্যে দুটি মত রয়েছে কতিপয় আলেম বলেন, এই চার রাকআত মূলত: যোহরের চার রাকআত সালাত আর কতিপয় বিদ্বানের মতে, এটি যোহরের পূর্বের চার রাকআত সুন্নত নয় বরং এটি স্বতন্ত্র সালাত।তবে মতানৈক্য থাকলেও অধিক বিশুদ্ধ হল একটি স্বতন্ত্র সালাত অর্থাৎ যোহরের সুন্নত নয় এই মর্মে কয়েকটি মত,
১. ইমাম ইবনুল কায়্যিম (রাহ.) বলেন, এই চার রাকাত নামাজ যোহরের সুন্নাত নয়, বরং এটি অন্য নামাজ, যা তিনি (নবিজি) সূর্য ঢলার পর পড়তেন। আর এই স্বতন্ত্র আমলটি করার পেছনে কারণ হলো, এটি দিনের ঠিক মধ্যভাগ ও সূর্য ঢলার সময়। এর রহস্য হলো—আল্লাহ ভালো জানেন—এটি দিনের মধ্যভাগ, যার অবস্থান রাতের ঠিক মধ্যভাগের বিপরীতে। দিনের মধ্যভাগে সূর্য ঢলার পর আসমানের দরজাসমূহ খোলা হয় আর রাতের মধ্যভাগের পর আসমানে মহান আল্লাহর অবতরণ ঘটে (যা সহিহ হাদিসে আছে)। সুতরাং এ দুটি আল্লাহর নৈকট্য ও রহমতের সময়। [ইবনুল কাইয়িম, যাদুল মা‘আদ মিশকাতুল মাসাবি,১১৬৮ নং হাদিসের ব্যাখ্যা দৃষ্টব্য]
২. আল্লামা ইরাক্বী বলেন, এ চার রাক্‘আত সালাত যুহরের পূর্বের চার রাক্‘আত ভিন্ন অন্য সালাত। এ সালাতকে সুন্নাতে যাওয়াল বলা হয়।[মিশকাতুল মাসাবীহ ১১৬৯ নং হাদীসের ব্যাখ্যা দ্রষ্টব্য]
৩. এছাড়া ইমাম গাযালি, ইমাম মুনাউয়ি,আল্লামা মুবারকপুরিসহ অনেকেই স্পষ্টভাবে বলেছেন যে, যোহরের চার রাকাত সুন্নাত এবং যাওয়ালের চার রাকাত সুন্নাত ভিন্ন ভিন্ন নামাজ। [ইহয়াউ উলুমিদ্দিন, ফায়দ্বুল ক্বাদির, মির‘আতুল মাফাতিহ, তুহফাতুল আহওয়াযি]
বিপরীত দিকে যারা ভিন্ন মত পোষণ করেছেন তাদের মধ্যে রয়েছে হানাফি মাযহাবের ফকিহদের একাংশ, ইমাম বায়যাবি (রাহ.)-সহ অনেক আলেমের মতে, হাদিসে যাওয়ালের নামাজ দ্বারা মূলত যোহরের চার রাকাত সুন্নাত উদেশ্য। তাঁরা আবদুল্লাহ্ ইবনু সায়িব (রা.)-এর হাদিসের ব্যাখ্যায় এই মত পেশ করেছেন। [আদ দুররুল মুখতার: ২/১৩]
১. ইমাম ইবনুল কায়্যিম (রাহ.) বলেন, এই চার রাকাত নামাজ যোহরের সুন্নাত নয়, বরং এটি অন্য নামাজ, যা তিনি (নবিজি) সূর্য ঢলার পর পড়তেন। আর এই স্বতন্ত্র আমলটি করার পেছনে কারণ হলো, এটি দিনের ঠিক মধ্যভাগ ও সূর্য ঢলার সময়। এর রহস্য হলো—আল্লাহ ভালো জানেন—এটি দিনের মধ্যভাগ, যার অবস্থান রাতের ঠিক মধ্যভাগের বিপরীতে। দিনের মধ্যভাগে সূর্য ঢলার পর আসমানের দরজাসমূহ খোলা হয় আর রাতের মধ্যভাগের পর আসমানে মহান আল্লাহর অবতরণ ঘটে (যা সহিহ হাদিসে আছে)। সুতরাং এ দুটি আল্লাহর নৈকট্য ও রহমতের সময়। [ইবনুল কাইয়িম, যাদুল মা‘আদ মিশকাতুল মাসাবি,১১৬৮ নং হাদিসের ব্যাখ্যা দৃষ্টব্য]
২. আল্লামা ইরাক্বী বলেন, এ চার রাক্‘আত সালাত যুহরের পূর্বের চার রাক্‘আত ভিন্ন অন্য সালাত। এ সালাতকে সুন্নাতে যাওয়াল বলা হয়।[মিশকাতুল মাসাবীহ ১১৬৯ নং হাদীসের ব্যাখ্যা দ্রষ্টব্য]
৩. এছাড়া ইমাম গাযালি, ইমাম মুনাউয়ি,আল্লামা মুবারকপুরিসহ অনেকেই স্পষ্টভাবে বলেছেন যে, যোহরের চার রাকাত সুন্নাত এবং যাওয়ালের চার রাকাত সুন্নাত ভিন্ন ভিন্ন নামাজ। [ইহয়াউ উলুমিদ্দিন, ফায়দ্বুল ক্বাদির, মির‘আতুল মাফাতিহ, তুহফাতুল আহওয়াযি]
বিপরীত দিকে যারা ভিন্ন মত পোষণ করেছেন তাদের মধ্যে রয়েছে হানাফি মাযহাবের ফকিহদের একাংশ, ইমাম বায়যাবি (রাহ.)-সহ অনেক আলেমের মতে, হাদিসে যাওয়ালের নামাজ দ্বারা মূলত যোহরের চার রাকাত সুন্নাত উদেশ্য। তাঁরা আবদুল্লাহ্ ইবনু সায়িব (রা.)-এর হাদিসের ব্যাখ্যায় এই মত পেশ করেছেন। [আদ দুররুল মুখতার: ২/১৩]