‼️ পোস্টটি সুন্দরভাবে দেখতে এখানে ক্লিক করুন।‼️

প্রবন্ধ কুনূতের কতিপয় আনুষঙ্গিক মাসায়েল

Abu Abdullah

Knowledge Sharer

ilm Seeker
Uploader
Salafi User
Threads
745
Comments
997
Solutions
19
Reactions
9,870
Credits
6,083
উত্তম ও দলীলের অধিক নিকটবর্তী কাজ হল ‘আল্লাহুম্মাহদিনা ফীমান হাদাইতা’ বলে কুনূতের দুআ শুরু করা। অবশ্য যদি কেউ দুআ করার মৌলিক নীতির উপর আমল করে মহান আল্লাহর প্রশংসা ও নবী (সাল্লাল্লাহু আলাইহে ওয়াসাল্লাম)-এর উপর দরূদ পড়ার মাধ্যমে কুনূত শুরু করে, তাহলে তাতে কোন দোষ নেই।

নবী (সাল্লাল্লাহু আলাইহে ওয়াসাল্লাম) কর্তৃক বর্ণিত দুআ-এ মাষূরা ছাড়াও যদি কেউ নিজের তরফ থেকে অন্য দুআ কুনূতে পড়তে চায়, তাহলে তা দোষাবহ নয়। কারণ, এ স্থল হল দুআ করার স্থল। তা ছাড়া এ কুনূত হল এক প্রকার ‘কুনূতে নাযেলাহ’। আর এই কুনূতে মহানবী (সাল্লাল্লাহু আলাইহে ওয়াসাল্লাম) কাফেরদের জন্য বদ্দুআ এবং মুসলিমদের জন্য দুআ করেছেন।[1] অনুরূপ আবূ হুরাইরা (রাঃ) কুনূতে মুমিনদের জন্য দুআ করতেন এবং কাফেরদের উপর অভিশাপ দিতেন।[2] আ’রাজ বলেন, ‘আমাদের দেখা সকল লোকেই রমাযানে কাফেরদের প্রতি অভিশাপ করত।’[3] বলা বাহুল্য, এ ক্ষেত্রে কোন নির্দিষ্ট দুআ নেই। অতএব বুঝা গেল যে, এ ব্যাপারে কোন সংকীর্ণতা নেই। এতদ্ব্যতীত যদি ধরে নেওয়া যায় যে, কোন মানুষ দুআ-এ মাষূর জানে না, তাহলে সে ক্ষেত্রে সেই ব্যক্তির যা জানা আছে এবং যা উপযুক্ত মনে করে নিজের প্রয়োজন অনুপাতে তাই দিয়ে দুআ করতে পারে; যদি আসলে দুআ সহীহ দুআ হয় তাহলে। অবশ্য দুআ-এ মাষূর ব্যবহারে যত্নবান হওয়াই উত্তম আমল।[4]


[1] (বুখারী ১০০৬নং দ্রঃ)
[2] (বুখারী ৭৯৭, মুসলিম ৬৭৬নং)
[3] (মালেক ২৫১নং)
[4] (আশ্শারহুল মুমতে’, ইবনে উষাইমীন ৪/৫২, সালাতুল-লাইলি অত্-তারাবীহ, ইবনে বায ৩৯-৪০পৃঃ)


রমাযানের ফাযায়েল ও রোযার মাসায়েল
শাইখ আব্দুল হামীদ আল-ফাইযী আল-মাদানী​
 
COMMENTS ARE BELOW

Share this page