Joynal Bin Tofajjal
Student Of Knowledge
Forum Staff
Moderator
Uploader
Exposer
HistoryLover
Salafi User
- Joined
- Nov 25, 2022
- Threads
- 344
- Comments
- 475
- Reactions
- 5,426
- Thread Author
- #1
ভূমিকা
তেলাওয়াতকৃত পানির দিয়ে গোসল করাকে বলা হয় রুকিয়াহ গোসল। রুকিয়াহ গোসলের পানি প্রস্তুতের জন্য পানির কাছে মুখ লাগিয়ে তেলাওয়াত করতে হবে। তেলাওয়াত করার সময় একটু পর পর ফুঁক দিতে হবে (কিছুটা থুথুর ছিটাসহ) রুকিয়াহ গোসল যদি প্রতিদিন করা হয় তাহলে ইনশা-আল্লাহ পজেটিভ রেসাল্ট পাওয়া যাবে। যদি রোগ বেশি হয় তাহলে রোগমুক্তির আগ পর্যন্ত নিয়মিত রুকিয়াহ গোসল চালিয়ে যাওয়া উচিৎ।
রুকিয়াহর গোসল কিভাবে করতে হবে?
শাইখ আব্দুল আযীয বিন বায শাইখ (রহঃ) গোসলের নিয়ম বর্ণনা করেছেন। যথা:
১. সূরা ফাতিহা
২. আয়াতুল কুরসী
৩. সূরা আরাফের ১০৬-১২২ নং আয়াত
৪. সূরা ইউনুসের ৭৯-৮২ নং আয়াত
৫. সূরা ত্বহা এর ৬৫-৬৯ নং আয়াত
৬. সূরা কাফিরুন
৭. সূরা ইখলাস [৩ বার]
৮. সূরা ফালাক [৩ বার]
৯. সূরা নাস [৩ বার]
সাথে কিছু দোয়া যেমন-
৩ বার বলবে,
অর্থঃ হে আল্লাহ, হে মানুষের প্রতিপালক, অসুবিধা দূর করুন, সুস্থতা দান করুন, আপনিই শিফা বা সুস্থতা দানকারী, আপনার শিফা (সুস্থতা প্রদান বা রোগ নিরাময়) ছাড়া আর কোনো শিফা নেই, এমনভাবে শিফা দান করুন যার পরে আর কোনো অসুস্থতা-রোগব্যাধি অবশিষ্ট থাকবে না। [বুখারীঃ ৫৭৪৩]
৩ বার বলবে,
অর্থঃ আল্লাহর নামে তোমাকে ঝাড়ফুঁক করছি, সকল কিছু থেকে যা তোমাকে কষ্ট দেয়, সকল প্রাণী ও হিংসুক চক্ষুর অনিষ্ট থেকে, আল্লাহ তোমাকে রোগমুক্ত করবেন, আল্লাহর নামে তোমাকে ঝাড়ফুক করছি। [মুসলিমঃ ২১৮৬]
জাদুতে আক্রান্ত রোগীর ওপর অথবা কোনো একটি পাত্রে পানি নিয়ে উপরে উল্লিখিত আয়াত এবং দোয়া সমূহ পড়ে ফুঁ দেবে। এরপর জাদুতে আক্রান্ত ব্যক্তি সে পানি পান করবে, আর অবশিষ্ট পানি দিয়ে গোসল করবে। প্রয়োজন মতো এক বা একাধিকবার এরকম করলে আল্লাহর ইচ্ছায় রোগী আরোগ্য লাভ করবে। [মাজমুউল ফাতওয়া লিবনি বায; ৮/১৪৪]
রুকিয়াহর পানি গরম করবে না বা সেখানে অন্য পানি মেশাবে না। আশা করা যায়, প্রথম গোসলেই জাদু নষ্ট হয়ে যাবে। আর এভাবে কয়েকদিন গোসল করলে ইনশাআল্লাহ রোগী সুস্থ হয়ে উঠবে। [কালো যাদুকরের গলায় ধারালো তরবারী: ২১৪]
তেলাওয়াতকৃত পানির দিয়ে গোসল করাকে বলা হয় রুকিয়াহ গোসল। রুকিয়াহ গোসলের পানি প্রস্তুতের জন্য পানির কাছে মুখ লাগিয়ে তেলাওয়াত করতে হবে। তেলাওয়াত করার সময় একটু পর পর ফুঁক দিতে হবে (কিছুটা থুথুর ছিটাসহ) রুকিয়াহ গোসল যদি প্রতিদিন করা হয় তাহলে ইনশা-আল্লাহ পজেটিভ রেসাল্ট পাওয়া যাবে। যদি রোগ বেশি হয় তাহলে রোগমুক্তির আগ পর্যন্ত নিয়মিত রুকিয়াহ গোসল চালিয়ে যাওয়া উচিৎ।
রুকিয়াহর গোসল কিভাবে করতে হবে?
শাইখ আব্দুল আযীয বিন বায শাইখ (রহঃ) গোসলের নিয়ম বর্ণনা করেছেন। যথা:
১. সূরা ফাতিহা
২. আয়াতুল কুরসী
৩. সূরা আরাফের ১০৬-১২২ নং আয়াত
৪. সূরা ইউনুসের ৭৯-৮২ নং আয়াত
৫. সূরা ত্বহা এর ৬৫-৬৯ নং আয়াত
৬. সূরা কাফিরুন
৭. সূরা ইখলাস [৩ বার]
৮. সূরা ফালাক [৩ বার]
৯. সূরা নাস [৩ বার]
সাথে কিছু দোয়া যেমন-
৩ বার বলবে,
اَللَّهُمَّ رَبَّ النَّاسِ أَذْهِبِ الْبَأْسَ اِشْفِ وَأَنْتَ الشَّافِيْ لَا شِفَاءَ إِلاَّ شِفَاؤُكَ شِفَاءً لَا يُغَادِرُ سَقَمًا
উচ্চারণঃ আল্লা-হুম্মা রাব্বান না-স, আয্হিবিল বা-'স, ইশ্ফি, ওয়া আনতাশ শা-ফী, লা- শিফা- আ ইল্লা- শিফা-উকা, শিফা-আন লা- ইউগা-দিরু সাক্বমা।অর্থঃ হে আল্লাহ, হে মানুষের প্রতিপালক, অসুবিধা দূর করুন, সুস্থতা দান করুন, আপনিই শিফা বা সুস্থতা দানকারী, আপনার শিফা (সুস্থতা প্রদান বা রোগ নিরাময়) ছাড়া আর কোনো শিফা নেই, এমনভাবে শিফা দান করুন যার পরে আর কোনো অসুস্থতা-রোগব্যাধি অবশিষ্ট থাকবে না। [বুখারীঃ ৫৭৪৩]
৩ বার বলবে,
بِسْمِ اللّٰهِ أَرْقِيْكَ مِنْ كُلِّ شَيْءٍ يُؤْذِيْكَ، مِنْ شَرِّ كُلِّ نَفْسٍ أَوْ عَيْنِ حَاسِدٍ، اللّٰهُ يَشْفِيْكَ، بِاسْمِ اللّٰهِ أَرْقِيْكَ.
উচ্চারণঃ বিসমিল্লা-হি আর্ক্কীক, মিন কুল্লি শাইয়িন ইউ’যীক, মিন শার্রি কুল্লি নাফসিন আউ আইনিন ‘হা-সিদিন, আল্লা-হু ইয়াশফীক, বিসমিল্লা-হি আর্ক্কীকঅর্থঃ আল্লাহর নামে তোমাকে ঝাড়ফুঁক করছি, সকল কিছু থেকে যা তোমাকে কষ্ট দেয়, সকল প্রাণী ও হিংসুক চক্ষুর অনিষ্ট থেকে, আল্লাহ তোমাকে রোগমুক্ত করবেন, আল্লাহর নামে তোমাকে ঝাড়ফুক করছি। [মুসলিমঃ ২১৮৬]
জাদুতে আক্রান্ত রোগীর ওপর অথবা কোনো একটি পাত্রে পানি নিয়ে উপরে উল্লিখিত আয়াত এবং দোয়া সমূহ পড়ে ফুঁ দেবে। এরপর জাদুতে আক্রান্ত ব্যক্তি সে পানি পান করবে, আর অবশিষ্ট পানি দিয়ে গোসল করবে। প্রয়োজন মতো এক বা একাধিকবার এরকম করলে আল্লাহর ইচ্ছায় রোগী আরোগ্য লাভ করবে। [মাজমুউল ফাতওয়া লিবনি বায; ৮/১৪৪]
রুকিয়াহর পানি গরম করবে না বা সেখানে অন্য পানি মেশাবে না। আশা করা যায়, প্রথম গোসলেই জাদু নষ্ট হয়ে যাবে। আর এভাবে কয়েকদিন গোসল করলে ইনশাআল্লাহ রোগী সুস্থ হয়ে উঠবে। [কালো যাদুকরের গলায় ধারালো তরবারী: ২১৪]
সোর্সঃ দুআরুকইয়াহ.কম