প্রশ্ন: আমি আমার ছেলেকে বড় আলেম বানাতে চাই। এ জন্য কি হাফেয হওয়া জরুরি? আর বিদেশী ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াশোনার ব্যাপারে কী করণীয়? দয়া করে পরামর্শ দিয়ে সাহায্য করবেন।
উত্তর: আপনি আপনার সন্তানকে বড় আলেম বানাতে চান এ জন্য আপনার জন্য আমার পক্ষ থেকে প্রাণ খোলা দুয়া রইল। আল্লাহ যেন আপনার স্বপ্ন ও প্রত্যাশাকে পূরণ করে দেন। আমীন।
সন্তানকে বড় আলেম বানানোর দশটি দিক নির্দেশনা:
১) সর্বপ্রথম পিতা-মাতাকে হতে হবে দ্বীনের একনিষ্ঠ অনুসারী। তারা নিষ্ঠা ও আন্তরিকতা সহকারে তাদের সন্তানদের জন্য মহান আল্লাহর নিকট দুয়া করবেন। দুআর মত প্রভাব সৃষ্টিকারী আর কিছু নেই। কেননা আল্লাহ যাকে পথ দেখান তাকে কেউ দূরে সরাতে পারে না।
মনে রাখতে হবে, সন্তানকে বড় আলেম বানানোর উদ্দেশ্য হবে, কেবল আল্লাহর সন্তুষ্টি, দ্বীনের সাহায্য এবং আখিরাতে পুরস্কার পাওয়ার প্রত্যাশা। এ ক্ষেত্রে দুনিয়ার কোন স্বার্থ জড়িত থাকা যাবে না।
২) সন্তানকে বড় আলেম বানানোর লক্ষ-উদ্দেশ্য ঠিক করা এবং এ ব্যাপারে সুদৃঢ় সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা যেন মানুষের বিভিন্ন পরামর্শ, সমালোচনা বা তির্যক কথা-বার্তায় মনে বিভ্রান্তি ও দ্বিধা-সংকোচ স্থান না পায়।
৩) সন্তানদের সামনে পূর্ববর্তী দিগ্বিজয়ী বড় আলেমদের আলোকোজ্জ্বল জীবনী ও সাফল্যের দিকগুলো তুলে ধরা-যেন সন্তান তাদেরকে অনুসরণ করে এবং তাদের পথে পরিচালিত হওয়ার অনুপ্রেরণা খুঁজে পায়।
৪) সন্তানের হৃদয়ে দ্বীনের প্রতি গভীর ভালবাসা ও আগ্রহ জাগিয়ে তোলা।
৫) সন্তানকে সব সময় সদুপদেশ ও উৎসাহ দেয়া। সামান্য ভুল-ত্রুটি ও অপরাধে তাদেরকে অতিরিক্ত বকাঝকা এবং তাদের সাথে নির্দয় আচরণ না করা।
৬) ইসলাম শিক্ষাকে তার জন্য আনন্দময় ও উপভোগ্য করে তোলা। যেন সে মাদরাসায় যেতে বা ইসলাম শিক্ষাকে ভয় পেয়ে দূরে সরে যেতে না চায়। এ জন্য পিতামাতা তার সাথে বন্ধু সুলভ সুন্দর আচরণ করার পাশাপাশি তার জন্য পরিমিত খেলাধুলা ও হালাল বিনোদনের সুযোগ রাখবে।
৭) সন্তানকে বাল্যকালেই ভালো মানের সহীহ আকীদা সম্পন্ন দীনী শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ভর্তি করা।
৮) যদি কুরআনের হাফিয বানানো হয় তবে বড় আলেম হওয়ার জন্য এটি একটি বড় প্লাস পয়েন্ট। কিন্তু তা অপরিহার্য নয়।
৯) বিশ্বের বড় বড় আন্তর্জাতিক বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি করার জন্য প্রয়োজন, সরকার স্বীকৃত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান, আলিয়া মাদরাসা বা বিদেশী বিশ্ববিদ্যালয়ের সাথে চুক্তিবদ্ধ বেসরকারি মাদরাসা (কওমি মাদরাসা) থেকে সার্টিফিকেট অর্জন করা।
১০) আন্তর্জাতিক ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি সংক্রান্ত দিক নির্দেশনা ও পরামর্শ পেতে বিদেশী ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় থেকে সার্টিফিকেট প্রাপ্ত আলেমদের শরণাপন্ন হলে আশা করি, সহযোগিতা ও সঠিক দিকনির্দেশনা পাওয়া যাবে। আল্লাহু আলাম।
উত্তর প্রদানে: আব্দুল্লাহিল হাদী বিন আব্দুল জলীল
উত্তর: আপনি আপনার সন্তানকে বড় আলেম বানাতে চান এ জন্য আপনার জন্য আমার পক্ষ থেকে প্রাণ খোলা দুয়া রইল। আল্লাহ যেন আপনার স্বপ্ন ও প্রত্যাশাকে পূরণ করে দেন। আমীন।
সন্তানকে বড় আলেম বানানোর দশটি দিক নির্দেশনা:
১) সর্বপ্রথম পিতা-মাতাকে হতে হবে দ্বীনের একনিষ্ঠ অনুসারী। তারা নিষ্ঠা ও আন্তরিকতা সহকারে তাদের সন্তানদের জন্য মহান আল্লাহর নিকট দুয়া করবেন। দুআর মত প্রভাব সৃষ্টিকারী আর কিছু নেই। কেননা আল্লাহ যাকে পথ দেখান তাকে কেউ দূরে সরাতে পারে না।
মনে রাখতে হবে, সন্তানকে বড় আলেম বানানোর উদ্দেশ্য হবে, কেবল আল্লাহর সন্তুষ্টি, দ্বীনের সাহায্য এবং আখিরাতে পুরস্কার পাওয়ার প্রত্যাশা। এ ক্ষেত্রে দুনিয়ার কোন স্বার্থ জড়িত থাকা যাবে না।
২) সন্তানকে বড় আলেম বানানোর লক্ষ-উদ্দেশ্য ঠিক করা এবং এ ব্যাপারে সুদৃঢ় সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা যেন মানুষের বিভিন্ন পরামর্শ, সমালোচনা বা তির্যক কথা-বার্তায় মনে বিভ্রান্তি ও দ্বিধা-সংকোচ স্থান না পায়।
৩) সন্তানদের সামনে পূর্ববর্তী দিগ্বিজয়ী বড় আলেমদের আলোকোজ্জ্বল জীবনী ও সাফল্যের দিকগুলো তুলে ধরা-যেন সন্তান তাদেরকে অনুসরণ করে এবং তাদের পথে পরিচালিত হওয়ার অনুপ্রেরণা খুঁজে পায়।
৪) সন্তানের হৃদয়ে দ্বীনের প্রতি গভীর ভালবাসা ও আগ্রহ জাগিয়ে তোলা।
৫) সন্তানকে সব সময় সদুপদেশ ও উৎসাহ দেয়া। সামান্য ভুল-ত্রুটি ও অপরাধে তাদেরকে অতিরিক্ত বকাঝকা এবং তাদের সাথে নির্দয় আচরণ না করা।
৬) ইসলাম শিক্ষাকে তার জন্য আনন্দময় ও উপভোগ্য করে তোলা। যেন সে মাদরাসায় যেতে বা ইসলাম শিক্ষাকে ভয় পেয়ে দূরে সরে যেতে না চায়। এ জন্য পিতামাতা তার সাথে বন্ধু সুলভ সুন্দর আচরণ করার পাশাপাশি তার জন্য পরিমিত খেলাধুলা ও হালাল বিনোদনের সুযোগ রাখবে।
৭) সন্তানকে বাল্যকালেই ভালো মানের সহীহ আকীদা সম্পন্ন দীনী শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ভর্তি করা।
৮) যদি কুরআনের হাফিয বানানো হয় তবে বড় আলেম হওয়ার জন্য এটি একটি বড় প্লাস পয়েন্ট। কিন্তু তা অপরিহার্য নয়।
৯) বিশ্বের বড় বড় আন্তর্জাতিক বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি করার জন্য প্রয়োজন, সরকার স্বীকৃত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান, আলিয়া মাদরাসা বা বিদেশী বিশ্ববিদ্যালয়ের সাথে চুক্তিবদ্ধ বেসরকারি মাদরাসা (কওমি মাদরাসা) থেকে সার্টিফিকেট অর্জন করা।
১০) আন্তর্জাতিক ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি সংক্রান্ত দিক নির্দেশনা ও পরামর্শ পেতে বিদেশী ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় থেকে সার্টিফিকেট প্রাপ্ত আলেমদের শরণাপন্ন হলে আশা করি, সহযোগিতা ও সঠিক দিকনির্দেশনা পাওয়া যাবে। আল্লাহু আলাম।
উত্তর প্রদানে: আব্দুল্লাহিল হাদী বিন আব্দুল জলীল