সাধারণত মানুষ নিজের পাকা বা সাদা চুল কিংবা দাড়িতে কালো কলপ বা রং ব্যবহার করে থাকে। এরূপ কালো রং চুলে কিংবা দাড়িতে লাগাতে ইসলামে নিষেধ করা হয়েছে। তবে কালো ব্যতীত অন্য কোন রং লাগানোতে কোন দোষ নেই। আসলে বৃদ্ধ মুসলিমদের পাকা চুল বা দাড়ি সাদা না রাখায় শ্রেয়। মেহেদী রংয়ে রাঙিয়ে রাখাই ভালো। এমর্মে হাদীসে এসেছে-
আবূ হুরায়রা (রাযিয়াল্লাহু আনহু) হতে বর্ণিত, নবী (ﷺ) বলেছেন, ‘ইয়াহুদী ও খ্রীষ্টান খিযাব বা কলপ লাগায় না। অতএব তোমরা তাদের বিপরীত করবে’।[১]
অন্য এক বর্ণনায় রয়েছে- غَيِّرُوا الشَّيْبَ ‘তোমরা বার্ধক্যকে পরিবর্তন করে দাও’।[২]
হাদীসের দৃষ্টিতে বৃদ্ধদের পাকা চুল বা দাড়ি সাদা না রেখে রাঙিয়ে রাখতে হবে। কেননা ইয়াহুদী-খ্রীষ্টানরা তাদের পাকা চুল সাদা করে রাখে। রাসূলুল্লাহ (ﷺ) তাদের বিরোধিতা করতে বলেছেন। পাকা চুল সাদা না রেখে কালো ব্যতীত অন্য রং দিয়ে রঞ্জিত করতে নির্দেশ দিয়েছেন।
পাকা দাড়ি বা চুলে মেহেদী ব্যবহার করা উত্তম
বৃদ্ধ বয়সে পাকা দাড়ি বা চুল সাদা না রেখে মেহেদী দিয়ে রঙিন করাই উত্তম। কেননা রাসূল (ﷺ)-এর প্রতিটি নির্দেশনার মধ্যেই মুসলিম জাতির জন্য কল্যাণ রয়েছে। এ ক্ষেত্রে মেহেদী রং করায় অধিক পসন্দনীয়। হাদীসে এসেছে-
আবূ যার গেফারী (রাযিয়াল্লাহু আনহু) হতে বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বলেছেন, ‘বার্ধক্যকে পরিবর্তন করার জন্য সবচাইতে উত্তম বস্তু হল মেহেদী ও কতম (ঘাস)’।[৩] অপর এক হাদীসে বর্ণিত হয়েছে-
ইবনু ওমর (রাযিয়াল্লাহু আনহুমা) বলেন, রাসূলুল্লাহ (ﷺ) সিবতি চামড়ার জুতা পরতেন এবং ওর্য়াস ঘাস ও জা‘ফরান দ্বারা নিজের দাড়িকে হলুদ রঙ্গে রঞ্জিত করতেন। ইবনু ওমর (রাযিয়াল্লাহু আনহুমা)ও অনুরূপ করতেন।[৪] অন্য আরেক হাদীসে বর্ণিত হয়েছে-
আবূ বকর (রাযিয়াল্লাহু আনহু) মেহেদী ও কাতাম ঘাস মিশ্রিত কলপ লাগিয়েছেন। আর ওমর (রাযিয়াল্লাহু আনহু) শুধু মেহেদীর কলপ লগিয়েছেন।[৫]
একদা উম্মু সালামা (রাযিয়াল্লাহু আনহা) রাসূলুল্লাহ (ﷺ)-এর (তাঁর মৃত্যুর পর) এক গোছা চুল বের করে জনৈক সাহাবীকে দেখিয়েছিলেন। যেগুলো মেহেদী দ্বারা রং করা ছিল।[৬]
রাসূলুল্লাহ (ﷺ) স্বীয় সাদা চুল ও দাড়িতে মেহেদী ও কতম নামক ঘাসের মিশ্রিত রং দ্বারা রঙিন করতেন। আর এই মেহেদী রঙে রঞ্জিত করাকে তিনি উত্তম হিসাবে আখ্যা দেন। ফলে সাহাবীগণও মেহেদী দ্বারা তাদের পাকা চুল ও দাড়ি রঙিন করতেন। তবে তাদের কেউ কেউ মেহেদীর সাথে কতম ঘাস মিশিয়ে নিতেন। এতে করে মেহেদীর রং খুব গাড় আকার ধারণ করত। ফলে কেউ চাইলে মেহেদী রং গাড় বা অধিক সুন্দর করার জন্য মেহেদীর সাথে অন্য কোন বৈধ জিনিস মিশাতে পারে। যা হাদীসে ইঙ্গিত পাওয়া যায়।
কালো কলপ ব্যবহার করা নিষিদ্ধ
যে কোন মুসলিম তার পাকা চুল ও দাড়িতে মেহেদী বা হলদে জাতীয় রং লাগাতে পারে। তবে কালো রং লাগানো ইসলামে হারাম করা হয়েছে।
জাবির ইবনু আব্দুল্লাহ (রাযিয়াল্লাহু আনহুমা) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, মক্কা বিজয়ের দিন আবূ বকর ছিদ্দীক (রাযিয়াল্লাহু আনহু)-এর পিতা আবূ কুহাফাকে নবী (ﷺ)-এর কাছে নিয়ে আসা হল। তার দাড়ি ও মাথার চুল সাগামা ঘাসের মত (ধবধবে) সাধা ছিল। রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বললেন, ‘চুলের এই রং কিছু দিয়ে পরিবর্তন কর এবং কালো (রং) পরিহার (বর্জন) কর’।[৭]
কালো রং ব্যতীত অন্য রং দিয়ে সাদা চুল ও দাড়ি রঙিন করা বৈধ। বরং রঙিয়ে রাখাই উত্তম। তবে সাবধান চুল-দাড়িতে কালো কলপ বা খেযাব লাগানো যাবে না। কালো কলপ বা রং লাগাতে রাসূলুল্লাহ (ﷺ) নিষেধ করেছেন। কালো কলপ বা রং চুল-দাড়িতে লাগানো সরাসরি হারাম। যা কোন মুসলিম লাগাতে পারে না। বর্তমানে যেভাবে মানুষ কালো কলপ ব্যবহার করছে তা ভয়ংকর ব্যাপার। তাদের সত্বর সাবধান হওয়া উচিত। তারা সরাসরি রাসূলুল্লাহ (ﷺ)-এর বিরুদ্ধাচরণ করছে। যা তাদের জন্য ক্ষতির কারণ হয়ে দাঁড়াবে।
কালো কলপ ব্যবহারকারী জান্নাতে যাবে না
পাকা চুল বা দাড়িতে কালো কলপ ব্যবহারকারীর শেষ পরিণাম অত্যন্ত ভয়াবহ। এরূপ ব্যক্তি জান্নাতে প্রবেশের সুযোগ পাবে না। হাদীসে এসেছে-
ইবনু আব্বাস (রাযিয়াল্লাহু আনহুমা) বলেন, রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বলেছেন, ‘শেষ যামানায় এমন কতক লোক হবে, যারা কবুতরের বুকের মত কালো খিযাব (কলপ বা কালো রং) লাগাবে, তারা জান্নাতের গন্ধও পাবে না’।[৮]
শেষ যামানার মানুষ কালো কলপ দিয়ে নিজেদের চুল-দাড়ি কবুতরের বুকের মত কালো কুচকুচে করে রাখবে। এমন ভয়াবহ ইঙ্গিত নবী করীম (ﷺ) বহু পূর্বেই দিয়েছেন। আর বর্তমানে হচ্ছেও তাই। সেলুনগুলোতে গেলে প্রায় দেখা যায় কেউ না কেউ কালো কলপ চুলে লাগিয়ে নিচ্ছে। অথচ এরূপ কালো রং লাগানোর পরিণতি অত্যন্ত ভয়ংকর। যারা কালো রং দ্বারা চুল বা দাড়ি রঙিন করে তারা জান্নাতের সুগন্ধি পর্যন্ত পাবে না। জান্নাতে যাওয়া তো দূরের কথা তার ঘ্রাণও তাদের ভাগ্যে জুটবে না। অথচ জান্নাতে সুঘ্রাণ বহু দূরের পথ হতে পাওয়া যাবে। তাই এরূপ নিষিদ্ধ ও জঘন্য কাজ পরিহার করা প্রয়োজন।
ইবনু মাজাহতে স্ত্রীকে সন্তুষ্ট করা এবং শত্রুর হৃদয়ে ভীতি সঞ্চার করার জন্য কালো খেযাব ব্যবহার করা সম্পর্কে বর্ণিত হাদীসটি ‘মুনকার’ ও ‘যঈফ’।[৯]
এছাড়া ওমর, আলী, হাসান, হুসাইন, সা‘দ ইবনু আবী ওয়াক্বাছ, ওছমান, মুগীরা ইবনু শু‘বা (রাযিয়াল্লাহু আনহুম) প্রমুখ কালো কলপ ব্যবহার করতেন মর্মে যেসকল বর্ণনা এসেছে তার সবগুলো যঈফ ও মুনকার।[১০]
প্রখ্যাত তাবেঈ আত্বা (রাহিমাহুল্লাহ) বলেন, ‘আমি রাসূলুল্লাহ (ﷺ)-এর কোন সাহাবীকে কালো কলপ লাগাতে দেখিনি। বরং তারা হলুদ মেহেদী দ্বারা খেযাব লাগাতেন।[১১]
তবে বর্তমান সময়ে উষ্ণ আবহাওয়ার কারণে অপ্রাপ্ত বয়সেও চুল পেকে যাচ্ছে। এর জন্য চিকিৎসা নেয়া যেতে পারে। কিন্তু কালো রং দ্বারা কলপ করা বৈধ হবে না। কেননা কালো কলপ ব্যবহারের বিষয়ে কঠিন হুঁশিয়ারী প্রদান করা হয়েছে। উষ্ণ আবহাওয়া কিংবা হরমন জনিত কারণে অপ্রাপ্ত বয়সে কারো চুল পেকে গেলে কিছু বিদ্বান কালো কলপ করার পক্ষে মতামত দিয়েছেন। কিন্তু তারা তাদের সপক্ষে কোন শক্তিশালী দলীল পেশ করতে পারেননি। স্রেফ মনীষীদের উদ্ধৃতি ও বিশ্লেষণ পেশ করেই ক্ষ্যান্ত হয়েছেন। যেহেতু কালো কলপ ব্যবহারের নিষেধাজ্ঞাটি চূড়ান্ত ও ভয়াবহ শাস্তির ঘোষণাও বিধৃত হয়েছে। সেহেতু ব্যক্তি বিষেশের উপর কালো কলপ ব্যবহারের বৈধতাটি সুস্পষ্ট নছ বা দলীল ভিত্তিক হওয়া বাঞ্ছনীয়। কেননা এরূপ ব্যক্তিদের ক্ষেত্রে কালো কলপ ব্যবহার করা যরূরী কোন বিষয় নয়। কিন্তু যদি তা চূড়ান্ত নিষেধাজ্ঞার মধ্যে পড়ে যায় তবে কঠিন ভয়াবহতার শিকারে পরিণত হবে।
সুধী পাঠক! নিষিদ্ধ জিনিসের প্রতি মানুষের আকর্ষণ একটু বেশিই থাকে। ঠিক হয়েছেও তাই। কালো কলপ বা রং ব্যতীত অন্য রং চুল-দাড়িতে ব্যবহার করার সুযোগ ইসলামে রাখা হয়েছে। অথচ ঐ কালো কলপ বা রং-এর প্রতিই মানুষের আগ্রহ বেশি। কালো রং চুল-দাড়িতে লাগালে মূলত অন্যদেরকে বয়সের ব্যপারে ধোঁকা দেয়া যায়। যা প্রতারণার শামিল। মেহেদী বা কালো ব্যতীত অন্য রং লাগালে এমন ধোঁকায় কেউ পড়ে না। তাই কালো নয় বরং মেহেদী রংয়ে চুল বা দাড়ি রাঙাতে হবে। তাছাড়া ইসলামে ধোঁকা বা প্রতারণাকে নিষেধ করা হয়েছে। যেমন রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বলেছেন,
‘যে ব্যক্তি আমাদেরকে ধোঁকা দেয় সে আমাদের দলভুক্ত নয়। ধোঁকাবাজ ও প্রতারক (চালবাজ) জাহান্নামে যাবে’।[১২]
আরেকটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হচ্ছে- পাকা চুল ও পাকা দাড়ি মুমিনের জন্য কল্যাণের। যা উজ্জ্বল জ্যোতি হিসাবে পরিগণিত হবে। যা একাধিক সহীহ হাদীস দ্বারা প্রমাণিত। যেমনটি হাদীসে বর্ণিত হয়েছে-
আমর ইবনু শো‘আইব তাঁর পিতা হতে তিনি তাঁর দাদা হতে বর্ণনা করে বলেন, রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বলেছেন, তোমরা সাদা চুলগুলো তুলে ফেল না। কেননা তা মুসলিমের জন্য নূর। ইসলামের মধ্যে থাকা অবস্থায় যে ব্যক্তির একটি পশম সাদা হবে, আল্লাহ তা‘আলা তার জন্য একটি নেকী লিপিবদ্ধ করবেন এবং তার একটি গুনাহু মাফ করবেন এবং তার একটি মর্যাদা বৃদ্ধি করবেন।[১৩]
কা‘ব ইবনু মুররাহ (রাযিয়াল্লাহু আনহু) হতে বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বলেছেন, যে ব্যক্তি ইসলামের মধ্যে থাকাবস্থায় বৃদ্ধ হয়েছে তার এই বার্ধক্য ক্বিয়ামতের দিন তার জন্য নূর হবে।[১৪]
এক্ষণে লক্ষণীয় বিষয় হল, সাদা চুল বা দাড়িতে কালো রং দিলে বুঝার কোন উপায় থাকে না যে তা পেকে গেছে। পক্ষান্তরে মেহেদী বা অন্য কোন রং দ্বারা রঞ্জিত করলে তা সুস্পষ্টই বুঝা যায় যে তা পেকে গেছে। বিধায় চুল বা দাড়ি পেকে গেলে কালো রং করাও যাবে না। আবার তা উপড়িয়েও ফেলা যাবে না।
উল্লেখ্য যে, আরবদের মধ্যে প্রথম কালো কলপ ব্যবহার করেন রাসূল (ﷺ)-এর দাদা আব্দুল মুত্ত্বালিব। আর সাধারণভাবে প্রথম কালো কলপ ব্যবহার করে ফেরাঊন।[১৫]
সুতরাং কালো কলপ ব্যবহারের জাহেলী ও ফেরাঊনী সুন্নাত পরিহার করা মুসলিমদের জন্য অপরিহার্য কর্তব্য। আল্লাহ আমাদের সঠিক বুঝ দান করুন-আমীন!!
তথ্যসূত্র :
[১]. সহীহ বুখারী, হা/৩৪৬২; সহীহ মুসলিম, হা/২১০৩; আবূ দাঊদ, হা/৪২০৩; নাসাঈ, হা/৫২৪১; ইবনু মাজাহ, হা/৩৬২১; মুসনাদে আহমাদ, হা/৭২৭২; মিশকাত, হা/৪৪২৩।
[২]. তিরমিযী, হা/১৭৫২; নাসাঈ, হা/৫০৭৩; মিশকাত, হা/৪৪৫৫, সনদ সহীহ।
[৩]. আবূ দাঊদ, হা/৪২০৫; তিরমিযী, হা/১৭৫৩; নাসাঈ, হা/৫০৭৮; ইবনু মাজাহ, হা/২৬২২; মুসনাদে আহমাদ, হা/২১৩৪৫; মিশকাত, হা/৪৪৫১, সনদ সহীহ।
[৪]. আবূ দাঊদ, হা/৪২১০; নাসাঈ, হা/৫২৪৪; মিশকাত, হা/৪৪৫৩, সনদ সহীহ।
[৫]. সহীহ বুখারী, হা/৩৯২০; সহীহ মুসলিম, হা/২৩৪১; মিশকাত, হা/৪৪৭৮।
[৬]. সহীহ বুখারী, হা/৫৮৯৭; বায়হাক্বী, সুনানুল কুবরা, হা/১৪৫৯৪; মিশকাত, হা/৪৪৮০।
[৭]. সহীহ মুসলিম, হা/২১০২; আবূ দাঊদ, হা/৪২০৪; নাসাঈ, হা/৫০৭৬; সহীহ ইবনু হিব্বান, হা/৫৪৭১; মিশকাত, হা/৪৪২৪।
[৮]. আবূ দাঊদ, হা/৪২১২; নাসাঈ, হা/৫০৭৫; মুসনাদে আহমাদ, হা/২৪৭০; বায়হাক্বী, শু‘আবুল ঈমান, হা/৬৪১৪; ত্বাবারাণী, আল-মু‘জামুল কাবীর, হা/১২২৫৪; মুসনাদু আবী ইয়ালা, হা/২৬০৩; সহীহুল জামে‘, হা/৮১৫৩; সহীহ আত-তারগীব ওয়াত তারহীব, হা/২০৯৭; মিশকাত, হা/৪৪৫২, সনদ সহীহ।
[৯]. যইফ ইবনু মাজাহ, হা/৭২৯; সিলসিলা যঈফা, হা/২৯৭২।
[১০]. হাফেয ইবনুল ক্বাইয়িম, তাহযীবুস সুনান, ২য় খণ্ড, পৃ. ২৮৪।
[১১]. মুছান্নাফ ইবনু আবী শাযবাহ, হা/২৫৫২৪।
[১২]. সহীহ ইবনু হিব্বান, হা/৫৬৭, ৫৫৫৯; ত্বাবারাণী, আল-মু‘জামুল কাবীর, হা/১০০৮৬; সহীহুল জামে, হা/৬৪০৮; সিলসিলা সহীহাহ, হা/১০৫৮; সহীহ আত-তারগীব ওয়াত তারহীব, হা/১৭৬৮, সনদ সহীহ
[১৩]. আবূ দাঊদ, হা/৪২০২, সনদ হাসান; মিশকাত, হা/৪৪৫৮।
[১৪]. তিরমিযী, হা/১৬৩৪; নাসাঈ, হা/৩১৪৪, সনদ সহীহ; মিশকাত, হা/৪৪৫৯।
[১৫]. ফাৎহুল বারী, ১০ম খণ্ড, পৃ. ৪৩৫; সহীহ বুখারীর ৫৮৯৯ নং হাদীসের ব্যাখ্যা দ্রষ্টব্য।
عَنْ أَبِى هُرَيْرَةَ رَضِىَ اللهُ عَنْهُ أَنَّ النَّبِىَّ ﷺ قَالَ إِنَّ الْيَهُوْدَ وَالنَّصَارَى لَا يَصْبُغُوْنَ فَخَالِفُوْهُمْ
আবূ হুরায়রা (রাযিয়াল্লাহু আনহু) হতে বর্ণিত, নবী (ﷺ) বলেছেন, ‘ইয়াহুদী ও খ্রীষ্টান খিযাব বা কলপ লাগায় না। অতএব তোমরা তাদের বিপরীত করবে’।[১]
অন্য এক বর্ণনায় রয়েছে- غَيِّرُوا الشَّيْبَ ‘তোমরা বার্ধক্যকে পরিবর্তন করে দাও’।[২]
হাদীসের দৃষ্টিতে বৃদ্ধদের পাকা চুল বা দাড়ি সাদা না রেখে রাঙিয়ে রাখতে হবে। কেননা ইয়াহুদী-খ্রীষ্টানরা তাদের পাকা চুল সাদা করে রাখে। রাসূলুল্লাহ (ﷺ) তাদের বিরোধিতা করতে বলেছেন। পাকা চুল সাদা না রেখে কালো ব্যতীত অন্য রং দিয়ে রঞ্জিত করতে নির্দেশ দিয়েছেন।
পাকা দাড়ি বা চুলে মেহেদী ব্যবহার করা উত্তম
বৃদ্ধ বয়সে পাকা দাড়ি বা চুল সাদা না রেখে মেহেদী দিয়ে রঙিন করাই উত্তম। কেননা রাসূল (ﷺ)-এর প্রতিটি নির্দেশনার মধ্যেই মুসলিম জাতির জন্য কল্যাণ রয়েছে। এ ক্ষেত্রে মেহেদী রং করায় অধিক পসন্দনীয়। হাদীসে এসেছে-
عَنْ أَبِىْ ذَرٍّ رَضِىَ اللهُ عَنْهُ قَالَ قَالَ رَسُوْلُ اللهِ ﷺ إِنَّ أَحْسَنَ مَا غُيِّرَ بِهِ هَذَا الشَّيْبُ الْحِنَّاءُ وَالْكَتَمُ
আবূ যার গেফারী (রাযিয়াল্লাহু আনহু) হতে বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বলেছেন, ‘বার্ধক্যকে পরিবর্তন করার জন্য সবচাইতে উত্তম বস্তু হল মেহেদী ও কতম (ঘাস)’।[৩] অপর এক হাদীসে বর্ণিত হয়েছে-
عَنِ ابْنِ عُمَرَ رَضِىَ اللهُ عَنْهُمَا أَنَّ النَّبِىَّ ﷺ كَانَ يَلْبَسُ النِّعَالَ السِّبْتِيَّةَ وَيُصَفِّرُ لِحْيَتَهُ بِالْوَرْسِ وَالزَّعْفَرَانِ وَكَانَ ابْنُ عُمَرَ يَفْعَلُ ذَلِكَ
ইবনু ওমর (রাযিয়াল্লাহু আনহুমা) বলেন, রাসূলুল্লাহ (ﷺ) সিবতি চামড়ার জুতা পরতেন এবং ওর্য়াস ঘাস ও জা‘ফরান দ্বারা নিজের দাড়িকে হলুদ রঙ্গে রঞ্জিত করতেন। ইবনু ওমর (রাযিয়াল্লাহু আনহুমা)ও অনুরূপ করতেন।[৪] অন্য আরেক হাদীসে বর্ণিত হয়েছে-
وَقَدِ اخْتَضَبَ أَبُوْ بَكْرٍ بِالْحِنَّاءِ وَالْكَتَمِ وَاخْتَضَبَ عُمَرُ بِالْحِنَّاءِ بَحْتًا
আবূ বকর (রাযিয়াল্লাহু আনহু) মেহেদী ও কাতাম ঘাস মিশ্রিত কলপ লাগিয়েছেন। আর ওমর (রাযিয়াল্লাহু আনহু) শুধু মেহেদীর কলপ লগিয়েছেন।[৫]
একদা উম্মু সালামা (রাযিয়াল্লাহু আনহা) রাসূলুল্লাহ (ﷺ)-এর (তাঁর মৃত্যুর পর) এক গোছা চুল বের করে জনৈক সাহাবীকে দেখিয়েছিলেন। যেগুলো মেহেদী দ্বারা রং করা ছিল।[৬]
রাসূলুল্লাহ (ﷺ) স্বীয় সাদা চুল ও দাড়িতে মেহেদী ও কতম নামক ঘাসের মিশ্রিত রং দ্বারা রঙিন করতেন। আর এই মেহেদী রঙে রঞ্জিত করাকে তিনি উত্তম হিসাবে আখ্যা দেন। ফলে সাহাবীগণও মেহেদী দ্বারা তাদের পাকা চুল ও দাড়ি রঙিন করতেন। তবে তাদের কেউ কেউ মেহেদীর সাথে কতম ঘাস মিশিয়ে নিতেন। এতে করে মেহেদীর রং খুব গাড় আকার ধারণ করত। ফলে কেউ চাইলে মেহেদী রং গাড় বা অধিক সুন্দর করার জন্য মেহেদীর সাথে অন্য কোন বৈধ জিনিস মিশাতে পারে। যা হাদীসে ইঙ্গিত পাওয়া যায়।
কালো কলপ ব্যবহার করা নিষিদ্ধ
যে কোন মুসলিম তার পাকা চুল ও দাড়িতে মেহেদী বা হলদে জাতীয় রং লাগাতে পারে। তবে কালো রং লাগানো ইসলামে হারাম করা হয়েছে।
عَنْ جَابِرِ بْنِ عَبْدِ اللهِ رَضِىَ اللهُ عَنْهُمَا قَالَ أُتِىَ بِأَبِىْ قُحَافَةَ يَوْمَ فَتْحِ مَكَّةَ وَرَأْسُهُ وَلِحْيَتُهُ كَالثَّغَامَةِ بَيَاضًا فَقَالَ رَسُوْلُ اللهِ ﷺ غَيِّرُوْا هَذَا بِشَىْءٍ وَاجْتَنِبُوا السَّوَادَ
জাবির ইবনু আব্দুল্লাহ (রাযিয়াল্লাহু আনহুমা) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, মক্কা বিজয়ের দিন আবূ বকর ছিদ্দীক (রাযিয়াল্লাহু আনহু)-এর পিতা আবূ কুহাফাকে নবী (ﷺ)-এর কাছে নিয়ে আসা হল। তার দাড়ি ও মাথার চুল সাগামা ঘাসের মত (ধবধবে) সাধা ছিল। রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বললেন, ‘চুলের এই রং কিছু দিয়ে পরিবর্তন কর এবং কালো (রং) পরিহার (বর্জন) কর’।[৭]
কালো রং ব্যতীত অন্য রং দিয়ে সাদা চুল ও দাড়ি রঙিন করা বৈধ। বরং রঙিয়ে রাখাই উত্তম। তবে সাবধান চুল-দাড়িতে কালো কলপ বা খেযাব লাগানো যাবে না। কালো কলপ বা রং লাগাতে রাসূলুল্লাহ (ﷺ) নিষেধ করেছেন। কালো কলপ বা রং চুল-দাড়িতে লাগানো সরাসরি হারাম। যা কোন মুসলিম লাগাতে পারে না। বর্তমানে যেভাবে মানুষ কালো কলপ ব্যবহার করছে তা ভয়ংকর ব্যাপার। তাদের সত্বর সাবধান হওয়া উচিত। তারা সরাসরি রাসূলুল্লাহ (ﷺ)-এর বিরুদ্ধাচরণ করছে। যা তাদের জন্য ক্ষতির কারণ হয়ে দাঁড়াবে।
কালো কলপ ব্যবহারকারী জান্নাতে যাবে না
পাকা চুল বা দাড়িতে কালো কলপ ব্যবহারকারীর শেষ পরিণাম অত্যন্ত ভয়াবহ। এরূপ ব্যক্তি জান্নাতে প্রবেশের সুযোগ পাবে না। হাদীসে এসেছে-
عَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ رَضِىَ اللهُ عَنْهُمَا قَالَ قَالَ رَسُوْلُ اللهِ ﷺ يَكُوْنُ قَوْمٌ يَخْضِبُوْنَ فِىْ آخِرِ الزَّمَانِ بِالسَّوَادِ كَحَوَاصِلِ الْحَمَامِ لاَ يَرِيحُوْنَ رَائِحَةَ الْجَنَّةِ
ইবনু আব্বাস (রাযিয়াল্লাহু আনহুমা) বলেন, রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বলেছেন, ‘শেষ যামানায় এমন কতক লোক হবে, যারা কবুতরের বুকের মত কালো খিযাব (কলপ বা কালো রং) লাগাবে, তারা জান্নাতের গন্ধও পাবে না’।[৮]
শেষ যামানার মানুষ কালো কলপ দিয়ে নিজেদের চুল-দাড়ি কবুতরের বুকের মত কালো কুচকুচে করে রাখবে। এমন ভয়াবহ ইঙ্গিত নবী করীম (ﷺ) বহু পূর্বেই দিয়েছেন। আর বর্তমানে হচ্ছেও তাই। সেলুনগুলোতে গেলে প্রায় দেখা যায় কেউ না কেউ কালো কলপ চুলে লাগিয়ে নিচ্ছে। অথচ এরূপ কালো রং লাগানোর পরিণতি অত্যন্ত ভয়ংকর। যারা কালো রং দ্বারা চুল বা দাড়ি রঙিন করে তারা জান্নাতের সুগন্ধি পর্যন্ত পাবে না। জান্নাতে যাওয়া তো দূরের কথা তার ঘ্রাণও তাদের ভাগ্যে জুটবে না। অথচ জান্নাতে সুঘ্রাণ বহু দূরের পথ হতে পাওয়া যাবে। তাই এরূপ নিষিদ্ধ ও জঘন্য কাজ পরিহার করা প্রয়োজন।
ইবনু মাজাহতে স্ত্রীকে সন্তুষ্ট করা এবং শত্রুর হৃদয়ে ভীতি সঞ্চার করার জন্য কালো খেযাব ব্যবহার করা সম্পর্কে বর্ণিত হাদীসটি ‘মুনকার’ ও ‘যঈফ’।[৯]
এছাড়া ওমর, আলী, হাসান, হুসাইন, সা‘দ ইবনু আবী ওয়াক্বাছ, ওছমান, মুগীরা ইবনু শু‘বা (রাযিয়াল্লাহু আনহুম) প্রমুখ কালো কলপ ব্যবহার করতেন মর্মে যেসকল বর্ণনা এসেছে তার সবগুলো যঈফ ও মুনকার।[১০]
প্রখ্যাত তাবেঈ আত্বা (রাহিমাহুল্লাহ) বলেন, ‘আমি রাসূলুল্লাহ (ﷺ)-এর কোন সাহাবীকে কালো কলপ লাগাতে দেখিনি। বরং তারা হলুদ মেহেদী দ্বারা খেযাব লাগাতেন।[১১]
তবে বর্তমান সময়ে উষ্ণ আবহাওয়ার কারণে অপ্রাপ্ত বয়সেও চুল পেকে যাচ্ছে। এর জন্য চিকিৎসা নেয়া যেতে পারে। কিন্তু কালো রং দ্বারা কলপ করা বৈধ হবে না। কেননা কালো কলপ ব্যবহারের বিষয়ে কঠিন হুঁশিয়ারী প্রদান করা হয়েছে। উষ্ণ আবহাওয়া কিংবা হরমন জনিত কারণে অপ্রাপ্ত বয়সে কারো চুল পেকে গেলে কিছু বিদ্বান কালো কলপ করার পক্ষে মতামত দিয়েছেন। কিন্তু তারা তাদের সপক্ষে কোন শক্তিশালী দলীল পেশ করতে পারেননি। স্রেফ মনীষীদের উদ্ধৃতি ও বিশ্লেষণ পেশ করেই ক্ষ্যান্ত হয়েছেন। যেহেতু কালো কলপ ব্যবহারের নিষেধাজ্ঞাটি চূড়ান্ত ও ভয়াবহ শাস্তির ঘোষণাও বিধৃত হয়েছে। সেহেতু ব্যক্তি বিষেশের উপর কালো কলপ ব্যবহারের বৈধতাটি সুস্পষ্ট নছ বা দলীল ভিত্তিক হওয়া বাঞ্ছনীয়। কেননা এরূপ ব্যক্তিদের ক্ষেত্রে কালো কলপ ব্যবহার করা যরূরী কোন বিষয় নয়। কিন্তু যদি তা চূড়ান্ত নিষেধাজ্ঞার মধ্যে পড়ে যায় তবে কঠিন ভয়াবহতার শিকারে পরিণত হবে।
সুধী পাঠক! নিষিদ্ধ জিনিসের প্রতি মানুষের আকর্ষণ একটু বেশিই থাকে। ঠিক হয়েছেও তাই। কালো কলপ বা রং ব্যতীত অন্য রং চুল-দাড়িতে ব্যবহার করার সুযোগ ইসলামে রাখা হয়েছে। অথচ ঐ কালো কলপ বা রং-এর প্রতিই মানুষের আগ্রহ বেশি। কালো রং চুল-দাড়িতে লাগালে মূলত অন্যদেরকে বয়সের ব্যপারে ধোঁকা দেয়া যায়। যা প্রতারণার শামিল। মেহেদী বা কালো ব্যতীত অন্য রং লাগালে এমন ধোঁকায় কেউ পড়ে না। তাই কালো নয় বরং মেহেদী রংয়ে চুল বা দাড়ি রাঙাতে হবে। তাছাড়া ইসলামে ধোঁকা বা প্রতারণাকে নিষেধ করা হয়েছে। যেমন রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বলেছেন,
مَنْ غَشَّنَا فَلَيْسَ مِنَّا وَالْمَكْرُ وَالْخِدَاعُ فِي النَّارِ
‘যে ব্যক্তি আমাদেরকে ধোঁকা দেয় সে আমাদের দলভুক্ত নয়। ধোঁকাবাজ ও প্রতারক (চালবাজ) জাহান্নামে যাবে’।[১২]
আরেকটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হচ্ছে- পাকা চুল ও পাকা দাড়ি মুমিনের জন্য কল্যাণের। যা উজ্জ্বল জ্যোতি হিসাবে পরিগণিত হবে। যা একাধিক সহীহ হাদীস দ্বারা প্রমাণিত। যেমনটি হাদীসে বর্ণিত হয়েছে-
عَنْ عَمْرِو بْنِ شُعَيْبٍ عَنْ أَبِيْهِ عَنْ جَدِّهِ قَالَ قَالَ رَسُوْلُ اللهِ ﷺ لَا تَنْتِفُوا الشَّيْبَ فَإِنَّهُ نُوْرُ الْمُسْلِمِ مَنْ شَابَ شَيْبَةً فِي الْإِسْلَامِ كَتَبَ اللهُ لَهُ بِهَا حَسَنَةً وَكَفَّرَ عَنْهُ بِهَا خَطِيْئَةً وَرَفَعَهُ بِهَا دَرَجَةً
আমর ইবনু শো‘আইব তাঁর পিতা হতে তিনি তাঁর দাদা হতে বর্ণনা করে বলেন, রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বলেছেন, তোমরা সাদা চুলগুলো তুলে ফেল না। কেননা তা মুসলিমের জন্য নূর। ইসলামের মধ্যে থাকা অবস্থায় যে ব্যক্তির একটি পশম সাদা হবে, আল্লাহ তা‘আলা তার জন্য একটি নেকী লিপিবদ্ধ করবেন এবং তার একটি গুনাহু মাফ করবেন এবং তার একটি মর্যাদা বৃদ্ধি করবেন।[১৩]
عَنْ كَعْبِ بْنِ مُرَّةَ رَضِىَ اللهُ عَنْهُ عَنْ رَسُوْلِ اللهِ ﷺ قَالَ مَنْ شَابَ شَيْبَةً فِي الْإِسْلَامِ كَانَتْ لَهُ نُورًا يَوْمَ الْقِيَامَةِ
কা‘ব ইবনু মুররাহ (রাযিয়াল্লাহু আনহু) হতে বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বলেছেন, যে ব্যক্তি ইসলামের মধ্যে থাকাবস্থায় বৃদ্ধ হয়েছে তার এই বার্ধক্য ক্বিয়ামতের দিন তার জন্য নূর হবে।[১৪]
এক্ষণে লক্ষণীয় বিষয় হল, সাদা চুল বা দাড়িতে কালো রং দিলে বুঝার কোন উপায় থাকে না যে তা পেকে গেছে। পক্ষান্তরে মেহেদী বা অন্য কোন রং দ্বারা রঞ্জিত করলে তা সুস্পষ্টই বুঝা যায় যে তা পেকে গেছে। বিধায় চুল বা দাড়ি পেকে গেলে কালো রং করাও যাবে না। আবার তা উপড়িয়েও ফেলা যাবে না।
উল্লেখ্য যে, আরবদের মধ্যে প্রথম কালো কলপ ব্যবহার করেন রাসূল (ﷺ)-এর দাদা আব্দুল মুত্ত্বালিব। আর সাধারণভাবে প্রথম কালো কলপ ব্যবহার করে ফেরাঊন।[১৫]
সুতরাং কালো কলপ ব্যবহারের জাহেলী ও ফেরাঊনী সুন্নাত পরিহার করা মুসলিমদের জন্য অপরিহার্য কর্তব্য। আল্লাহ আমাদের সঠিক বুঝ দান করুন-আমীন!!
তথ্যসূত্র :
[১]. সহীহ বুখারী, হা/৩৪৬২; সহীহ মুসলিম, হা/২১০৩; আবূ দাঊদ, হা/৪২০৩; নাসাঈ, হা/৫২৪১; ইবনু মাজাহ, হা/৩৬২১; মুসনাদে আহমাদ, হা/৭২৭২; মিশকাত, হা/৪৪২৩।
[২]. তিরমিযী, হা/১৭৫২; নাসাঈ, হা/৫০৭৩; মিশকাত, হা/৪৪৫৫, সনদ সহীহ।
[৩]. আবূ দাঊদ, হা/৪২০৫; তিরমিযী, হা/১৭৫৩; নাসাঈ, হা/৫০৭৮; ইবনু মাজাহ, হা/২৬২২; মুসনাদে আহমাদ, হা/২১৩৪৫; মিশকাত, হা/৪৪৫১, সনদ সহীহ।
[৪]. আবূ দাঊদ, হা/৪২১০; নাসাঈ, হা/৫২৪৪; মিশকাত, হা/৪৪৫৩, সনদ সহীহ।
[৫]. সহীহ বুখারী, হা/৩৯২০; সহীহ মুসলিম, হা/২৩৪১; মিশকাত, হা/৪৪৭৮।
[৬]. সহীহ বুখারী, হা/৫৮৯৭; বায়হাক্বী, সুনানুল কুবরা, হা/১৪৫৯৪; মিশকাত, হা/৪৪৮০।
[৭]. সহীহ মুসলিম, হা/২১০২; আবূ দাঊদ, হা/৪২০৪; নাসাঈ, হা/৫০৭৬; সহীহ ইবনু হিব্বান, হা/৫৪৭১; মিশকাত, হা/৪৪২৪।
[৮]. আবূ দাঊদ, হা/৪২১২; নাসাঈ, হা/৫০৭৫; মুসনাদে আহমাদ, হা/২৪৭০; বায়হাক্বী, শু‘আবুল ঈমান, হা/৬৪১৪; ত্বাবারাণী, আল-মু‘জামুল কাবীর, হা/১২২৫৪; মুসনাদু আবী ইয়ালা, হা/২৬০৩; সহীহুল জামে‘, হা/৮১৫৩; সহীহ আত-তারগীব ওয়াত তারহীব, হা/২০৯৭; মিশকাত, হা/৪৪৫২, সনদ সহীহ।
[৯]. যইফ ইবনু মাজাহ, হা/৭২৯; সিলসিলা যঈফা, হা/২৯৭২।
[১০]. হাফেয ইবনুল ক্বাইয়িম, তাহযীবুস সুনান, ২য় খণ্ড, পৃ. ২৮৪।
[১১]. মুছান্নাফ ইবনু আবী শাযবাহ, হা/২৫৫২৪।
[১২]. সহীহ ইবনু হিব্বান, হা/৫৬৭, ৫৫৫৯; ত্বাবারাণী, আল-মু‘জামুল কাবীর, হা/১০০৮৬; সহীহুল জামে, হা/৬৪০৮; সিলসিলা সহীহাহ, হা/১০৫৮; সহীহ আত-তারগীব ওয়াত তারহীব, হা/১৭৬৮, সনদ সহীহ
[১৩]. আবূ দাঊদ, হা/৪২০২, সনদ হাসান; মিশকাত, হা/৪৪৫৮।
[১৪]. তিরমিযী, হা/১৬৩৪; নাসাঈ, হা/৩১৪৪, সনদ সহীহ; মিশকাত, হা/৪৪৫৯।
[১৫]. ফাৎহুল বারী, ১০ম খণ্ড, পৃ. ৪৩৫; সহীহ বুখারীর ৫৮৯৯ নং হাদীসের ব্যাখ্যা দ্রষ্টব্য।
-ড. ইমামুদ্দীন বিন আব্দুল বাছীর
* পরিচালক, ইয়াসিন আলী সালাফী মাদরাসা, রাজশাহী।
Last edited: