@Farhad Molla
হিজরী ৮ম শতাব্দীর মুজাদ্দিদ শাইখুল ইসলাম ইমাম তাক্বিউদ্দীন আবুল ‘আব্বাস আহমাদ বিন ‘আব্দুল হালীম বিন তাইমিয়্যাহ আল-হার্রানী আল-হাম্বালী (রাহিমাহুল্লাহ) [মৃত: ৭২৮ হি.] বলেছেন, আল্লাহ ও তাঁর রাসূল যাদের অভিসম্পাত করেছেন তাদের সকলকে অভিসম্পাত করা বৈধ, তবে নির্দিষ্ট লোকদের অভিসম্পাত করার ক্ষেত্রে যদি জানা যায় যে ব্যক্তি কুফরে মারা গেছে, তবে তার উপর অভিসম্পাত করা বৈধ। কিন্তু কোনো নির্দিষ্ট [মুসলিম] অন্যায়কারীর ব্যাপারে আমাদের তাকে অভিসম্পাত করা উচিত নয়, কারণ নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আবদুল্লাহ ইবনে হিমারকে অভিশাপ দিতে নিষেধ করেছেন,যিনি মদ পান করতেন, যদিও রাসূল (ﷺ) সাধারণভাবে মদ পানকারীদের অভিশাপ দিয়েছিলেন; তবে কোনো নির্দিষ্ট ব্যক্তিকে অভিশাপ দেওয়া সে যদি জালেম বা বিদ’আত প্রবর্তক হয় তা আলেমদের মধ্যে বিতর্কের বিষয় অর্থাৎ তাদের মধ্যে মতানৈক্য রয়েছে। (মাজমূঊল ফাতাওয়া ইবনু তাইমিয়্যাহ,খন্ড: ৬ পৃষ্ঠা: ৫১১)
.
সর্বোচ্চ ‘উলামা পরিষদের সম্মানিত সদস্য, বিগত শতাব্দীর অন্যতম শ্রেষ্ঠ ফাক্বীহ, মুহাদ্দিস, মুফাসসির ও উসূলবিদ, আশ-শাইখুল ‘আল্লামাহ, ইমাম মুহাম্মাদ বিন সালিহ আল-‘উসাইমীন (রাহিমাহুল্লাহ) [মৃত: ১৪২১ হি./২০০১ খ্রি.] বলেছেন, নির্দিষ্ট কোন ব্যক্তিকে অভিশাপ দেওয়া এবং সাধারণভাবে যারা পাপ করে তাদের অভিশাপ দেওয়ার মধ্যে পার্থক্য হল:প্রথমটি (অর্থাৎ একটি নির্দিষ্ট ব্যক্তিকে অভিশাপ দেওয়া) জায়েজ নয়। এবং পরেরটি (সাধারণভাবে পাপী লোকদের অভিশাপ) দেওয়া জায়েজ। সুতরাং আপনি যদি একজন উদ্ভাবককে (বিদআতি) দেখেন, আপনি বলবেন না, ‘আল্লাহ আপনাকে অভিসম্পাত করুন। বরং সাধারণ ভাবে বলুন, ‘যারা বিদআত প্রবর্তন করে তাদের ওপর আল্লাহর অভিশাপ’।এর প্রমাণ এই যে, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম যখন জাহেলিয়াতের মুশরিক ও তাদের অনুসারীদের মধ্যে কিছু লোককে অভিশাপ দিয়েছিলেন এবং বলেছিলেন: হে আল্লাহ! আপনি অমুক, অমুক এবং অমুকের উপর লানত বর্ষণ করুন। তখন আল্লাহ আয়াত অবতীর্ণ করলেন, এ বিষয়ে তোমার করণীয় কিছুই নেই, তিনি (আল্লাহ) তাদের তওবা কবুল করবেন,অথবা শাস্তি প্রদান করবেন। কারণ, তারা যালিম।(সূরাহ আলে ‘ইমরান ৩/১২৮ হাদীসটি ইমাম বুখারী বর্ননা করেছেন সহীহ বুখারী হা/৪০৬৯ উসামীন লিক্বাউল বাব আল-মাফতূহ,লিক্বা নং ১/২২৬)