প্রশ্ন: আল্লাহ তা‘আলার বাণী —
উত্তর: বিসমিল্লাহ ওয়াল হামদু লিল্লাহ। আয়াত ও হাদীস উভয়ের মাঝে কোন বিরোধ ও অসঙ্গতি নেই। কারণ, আল্লাহ তা‘আলা এমন বান্দাদের পছন্দ করেন যিনি মুত্তাকী, ধনী ও বিনয়ী। আল্লাহ তা‘আলা লৌকিকতা ও স্ব-প্রসংশাকে পছন্দ করেন না। যে ব্যক্তি কেবল আল্লাহর জন্য আমল করে থাকে, আমল যাতে কেবল আল্লাহর সন্তুষ্টির জন্য হয় সে জন্য চেষ্টা করে এবং সে যদি মুত্তাকীদের ইমাম হয় তাহলে সে পরিপূর্ণ ঈমানদার হলো এবং সে মানুষের জন্য অধিক উপকারকারী হলো।
সুতরাং, আল্লাহর নিকট মুত্তাকীদের ইমাম হওয়া কামনা করা, আল্লাহর কাছে দুআ করা এবং মুহসীনদের অন্তর্ভুক্ত হওয়ার মধ্যে এবং আল্লাহ তা‘আলা মুত্তাকী, ধনী ও গোপনীয় ব্যক্তিকে ভালোবাসেন এ দুইয়োর মধ্যে কোন বিরোধ বা অসঙ্গতি নেই। গোপনীয় ব্যক্তি মানে হলো যার মধ্যে লৌকিকতা নেই। আর যে ব্যক্তি মুত্তাকীদের ইমাম হওয়া এ উদ্দেশ্যে কামনা করে, সে তাদের উপকার করার উদ্দেশ্যে এ দো‘আ করেন, লোক দেখানো উদ্দেশ্য নয়। সে ব্যক্তি অবশ্যই আল্লাহর নিকট প্রিয় এবং মুহসীন। আল্লাহই ভালো জানেন।
﴿وَٱجۡعَلۡنَا لِلۡمُتَّقِينَ إِمَامًا ٧٤﴾ [الفرقان: ٧٤]
“আর আপনি আমাদেরকে মুত্তাকীদের নেতা বানিয়ে দিন’’। [সূরা আল-ফুরকান, আয়াত: ৭৪] তে দুআ করা এবং রাসেূলের অপর বাণী: اللهم اجعلني عبدا خفيا غنيا تقيا “হে আল্লাহ তুমি আমাকে গোপন বান্দা বানিয়ে দাও” ‘তে যে দুআ রয়েছে উভয়ের মধ্যে কোন বিরোধ ও অসঙ্গতি রয়েছে কিনা’?উত্তর: বিসমিল্লাহ ওয়াল হামদু লিল্লাহ। আয়াত ও হাদীস উভয়ের মাঝে কোন বিরোধ ও অসঙ্গতি নেই। কারণ, আল্লাহ তা‘আলা এমন বান্দাদের পছন্দ করেন যিনি মুত্তাকী, ধনী ও বিনয়ী। আল্লাহ তা‘আলা লৌকিকতা ও স্ব-প্রসংশাকে পছন্দ করেন না। যে ব্যক্তি কেবল আল্লাহর জন্য আমল করে থাকে, আমল যাতে কেবল আল্লাহর সন্তুষ্টির জন্য হয় সে জন্য চেষ্টা করে এবং সে যদি মুত্তাকীদের ইমাম হয় তাহলে সে পরিপূর্ণ ঈমানদার হলো এবং সে মানুষের জন্য অধিক উপকারকারী হলো।
সুতরাং, আল্লাহর নিকট মুত্তাকীদের ইমাম হওয়া কামনা করা, আল্লাহর কাছে দুআ করা এবং মুহসীনদের অন্তর্ভুক্ত হওয়ার মধ্যে এবং আল্লাহ তা‘আলা মুত্তাকী, ধনী ও গোপনীয় ব্যক্তিকে ভালোবাসেন এ দুইয়োর মধ্যে কোন বিরোধ বা অসঙ্গতি নেই। গোপনীয় ব্যক্তি মানে হলো যার মধ্যে লৌকিকতা নেই। আর যে ব্যক্তি মুত্তাকীদের ইমাম হওয়া এ উদ্দেশ্যে কামনা করে, সে তাদের উপকার করার উদ্দেশ্যে এ দো‘আ করেন, লোক দেখানো উদ্দেশ্য নয়। সে ব্যক্তি অবশ্যই আল্লাহর নিকট প্রিয় এবং মুহসীন। আল্লাহই ভালো জানেন।
শাইখ আব্দুল আযীয বিন বায (রাহি.)