হাদীস থেকে:-
১. আবদুল্লাহ ইবন উমার (রাদি.) থেকে বর্ণিত, রাসূল (সাঃ) বলেছেন, "বিতর হচ্ছে এক রাকআত শেষ রাতে।" [মুসলিম, হা. ৭৫২]
ইমাম নববী (রহঃ) বলেছেন, "এ থেকে প্রমাণ হয় যে, এক রাকআত বিতর পড়া বৈধ এবং তা শেষ রাতে পড়া মুস্তাহাব।" [শারহুন নববী আলা সহীহ মুসলিম: (৬/২৭৭)]
২. আবু আইয়ুব আল আনসারী (রাদি.) এর হাদীস, "যে এক রাকআত দ্বারা বিতর পড়তে চায়, সে যেন তাই করে।" [আবু দাউদ, হা. ১৪২২]
৩. আনাস ইবনু সীরীন (রহ.) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমি ইবনু ‘উমার (রাযি.)-কে বললাম, ফজরের পূর্বের দু’ রাকআতে আমি কিরাআত দীর্ঘ করব কি-না, এ সম্পর্কে আপনার অভিমত কী? তিনি বললেন, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম রাতে দু’ দু’ রাক‘আত করে সালাত আদায় করতেন এবং এক রাক‘আত বিতর আদায় করতেন।* অতঃপর ফজরের সালাতের পূর্বে তিনি দু’ রাক‘আত এমনভাবে আদায় করতেন যেন ইক্বামাত(ইকামত/একামত) এর শব্দ তাঁর কানে আসছে। রাবী হাম্মাদ (রহ.) বলেন, অর্থাৎ তাড়াতাড়ি। [বুখারী, হা. ৯৯৫]
৪. ইবনু ‘উমার (রাযি.) হতে বর্ণিত। এক ব্যক্তি নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম -এর নিকট রাতের সালাত সম্পর্কে জিজ্ঞেস করল। আল্লাহর রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেনঃ রাতের সালাত দু’ দু’ (রাক‘আত) করে। আর তোমাদের মধ্যে কেউ যদি ফজর হবার আশঙ্কা করে, সে যেন এক রাক‘আত সালাত আদায় করে নেয়। আর সে যে সালাত আদায় করল, তা তার জন্য বিতর হয়ে যাবে। [বুখারী, হা. ৯৯০; মুওয়াত্তা মালিক, হা. ১৩]
৫. আবদুল্লাহ ইবনু সা‘আলাবাহ ইবনু সু‘আইর, যার মাথায় (শিশুকালে) রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম হাত বুলিয়ে দিয়েছিলেন, তিনি বর্ণনা করেন যে, তিনি সা‘দ ইবনু আবূ ওয়াক্কাসকে বিতরের সালাত এক রাক‘আত আদায় করতে দেখেছেন। [বুখারী, হা. ৬৩৫৬; ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৫৮০৩]
৬. ইবনু আবূ মুলাইকাহ (রহ.) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, একবার মু‘আবিয়াহ (রাঃ) ‘ইশার সালাতের পর এক রাক‘আত বিতরের সালাত আদায় করেন। তখন তাঁর নিকট ইবনু ‘আব্বাসের আযাদকৃত গোলাম হাযির ছিলেন। তিনি ইবনু ‘আব্বাস (রাঃ)-এর নিকট ঘটনাটি বর্ণনা করেন, তখন ইবনু ‘আব্বাস (রাঃ) বললেন, তাঁকে কিছু বলোনা, কেননা, তিনি আল্লাহর রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর সাহচর্য লাভ করেছেন। [বুখারী, হা. ৩৭৬৪; ইসলামিক ফাউন্ডেশনঃ ৩৪৮৯]
বেশ কয়েকজন সাহাবী থেকে এক রাকআত বিতর সাব্যস্ত হয়েছে:-
১. আবু বকর রাদিআল্লাহু আনহু [মুসান্নাফ ইবনু আবি শায়বা ২/২৯৪]
২. উসমান ইবন আফফান রাদিআল্লাহু আনহু [মুসান্নাফ ইবনু আবি শায়বা ২/২৯৫]
৩. ইবন উমার রাদিআল্লাহু আনহু [মুসান্নাফ ইবনু আবি শায়বা ২/২৯৩]
৪. ইবন মাসউদ ও হুজায়ফা ইবনুল ইয়ামান রাদিআল্লাহু আনহুমা [মুসান্নাফ ইবনু আবি শায়বা ২/২৯৪]
বেশ কয়েকজন তাবেয়ী থেকেও এক রাকআত বিতর সাব্যস্ত হয়েছে:-
১. আতা ইবন আবী রাবাহ [মুসান্নাফ ইবনু আবি শায়বা ২/২৯৪]
২. আলে সা'দ ও আলে ইবন উমার [মুসান্নাফ ইবনু আবি শায়বা ২/২৯৪]
৩. মুআজ আল কারী [মুসান্নাফ ইবনু আবি শায়বা ২/২৯৪]
কৃতজ্ঞতায়- উমদাতুল আহকাম (প্রথম খন্ড), পৃঃ ২৬৪,২৬৫,২৬৬; সবুজপত্র পাবলিকেশন্স, ব্যাখ্যাকার- শাইখ ড. আবু বকর মুহাম্মদ যাকারিয়া
১. আবদুল্লাহ ইবন উমার (রাদি.) থেকে বর্ণিত, রাসূল (সাঃ) বলেছেন, "বিতর হচ্ছে এক রাকআত শেষ রাতে।" [মুসলিম, হা. ৭৫২]
ইমাম নববী (রহঃ) বলেছেন, "এ থেকে প্রমাণ হয় যে, এক রাকআত বিতর পড়া বৈধ এবং তা শেষ রাতে পড়া মুস্তাহাব।" [শারহুন নববী আলা সহীহ মুসলিম: (৬/২৭৭)]
২. আবু আইয়ুব আল আনসারী (রাদি.) এর হাদীস, "যে এক রাকআত দ্বারা বিতর পড়তে চায়, সে যেন তাই করে।" [আবু দাউদ, হা. ১৪২২]
৩. আনাস ইবনু সীরীন (রহ.) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমি ইবনু ‘উমার (রাযি.)-কে বললাম, ফজরের পূর্বের দু’ রাকআতে আমি কিরাআত দীর্ঘ করব কি-না, এ সম্পর্কে আপনার অভিমত কী? তিনি বললেন, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম রাতে দু’ দু’ রাক‘আত করে সালাত আদায় করতেন এবং এক রাক‘আত বিতর আদায় করতেন।* অতঃপর ফজরের সালাতের পূর্বে তিনি দু’ রাক‘আত এমনভাবে আদায় করতেন যেন ইক্বামাত(ইকামত/একামত) এর শব্দ তাঁর কানে আসছে। রাবী হাম্মাদ (রহ.) বলেন, অর্থাৎ তাড়াতাড়ি। [বুখারী, হা. ৯৯৫]
৪. ইবনু ‘উমার (রাযি.) হতে বর্ণিত। এক ব্যক্তি নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম -এর নিকট রাতের সালাত সম্পর্কে জিজ্ঞেস করল। আল্লাহর রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেনঃ রাতের সালাত দু’ দু’ (রাক‘আত) করে। আর তোমাদের মধ্যে কেউ যদি ফজর হবার আশঙ্কা করে, সে যেন এক রাক‘আত সালাত আদায় করে নেয়। আর সে যে সালাত আদায় করল, তা তার জন্য বিতর হয়ে যাবে। [বুখারী, হা. ৯৯০; মুওয়াত্তা মালিক, হা. ১৩]
৫. আবদুল্লাহ ইবনু সা‘আলাবাহ ইবনু সু‘আইর, যার মাথায় (শিশুকালে) রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম হাত বুলিয়ে দিয়েছিলেন, তিনি বর্ণনা করেন যে, তিনি সা‘দ ইবনু আবূ ওয়াক্কাসকে বিতরের সালাত এক রাক‘আত আদায় করতে দেখেছেন। [বুখারী, হা. ৬৩৫৬; ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৫৮০৩]
৬. ইবনু আবূ মুলাইকাহ (রহ.) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, একবার মু‘আবিয়াহ (রাঃ) ‘ইশার সালাতের পর এক রাক‘আত বিতরের সালাত আদায় করেন। তখন তাঁর নিকট ইবনু ‘আব্বাসের আযাদকৃত গোলাম হাযির ছিলেন। তিনি ইবনু ‘আব্বাস (রাঃ)-এর নিকট ঘটনাটি বর্ণনা করেন, তখন ইবনু ‘আব্বাস (রাঃ) বললেন, তাঁকে কিছু বলোনা, কেননা, তিনি আল্লাহর রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর সাহচর্য লাভ করেছেন। [বুখারী, হা. ৩৭৬৪; ইসলামিক ফাউন্ডেশনঃ ৩৪৮৯]
বেশ কয়েকজন সাহাবী থেকে এক রাকআত বিতর সাব্যস্ত হয়েছে:-
১. আবু বকর রাদিআল্লাহু আনহু [মুসান্নাফ ইবনু আবি শায়বা ২/২৯৪]
২. উসমান ইবন আফফান রাদিআল্লাহু আনহু [মুসান্নাফ ইবনু আবি শায়বা ২/২৯৫]
৩. ইবন উমার রাদিআল্লাহু আনহু [মুসান্নাফ ইবনু আবি শায়বা ২/২৯৩]
৪. ইবন মাসউদ ও হুজায়ফা ইবনুল ইয়ামান রাদিআল্লাহু আনহুমা [মুসান্নাফ ইবনু আবি শায়বা ২/২৯৪]
বেশ কয়েকজন তাবেয়ী থেকেও এক রাকআত বিতর সাব্যস্ত হয়েছে:-
১. আতা ইবন আবী রাবাহ [মুসান্নাফ ইবনু আবি শায়বা ২/২৯৪]
২. আলে সা'দ ও আলে ইবন উমার [মুসান্নাফ ইবনু আবি শায়বা ২/২৯৪]
৩. মুআজ আল কারী [মুসান্নাফ ইবনু আবি শায়বা ২/২৯৪]
কৃতজ্ঞতায়- উমদাতুল আহকাম (প্রথম খন্ড), পৃঃ ২৬৪,২৬৫,২৬৬; সবুজপত্র পাবলিকেশন্স, ব্যাখ্যাকার- শাইখ ড. আবু বকর মুহাম্মদ যাকারিয়া