Salafi
Salafi User
- Joined
- Nov 5, 2024
- Threads
- 31
- Comments
- 79
- Reactions
- 543
- Thread Author
- #1
আসসালামু আলাইকুম।
দলাদলি এবং দলীয় মনোভাব থেকে মুক্ত থাকা একজন শিক্ষার্থীর উপর আবশ্যক ৷ কেননা এর ফলে কোনো নির্দিষ্ট দলের সাথে বন্ধুত্ব এবং শত্রুতা সংঘটিত হয়। অতএব, কোনো সন্দেহ নেই যে, এটি সালাফে ছলিহগণের কর্মপন্থার বিপরীত। সালাফে ছলিহগণ বিভিন্ন দলে বিভক্ত নয়। বরং তারা সকলেই একটি দলে ঐক্যবদ্য। তারা সকলেই আল্লাহর একটি বাণীর ছায়াতলে একত্রিত হয়েছেন।
বাণীটি হলো,
“তিনি তোমাদের নাম দিয়েছেন মুসলিম”। সূরা আল-হজ্জ্; ২২:৭৮
সুতরাং কোন দলাদলি বা একাধিক ভাগে বিভক্ত হওয়ার সুযোগ নেই , কুরআন ও সুন্নাহতে যা এসেছে তা ব্যতীত কোন বন্ধুত্ব ও শত্রুতা নেই । অনেক মানুষ এমন আছে যারা - উদাহরণস্বরূপ- কোন একটি নির্দিষ্ট দলের সাথে জড়িয়ে পড়ে এর মানহাজকে স্বীকৃতি দেয় এবং তার পক্ষে এমন কিছু দলীল পেশ করে থাকে, যা মূলত তার বিরুদ্ধেই দলীল। (এরপর) সে এটার পক্ষে কথা বলে আর তার দলের বাইরের সবাইকে বিভ্রান্ত বলে মনে করে, যদিও অনেক সময় (যার বিরুদ্ধে বলা হচ্ছে) ঐ তার থেকে হক্কের নিকটবর্তী হয়ে থাকে। এই ব্যক্তি একটি মুললীতি গ্রহণ করে থাকে, তা হলঃ: যে আমার (দলের) সঙ্গে নেই সেই আমার বিরোধী ৷
এটি একটি জঘন্য মূলনীতি: কেননা তোমার পক্ষে এবং বিপক্ষের মধ্যেও একটি সম্পর্ক আছে। যখন হক্কের কারণে কেউ তোমার বিরোধী , সে যেন তোমার বিরোধীতা করার মাধ্যমেই প্রকৃতপক্ষে তোমার পক্ষে রয়েছে। কেননা নাবী সাল্লালাহু 'আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন:
"তোমার ভাইকে সাহায্য কর, হোক সে জালিম অথবা মজলুম"। -বুখারি ২৪৪৩
আর অত্যাচারী ব্যক্তিকে সাহায্য করার অর্থ হলো: অত্যাচার থেকে তাকে তোমার বাধা দেওয়া । অতএব , ইসলামে কোনো দলাদলী নেই। আর একারণেই যখন মুসলিমদের মাঝে বিভিন্ন দল প্রকাশিত হলো , মুসলিম উম্মাহ বিভিন্ন দলে বিভক্ত হলো. তাদের একজন আরেকজনকে পথভ্রষ্ট বলতে থাকলো এবং তার মুত ভাইয়ের গোশত খেতে থাকলো (গীবত করতে থাকলো): তখন তারা দুর্বল হয়ে পড়লো।
আল্লাহ তা'আলা বলেন,
“আর তোমরা পরমষ্পর দ্বন্দ্ব করো না, (যদি দ্বন্দ্ব কর) তাহলে তোমরা দুর্বল হয়ে পড়বে এবং তোমাদের শক্তি চলে যাবে” । সূরা আল-আন্ফাল ৮:৪৬
আমরা কোন কোন শিক্ষার্থীকে দেখতে পাই: যে শিক্ষার্থী শাইখগণের মধ্য থেকে কোন একজন শাইখ এর নিকটে থাকে। ন্যায় ও অন্যায় উভয়ের ক্ষেত্রেই সে এ শাইখ এর পক্ষ সমর্থন করে। আর অন্য শাইখ এর বিরোধিতা করে, অন্য শাইখকে পথভ্রষ্ট এবং বিদ'আতী বলে ৷ আর সে মনে করে যে. তার শাইখ হলেন জ্ঞানবান, সংশোধনকারী এবং অন্য শাইখ হলেন মুর্খ অথবা গোলযোগ সৃষ্টিকারী । এটি (ধারণাটি) একটি বড় ভুল ৷ বরং যার মত কুরআন-সুন্নাহু এবং রসূল দ্বল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এর ছাহাবাগণের মতের সাথে মিলে যাবে তার মত গ্রহণ করা আবশ্যক ।
দলাদলি এবং দলীয় মনোভাব থেকে মুক্ত থাকা একজন শিক্ষার্থীর উপর আবশ্যক ৷ কেননা এর ফলে কোনো নির্দিষ্ট দলের সাথে বন্ধুত্ব এবং শত্রুতা সংঘটিত হয়। অতএব, কোনো সন্দেহ নেই যে, এটি সালাফে ছলিহগণের কর্মপন্থার বিপরীত। সালাফে ছলিহগণ বিভিন্ন দলে বিভক্ত নয়। বরং তারা সকলেই একটি দলে ঐক্যবদ্য। তারা সকলেই আল্লাহর একটি বাণীর ছায়াতলে একত্রিত হয়েছেন।
বাণীটি হলো,
“তিনি তোমাদের নাম দিয়েছেন মুসলিম”। সূরা আল-হজ্জ্; ২২:৭৮
সুতরাং কোন দলাদলি বা একাধিক ভাগে বিভক্ত হওয়ার সুযোগ নেই , কুরআন ও সুন্নাহতে যা এসেছে তা ব্যতীত কোন বন্ধুত্ব ও শত্রুতা নেই । অনেক মানুষ এমন আছে যারা - উদাহরণস্বরূপ- কোন একটি নির্দিষ্ট দলের সাথে জড়িয়ে পড়ে এর মানহাজকে স্বীকৃতি দেয় এবং তার পক্ষে এমন কিছু দলীল পেশ করে থাকে, যা মূলত তার বিরুদ্ধেই দলীল। (এরপর) সে এটার পক্ষে কথা বলে আর তার দলের বাইরের সবাইকে বিভ্রান্ত বলে মনে করে, যদিও অনেক সময় (যার বিরুদ্ধে বলা হচ্ছে) ঐ তার থেকে হক্কের নিকটবর্তী হয়ে থাকে। এই ব্যক্তি একটি মুললীতি গ্রহণ করে থাকে, তা হলঃ: যে আমার (দলের) সঙ্গে নেই সেই আমার বিরোধী ৷
এটি একটি জঘন্য মূলনীতি: কেননা তোমার পক্ষে এবং বিপক্ষের মধ্যেও একটি সম্পর্ক আছে। যখন হক্কের কারণে কেউ তোমার বিরোধী , সে যেন তোমার বিরোধীতা করার মাধ্যমেই প্রকৃতপক্ষে তোমার পক্ষে রয়েছে। কেননা নাবী সাল্লালাহু 'আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন:
"তোমার ভাইকে সাহায্য কর, হোক সে জালিম অথবা মজলুম"। -বুখারি ২৪৪৩
আর অত্যাচারী ব্যক্তিকে সাহায্য করার অর্থ হলো: অত্যাচার থেকে তাকে তোমার বাধা দেওয়া । অতএব , ইসলামে কোনো দলাদলী নেই। আর একারণেই যখন মুসলিমদের মাঝে বিভিন্ন দল প্রকাশিত হলো , মুসলিম উম্মাহ বিভিন্ন দলে বিভক্ত হলো. তাদের একজন আরেকজনকে পথভ্রষ্ট বলতে থাকলো এবং তার মুত ভাইয়ের গোশত খেতে থাকলো (গীবত করতে থাকলো): তখন তারা দুর্বল হয়ে পড়লো।
আল্লাহ তা'আলা বলেন,
“আর তোমরা পরমষ্পর দ্বন্দ্ব করো না, (যদি দ্বন্দ্ব কর) তাহলে তোমরা দুর্বল হয়ে পড়বে এবং তোমাদের শক্তি চলে যাবে” । সূরা আল-আন্ফাল ৮:৪৬
আমরা কোন কোন শিক্ষার্থীকে দেখতে পাই: যে শিক্ষার্থী শাইখগণের মধ্য থেকে কোন একজন শাইখ এর নিকটে থাকে। ন্যায় ও অন্যায় উভয়ের ক্ষেত্রেই সে এ শাইখ এর পক্ষ সমর্থন করে। আর অন্য শাইখ এর বিরোধিতা করে, অন্য শাইখকে পথভ্রষ্ট এবং বিদ'আতী বলে ৷ আর সে মনে করে যে. তার শাইখ হলেন জ্ঞানবান, সংশোধনকারী এবং অন্য শাইখ হলেন মুর্খ অথবা গোলযোগ সৃষ্টিকারী । এটি (ধারণাটি) একটি বড় ভুল ৷ বরং যার মত কুরআন-সুন্নাহু এবং রসূল দ্বল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এর ছাহাবাগণের মতের সাথে মিলে যাবে তার মত গ্রহণ করা আবশ্যক ।
- শেখ সালেহ আল উসাইমিন রাঃ - কিতাবুল ইলম।