If you're in doubt ask الله.
Forum Staff
Moderator
Generous
ilm Seeker
Uploader
Exposer
HistoryLover
Q&A Master
Salafi User
ইলমুল কালাম’ ‘ইলমুল মানতিক' তথা দর্শনশাস্ত্র চর্চা মুসলিমদের কাঁধে চাপার ফলে কাদারিয়া, জাবারিয়া, জাহমিয়া, মু'তাযিলা, আশ'আরী, মাতুরিদী ইত্যাদি জন্ম হয়।
ফলে ওহী তথা কুরআন-সুন্নাহ নির্ভর, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু 'আলাইহি ওয়াসাল্লাম ও সাহাবায়ে কিরামের অনুসারী, সহীহ আকীদায় বিশ্বাসী আহলে সুন্নাত ওয়াল জামা'আতের আলেমগণ বিভিন্ন সময় এরূপ বাতিল ফিরকা দ্বারা নির্যাতিত-নিপীড়িত হয়েছেন।
আহলে সুন্নাত ওয়াল জামা'আতের ইমাম আহমাদ ইবন হাম্বল রাহিমাহুল্লাহকে নির্যাতন করার ঘটনা কার অজানা? পথভ্রষ্ট মু'তাযিলা ফিরকার আলেম, হানাফী মাযহাবের অনুসারী, বিচারপতি আহমাদ ইবন আবী দুআদ এর নির্দেশে আব্বাসী খলিফা মু'তাসিমের সম্মুখে ইমাম আহমাদ ইবন হাম্বল রাহিমাহুল্লাহকে নির্মমভাবে বেত্রাঘাত করা হয়েছে।
এই সম্মানিত ইমামকে দীর্ঘদিন বন্দী রাখা হয়েছে। তার অপরাধ কী ছিল? তিনি মু'তাযিলা পথভ্রষ্টদের কুফরী আকীদায় বিশ্বাসী ছিলেন না। মু'তাযিলা পথভ্রষ্টরা বিভিন্ন রকমের ভ্রান্ত আকীদায় বিশ্বাসী ছিল, তারা বলতো: কুরআন সৃষ্ট বা মাখলুক এবং আখেরাতে আল্লাহকে দেখা যাবে না।
আর ইমাম আহমাদ ইবন হাম্বল রাহিমাহুল্লাহ বলতেন: “কুরআন আল্লাহর কালাম এবং আল্লাহর সিফাত-গুণ। আল্লাহ যেমন সৃষ্ট নন তাঁর কালামও সৃষ্ট নয়। আর কুরআন-হাদীস দ্বারা প্রমাণিত যে, আখেরাতে মুমিনগণ আল্লাহ তা'আলাকে দেখবেন”।
মূলত এটাই আহলে সুন্নাত ওয়াল জামা'আতের সহীহ আকীদাহ। ইমাম আবু হানীফা রাহিমাহুল্লাহ'র আকীদাহও তা-ই।
আফসোসের বিষয় এই যে, বহু পূর্বকাল থেকেই কিছুলোক নিজেদেরকে ইমাম আবু হানীফা রাহিমাহুল্লাহ'র মাযহাবের অনুসারী বলে দাবি করে আসছেন। অথচ তারা ইমাম আবু হানীফা রাহিমাহুল্লাহ'র সহীহ আকীদায় বিশ্বাসী নন।
এমনকি যারা ইমাম আবু হানীফা রাহিমাহুল্লাহ'র সহীহ আকীদায় বিশ্বাসী তাদেরকে এই নামদারী হানাফীরা বাতিল বলে ফাতোয়া দিয়ে নির্যাতন করে থাকেন।
পথভ্রষ্ট মু'তাযিলা ফিরকার আলেম, হানাফী মাযহাবের অনুসারী, বিচারপতি আহমাদ ইবন আবী দুআদ-এর নাম এই দাবির চমৎকার উদাহরণ। এই নরাধম হানাফী হওয়া সত্ত্বেও ইমাম আবু হানীফা রাহিমাহুল্লাহ'র সহীহ আকীদায় বিশ্বাসী ছিল না।
বরং ইমাম আহমাদ ইবন হাম্বল রাহিমাহুল্লাহ যিনি ইমাম আবু হানীফা রাহিমাহুল্লাহ'র ন্যায় সহীহ আকীদায় বিশ্বাসী, তাকে এই হতভাগা বিচারপতি ‘মুশরিক' বলে কতলের নির্দেশ দিয়েছিল। এমনকি এই নরপশু নিজে ইমাম আহমাদ ইবন হাম্বল রাহিমাহুল্লাহ'র রক্তের দায় বহন করার ঘোষণা দিয়েছিল।১
ইলমুল কালাম' দর্শনশাস্ত্র চর্চা মুসলিম সমাজে চেপে বসার কারণে পরবর্তীতে আশ'আরী মাতুরিদী নামে ভ্রান্ত মতবাদের জন্ম হয়। এই মতবাদের আলেমরা আল-কুরআন ও সহীহ হাদীসে বর্ণিত আল্লাহ তা'আলার অনেক সিফাতকে অস্বীকার করেন।
এমনকি ইমাম আবু হানীফা, ইমাম মালিক, ইমাম শাফেয়ী ও ইমাম আহমাদ রাহিমাহুল্লাহ আল্লাহ তা'আলার যেসব সিফাত বা গুণাবলিকে স্বীকার করেন সেসব সিফাতকেও তারা অপব্যাখ্যার মাধ্যমে অস্বীকার করেন।
হানাফী, মালিকী ও শাফেয়ী মাযহাবের কিছু লোক আশ'আরী মাতুরিদী আকীদাহ গ্রহণ করে ফেলেন। আর তারা ইমাম আবু হানীফা, ইমাম মালিক ও ইমাম শাফেয়ী রাহিমাহুমুল্লাহ'র সত্য-সঠিক সহীহ আকীদাকে বর্জন করেন। ইন্না-লিল্লাহি ওয়া ইন্না-ইলাইহি রাজিউন। তবে অধিকাংশ হাম্বলী মাযহাবের অনুসারীগণ তাদের ইমাম আহমাদ রাহিমাহুল্লাহ'র সহীহ আকীদায় অটল থাকেন
আশ'আরী মাতুরিদীরা আল্লাহ তা'আলার যেসব সিফাত বা গুণাবলিকে অস্বীকার করেন সেসবের কয়েকটি হলো: আল্লাহ তা'আলার চেহারা, হাত, 'আরশের উপরে উঠা, শেষ রাতে নিকটতম আসমানে অবতরণ করা, ক্রোধ, সন্তুষ্টি, ভালোবাসা ইত্যাদি।
এসব অস্বীকার করার কারণ হলো, আকীদাহ চর্চার ক্ষেত্রে তাদের ওপর 'ইলমুল কালাম' তথা দৰ্শন নামক অপছায়া পড়েছে।
১। আল-ফিকহুল আকবর, বঙ্গানুবাদ, পৃ. ২৭৫-২৭৬।
ফলে ওহী তথা কুরআন-সুন্নাহ নির্ভর, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু 'আলাইহি ওয়াসাল্লাম ও সাহাবায়ে কিরামের অনুসারী, সহীহ আকীদায় বিশ্বাসী আহলে সুন্নাত ওয়াল জামা'আতের আলেমগণ বিভিন্ন সময় এরূপ বাতিল ফিরকা দ্বারা নির্যাতিত-নিপীড়িত হয়েছেন।
আহলে সুন্নাত ওয়াল জামা'আতের ইমাম আহমাদ ইবন হাম্বল রাহিমাহুল্লাহকে নির্যাতন করার ঘটনা কার অজানা? পথভ্রষ্ট মু'তাযিলা ফিরকার আলেম, হানাফী মাযহাবের অনুসারী, বিচারপতি আহমাদ ইবন আবী দুআদ এর নির্দেশে আব্বাসী খলিফা মু'তাসিমের সম্মুখে ইমাম আহমাদ ইবন হাম্বল রাহিমাহুল্লাহকে নির্মমভাবে বেত্রাঘাত করা হয়েছে।
এই সম্মানিত ইমামকে দীর্ঘদিন বন্দী রাখা হয়েছে। তার অপরাধ কী ছিল? তিনি মু'তাযিলা পথভ্রষ্টদের কুফরী আকীদায় বিশ্বাসী ছিলেন না। মু'তাযিলা পথভ্রষ্টরা বিভিন্ন রকমের ভ্রান্ত আকীদায় বিশ্বাসী ছিল, তারা বলতো: কুরআন সৃষ্ট বা মাখলুক এবং আখেরাতে আল্লাহকে দেখা যাবে না।
আর ইমাম আহমাদ ইবন হাম্বল রাহিমাহুল্লাহ বলতেন: “কুরআন আল্লাহর কালাম এবং আল্লাহর সিফাত-গুণ। আল্লাহ যেমন সৃষ্ট নন তাঁর কালামও সৃষ্ট নয়। আর কুরআন-হাদীস দ্বারা প্রমাণিত যে, আখেরাতে মুমিনগণ আল্লাহ তা'আলাকে দেখবেন”।
মূলত এটাই আহলে সুন্নাত ওয়াল জামা'আতের সহীহ আকীদাহ। ইমাম আবু হানীফা রাহিমাহুল্লাহ'র আকীদাহও তা-ই।
আফসোসের বিষয় এই যে, বহু পূর্বকাল থেকেই কিছুলোক নিজেদেরকে ইমাম আবু হানীফা রাহিমাহুল্লাহ'র মাযহাবের অনুসারী বলে দাবি করে আসছেন। অথচ তারা ইমাম আবু হানীফা রাহিমাহুল্লাহ'র সহীহ আকীদায় বিশ্বাসী নন।
এমনকি যারা ইমাম আবু হানীফা রাহিমাহুল্লাহ'র সহীহ আকীদায় বিশ্বাসী তাদেরকে এই নামদারী হানাফীরা বাতিল বলে ফাতোয়া দিয়ে নির্যাতন করে থাকেন।
পথভ্রষ্ট মু'তাযিলা ফিরকার আলেম, হানাফী মাযহাবের অনুসারী, বিচারপতি আহমাদ ইবন আবী দুআদ-এর নাম এই দাবির চমৎকার উদাহরণ। এই নরাধম হানাফী হওয়া সত্ত্বেও ইমাম আবু হানীফা রাহিমাহুল্লাহ'র সহীহ আকীদায় বিশ্বাসী ছিল না।
বরং ইমাম আহমাদ ইবন হাম্বল রাহিমাহুল্লাহ যিনি ইমাম আবু হানীফা রাহিমাহুল্লাহ'র ন্যায় সহীহ আকীদায় বিশ্বাসী, তাকে এই হতভাগা বিচারপতি ‘মুশরিক' বলে কতলের নির্দেশ দিয়েছিল। এমনকি এই নরপশু নিজে ইমাম আহমাদ ইবন হাম্বল রাহিমাহুল্লাহ'র রক্তের দায় বহন করার ঘোষণা দিয়েছিল।১
ইলমুল কালাম' দর্শনশাস্ত্র চর্চা মুসলিম সমাজে চেপে বসার কারণে পরবর্তীতে আশ'আরী মাতুরিদী নামে ভ্রান্ত মতবাদের জন্ম হয়। এই মতবাদের আলেমরা আল-কুরআন ও সহীহ হাদীসে বর্ণিত আল্লাহ তা'আলার অনেক সিফাতকে অস্বীকার করেন।
এমনকি ইমাম আবু হানীফা, ইমাম মালিক, ইমাম শাফেয়ী ও ইমাম আহমাদ রাহিমাহুল্লাহ আল্লাহ তা'আলার যেসব সিফাত বা গুণাবলিকে স্বীকার করেন সেসব সিফাতকেও তারা অপব্যাখ্যার মাধ্যমে অস্বীকার করেন।
হানাফী, মালিকী ও শাফেয়ী মাযহাবের কিছু লোক আশ'আরী মাতুরিদী আকীদাহ গ্রহণ করে ফেলেন। আর তারা ইমাম আবু হানীফা, ইমাম মালিক ও ইমাম শাফেয়ী রাহিমাহুমুল্লাহ'র সত্য-সঠিক সহীহ আকীদাকে বর্জন করেন। ইন্না-লিল্লাহি ওয়া ইন্না-ইলাইহি রাজিউন। তবে অধিকাংশ হাম্বলী মাযহাবের অনুসারীগণ তাদের ইমাম আহমাদ রাহিমাহুল্লাহ'র সহীহ আকীদায় অটল থাকেন
আশ'আরী মাতুরিদীরা আল্লাহ তা'আলার যেসব সিফাত বা গুণাবলিকে অস্বীকার করেন সেসবের কয়েকটি হলো: আল্লাহ তা'আলার চেহারা, হাত, 'আরশের উপরে উঠা, শেষ রাতে নিকটতম আসমানে অবতরণ করা, ক্রোধ, সন্তুষ্টি, ভালোবাসা ইত্যাদি।
এসব অস্বীকার করার কারণ হলো, আকীদাহ চর্চার ক্ষেত্রে তাদের ওপর 'ইলমুল কালাম' তথা দৰ্শন নামক অপছায়া পড়েছে।
- আল-ফাতওয়া আল-হামাউইয়্যাহ আল-কুবরা
১। আল-ফিকহুল আকবর, বঙ্গানুবাদ, পৃ. ২৭৫-২৭৬।