উত্তর: ইক্বামতের জবাব দিতে হবে। অধিকাংশ বিদ্বানের মতে ইক্বামতের জওয়াব দেওয়া মুস্তাহাব।[১] নবী করীম (ﷺ) সাধারণভাবে বলেন, মুয়াযযিন যা বলেন তোমরাও তাই বল।[২] উক্ত হাদীস থেকে ইক্বামতের উত্তর দেওয়ার কথা প্রমাণিত হয়।[৩] তাছাড়া হাদীসে ইকামতকে দ্বিতীয় আযান বলা হয়, তাই ইকামতও এক প্রকার আযান।[৪] সুতরাং এর জওয়াবও আযানের মতই। অবশ্য ‘হাইয়্যা আলাস সলা-হ্’ ও ‘ফালাহ্’ এর জওয়াবে ‘লাহাউলা অলা ক্বুওয়াতা ইল্লা বিল্লাহ্’ এবং শেষে (সময় পেলে) দরুদ ও অসীলার দুআ পাঠ করা বিধেয়।যেহেতু হাদীসে মুআযযিনের জওয়াব (তার মতই) বলতে এবং তার শেষে দরুদ ও অসীলার দুআ পড়তে আমাদেরকে আদেশ করা হয়েছে।[৫] উক্ত হাদীসের ভিত্তিতেই ‘ক্বাদ ক্বামাতিস স্বলাহ্’ এর জওয়াবে ‘ক্বাদ ক্বামাতিস স্বলাহ্’ই বলতে হবে। কিন্তু এর জওয়াবে ‘আক্বামাহুল্লাহু অআদামাহা’ বলার হাদীস সহীহ নয়।[৬] আর যয়ীফ হাদীসকে ভিত্তি করে শরীয়তের কোন আমল ও ইবাদত বৈধ নয়।[৭] মতান্তরে কেউ কেউ বলেছেন, যেহেতু ইকামতের জবাবে কোন স্পষ্ট সহীহ হাদীস নেই, তাই ইকামতের জবাব দেওয়া সুন্নত নয়। আল্লাহই ভালো জানেন।
[১] ইবনু কুদামাহ, মুগনী ১/৩১০
[২] বুখারী, মুসলিম, মিশকাত হা/৬৫৭
[৩] আলবানী, মিশকাত হা/৬৭০-এর টীকা দ্রঃ
[৪] ফাতাওয়া ইসলামিয়্যাহ্, সঊদী উলামা-কমিটি ১/২৪৯
[৫] সহীহ মুসলিম, মিশকাত ৬৫৭
[৬] আবুদাঊদ, মিশকাত হা/৬৭০
[৭] মিশকাত, আলবানীর টীকা ১/১২১