আস-সামাদ (অমুখাপেক্ষী, অবিনশ্বর, চিরন্তন, স্বয়ং সম্পূর্ণ)[1]:
আস-সামাদ অর্থ পরিপূর্ণ রব, সাইয়্যেদ, মহান, যার এমন কোন ভালো সিফাত অবশিষ্ট নেই যা তাঁর নেই। তাঁর গুণাবলী সর্বোচ্চ পর্যায়ের, এর পূর্ণতা এতোই পরিপূর্ণ যে সৃষ্টিকুলের কেউ সে গুণের সামান্য অংশও তাদের অন্তরে বেষ্টন করতে পারে না এবং তাদের ভাষায়ও তা প্রকাশ করতে পারে না। তাঁর কাছে সবকিছু মুখাপেক্ষী, সকলের যাবতীয় প্রয়োজন, অভাব-অভিযোগ একমাত্র তাঁরই কাছে। আল্লাহ তা‘আলা বলেছেন,
“আসমানসমূহ ও জমিনে যারা রয়েছে, সবাই তাঁর কাছে চায়। প্রতিদিন তিনি কোন না কোন কাজে রত।” [সূরা আর-রাহমান, আয়াত: ২৯]
তিনি নিজেই সত্ত্বাগতভাবে অমুখাপেক্ষী। দুনিয়াতে বিদ্যমান সমস্ত কিছু তাঁর যাতের কাছে অভাবী, মুখাপেক্ষী। তাদের সৃষ্টি, তাদের সংখ্যা, বেড়ে ওঠা ইত্যাদি সব কিছুতেই সর্বদিক থেকে তারা তাঁর মুখাপেক্ষী। কেউ-ই সামান্য অনু পরিমাণও যে কোন সময়ের বা অবস্থায়ও তাঁর থেকে মুখাপেক্ষীহীন নয়।[2]
আস-সামাদ তিনিই যার কাছে সমস্ত সৃষ্টির সর্ব মুহূর্তে সর্বাবস্থায় তাদের উদ্দেশ্য ও প্রয়োজন; যেহেতু তাঁর যাত, সিফাত, নাম ও কর্মে রয়েছে সর্বজনীন পূর্ণতা। [3]
আস-সামাদ পূর্ণাঙ্গরূপে অমুখাপেক্ষী, এতে উপরোক্ত সব ধরণের প্রয়োজন থেকে তিনি মুখাপেক্ষীহীন। তিনি স্বয়ং সম্পূর্ণ, অমুখাপেক্ষী, তাঁর কাছেই সকলের অভাব, প্রয়োজন ও মুখাপেক্ষীতা।
বিশ্বের সব কিছুই ভীত-সন্ত্রস্ত হয়ে তাঁর লুটে পড়ে। তিনি ইলম, হিকমত, ধৈর্য, কুদরত, মহানত্ব, রহমত ও অন্যান্য যাবতীয় গুণাবলীতে পরিপূর্ণ।[4]
[1] এ নামের দলিল আল্লাহর নিম্নোক্ত বাণী,
﴿قُلۡ هُوَ ٱللَّهُ أَحَدٌ ١ ٱللَّهُ ٱلصَّمَدُ٢﴾ [الاخلاص: ١، ٢]
“বলুন, তিনিই আল্লাহ, এক-অদ্বিতীয়। আল্লাহ কারো মুখাপেক্ষী নন, সকলেই তাঁর মুখাপেক্ষী।” [সূরা আল-ইখলাস, আয়াত: ১-২]
[2] বাহজাতুল কুলুবুল আবরার ওয়া কুররাতু ‘উয়ূনিল আখইয়ার ফি শরহে জাওয়ামি‘ইল আখবার, পৃ. ১৬৫-১৬৫।
[3] আত-তাফসীর, ৫/৬২১।
[4] আল-হাক্কুল ওয়াদিহ আল-মুবীন, পৃ. ৭৫; আত-তাফসীর, ৭/৬৮৪; তাওদীহুল কাফিয়া, পৃ. ১২৬।
আস-সামাদ অর্থ পরিপূর্ণ রব, সাইয়্যেদ, মহান, যার এমন কোন ভালো সিফাত অবশিষ্ট নেই যা তাঁর নেই। তাঁর গুণাবলী সর্বোচ্চ পর্যায়ের, এর পূর্ণতা এতোই পরিপূর্ণ যে সৃষ্টিকুলের কেউ সে গুণের সামান্য অংশও তাদের অন্তরে বেষ্টন করতে পারে না এবং তাদের ভাষায়ও তা প্রকাশ করতে পারে না। তাঁর কাছে সবকিছু মুখাপেক্ষী, সকলের যাবতীয় প্রয়োজন, অভাব-অভিযোগ একমাত্র তাঁরই কাছে। আল্লাহ তা‘আলা বলেছেন,
﴿يَسَۡٔلُهُۥ مَن فِي ٱلسَّمَٰوَٰتِ وَٱلۡأَرۡضِۚ كُلَّ يَوۡمٍ هُوَ فِي شَأۡنٖ٢٩﴾ [الرحمن: ٢٩]
“আসমানসমূহ ও জমিনে যারা রয়েছে, সবাই তাঁর কাছে চায়। প্রতিদিন তিনি কোন না কোন কাজে রত।” [সূরা আর-রাহমান, আয়াত: ২৯]
তিনি নিজেই সত্ত্বাগতভাবে অমুখাপেক্ষী। দুনিয়াতে বিদ্যমান সমস্ত কিছু তাঁর যাতের কাছে অভাবী, মুখাপেক্ষী। তাদের সৃষ্টি, তাদের সংখ্যা, বেড়ে ওঠা ইত্যাদি সব কিছুতেই সর্বদিক থেকে তারা তাঁর মুখাপেক্ষী। কেউ-ই সামান্য অনু পরিমাণও যে কোন সময়ের বা অবস্থায়ও তাঁর থেকে মুখাপেক্ষীহীন নয়।[2]
আস-সামাদ তিনিই যার কাছে সমস্ত সৃষ্টির সর্ব মুহূর্তে সর্বাবস্থায় তাদের উদ্দেশ্য ও প্রয়োজন; যেহেতু তাঁর যাত, সিফাত, নাম ও কর্মে রয়েছে সর্বজনীন পূর্ণতা। [3]
আস-সামাদ পূর্ণাঙ্গরূপে অমুখাপেক্ষী, এতে উপরোক্ত সব ধরণের প্রয়োজন থেকে তিনি মুখাপেক্ষীহীন। তিনি স্বয়ং সম্পূর্ণ, অমুখাপেক্ষী, তাঁর কাছেই সকলের অভাব, প্রয়োজন ও মুখাপেক্ষীতা।
বিশ্বের সব কিছুই ভীত-সন্ত্রস্ত হয়ে তাঁর লুটে পড়ে। তিনি ইলম, হিকমত, ধৈর্য, কুদরত, মহানত্ব, রহমত ও অন্যান্য যাবতীয় গুণাবলীতে পরিপূর্ণ।[4]
[1] এ নামের দলিল আল্লাহর নিম্নোক্ত বাণী,
﴿قُلۡ هُوَ ٱللَّهُ أَحَدٌ ١ ٱللَّهُ ٱلصَّمَدُ٢﴾ [الاخلاص: ١، ٢]
“বলুন, তিনিই আল্লাহ, এক-অদ্বিতীয়। আল্লাহ কারো মুখাপেক্ষী নন, সকলেই তাঁর মুখাপেক্ষী।” [সূরা আল-ইখলাস, আয়াত: ১-২]
[2] বাহজাতুল কুলুবুল আবরার ওয়া কুররাতু ‘উয়ূনিল আখইয়ার ফি শরহে জাওয়ামি‘ইল আখবার, পৃ. ১৬৫-১৬৫।
[3] আত-তাফসীর, ৫/৬২১।
[4] আল-হাক্কুল ওয়াদিহ আল-মুবীন, পৃ. ৭৫; আত-তাফসীর, ৭/৬৮৪; তাওদীহুল কাফিয়া, পৃ. ১২৬।