Knowledge Sharer
ilm Seeker
Uploader
Salafi User
- Joined
- Jan 12, 2023
- Threads
- 827
- Comments
- 1,075
- Solutions
- 19
- Reactions
- 11,878
- Thread Author
- #1
আল-জাওয়াদ (মহা দানশীল)[1]:
গ্রন্থকার রহ. বলেছেন, গ্রন্থকার ইবনুল কাইয়্যিম রহ. বলেছেন, আল-জাওয়াদ অর্থ আল্লাহ তা‘আলা ব্যাপক দানশীল, তাঁর বদান্যতা সমস্ত সৃষ্টির জন্য ব্যাপৃত। তাঁর দয়ায় ও দানে সবকিছু ভরপুর এবং তাঁর নি‘আমত নানা ধরণের। তাঁর দান তাঁর কাছে প্রার্থনাকারী সকল মুসলিম, অমুসলিম, সৎকর্মশীল, অসৎকর্মশীল সকলেই পেয়ে থাকেন। কেউ তাঁর কাছে চাইলে সে তাঁর দয়া ও দান সে পেয়ে থাকেন। কেননা তিনি তো দানশীল, দয়াময় ও পরম দয়ালু। আল্লাহ তা‘আলা বলেছেন,
“আর তোমাদের কাছ যে সব নি‘আমত আছে, তা আল্লাহর পক্ষ থেকে। অতঃপর দুঃখ-দুর্দশা যখন তোমাদের স্পর্শ করে তখন তোমরা শুধু তার কাছেই ফরিয়াদ কর।” [সূরা আন-নাহাল, আয়াত: ৫৩]
তাঁর ব্যাপক ও প্রশস্ত দান তিনি তাঁর প্রিয় বান্দাদের জন্য পরকালে জান্নাতে তৈরি করে রেখেছেন, যা কোন চক্ষু কখনও দেখে নি, কোন কর্ণ কোন দিন শুনে নি, মানুষের অন্তর কখনও সে নি‘আমতের কথা কল্পনাও করে নি।[2]
আল-জাওয়াদ তথা দানশীল আল্লাহর দান আসমান ও জমিনবাসী সকলের জন্যই ব্যাপক ভাবে বেষ্টিত। বান্দা যে নি‘আমতই লাভ করুক তা একমাত্র তাঁর থেকেই। বান্দা কোন বিপদ আপদে পতিত হলে তারা তাঁরই কাছে ফিরে যায় এবং তাঁরই কাছে বিনীতভাবে বিপদ থেকে রক্ষা পেতে প্রার্থনা করে। অত:এব, কোন সৃষ্টিই চোখের পলকের জন্যও তাঁর দান থেকে অমুখাপেক্ষী নয়। তবে আল্লাহর দান ও সম্মান প্রদানের কারণ ও হিকমত অনুসারে বান্দাদের মধ্যে এ নি‘আমত প্রাপ্তির তারতম্য ও স্তর রয়েছে। তাঁর নি‘আমত পাওয়ার সর্বাধিক উপায় হচ্ছে প্রকাশ্য, অপ্রকাশ্য কাজে-কর্মে সর্বাবস্থায় তাঁর ইবাদত করা ও চলাফেরা, উঠা-বসা সর্বক্ষেত্রে তাঁর নবী মুহাম্মাদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের অনুসরণ করা।[3]
[1] রাসূলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন,
“নিশ্চয় আল্লাহ তা‘আলা দানশীল, তিনি দানশীলতা ভালবাসেন।” হিলইয়াতুল আউলিয়া, আবু নু‘আইম, ৫/২৯; সহীহুল জামে‘, আলবানী, ১১/১০৫।
[2] আল-হাক্কুল ওয়াদিহ আল-মুবীন, পৃ. ৬৬-৬৭।
[3] তাওদীহুল কাফিয়া আশ-শাফিয়া, পৃ. ১২৪।
গ্রন্থকার রহ. বলেছেন, গ্রন্থকার ইবনুল কাইয়্যিম রহ. বলেছেন, আল-জাওয়াদ অর্থ আল্লাহ তা‘আলা ব্যাপক দানশীল, তাঁর বদান্যতা সমস্ত সৃষ্টির জন্য ব্যাপৃত। তাঁর দয়ায় ও দানে সবকিছু ভরপুর এবং তাঁর নি‘আমত নানা ধরণের। তাঁর দান তাঁর কাছে প্রার্থনাকারী সকল মুসলিম, অমুসলিম, সৎকর্মশীল, অসৎকর্মশীল সকলেই পেয়ে থাকেন। কেউ তাঁর কাছে চাইলে সে তাঁর দয়া ও দান সে পেয়ে থাকেন। কেননা তিনি তো দানশীল, দয়াময় ও পরম দয়ালু। আল্লাহ তা‘আলা বলেছেন,
﴿وَمَا بِكُم مِّن نِّعۡمَةٖ فَمِنَ ٱللَّهِۖ ثُمَّ إِذَا مَسَّكُمُ ٱلضُّرُّ فَإِلَيۡهِ تَجَۡٔرُونَ٥٣﴾ [النحل: ٥٣]
“আর তোমাদের কাছ যে সব নি‘আমত আছে, তা আল্লাহর পক্ষ থেকে। অতঃপর দুঃখ-দুর্দশা যখন তোমাদের স্পর্শ করে তখন তোমরা শুধু তার কাছেই ফরিয়াদ কর।” [সূরা আন-নাহাল, আয়াত: ৫৩]
তাঁর ব্যাপক ও প্রশস্ত দান তিনি তাঁর প্রিয় বান্দাদের জন্য পরকালে জান্নাতে তৈরি করে রেখেছেন, যা কোন চক্ষু কখনও দেখে নি, কোন কর্ণ কোন দিন শুনে নি, মানুষের অন্তর কখনও সে নি‘আমতের কথা কল্পনাও করে নি।[2]
আল-জাওয়াদ তথা দানশীল আল্লাহর দান আসমান ও জমিনবাসী সকলের জন্যই ব্যাপক ভাবে বেষ্টিত। বান্দা যে নি‘আমতই লাভ করুক তা একমাত্র তাঁর থেকেই। বান্দা কোন বিপদ আপদে পতিত হলে তারা তাঁরই কাছে ফিরে যায় এবং তাঁরই কাছে বিনীতভাবে বিপদ থেকে রক্ষা পেতে প্রার্থনা করে। অত:এব, কোন সৃষ্টিই চোখের পলকের জন্যও তাঁর দান থেকে অমুখাপেক্ষী নয়। তবে আল্লাহর দান ও সম্মান প্রদানের কারণ ও হিকমত অনুসারে বান্দাদের মধ্যে এ নি‘আমত প্রাপ্তির তারতম্য ও স্তর রয়েছে। তাঁর নি‘আমত পাওয়ার সর্বাধিক উপায় হচ্ছে প্রকাশ্য, অপ্রকাশ্য কাজে-কর্মে সর্বাবস্থায় তাঁর ইবাদত করা ও চলাফেরা, উঠা-বসা সর্বক্ষেত্রে তাঁর নবী মুহাম্মাদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের অনুসরণ করা।[3]
[1] রাসূলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন,
«إِنَّ اللَّهَ جَوَادٌ يُحِبُّ الجُودَ»
“নিশ্চয় আল্লাহ তা‘আলা দানশীল, তিনি দানশীলতা ভালবাসেন।” হিলইয়াতুল আউলিয়া, আবু নু‘আইম, ৫/২৯; সহীহুল জামে‘, আলবানী, ১১/১০৫।
[2] আল-হাক্কুল ওয়াদিহ আল-মুবীন, পৃ. ৬৬-৬৭।
[3] তাওদীহুল কাফিয়া আশ-শাফিয়া, পৃ. ১২৪।