আল-হাকাম: আল-হাকাম (মহা বিচারপতি, হুকুমদাতা)[1], আল-‘আদল (ন্যায় বিচাকর)।
শাইখ আস-সা‘দী রহ. বলেছেন, আল্লাহর নামসমূহের মধ্যে আরেকটি নাম হলো আল-হাকাম (মহা বিচারপতি, হুকুমদাতা) আল-‘আদল (ন্যায় বিচাকর)। যিনি দুনিয়া ও আখিরাতে বান্দাকে ন্যায়পরায়নতার সাথে হুকুম দেন, তাদেরকে অনু পরিমাণও যুলুম করেন না, কারো অপরাধ কারো ঘাড়ে চাপিয়ে দেন না, বান্দাকে তার অপরাধের বেশি শাস্তি দেন না, যার যার অধিকার তাকে দিয়ে দেন, কারো অধিকার ক্ষুন্ন করে না। তিনি তাঁর পরিচালনা ও বণ্টনে ন্যায়পরায়ন। আল্লাহ তা‘আলা বলেছেন,
“নিশ্চয় আমার রব সরল পথে আছেন।” [সূরা হূদ, আয়াত: ৫৬]
আল-হাকাম ও আল-‘আদল হলেন যিনি সব কিছুর হুকুম দেন। তাই তিনি তাঁর শরী‘আতের বিধি-বিধানের হুকুম দেন, ঝগড়াটে ও আপোষকারী সব ধরণের বান্দার জন্য তিনি সব পথ বিস্তারিত ও স্পষ্ট করে বর্ণনা করেন, তাঁর পথসমূহ ন্যায়নীতিবান ও প্রজ্ঞাময়। বান্দা যেসব ব্যাপারে নিজেদের মধ্যে মতানৈক্য করেন তিনি সেসব ব্যাপারে চুড়ান্ত ফয়সালা দেন, তিনি তাদের তাকদীরের ফয়সালা করেন, তাঁর হিকমত অনুযায়ী তাদের ব্যাপারে তিনি ফয়সালা দেন, তিনি সব কিছু তার যথাযথ স্থানে স্থাপন করেন, আবার যেটি সেখান থেকে নামানো প্রয়োজন সেটিকে সেখান থেকে নামিয়ে দেন।
তিনি কিয়ামত ও হিসাবের দিন তাদের মধ্যে বিচার করবেন, তখন তিনি সত্য ও ন্যায্যভাবে তাদেরকে প্রতিদান দিবেন। সৃষ্টিকুল তাঁর বিচারের প্রশংসা করবেন; এমনকি যাদের ব্যাপারে শাস্তি নির্ধারিত হবে তারাও তাঁর ন্যায়পরায়নতার সাক্ষ্য দিবে এবং তারা স্বীকার করবে যে, তারা অপরাধী ছিল। তিনি কাউকে অনু পরিমাণও যুলুম করেন না।[2]
[1] এ নামের দলিল হলো রাসূলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের বাণী,
“আল্লাহ হলেন হাকাম (হুকুমদাতা), আর হুকুম তো তাঁরই।” আবু দাউদ, ৫/২৪০, হাদীস নং ৪৯৫৫, কিতাবুল আদাব, বাবু ফি তাগয়ীরিল ইসমিল কাবীহ; নাসায়ী, কিতাবুল কাদা, হাদীস নং ৫৩৮৯, বাবু ইযা হাকামু রজুলান ফাকাদা বাইনাহুম; আলবানী রহ. হাদীসটিকে সহীহ বলেছেন।
[2] তাওদীহুল কাফিয়া আশ-শাফিয়া, পৃ. ১২৭; আল-হাক্কুল ওয়াদিহ আল-মুবীন, পৃ. ৮০।
শাইখ আস-সা‘দী রহ. বলেছেন, আল্লাহর নামসমূহের মধ্যে আরেকটি নাম হলো আল-হাকাম (মহা বিচারপতি, হুকুমদাতা) আল-‘আদল (ন্যায় বিচাকর)। যিনি দুনিয়া ও আখিরাতে বান্দাকে ন্যায়পরায়নতার সাথে হুকুম দেন, তাদেরকে অনু পরিমাণও যুলুম করেন না, কারো অপরাধ কারো ঘাড়ে চাপিয়ে দেন না, বান্দাকে তার অপরাধের বেশি শাস্তি দেন না, যার যার অধিকার তাকে দিয়ে দেন, কারো অধিকার ক্ষুন্ন করে না। তিনি তাঁর পরিচালনা ও বণ্টনে ন্যায়পরায়ন। আল্লাহ তা‘আলা বলেছেন,
﴿إِنَّ رَبِّي عَلَىٰ صِرَٰطٖ مُّسۡتَقِيمٖ٥٦﴾ [هود: ٥٦]
“নিশ্চয় আমার রব সরল পথে আছেন।” [সূরা হূদ, আয়াত: ৫৬]
আল-হাকাম ও আল-‘আদল হলেন যিনি সব কিছুর হুকুম দেন। তাই তিনি তাঁর শরী‘আতের বিধি-বিধানের হুকুম দেন, ঝগড়াটে ও আপোষকারী সব ধরণের বান্দার জন্য তিনি সব পথ বিস্তারিত ও স্পষ্ট করে বর্ণনা করেন, তাঁর পথসমূহ ন্যায়নীতিবান ও প্রজ্ঞাময়। বান্দা যেসব ব্যাপারে নিজেদের মধ্যে মতানৈক্য করেন তিনি সেসব ব্যাপারে চুড়ান্ত ফয়সালা দেন, তিনি তাদের তাকদীরের ফয়সালা করেন, তাঁর হিকমত অনুযায়ী তাদের ব্যাপারে তিনি ফয়সালা দেন, তিনি সব কিছু তার যথাযথ স্থানে স্থাপন করেন, আবার যেটি সেখান থেকে নামানো প্রয়োজন সেটিকে সেখান থেকে নামিয়ে দেন।
তিনি কিয়ামত ও হিসাবের দিন তাদের মধ্যে বিচার করবেন, তখন তিনি সত্য ও ন্যায্যভাবে তাদেরকে প্রতিদান দিবেন। সৃষ্টিকুল তাঁর বিচারের প্রশংসা করবেন; এমনকি যাদের ব্যাপারে শাস্তি নির্ধারিত হবে তারাও তাঁর ন্যায়পরায়নতার সাক্ষ্য দিবে এবং তারা স্বীকার করবে যে, তারা অপরাধী ছিল। তিনি কাউকে অনু পরিমাণও যুলুম করেন না।[2]
[1] এ নামের দলিল হলো রাসূলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের বাণী,
«إِنَّ اللَّهَ هُوَ الْحَكَمُ، وَإِلَيْهِ الْحُكْمُ».
“আল্লাহ হলেন হাকাম (হুকুমদাতা), আর হুকুম তো তাঁরই।” আবু দাউদ, ৫/২৪০, হাদীস নং ৪৯৫৫, কিতাবুল আদাব, বাবু ফি তাগয়ীরিল ইসমিল কাবীহ; নাসায়ী, কিতাবুল কাদা, হাদীস নং ৫৩৮৯, বাবু ইযা হাকামু রজুলান ফাকাদা বাইনাহুম; আলবানী রহ. হাদীসটিকে সহীহ বলেছেন।
[2] তাওদীহুল কাফিয়া আশ-শাফিয়া, পৃ. ১২৭; আল-হাক্কুল ওয়াদিহ আল-মুবীন, পৃ. ৮০।