আল-মুকাদ্দিম: আল-মুকাদ্দিম (সর্বাগ্রে সহায়তা প্রদানকারী), আল-মু’আখখির (বিলম্বকারী)[1]।
আল-মুকাদ্দিম (সর্বাগ্রে সহায়তা প্রদানকারী) ও আল-মু’আখখির (বিলম্বকারী) আল্লাহ তা‘আলার পরস্পর বিপরীত অর্থবোধক জোড়া নাম, যা আলাদাভাবে একটি ব্যবহার করা যায় না; বরং একটি বললে আরেকটিও উল্লেখ করা অত্যাবশ্যকীয়। কেননা উভয় নাম একত্রে উল্লেখ করার মধ্যেই পূর্ণতা রয়েছে। তিনি তাঁর হিকমত অনুসারে কাউকে আগে সহায়তা দান করেন আবার কাউকে বিলম্বে সাহায্য দান করেন।
এভাবে বিশ্ব পরিচালনার ব্যাপারে অগ্র ও পশ্চাত হতে পারে। যেমন মাখলুকাতের কাউকে অন্যের আগে পৃথিবীতে প্রেরণ করা, আসবাব তথা কারণসমূহকে মুসাববাব তথা কারণকৃতের আগে, শর্তকে তার মাশরূত তথা শর্তকৃতের আগের সংঘটিত করা ইত্যাদি।
সৃষ্টিজগতের মধ্যে অগ্র ও পশ্চাতের (মর্যাদার) প্রকারভেদ বহুরূপ, সীমাহীন। এ মর্যাদা শর‘ঈ ব্যাপারে হতে পারে, যেমন নবীদেরকে সৃষ্টিকুলের উপরে মর্যদা দেওয়া, তাদের কাউকে আবার অন্য নবীদের উপর মর্যাদাবান করা, তাঁর কিছু বান্দাকে অন্য বান্দার উপর মর্যাদাবান করা, ইলম, ঈমান, আমল, আখলাক ও অন্যান্য গুণাবলী সম্পন্নকে অন্যের উপরে মর্যাদা দেওয়া। তিনি যাকে ইচ্ছা তাকে মর্যাদায় পিছিয়ে রেখেছেন। এসব কিছুই তাঁর হিকমত অনুসারে হয়ে থাকে। এগুণ দুটি ও এ ধরণের অন্যান্য গুণাবলী তাঁর (আল্লাহর) যাতী গুণ; কেননা এ ধরণের গুণ সর্বদা তাঁর রয়েছে, তিনি এ গুণে গুণান্বিত। এটি তাঁর কর্মের সিফাতও; কেননা শ্রেষ্ঠত্ব ও মর্যাদায় আগে পরে করা সৃষ্টিকুলের যাত, কর্ম, অর্থ ও গুণাবলীর সাথে সম্পৃক্ত। এগুলো আল্লাহর ইচ্ছা ও কুদরতে সৃষ্ট হয়। এটি আল্লাহর গুণাবলীর সহীহ প্রকারভেদ। কেননা যাতী সিফাত যাতের সাথে সম্পৃক্ত এবং কর্মের সিফাত কর্মের সাথে সম্পৃক্ত।[2]
[1] রাসূলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তাশাহুদ ও সালামের মাঝে সর্বশেষ এ দু‘আ পাঠ করতেন:
“হে আল্লাহ! ক্ষমা করুন আমার পূর্ববর্তী ও পরবর্তী গুনাহ, যা আমি গোপন করেছি ও যা আমি প্রকাশ্যে করেছি, যা আমি সীমালঙ্ঘন করেছি এবং সে সকল অপরাধ যা আপনি আমার চেয়ে অধিক অবগত। আপনি সর্বাগ্রে সহায়তা প্রদানকারী ও বিলম্বে সহায়তাকারী (এ বিষয়ে এগিয়ে দেওয়ার ও পিছিয়ে দেওয়ার মালিক)। আপনি ব্যতীত কোন (সত্য) ইলাহ নেই। সহীহ মুসলিম, ১/৫৩৫, কিতাব, মুসাফিরের সালাত, বাব, রাতের সালাতের দো‘আ, হাদীস নং ৭৭১, হাদীসটি আলী রাদিয়াল্লাহু ‘আনহু থেকে বর্ণিত।
[2] আল-হাক্কুল ওয়াদিহ আল-মুবীন, পৃ. ১০০-১০১।
আল-মুকাদ্দিম (সর্বাগ্রে সহায়তা প্রদানকারী) ও আল-মু’আখখির (বিলম্বকারী) আল্লাহ তা‘আলার পরস্পর বিপরীত অর্থবোধক জোড়া নাম, যা আলাদাভাবে একটি ব্যবহার করা যায় না; বরং একটি বললে আরেকটিও উল্লেখ করা অত্যাবশ্যকীয়। কেননা উভয় নাম একত্রে উল্লেখ করার মধ্যেই পূর্ণতা রয়েছে। তিনি তাঁর হিকমত অনুসারে কাউকে আগে সহায়তা দান করেন আবার কাউকে বিলম্বে সাহায্য দান করেন।
এভাবে বিশ্ব পরিচালনার ব্যাপারে অগ্র ও পশ্চাত হতে পারে। যেমন মাখলুকাতের কাউকে অন্যের আগে পৃথিবীতে প্রেরণ করা, আসবাব তথা কারণসমূহকে মুসাববাব তথা কারণকৃতের আগে, শর্তকে তার মাশরূত তথা শর্তকৃতের আগের সংঘটিত করা ইত্যাদি।
সৃষ্টিজগতের মধ্যে অগ্র ও পশ্চাতের (মর্যাদার) প্রকারভেদ বহুরূপ, সীমাহীন। এ মর্যাদা শর‘ঈ ব্যাপারে হতে পারে, যেমন নবীদেরকে সৃষ্টিকুলের উপরে মর্যদা দেওয়া, তাদের কাউকে আবার অন্য নবীদের উপর মর্যাদাবান করা, তাঁর কিছু বান্দাকে অন্য বান্দার উপর মর্যাদাবান করা, ইলম, ঈমান, আমল, আখলাক ও অন্যান্য গুণাবলী সম্পন্নকে অন্যের উপরে মর্যাদা দেওয়া। তিনি যাকে ইচ্ছা তাকে মর্যাদায় পিছিয়ে রেখেছেন। এসব কিছুই তাঁর হিকমত অনুসারে হয়ে থাকে। এগুণ দুটি ও এ ধরণের অন্যান্য গুণাবলী তাঁর (আল্লাহর) যাতী গুণ; কেননা এ ধরণের গুণ সর্বদা তাঁর রয়েছে, তিনি এ গুণে গুণান্বিত। এটি তাঁর কর্মের সিফাতও; কেননা শ্রেষ্ঠত্ব ও মর্যাদায় আগে পরে করা সৃষ্টিকুলের যাত, কর্ম, অর্থ ও গুণাবলীর সাথে সম্পৃক্ত। এগুলো আল্লাহর ইচ্ছা ও কুদরতে সৃষ্ট হয়। এটি আল্লাহর গুণাবলীর সহীহ প্রকারভেদ। কেননা যাতী সিফাত যাতের সাথে সম্পৃক্ত এবং কর্মের সিফাত কর্মের সাথে সম্পৃক্ত।[2]
[1] রাসূলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তাশাহুদ ও সালামের মাঝে সর্বশেষ এ দু‘আ পাঠ করতেন:
«اللهُمَّ اغْفِرْ لِي مَا قَدَّمْتُ وَمَا أَخَّرْتُ، وَمَا أَسْرَرْتُ وَمَا أَعْلَنْتُ، وَمَا أَسْرَفْتُ، وَمَا أَنْتَ أَعْلَمُ بِهِ مِنِّي، أَنْتَ الْمُقَدِّمُ وَأَنْتَ الْمُؤَخِّرُ، لَا إِلَهَ إِلَّا أَنْتَ».
“হে আল্লাহ! ক্ষমা করুন আমার পূর্ববর্তী ও পরবর্তী গুনাহ, যা আমি গোপন করেছি ও যা আমি প্রকাশ্যে করেছি, যা আমি সীমালঙ্ঘন করেছি এবং সে সকল অপরাধ যা আপনি আমার চেয়ে অধিক অবগত। আপনি সর্বাগ্রে সহায়তা প্রদানকারী ও বিলম্বে সহায়তাকারী (এ বিষয়ে এগিয়ে দেওয়ার ও পিছিয়ে দেওয়ার মালিক)। আপনি ব্যতীত কোন (সত্য) ইলাহ নেই। সহীহ মুসলিম, ১/৫৩৫, কিতাব, মুসাফিরের সালাত, বাব, রাতের সালাতের দো‘আ, হাদীস নং ৭৭১, হাদীসটি আলী রাদিয়াল্লাহু ‘আনহু থেকে বর্ণিত।
[2] আল-হাক্কুল ওয়াদিহ আল-মুবীন, পৃ. ১০০-১০১।