আল-মালিক (অধিপতি, মালিক) [1]: আল-মালিক (الملك)[2], আল-মালিক (المالك)।
আল-মালিক (الملك), আল-মালিক (المالك): যার রাজত্ব রয়েছে তিনি মালিক তথা অধিপতি গুণে গুণান্বিত। এটি বড়ত্ব, অহংকার, ক্ষমতা, পরিচালনা ইত্যাদি গুণাবলী। সৃষ্টি, আদেশ-নিদেশ ও প্রতিদান প্রদান যার একচ্ছত্র মালিকানা রয়েছে তিনিই আল-মালিক।[3]
ঊর্ধ্বজগত ও নিম্নজগতের সব কিছুর ওপর তাঁর রয়েছে একচ্ছত্র মালিকানা, সবাই তাঁর দাস-দাসী ও তাঁর কাছেই অভাবী ও মুখাপেক্ষী।[4] তিনি আদেশদাতা, নিষেধকারী, সম্মানদানকারী, সম্মান হরণকারী, তিনি যেভাবে ইচ্ছা সেভাবে বান্দার সব কিছু পরিচালনা করেন, তিনি যেভাবে চান সেভাবে তাদের কার্য পরিবর্তন করেন, আসমাউল হুসনার অন্যান্য নামের যে অর্থ রয়েছে তার সবগুলো আল-মালিকের মধ্যে বিদ্যমান,
যেমন, আল-আযীয (সর্বশক্তিমান, সর্বাধিক সম্মানিত), আল-জাব্বার (মহাপ্রতাপশালী, অতীব মহিমান্বিত), আল-মুতাকাব্বির (সর্বশ্রেষ্ঠ, গৌরবান্বিত, অহংকারী), আল-হাকাম (মহা বিচারপতি), আল-আদল (ন্যায় বিচাকর), আল-খাফিদ (অবিশ্বাসীদের অপমানকারী), আর-রাফি‘(উন্নীতকারী, উঁচুকারী), আল-মু‘ইয (সম্মান প্রদানকারী), আল-মুযিল (সম্মান হরণকারী), আল-আযীম (মহা মর্যাদাপূর্ণ, অতি বিরাট), আল-জালীল (গৌরবান্বিত), আল-কাবীর (সুমহান, সবচেয়ে বড়), আল-হাসীব (মহা মীমাংসাকারী), আল-মাজীদ (মহিমান্বিত, সম্মানিত), আল-ওয়ালী (সুরক্ষাকারী বন্ধু, অনুগ্রহকারী, অভিভাবক), আল-মুতা‘আলী (সর্বোচ্চ মহিমান্বিত, সুউচ্চ), মালিকুল মুকল (সার্বভৌম ক্ষমতার অধিকারী), আল-মুতাসাল্লিত (পরিচালক, শাসক, কর্তৃত্বকারী), আল-জামে‘ (একত্রকারী, ঐক্য সাধনকারী) সহ আসমাউল হুসনার অন্যান্য নামসমূহ আল-মালিকের অন্তর্ভুক্ত।[5]
[1] আল্লাহ তা‘আলা বলেছেন,
﴿مَٰلِكِ يَوۡمِ ٱلدِّينِ٤﴾ [الفاتحة: ٤]
“বিচার দিবসের মালিক।” [সূরা আল-ফাতিহা, আয়াত: ৪]
[2] আল্লাহ তা‘আলা বলেছেন,
﴿فَتَعَٰلَى ٱللَّهُ ٱلۡمَلِكُ ٱلۡحَقُّۖ لَآ إِلَٰهَ إِلَّا هُوَ رَبُّ ٱلۡعَرۡشِ ٱلۡكَرِيمِ١١٦﴾ [المؤمنون : ١١٦]
“সুতরাং সত্যিকারের মালিক আল্লাহ মহিমান্বিত, তিনি ছাড়া কোন (সত্য) ইলাহ নেই; তিনি সম্মানিত ‘আরশের রব।” [সূরা আল-মুমিনূন, আয়াত: ১১৬]
[3] আত-তাফসীর, ৫/৬২০।
[4] আত-তাফসীর, ৫/৬২০।
[5] আল-হাক্কুল ওয়াদিহ আল-মুবীন, পৃ. ১০৪।
আল-মালিক (الملك), আল-মালিক (المالك): যার রাজত্ব রয়েছে তিনি মালিক তথা অধিপতি গুণে গুণান্বিত। এটি বড়ত্ব, অহংকার, ক্ষমতা, পরিচালনা ইত্যাদি গুণাবলী। সৃষ্টি, আদেশ-নিদেশ ও প্রতিদান প্রদান যার একচ্ছত্র মালিকানা রয়েছে তিনিই আল-মালিক।[3]
ঊর্ধ্বজগত ও নিম্নজগতের সব কিছুর ওপর তাঁর রয়েছে একচ্ছত্র মালিকানা, সবাই তাঁর দাস-দাসী ও তাঁর কাছেই অভাবী ও মুখাপেক্ষী।[4] তিনি আদেশদাতা, নিষেধকারী, সম্মানদানকারী, সম্মান হরণকারী, তিনি যেভাবে ইচ্ছা সেভাবে বান্দার সব কিছু পরিচালনা করেন, তিনি যেভাবে চান সেভাবে তাদের কার্য পরিবর্তন করেন, আসমাউল হুসনার অন্যান্য নামের যে অর্থ রয়েছে তার সবগুলো আল-মালিকের মধ্যে বিদ্যমান,
যেমন, আল-আযীয (সর্বশক্তিমান, সর্বাধিক সম্মানিত), আল-জাব্বার (মহাপ্রতাপশালী, অতীব মহিমান্বিত), আল-মুতাকাব্বির (সর্বশ্রেষ্ঠ, গৌরবান্বিত, অহংকারী), আল-হাকাম (মহা বিচারপতি), আল-আদল (ন্যায় বিচাকর), আল-খাফিদ (অবিশ্বাসীদের অপমানকারী), আর-রাফি‘(উন্নীতকারী, উঁচুকারী), আল-মু‘ইয (সম্মান প্রদানকারী), আল-মুযিল (সম্মান হরণকারী), আল-আযীম (মহা মর্যাদাপূর্ণ, অতি বিরাট), আল-জালীল (গৌরবান্বিত), আল-কাবীর (সুমহান, সবচেয়ে বড়), আল-হাসীব (মহা মীমাংসাকারী), আল-মাজীদ (মহিমান্বিত, সম্মানিত), আল-ওয়ালী (সুরক্ষাকারী বন্ধু, অনুগ্রহকারী, অভিভাবক), আল-মুতা‘আলী (সর্বোচ্চ মহিমান্বিত, সুউচ্চ), মালিকুল মুকল (সার্বভৌম ক্ষমতার অধিকারী), আল-মুতাসাল্লিত (পরিচালক, শাসক, কর্তৃত্বকারী), আল-জামে‘ (একত্রকারী, ঐক্য সাধনকারী) সহ আসমাউল হুসনার অন্যান্য নামসমূহ আল-মালিকের অন্তর্ভুক্ত।[5]
[1] আল্লাহ তা‘আলা বলেছেন,
﴿مَٰلِكِ يَوۡمِ ٱلدِّينِ٤﴾ [الفاتحة: ٤]
“বিচার দিবসের মালিক।” [সূরা আল-ফাতিহা, আয়াত: ৪]
[2] আল্লাহ তা‘আলা বলেছেন,
﴿فَتَعَٰلَى ٱللَّهُ ٱلۡمَلِكُ ٱلۡحَقُّۖ لَآ إِلَٰهَ إِلَّا هُوَ رَبُّ ٱلۡعَرۡشِ ٱلۡكَرِيمِ١١٦﴾ [المؤمنون : ١١٦]
“সুতরাং সত্যিকারের মালিক আল্লাহ মহিমান্বিত, তিনি ছাড়া কোন (সত্য) ইলাহ নেই; তিনি সম্মানিত ‘আরশের রব।” [সূরা আল-মুমিনূন, আয়াত: ১১৬]
[3] আত-তাফসীর, ৫/৬২০।
[4] আত-তাফসীর, ৫/৬২০।
[5] আল-হাক্কুল ওয়াদিহ আল-মুবীন, পৃ. ১০৪।