আল-গানিয়ু (অমুখাপেক্ষী), আল-মুগনি (সমৃদ্ধকারী, উদ্ধারকারী)[1]:
আল্লাহ তা‘আলা বলেছেন,
“হে মানুষ, তোমরা আল্লাহর প্রতি মুখাপেক্ষী আর আল্লাহ অমুখাপেক্ষী ও প্রশংসিত।” [সূরা ফাতির, আয়াত: ১৫] অত:এব, তিনি সত্ত্বাগত ভাবেই অমুখাপেক্ষী। সর্ব দিক বিবেচনায়, সকল পূর্ণতার বিচারে তাঁর রয়েছে সর্ব সাধারণ পূর্ণাঙ্গ অমুখাপেক্ষীতা এবং পূর্ণ গুণাবলী। কোন দিক থেকেই তাঁর কোন অপূর্ণতা ও দোষ-ত্রুটি স্পর্শ করতে পারে না। আর একমাত্র গানি তথা অমুখাপেক্ষী আল্লাহ ব্যতীত কারো এ ধরণের গুণ থাকতে পারে না। কেননা তাঁর অমুখাপেক্ষীতা সত্ত্বাগত ভাবেই অত্যাবশ্যকীয়, যেমনিভাবে তিনি ব্যতীত কেউ খালিক (সৃষ্টিকারী), কাদির (সর্বসক্ষম), রাযিক (রিযিকদাতা) ও মুহসিন (ইহসানকারী) হতে পারে না। অত:এব, তিনি কারো কাছে কোন ভাবেই অভাবী ও মুখাপেক্ষী নন।
তিনি অমুখাপেক্ষী, তাঁর হাতেই রয়েছে আসমান ও জমিনের ধন-ভাণ্ডার, দুনিয়া ও আখিরাতের ভাণ্ডার সামগ্রী। তিনি সব সৃষ্টি থেকে সম্পূর্ণ অমুখাপেক্ষী, তিনি তাঁর বিশেষ বান্দা ও সৃষ্টি থেকেও সম্পূর্ণ অমুখাপেক্ষী যাদের অন্তরে তিনি রাব্বানী জ্ঞান ও ঈমানী হাকিকত দান করেন।[2]
তাঁর পূর্ণ অমুখাপেক্ষীতা ও দয়ার নিদর্শন হলো তিনি তাঁর বান্দাদেরকে তাঁর কাছে দো‘আ করতে আদেশ দিয়েছেন এবং তিনি তাদের দো‘আ কবুল করতে, তাদের সমস্ত মনবাঞ্ছনা পূরণ করতে ও তাঁর দয়ায় তিনি তাদের প্রার্থনাকৃত জিনিস ও তারা যা প্রার্থনা করে নি তাও দান করতে প্রস্তুত আছেন। তাঁর পূর্ণ অমুখাপেক্ষীতা আরেকটি নিদর্শন হলো, সৃষ্টির শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত সকল সৃষ্টজীব কোন এক ময়দানে একত্রিত যদি তাঁর কাছে চাইতে থাকে এবং প্রত্যেকে যা কিছু চায় ও যেসব কিছু তাদের মনে উদয় হয় তা যদি তিনি তাদেরকে দান করেন, তাহলে তাঁর বিশাল সম্রাজ্য থেকে এক সরিষা পরিমাণও কমতি দেখা দিবে না। তাঁর পূর্ণ অমুখাপেক্ষীতা ও প্রশস্ত দানের আরো নিদর্শন হলো, তিনি তাঁর প্রিয় বান্দাদের জন্য পরকালে এমন এক চিরস্থায়ী নি‘আমতের গৃহ, আরাম-আয়েশ, ভোগ-বিলাস ও অফুরন্ত কল্যাণ তৈরি করে রেখেছেন যা কোন চক্ষু কোন দিন দেখে নি, কোন কর্ণ কোন দিন শোনে নি, এমনকি কোন মানুষের মনও এমন কিছু ভাবেনি।
তাঁর পূর্ণ অমুখাপেক্ষীতার আরেকটি নিদর্শন হলো, তিনি কোন সঙ্গী-সাথী, ছেলে-সন্তান, তাঁর সম্রাজ্যের অংশীদার ও বিপদের বন্ধু কোন কিছুই গ্রহণ করেন নি। তিনি এমনই অমুখাপেক্ষী সত্ত্বা যিনি গুণাবলীতে স্বয়ংসম্পূর্ণ, পরিপূর্ণ এবং সমস্ত সৃষ্টি থেকে তিনি অমুখাপেক্ষী।[3]
[1] এ নামের দলিল আল্লাহর নিম্নোক্ত বাণী,
﴿وَوَجَدَكَ عَآئِلٗا فَأَغۡنَىٰ٨﴾ [الضحى: ٨]
“তিনি তোমাকে পেয়েছেন নি:স্ব। অতঃপর তিনি সমৃদ্ধ করেছেন।” [সূরা আদ-দুহা, আয়াত: ৮]
[2] আত-তাফসীর, ৫/৬২৯।
[3] আল-হাক্কুল ওয়াদিহ আল-মুবীন, পৃ. ৪৭-৪৮।
আল্লাহ তা‘আলা বলেছেন,
﴿يَٰٓأَيُّهَا ٱلنَّاسُ أَنتُمُ ٱلۡفُقَرَآءُ إِلَى ٱللَّهِۖ وَٱللَّهُ هُوَ ٱلۡغَنِيُّ ٱلۡحَمِيدُ١٥﴾ [فاطر: ١٥]
“হে মানুষ, তোমরা আল্লাহর প্রতি মুখাপেক্ষী আর আল্লাহ অমুখাপেক্ষী ও প্রশংসিত।” [সূরা ফাতির, আয়াত: ১৫] অত:এব, তিনি সত্ত্বাগত ভাবেই অমুখাপেক্ষী। সর্ব দিক বিবেচনায়, সকল পূর্ণতার বিচারে তাঁর রয়েছে সর্ব সাধারণ পূর্ণাঙ্গ অমুখাপেক্ষীতা এবং পূর্ণ গুণাবলী। কোন দিক থেকেই তাঁর কোন অপূর্ণতা ও দোষ-ত্রুটি স্পর্শ করতে পারে না। আর একমাত্র গানি তথা অমুখাপেক্ষী আল্লাহ ব্যতীত কারো এ ধরণের গুণ থাকতে পারে না। কেননা তাঁর অমুখাপেক্ষীতা সত্ত্বাগত ভাবেই অত্যাবশ্যকীয়, যেমনিভাবে তিনি ব্যতীত কেউ খালিক (সৃষ্টিকারী), কাদির (সর্বসক্ষম), রাযিক (রিযিকদাতা) ও মুহসিন (ইহসানকারী) হতে পারে না। অত:এব, তিনি কারো কাছে কোন ভাবেই অভাবী ও মুখাপেক্ষী নন।
তিনি অমুখাপেক্ষী, তাঁর হাতেই রয়েছে আসমান ও জমিনের ধন-ভাণ্ডার, দুনিয়া ও আখিরাতের ভাণ্ডার সামগ্রী। তিনি সব সৃষ্টি থেকে সম্পূর্ণ অমুখাপেক্ষী, তিনি তাঁর বিশেষ বান্দা ও সৃষ্টি থেকেও সম্পূর্ণ অমুখাপেক্ষী যাদের অন্তরে তিনি রাব্বানী জ্ঞান ও ঈমানী হাকিকত দান করেন।[2]
তাঁর পূর্ণ অমুখাপেক্ষীতা ও দয়ার নিদর্শন হলো তিনি তাঁর বান্দাদেরকে তাঁর কাছে দো‘আ করতে আদেশ দিয়েছেন এবং তিনি তাদের দো‘আ কবুল করতে, তাদের সমস্ত মনবাঞ্ছনা পূরণ করতে ও তাঁর দয়ায় তিনি তাদের প্রার্থনাকৃত জিনিস ও তারা যা প্রার্থনা করে নি তাও দান করতে প্রস্তুত আছেন। তাঁর পূর্ণ অমুখাপেক্ষীতা আরেকটি নিদর্শন হলো, সৃষ্টির শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত সকল সৃষ্টজীব কোন এক ময়দানে একত্রিত যদি তাঁর কাছে চাইতে থাকে এবং প্রত্যেকে যা কিছু চায় ও যেসব কিছু তাদের মনে উদয় হয় তা যদি তিনি তাদেরকে দান করেন, তাহলে তাঁর বিশাল সম্রাজ্য থেকে এক সরিষা পরিমাণও কমতি দেখা দিবে না। তাঁর পূর্ণ অমুখাপেক্ষীতা ও প্রশস্ত দানের আরো নিদর্শন হলো, তিনি তাঁর প্রিয় বান্দাদের জন্য পরকালে এমন এক চিরস্থায়ী নি‘আমতের গৃহ, আরাম-আয়েশ, ভোগ-বিলাস ও অফুরন্ত কল্যাণ তৈরি করে রেখেছেন যা কোন চক্ষু কোন দিন দেখে নি, কোন কর্ণ কোন দিন শোনে নি, এমনকি কোন মানুষের মনও এমন কিছু ভাবেনি।
তাঁর পূর্ণ অমুখাপেক্ষীতার আরেকটি নিদর্শন হলো, তিনি কোন সঙ্গী-সাথী, ছেলে-সন্তান, তাঁর সম্রাজ্যের অংশীদার ও বিপদের বন্ধু কোন কিছুই গ্রহণ করেন নি। তিনি এমনই অমুখাপেক্ষী সত্ত্বা যিনি গুণাবলীতে স্বয়ংসম্পূর্ণ, পরিপূর্ণ এবং সমস্ত সৃষ্টি থেকে তিনি অমুখাপেক্ষী।[3]
[1] এ নামের দলিল আল্লাহর নিম্নোক্ত বাণী,
﴿وَوَجَدَكَ عَآئِلٗا فَأَغۡنَىٰ٨﴾ [الضحى: ٨]
“তিনি তোমাকে পেয়েছেন নি:স্ব। অতঃপর তিনি সমৃদ্ধ করেছেন।” [সূরা আদ-দুহা, আয়াত: ৮]
[2] আত-তাফসীর, ৫/৬২৯।
[3] আল-হাক্কুল ওয়াদিহ আল-মুবীন, পৃ. ৪৭-৪৮।