আল-কাহহার (মহাপ্রতাবশালী, দমনকারী)[1]:
আল-কাহহার হলেন যিনি ঊর্ধ্বজগত ও নিম্নজগতের সব কিছুর উপর মহাপ্রতাবশালী ও দমনকারী। তিনি সব মাখলুকের উপর প্রতাভশালী, সকলেই তাঁর মহা সম্মান, মহা শক্তি ও পূর্ণ ক্ষমতার কাছে নতশির।[2]
তিনি সৃষ্টিকুলকে দমন করে রাখেন, সকলে তাঁর কাছে বিনয়ী-বিনম্র অথবা তাঁর কুদরত ও ইচ্ছার কাছে বিনীত। ঊর্ধ্ব ও নিম্নজগতের সকল জীব ও সব উপাদান তাঁরই কাছে নতজানু। সুতরাং কোন কিছুর তাঁর এ সম্রাজ্যে তাঁর অনুমতি ব্যতীত বসবাস করতে পারে না। তিনি যা চান তা হয়ে যায়, আর তিনি যা চান না তা কখনো-ই হবে না। সসম্ত সৃষ্টি তাঁর কাছে অভাবী, মুখাপেক্ষী, তারা সকলেই অক্ষম, নিজেরা নিজেদের উপকার-ক্ষতি, কল্যাণ-অকল্যাণ কিছুই করতে পারে না। অত:পর তাঁর প্রতাবশালীতা তাঁর জীবন, ইজ্জত ও কুদরতকে অত্যাবশ্যকীয় করে; কেননা কারো পরিপূর্ণ জীবন, পূর্ণ শক্তি ও ক্ষমতা না থাকলে সে সত্ত্বা সৃষ্টকুলের উপর প্রভাব বিস্তার করতে সক্ষম হয় না।[3]
[1] আল্লাহ তা‘আলা বলেছেন,
﴿قُلِ ٱللَّهُ خَٰلِقُ كُلِّ شَيۡءٖ وَهُوَ ٱلۡوَٰحِدُ ٱلۡقَهَّٰرُ١٦﴾ [الرعد: ١٦]
“বলুন, ‘আল্লাহই সবকিছুর সৃষ্টিকর্তা এবং তিনি এক, একচ্ছত্র ক্ষমতাধর’। [সূরা আর-রাদ, আয়াত” ১৬]
[2] আত-তাফসীর, ৫/৬২৪ ও ৬/৪৪৮।
[3] আল-হাক্কুল ওয়াদিহ আল-মুবীন, পৃ. ৭৬; তাওদীহুল কাফিয়া, পৃ. ১২৬।
আল-কাহহার হলেন যিনি ঊর্ধ্বজগত ও নিম্নজগতের সব কিছুর উপর মহাপ্রতাবশালী ও দমনকারী। তিনি সব মাখলুকের উপর প্রতাভশালী, সকলেই তাঁর মহা সম্মান, মহা শক্তি ও পূর্ণ ক্ষমতার কাছে নতশির।[2]
তিনি সৃষ্টিকুলকে দমন করে রাখেন, সকলে তাঁর কাছে বিনয়ী-বিনম্র অথবা তাঁর কুদরত ও ইচ্ছার কাছে বিনীত। ঊর্ধ্ব ও নিম্নজগতের সকল জীব ও সব উপাদান তাঁরই কাছে নতজানু। সুতরাং কোন কিছুর তাঁর এ সম্রাজ্যে তাঁর অনুমতি ব্যতীত বসবাস করতে পারে না। তিনি যা চান তা হয়ে যায়, আর তিনি যা চান না তা কখনো-ই হবে না। সসম্ত সৃষ্টি তাঁর কাছে অভাবী, মুখাপেক্ষী, তারা সকলেই অক্ষম, নিজেরা নিজেদের উপকার-ক্ষতি, কল্যাণ-অকল্যাণ কিছুই করতে পারে না। অত:পর তাঁর প্রতাবশালীতা তাঁর জীবন, ইজ্জত ও কুদরতকে অত্যাবশ্যকীয় করে; কেননা কারো পরিপূর্ণ জীবন, পূর্ণ শক্তি ও ক্ষমতা না থাকলে সে সত্ত্বা সৃষ্টকুলের উপর প্রভাব বিস্তার করতে সক্ষম হয় না।[3]
[1] আল্লাহ তা‘আলা বলেছেন,
﴿قُلِ ٱللَّهُ خَٰلِقُ كُلِّ شَيۡءٖ وَهُوَ ٱلۡوَٰحِدُ ٱلۡقَهَّٰرُ١٦﴾ [الرعد: ١٦]
“বলুন, ‘আল্লাহই সবকিছুর সৃষ্টিকর্তা এবং তিনি এক, একচ্ছত্র ক্ষমতাধর’। [সূরা আর-রাদ, আয়াত” ১৬]
[2] আত-তাফসীর, ৫/৬২৪ ও ৬/৪৪৮।
[3] আল-হাক্কুল ওয়াদিহ আল-মুবীন, পৃ. ৭৬; তাওদীহুল কাফিয়া, পৃ. ১২৬।