আল-কারীব (অতি নিকটবর্তী):
আল-কারীব হলেন, যিনি সব কিছুর থেকে অতি নিকটে।
আল্লাহর নিকটত্ব দুধরণের:
সাধারণ নৈকট্য: তিনি তাঁর ইলম, জ্ঞান, মুরাকাবা (পর্যবেক্ষণ), মুশাহাদা (দেখা-শোনা) ও বেষ্টনির দ্বারা সব কিছুর সর্বাধিক নিকটবর্তী। তিনি মানুষের গলার ধমনী হতেও অধিক কাছে।
বিশেষ নৈকট্য: তিনি তাঁর ইবাদতকারী, তাঁর কাছে প্রার্থনাকারী ও তাঁকে ভালোবাসাকারীর সবচেছে নিকটে। এ নৈকট্য বলতে বুঝায়, তাদেরকে ভালোবাসা, বিজয় দান করা, সব কাজে সাহায্য করা, তাঁকে আহ্বানকারীর ডাকে সাড়া দেওয়া, তাদের দো‘আ কবুল করা ও তাদেরকে পুরস্কৃত করা। আর এ কথাই আল্লাহ তা‘আলার নিম্নোক্ত বাণীতে উল্লেখ করা হয়েছে। আল্লাহ তা‘আলা বলেছেন,
“আর সিজদা কর এবং নৈকট্য লাভ কর।” [সূরা আল-আলাক, আয়াত: ১৯]
“নিশ্চয় আমার রব নিকটে, সাড়াদানকারী।” [সূরা হূদ, আয়াত: ৬১]
“আর যখন আমার বান্দাগণ তোমাকে আমার সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করবে, আমি তো নিশ্চয় নিকটবর্তী। আমি আহ্বানকারীর ডাকে সাড়া দেই, যখন সে আমাকে ডাকে।” [সূরা আল-বাকারা, আয়াত: ১৮৬] এ প্রকারের নিকটত্বের চাহিদা হচ্ছে আল্লাহর অনুগ্রহ, তাদের আহ্বানে সাড়া দেওয়া ও তাদের চাহিদা পূরণ করা। এ কারণেই আল্লাহর আল-কারীব নামের সাথে আল-মুজীব নাম একত্রিত হয়েছে। এ প্রকারের নৈকট্যের হাকীকত জানা সম্ভব নয়, শুধু দূর থেকে এর প্রভাব জানা যায়, তাঁর সাহায্য, রক্ষণাবেক্ষণ, তাওফিক ও ভুল-ভ্রান্তি থেকে বেঁচে রাখা ইত্যাদি জানা যায়। এ ধরণের নিকটত্বের আরো প্রভাব হলো, তিনি তাঁকে আহ্বানকারীর ডাকে সাড়া দেন ও তাঁর ইবাদতকারীকে সাওয়াব দান করেন।[1]
[1] আল-হাক্কুল ওয়াদিহ আল-মুবীন, পৃ. ৬৪০; আত-তাফসীর, ১/২২৪, ৩/৪৩৭ ও ৫/৬৩০।
আল-কারীব হলেন, যিনি সব কিছুর থেকে অতি নিকটে।
আল্লাহর নিকটত্ব দুধরণের:
সাধারণ নৈকট্য: তিনি তাঁর ইলম, জ্ঞান, মুরাকাবা (পর্যবেক্ষণ), মুশাহাদা (দেখা-শোনা) ও বেষ্টনির দ্বারা সব কিছুর সর্বাধিক নিকটবর্তী। তিনি মানুষের গলার ধমনী হতেও অধিক কাছে।
বিশেষ নৈকট্য: তিনি তাঁর ইবাদতকারী, তাঁর কাছে প্রার্থনাকারী ও তাঁকে ভালোবাসাকারীর সবচেছে নিকটে। এ নৈকট্য বলতে বুঝায়, তাদেরকে ভালোবাসা, বিজয় দান করা, সব কাজে সাহায্য করা, তাঁকে আহ্বানকারীর ডাকে সাড়া দেওয়া, তাদের দো‘আ কবুল করা ও তাদেরকে পুরস্কৃত করা। আর এ কথাই আল্লাহ তা‘আলার নিম্নোক্ত বাণীতে উল্লেখ করা হয়েছে। আল্লাহ তা‘আলা বলেছেন,
﴿وَٱسۡجُدۡۤ وَٱقۡتَرِب١٩﴾ [العلق: ١٩]
“আর সিজদা কর এবং নৈকট্য লাভ কর।” [সূরা আল-আলাক, আয়াত: ১৯]
﴿إِنَّ رَبِّي قَرِيبٞ مُّجِيبٞ٦١﴾ [هود: ٦١]
“নিশ্চয় আমার রব নিকটে, সাড়াদানকারী।” [সূরা হূদ, আয়াত: ৬১]
﴿وَإِذَا سَأَلَكَ عِبَادِي عَنِّي فَإِنِّي قَرِيبٌۖ أُجِيبُ دَعۡوَةَ ٱلدَّاعِ إِذَا دَعَانِ١٨٦﴾ [البقرة: ١٨٦]
“আর যখন আমার বান্দাগণ তোমাকে আমার সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করবে, আমি তো নিশ্চয় নিকটবর্তী। আমি আহ্বানকারীর ডাকে সাড়া দেই, যখন সে আমাকে ডাকে।” [সূরা আল-বাকারা, আয়াত: ১৮৬] এ প্রকারের নিকটত্বের চাহিদা হচ্ছে আল্লাহর অনুগ্রহ, তাদের আহ্বানে সাড়া দেওয়া ও তাদের চাহিদা পূরণ করা। এ কারণেই আল্লাহর আল-কারীব নামের সাথে আল-মুজীব নাম একত্রিত হয়েছে। এ প্রকারের নৈকট্যের হাকীকত জানা সম্ভব নয়, শুধু দূর থেকে এর প্রভাব জানা যায়, তাঁর সাহায্য, রক্ষণাবেক্ষণ, তাওফিক ও ভুল-ভ্রান্তি থেকে বেঁচে রাখা ইত্যাদি জানা যায়। এ ধরণের নিকটত্বের আরো প্রভাব হলো, তিনি তাঁকে আহ্বানকারীর ডাকে সাড়া দেন ও তাঁর ইবাদতকারীকে সাওয়াব দান করেন।[1]
[1] আল-হাক্কুল ওয়াদিহ আল-মুবীন, পৃ. ৬৪০; আত-তাফসীর, ১/২২৪, ৩/৪৩৭ ও ৫/৬৩০।