পূর্ববর্তী আলিমগণ ও তাদের অনুসারী আহলে সুন্নাত ওয়াল জামা‘আতের নীতি হচ্ছে আল্লাহর নামসমূহ ও তাঁর গুণাবলী আল-কুরআন ও সুন্নায় যেভাবে এসেছে সেভাবে সাব্যস্ত করা। তাদের নীতি গুলো নিম্ন বর্ণিত নিয়মের উপরে স্থাপিত:
[১] তারা আল-কুরআন ও সুন্নায় আল্লাহর নামসমূহ ও গুণাবলী যেভাবে এসেছে সেভাবেই সাব্যসত্ম করে থাকেন এবং এ নাম ও গুণাবলীর শব্দসমূহ যে অর্থ প্রদান করছে তাও তারা সাব্যস্ত করে থাকেন। তারা এ নাম ও গুণাবলীর প্রকাশ্য অর্থ থেকে এগুলোকে পৃথক করেন না। এসব শব্দ ও অর্থকে তার স্থান থেকে পরিবর্তনও করেন না।
[২] তারা এ নাম ও গুণাবলীগুলোর সাথে মাখলুকের গুণাবলীর তুলনীয় হওয়াকে অস্বীকার করেন। যেমন, আল্লাহ তা‘আলা বলেছেন,
“তাঁর মতো কোনো কিছুই নেই। তিনি সর্বশ্রোতা ও সর্বদ্রষ্টা।” [সূরা আশ-শুরা, আয়াত: ১১]
[৩] আল্লাহ তা‘আলার নামসমূহ ও গুণাবলী সাব্যস্ত করার ক্ষেত্রে তারা আল-কুরআন ও সুন্নায় যা এসেছে তা অতিক্রম করে অন্য কোনো বক্তব্য পেশ করেন না। সুতরাং আল্লাহ ও তাঁর রাসূল যে নাম ও গুণাবলী সাব্যস্ত করেছেন তারা তা সাব্যস্ত করেন। আল্লাহ ও তাঁর রাসূল যা অস্বীকার করেছেন তারা তা অস্বীকার করেন। আর আল্লাহ ও তাঁর রাসূল আল্লাহ সম্পর্কে যে বিষয়ে চুপ ছিলেন তারাও সে বিষযে চুপ থেকেছেন।
[৪] তারা বিশ্বাস করেন যে, আল্লাহর নাম ও গুণাবলী সংক্রান্ত যে বক্তব্য কুরআনে এবং সুন্নায় এসেছে তা মুহকাম বা সুদৃঢ় বক্তব্যের অন্তর্ভুক্ত, যার অর্থ বোধগম্য এবং যার ব্যাখ্যা প্রদান করা যায় এবং তা অবোধগম্য মুতাশাবিহ আয়াতসমূহের অন্তর্ভুক্ত নয়। সুতরাং বোধগম্য নয় এ যুক্তিতে তারা সেসব নাম ও সিফাতের অর্থ আল্লাহর প্রতি অর্পণ করে না; যেমন তাদের প্রতি মিথ্যারোপকারী একদল লোক তাদেরকে অপবাদ দিয়ে থাকে, অথবা তাদের নীতিমালা জানা না থাকার কারণে সমকালীন কতিপয় লেখক বা গ্রন্থকার তাদের প্রতি যে কটাক্ষ করে থাকে।
[৫] তারা আল্লাহ তা‘আলার গুণাবলীর কাইফিয়াত তথা অবয়ব বা ধরণ আল্লাহর কাছেই অর্পণ করে থাকেন এবং এ ব্যাপারে তারা কোনো চিন্তা-গবেষণা করে না।
[১] তারা আল-কুরআন ও সুন্নায় আল্লাহর নামসমূহ ও গুণাবলী যেভাবে এসেছে সেভাবেই সাব্যসত্ম করে থাকেন এবং এ নাম ও গুণাবলীর শব্দসমূহ যে অর্থ প্রদান করছে তাও তারা সাব্যস্ত করে থাকেন। তারা এ নাম ও গুণাবলীর প্রকাশ্য অর্থ থেকে এগুলোকে পৃথক করেন না। এসব শব্দ ও অর্থকে তার স্থান থেকে পরিবর্তনও করেন না।
[২] তারা এ নাম ও গুণাবলীগুলোর সাথে মাখলুকের গুণাবলীর তুলনীয় হওয়াকে অস্বীকার করেন। যেমন, আল্লাহ তা‘আলা বলেছেন,
﴿لَيۡسَ كَمِثۡلِهِۦ شَيۡءٞۖ وَهُوَ ٱلسَّمِيعُ ٱلۡبَصِيرُ ١١ ﴾ [الشورى: ١١]
“তাঁর মতো কোনো কিছুই নেই। তিনি সর্বশ্রোতা ও সর্বদ্রষ্টা।” [সূরা আশ-শুরা, আয়াত: ১১]
[৩] আল্লাহ তা‘আলার নামসমূহ ও গুণাবলী সাব্যস্ত করার ক্ষেত্রে তারা আল-কুরআন ও সুন্নায় যা এসেছে তা অতিক্রম করে অন্য কোনো বক্তব্য পেশ করেন না। সুতরাং আল্লাহ ও তাঁর রাসূল যে নাম ও গুণাবলী সাব্যস্ত করেছেন তারা তা সাব্যস্ত করেন। আল্লাহ ও তাঁর রাসূল যা অস্বীকার করেছেন তারা তা অস্বীকার করেন। আর আল্লাহ ও তাঁর রাসূল আল্লাহ সম্পর্কে যে বিষয়ে চুপ ছিলেন তারাও সে বিষযে চুপ থেকেছেন।
[৪] তারা বিশ্বাস করেন যে, আল্লাহর নাম ও গুণাবলী সংক্রান্ত যে বক্তব্য কুরআনে এবং সুন্নায় এসেছে তা মুহকাম বা সুদৃঢ় বক্তব্যের অন্তর্ভুক্ত, যার অর্থ বোধগম্য এবং যার ব্যাখ্যা প্রদান করা যায় এবং তা অবোধগম্য মুতাশাবিহ আয়াতসমূহের অন্তর্ভুক্ত নয়। সুতরাং বোধগম্য নয় এ যুক্তিতে তারা সেসব নাম ও সিফাতের অর্থ আল্লাহর প্রতি অর্পণ করে না; যেমন তাদের প্রতি মিথ্যারোপকারী একদল লোক তাদেরকে অপবাদ দিয়ে থাকে, অথবা তাদের নীতিমালা জানা না থাকার কারণে সমকালীন কতিপয় লেখক বা গ্রন্থকার তাদের প্রতি যে কটাক্ষ করে থাকে।
[৫] তারা আল্লাহ তা‘আলার গুণাবলীর কাইফিয়াত তথা অবয়ব বা ধরণ আল্লাহর কাছেই অর্পণ করে থাকেন এবং এ ব্যাপারে তারা কোনো চিন্তা-গবেষণা করে না।
তাওহীদ পরিচিতি
ড. সালিহ ইবন ফাওযান আল-ফাওযান
অনুবাদ: ড. মোহাম্মদ মানজুরে ইলাহী
সম্পাদনা: ড. আবু বকর মুহাম্মাদ যাকারিয়া
ড. সালিহ ইবন ফাওযান আল-ফাওযান
অনুবাদ: ড. মোহাম্মদ মানজুরে ইলাহী
সম্পাদনা: ড. আবু বকর মুহাম্মাদ যাকারিয়া