If you're in doubt ask الله.
Forum Staff
Moderator
Generous
ilm Seeker
Uploader
Exposer
HistoryLover
Q&A Master
Salafi User
আল্লাহর নামে ওহি বিকৃত করার সুযোগ স্বয়ং রাসূলেরও ছিলনা। এ সম্পর্কে আল্লাহ তাআলা বলেন:
পূর্বের আয়াতে প্রমাণিত হয়েছে, রাসূলুল্লাহ (ﷺ)-এর কথাও ওহি এবং তা আল্লাহর পক্ষ থেকে নাযিলকৃত। আলোচ্য আয়াত থেকে প্রমাণিত হলো, যদি রাসূলুল্লাহ (আল্লাহ তাআলার পক্ষ থেকে কথা ব্যতীত নিজের মনোমতো কথা বলতেন, তাহলে তৎক্ষণাৎ তাঁর গ্রীবা ধমনি কেটে প্রাণ হরণ করা হতো। যা থেকে প্রমাণিত হয়, রাসূল (ﷺ)-এর কথা ও কাজ হিসাবে আমাদের কাছে যা-কিছু সত্যতা ও নির্ভরযোগ্যতার সাথে নিষ্ঠাবান মুত্তাকিদের মাধ্যমে পৌঁছেছে- তাও নির্ভেজাল ওহি। যারা মিথ্যা হাদীস রচনা করেছে তাদের অনেকেরই উক্ত আয়াতের আলোকে কঠিন মৃত্যু হয়েছে।২ উপরন্ত আয়াতটির মাধ্যমে পরবর্তী মুত্তাকিদের জন্য কুরআন ও হাদীস বর্ণনাকারীদের প্রতি তীক্ষ্ণ দৃষ্টি রাখার ব্যাপারে অনুপ্রাণিত করা হয়েছে। ফলে হাদীস সংকলনের ক্ষেত্রে আয়াতটি ছিল মুত্তাকিদের জন্য বিশেষ উপদেশ (যিকির) ও হিদায়াত (গাইড বা পথ নির্দেশিকা)। অন্যত্র মুত্তাকিদের অভয় দিয়ে যিকির তথা ওহি হিসাবে নাযিলকৃত সমস্ত উপদেশ হিফাজাতের প্রক্রিয়া আল্লাহ তাআলা নিজ দায়িত্বের মধ্যে গ্রহণ করেছেন। যেমন বর্ণিত হয়েছে,
সংক্ষেপে বলা চলে, সহীহ হাদীস হিসেবে যা-কিছু প্রচলিত আছে তার মধ্যে কোনো বিকৃতি থাকলে তার সংকলকদের ব্যাপারে স্বয়ং আল্লাহ তাআলাই ব্যবস্থা গ্রহণ করতেন। এটাই আলোচ্য আয়াত দুটির দাবি ।
১. সূরা হাক্কাহ: ৪৪-৪৮।
২. 'আলি (রা.) ইবনু সাবা ও তার অনুসারীদেরকে মেরে আগুনে পুড়িয়েছিলেন। (ইবনু হাজার, লিসানুল মীযান ৩/২৯০ পৃ:) এভাবে 'খুলাফায়ে রাশিদীন' –এর যুগের পরেও যখনই কোনো ব্যক্তি সম্পর্কে হাদীস জালকরণের কথা প্রমাণিত হয়েছে, তখনই তার প্রাণদণ্ডের ব্যবস্থা করা হয়েছে। হারিস ইবনু সাঈদ আল-কাযযাবকে খলীফা হিশাম ইব্ন 'আবদিল মালিক এ অপরাধেই প্রাণদণ্ড দিয়েছিলেন। অতঃপর আব্বাসীয় খলীফা আল্-মানসূর (১৩৬/৭৫৩-১৫৮/৭৭৪) রাসূলুল্লাহ (ﷺ)-এর নামে মিথ্যারোপের অপরাধেই মুহাম্মাদ ইবনু সাঈদ আল-মাস বকে ফাঁসির কাষ্ঠে ঝুলিয়েছিলেন। এভাবে উমাইয়া গভর্নর খালিদ ইবন আবদিল্লাহ আল্-কাসরি মিথ্যা হাদীস রচনাকারী বয়ান ই সাম'আন আল-মাহদিকে এবং বসরার আব্বাসীয় গভর্নর মুহাম্মাদ ইবন সুলায়মান ইবন আলি কুখ্যাত জাল হাদীস রচনাকারী আবদুল করীম ইবৃন আবিল আওজাকে প্রাণদণ্ডে দণ্ডিত করেছিলেন। (আস- সবাঈ, আস-সুন্নাহ ওয়া মাকানাতুহা ফিত্-তাশইর'ইল ইসলামী, পৃ: ৮৫)। [সূত্রে: ড: মুহাম্মাদ জামাল উদ্দিন, রিজালশাস্ত্র ও জাল হাদীসের ইতিবৃত্ত (ঢাকা: ই.ফা.বা., মার্চ ২০০৪) পৃ: ২০৩-০৪। এই ঐতিহাসিক সত্যতার আলোকে প্রমাণিত হলো, আল্লাহর নামে কুরআন বা হাদীসের বিকৃতকারীদের পরিণাম খুবই ভয়াবহ (সূরা হাক্কাহ: ৪৪-৪৮ আয়াত)। পক্ষান্তরে হাদীস সংকলনের মহান দায়িত্বে যারা নিয়োজিত ছিলেন তাদের সুনাম ও সুখ্যাতি সারা দুনিয়াব্যাপী। এ থেকেও আলোচ্য আয়াতটি সাক্ষ্য প্রদান করছে।
৩. সূরা হিজর: ৯।
وَ لَوْ تَقَوَّلَ عَلَيْنَا بَعْضَ الْاَقَاوِيْلِ : ۴۴ لَاَخَذْنَا مِنْهُ بِالْيَمِيْنِ ﴿۵۴﴾ ثُمَّ لَقَطَعْنَا مِنْهُ الْوَتِيْنَ ﴿(۶۴) فَمَا مِنْكُمْ مِنْ أَحَدٍ عَنْهُ حَجِزِيْنَ (۷۴) وَإِنَّهُ لَتَذْكِرَةُ لِلْمُتَّقِينَ (۸۴)
“সে [রাসূলুল্লাহ] যদি আমার নামে কোনো কথা রচনা করত, তবে আমি তাঁর দক্ষিণহস্ত ধরে ফেলতাম। অতঃপর কেটে দিতাম তাঁর গ্রীবা। তোমাদের কেউ তাকে রক্ষা করতে পারত না। এটা মুত্তাকি বা পরহেজগারদের জন্য অবশ্যই একটি উপদেশ।১পূর্বের আয়াতে প্রমাণিত হয়েছে, রাসূলুল্লাহ (ﷺ)-এর কথাও ওহি এবং তা আল্লাহর পক্ষ থেকে নাযিলকৃত। আলোচ্য আয়াত থেকে প্রমাণিত হলো, যদি রাসূলুল্লাহ (আল্লাহ তাআলার পক্ষ থেকে কথা ব্যতীত নিজের মনোমতো কথা বলতেন, তাহলে তৎক্ষণাৎ তাঁর গ্রীবা ধমনি কেটে প্রাণ হরণ করা হতো। যা থেকে প্রমাণিত হয়, রাসূল (ﷺ)-এর কথা ও কাজ হিসাবে আমাদের কাছে যা-কিছু সত্যতা ও নির্ভরযোগ্যতার সাথে নিষ্ঠাবান মুত্তাকিদের মাধ্যমে পৌঁছেছে- তাও নির্ভেজাল ওহি। যারা মিথ্যা হাদীস রচনা করেছে তাদের অনেকেরই উক্ত আয়াতের আলোকে কঠিন মৃত্যু হয়েছে।২ উপরন্ত আয়াতটির মাধ্যমে পরবর্তী মুত্তাকিদের জন্য কুরআন ও হাদীস বর্ণনাকারীদের প্রতি তীক্ষ্ণ দৃষ্টি রাখার ব্যাপারে অনুপ্রাণিত করা হয়েছে। ফলে হাদীস সংকলনের ক্ষেত্রে আয়াতটি ছিল মুত্তাকিদের জন্য বিশেষ উপদেশ (যিকির) ও হিদায়াত (গাইড বা পথ নির্দেশিকা)। অন্যত্র মুত্তাকিদের অভয় দিয়ে যিকির তথা ওহি হিসাবে নাযিলকৃত সমস্ত উপদেশ হিফাজাতের প্রক্রিয়া আল্লাহ তাআলা নিজ দায়িত্বের মধ্যে গ্রহণ করেছেন। যেমন বর্ণিত হয়েছে,
إِنَّا نَحْنُ نَزَّلْنَا الذِكْرَ وَإِنَّا لَهُ لَحَفِظُوْنَ
“আমিই এই উপদেশ (যিকির) নাযিল করেছি, আর আমিই এর সংরক্ষক।”৩সংক্ষেপে বলা চলে, সহীহ হাদীস হিসেবে যা-কিছু প্রচলিত আছে তার মধ্যে কোনো বিকৃতি থাকলে তার সংকলকদের ব্যাপারে স্বয়ং আল্লাহ তাআলাই ব্যবস্থা গ্রহণ করতেন। এটাই আলোচ্য আয়াত দুটির দাবি ।
আরও পড়ুন - হাদীস কেন মানতে হবে?
১. সূরা হাক্কাহ: ৪৪-৪৮।
২. 'আলি (রা.) ইবনু সাবা ও তার অনুসারীদেরকে মেরে আগুনে পুড়িয়েছিলেন। (ইবনু হাজার, লিসানুল মীযান ৩/২৯০ পৃ:) এভাবে 'খুলাফায়ে রাশিদীন' –এর যুগের পরেও যখনই কোনো ব্যক্তি সম্পর্কে হাদীস জালকরণের কথা প্রমাণিত হয়েছে, তখনই তার প্রাণদণ্ডের ব্যবস্থা করা হয়েছে। হারিস ইবনু সাঈদ আল-কাযযাবকে খলীফা হিশাম ইব্ন 'আবদিল মালিক এ অপরাধেই প্রাণদণ্ড দিয়েছিলেন। অতঃপর আব্বাসীয় খলীফা আল্-মানসূর (১৩৬/৭৫৩-১৫৮/৭৭৪) রাসূলুল্লাহ (ﷺ)-এর নামে মিথ্যারোপের অপরাধেই মুহাম্মাদ ইবনু সাঈদ আল-মাস বকে ফাঁসির কাষ্ঠে ঝুলিয়েছিলেন। এভাবে উমাইয়া গভর্নর খালিদ ইবন আবদিল্লাহ আল্-কাসরি মিথ্যা হাদীস রচনাকারী বয়ান ই সাম'আন আল-মাহদিকে এবং বসরার আব্বাসীয় গভর্নর মুহাম্মাদ ইবন সুলায়মান ইবন আলি কুখ্যাত জাল হাদীস রচনাকারী আবদুল করীম ইবৃন আবিল আওজাকে প্রাণদণ্ডে দণ্ডিত করেছিলেন। (আস- সবাঈ, আস-সুন্নাহ ওয়া মাকানাতুহা ফিত্-তাশইর'ইল ইসলামী, পৃ: ৮৫)। [সূত্রে: ড: মুহাম্মাদ জামাল উদ্দিন, রিজালশাস্ত্র ও জাল হাদীসের ইতিবৃত্ত (ঢাকা: ই.ফা.বা., মার্চ ২০০৪) পৃ: ২০৩-০৪। এই ঐতিহাসিক সত্যতার আলোকে প্রমাণিত হলো, আল্লাহর নামে কুরআন বা হাদীসের বিকৃতকারীদের পরিণাম খুবই ভয়াবহ (সূরা হাক্কাহ: ৪৪-৪৮ আয়াত)। পক্ষান্তরে হাদীস সংকলনের মহান দায়িত্বে যারা নিয়োজিত ছিলেন তাদের সুনাম ও সুখ্যাতি সারা দুনিয়াব্যাপী। এ থেকেও আলোচ্য আয়াতটি সাক্ষ্য প্রদান করছে।
৩. সূরা হিজর: ৯।