If you're in doubt ask الله.
Forum Staff
Moderator
Generous
ilm Seeker
Uploader
Exposer
HistoryLover
Q&A Master
Salafi User
ইমাম আহমাদ (রাহি.)'র কথা: ‘এ সংক্রান্ত হাদীসসমূহ সত্যায়ন করা এবং ঈমান আনা।’ অর্থাৎ তাকদীর সংক্রান্ত হাদীসসমূহকে সত্যায়ন করা হবে এবং ঈমান আনা হবে। এটি সালাফদের মাযহাব।
ইমাম আহমাদ (রাহি.)'র কথা: ‘এ কথা না-বলা যে, ‘কেন এমন’ এবং ‘ধরন কী’।’ অর্থাৎ আল্লাহর কর্মের ক্ষেত্রে বলা হবে না ‘কেন এমন’ আর আল্লাহর গুণের ক্ষেত্রে বলা হবে না ‘ধরন কী’। কাজেই আপনি বলবেন না, কেন আল্লাহ তাআলা এমন করেছেন; বরং আপনি আল্লাহর নির্ধারণ, তাকদীর ও ফয়সালা মেনে নিন। অতএব, উদাহরণ সরূপ আপনি বলবেন না, ‘কেন এই ব্যক্তি আলিম এবং কেন এই ব্যক্তি জাহিল? কেন এই ব্যক্তি দরিদ্র এবং কেন এই ব্যক্তি ধনী? কেন এই ব্যক্তি একশত বছর বেঁচে থেকে বৃদ্ধ অবস্থায় মারা গেলো এবং কেন এই ব্যক্তি যুবক অবস্থায় মারা গেলো?’
এমনই সকল বিষয়। এগুলো তাকদীরের ক্ষেত্রে আল্লাহর রহস্য। কাজেই আপনি এসব বিষয়ে ‘কেন’ ও ‘ধরন’ দ্বারা প্রশ্ন করবেন না। এ কারণে ইমাম তহাবী রাহিমাহুল্লাহ বলেছেন, ‘তাকদীর’ সম্পর্কে মূল কথা হলো, এটি সৃষ্টিকুলের ব্যাপারে আল্লাহ তাআলার একটি নিগুঢ় রহস্য। এ ব্যাপারে নৈকট্যপ্রাপ্ত কোনো ফেরেশতা বা কোনো নবী-রাসূলও অবহিত নন। এ সম্পর্কে তথ্য আবিষ্কার করতে যাওয়া বা চিন্তাভাবনা করা ব্যর্থতাকে নিশ্চিত করে এবং বঞ্চনার সিঁড়ি ও সীমালঙ্ঘনের পথ উন্মুক্ত করে দেয়। অতএব, তাকদীর সম্পর্কে চিন্তা-ভাবনা ও কুমন্ত্রণা থেকে সর্বাত্মক সতর্ক থাকতে হবে। কারণ, আল্লাহ তাআলা তাকদীরের জ্ঞান তাঁর সৃষ্টিকুল থেকে গোপন রেখেছেন এবং এর তত্ত্ব উদ্ঘাটনের চেষ্টা করা থেকে নিষেধ করেছেন। যেমন আল্লাহ তাআলা বলেন,
তিনি যা করেন সে বিষয়ে তাঁকে প্রশ্ন করা হবে না বরং তারা (তাদের কৃতকর্ম সম্পর্কে) জিজ্ঞাসিত হবে।[1]
অতএব, আপনি এ বিষয়ে জিজ্ঞেস করবেন না। তাকদীর হলো সৃষ্টির ক্ষেত্রে আল্লাহর গুঢ় রহস্য। জেনে রাখুন! আপনার রব্ব মহাপ্রজ্ঞাবান। আল্লাহ যখন একজনকে খাটো, অন্যজনকে লম্বা, একজন ধনী, অন্যজনকে দরিদ্র, একজনকে আলিম ও অন্যজনকে জাহিল করেছেন, তখন আল্লাহর তাকদীর ও নির্ধারণ রহস্যময়। তা আল্লাহর হিকমত ও প্রজ্ঞার ওপর ভিত্তিশীল। আমরা সেই প্রজ্ঞা ও হিকমতের কথা জানি না।
অনুরূপভাবে আপনি ‘ধরন’ সম্পর্কে জিজ্ঞেস করবেন না। আপনি বলবেন না ‘আল্লাহর গুণাবলির ধরন কেমন? কীভাবে আল্লাহ আরশের ওপর ওঠেছেন?’ বরং আপনি ওপরে উঠার প্রতি ঈমান আনবেন কিন্তু তার ধরন সম্পর্কে প্রশ্ন করবেন না। ওপরে উঠার অর্থ জ্ঞাত কিন্তু এর ধরন সম্পর্কে প্রশ্ন করবেন না। আপনি ঈমান আনবেন যে, আল্লাহ তাআলা আরশের ওপর উঠেছেন কিন্তু উঠার ধরন সম্পর্কে জানতে চাইবেন না। যেমন ওপরে উঠার সম্পর্কে ইমাম মালিককে প্রশ্ন করা হলে তিনি বলেন, ‘ওপরে উঠা জ্ঞাত বিষয় কিন্তু ধরন অজানা। এর প্রতি ঈমান আনা ওয়াজিব এবং এ সম্পর্কে প্রশ্ন করা বিদআত।’
আরশের ওপর উঠার মতো বিষয় আল্লাহর অবতরণ করা। আরবী ভাষায় ‘নুযুল তথা অবতরণ’ শব্দের অর্থ জ্ঞাত। কিন্তু অবতরণের ধরন নিয়ে প্রশ্ন করবেন না। এর প্রতি ঈমান আনা ওয়াজিব এবং এ সম্পর্কে প্রশ্ন করা বিদআত। আল্লাহর গুণাবলির অর্থগুলো আরবী ভাষায় জ্ঞাত। গুণাবলির প্রতি ঈমান আনা ওয়াজিব কিন্তু গুণাবলির ধরন সম্পর্কে প্রশ্ন করা হবে না। গুণাবলির ধরন সম্পর্কে প্রশ্ন করা বিদআত। আপনি বলবেন না ‘আল্লাহর ইলমের ধরন কেমন? আল্লাহর কীভাবে শুনেন? আল্লাহর দর্শন কেমন? আল্লাহর দৃষ্টি কেমন?’ কারণ, আল্লাহর গুণাবলির ধরন আল্লাহ ছাড়া অন্য কেউ জানে না। এ কারণে এসব নিয়ে প্রশ্ন করা বিদআত। আল্লাহ তাআলার কর্মের ব্যাপারে যেমন আপত্তি তুলবেন না, তেমন তাঁর গুণাবলির ধরন নিয়েও প্রশ্ন করবেন না। কাজেই বলা হবে না ‘কেন এমন’ এবং ‘ধরন কী’। বরং দায়িত্ব হলো কেবল সত্যায়ন করা ও ঈমান নিয়ে আসা।’
আল্লাহ তাআলার কর্ম নিয়ে প্রশ্ন করা হবে না। কারণ, তাঁর হিকমত ও প্রজ্ঞা পরিপূর্ণ। আল্লাহ তাআলা কর্ম তেমন নয়, যেমনটি জাবারিয়া ফিরকা বলে থাকে। তারা বলে থাকে, ‘আল্লাহ তাআলা নিছক ক্ষমতা ও ইচ্ছা দ্বারা করে থাকেন। তাঁর কর্মে কোনো হিকমত, কারণ ও রহস্য নেই।’ তারা আল্লাহর হিকমতকে অস্বীকার করে। তারা বলে আল্লাহ তাআলা নিছক ইচ্ছার মাধ্যমে করে থাকেন। তিনি করে থাকেন কিন্তু তাঁর কর্মে কোনো হিকমত নেই। তাদের এমন কথা বাতিল। কারণ, তাদের এমন কথা থেকে আবশ্যক হয়ে যায় যে, আল্লাহর ইচ্ছা ও চাওয়া অন্ধের ন্যায় এলোমেলো। এমনটি হলে তাঁর ইচ্ছা ও চাওয়া ভিন্নভিন্ন জিনিসকে একত্রিত করবে এবং সাযুজ্যপূর্ণ জিনিসকে বিচ্ছিন্ন করবে। আর এমন কথা চূড়ান্ত বাতিল।
ইমাম আহমাদ (রাহি.)'র কথা: ‘এ কথা না-বলা যে, ‘কেন এমন’ এবং ‘ধরন কী’।’ অর্থাৎ আল্লাহর কর্মের ক্ষেত্রে বলা হবে না ‘কেন এমন’ আর আল্লাহর গুণের ক্ষেত্রে বলা হবে না ‘ধরন কী’। কাজেই আপনি বলবেন না, কেন আল্লাহ তাআলা এমন করেছেন; বরং আপনি আল্লাহর নির্ধারণ, তাকদীর ও ফয়সালা মেনে নিন। অতএব, উদাহরণ সরূপ আপনি বলবেন না, ‘কেন এই ব্যক্তি আলিম এবং কেন এই ব্যক্তি জাহিল? কেন এই ব্যক্তি দরিদ্র এবং কেন এই ব্যক্তি ধনী? কেন এই ব্যক্তি একশত বছর বেঁচে থেকে বৃদ্ধ অবস্থায় মারা গেলো এবং কেন এই ব্যক্তি যুবক অবস্থায় মারা গেলো?’
এমনই সকল বিষয়। এগুলো তাকদীরের ক্ষেত্রে আল্লাহর রহস্য। কাজেই আপনি এসব বিষয়ে ‘কেন’ ও ‘ধরন’ দ্বারা প্রশ্ন করবেন না। এ কারণে ইমাম তহাবী রাহিমাহুল্লাহ বলেছেন, ‘তাকদীর’ সম্পর্কে মূল কথা হলো, এটি সৃষ্টিকুলের ব্যাপারে আল্লাহ তাআলার একটি নিগুঢ় রহস্য। এ ব্যাপারে নৈকট্যপ্রাপ্ত কোনো ফেরেশতা বা কোনো নবী-রাসূলও অবহিত নন। এ সম্পর্কে তথ্য আবিষ্কার করতে যাওয়া বা চিন্তাভাবনা করা ব্যর্থতাকে নিশ্চিত করে এবং বঞ্চনার সিঁড়ি ও সীমালঙ্ঘনের পথ উন্মুক্ত করে দেয়। অতএব, তাকদীর সম্পর্কে চিন্তা-ভাবনা ও কুমন্ত্রণা থেকে সর্বাত্মক সতর্ক থাকতে হবে। কারণ, আল্লাহ তাআলা তাকদীরের জ্ঞান তাঁর সৃষ্টিকুল থেকে গোপন রেখেছেন এবং এর তত্ত্ব উদ্ঘাটনের চেষ্টা করা থেকে নিষেধ করেছেন। যেমন আল্লাহ তাআলা বলেন,
لَا يُسَۡٔلُ عَمَّا يَفۡعَلُ وَهُمۡ يُسَۡٔلُونَ ﴾﴿
তিনি যা করেন সে বিষয়ে তাঁকে প্রশ্ন করা হবে না বরং তারা (তাদের কৃতকর্ম সম্পর্কে) জিজ্ঞাসিত হবে।[1]
অতএব, আপনি এ বিষয়ে জিজ্ঞেস করবেন না। তাকদীর হলো সৃষ্টির ক্ষেত্রে আল্লাহর গুঢ় রহস্য। জেনে রাখুন! আপনার রব্ব মহাপ্রজ্ঞাবান। আল্লাহ যখন একজনকে খাটো, অন্যজনকে লম্বা, একজন ধনী, অন্যজনকে দরিদ্র, একজনকে আলিম ও অন্যজনকে জাহিল করেছেন, তখন আল্লাহর তাকদীর ও নির্ধারণ রহস্যময়। তা আল্লাহর হিকমত ও প্রজ্ঞার ওপর ভিত্তিশীল। আমরা সেই প্রজ্ঞা ও হিকমতের কথা জানি না।
অনুরূপভাবে আপনি ‘ধরন’ সম্পর্কে জিজ্ঞেস করবেন না। আপনি বলবেন না ‘আল্লাহর গুণাবলির ধরন কেমন? কীভাবে আল্লাহ আরশের ওপর ওঠেছেন?’ বরং আপনি ওপরে উঠার প্রতি ঈমান আনবেন কিন্তু তার ধরন সম্পর্কে প্রশ্ন করবেন না। ওপরে উঠার অর্থ জ্ঞাত কিন্তু এর ধরন সম্পর্কে প্রশ্ন করবেন না। আপনি ঈমান আনবেন যে, আল্লাহ তাআলা আরশের ওপর উঠেছেন কিন্তু উঠার ধরন সম্পর্কে জানতে চাইবেন না। যেমন ওপরে উঠার সম্পর্কে ইমাম মালিককে প্রশ্ন করা হলে তিনি বলেন, ‘ওপরে উঠা জ্ঞাত বিষয় কিন্তু ধরন অজানা। এর প্রতি ঈমান আনা ওয়াজিব এবং এ সম্পর্কে প্রশ্ন করা বিদআত।’
আরশের ওপর উঠার মতো বিষয় আল্লাহর অবতরণ করা। আরবী ভাষায় ‘নুযুল তথা অবতরণ’ শব্দের অর্থ জ্ঞাত। কিন্তু অবতরণের ধরন নিয়ে প্রশ্ন করবেন না। এর প্রতি ঈমান আনা ওয়াজিব এবং এ সম্পর্কে প্রশ্ন করা বিদআত। আল্লাহর গুণাবলির অর্থগুলো আরবী ভাষায় জ্ঞাত। গুণাবলির প্রতি ঈমান আনা ওয়াজিব কিন্তু গুণাবলির ধরন সম্পর্কে প্রশ্ন করা হবে না। গুণাবলির ধরন সম্পর্কে প্রশ্ন করা বিদআত। আপনি বলবেন না ‘আল্লাহর ইলমের ধরন কেমন? আল্লাহর কীভাবে শুনেন? আল্লাহর দর্শন কেমন? আল্লাহর দৃষ্টি কেমন?’ কারণ, আল্লাহর গুণাবলির ধরন আল্লাহ ছাড়া অন্য কেউ জানে না। এ কারণে এসব নিয়ে প্রশ্ন করা বিদআত। আল্লাহ তাআলার কর্মের ব্যাপারে যেমন আপত্তি তুলবেন না, তেমন তাঁর গুণাবলির ধরন নিয়েও প্রশ্ন করবেন না। কাজেই বলা হবে না ‘কেন এমন’ এবং ‘ধরন কী’। বরং দায়িত্ব হলো কেবল সত্যায়ন করা ও ঈমান নিয়ে আসা।’
আল্লাহ তাআলার কর্ম নিয়ে প্রশ্ন করা হবে না। কারণ, তাঁর হিকমত ও প্রজ্ঞা পরিপূর্ণ। আল্লাহ তাআলা কর্ম তেমন নয়, যেমনটি জাবারিয়া ফিরকা বলে থাকে। তারা বলে থাকে, ‘আল্লাহ তাআলা নিছক ক্ষমতা ও ইচ্ছা দ্বারা করে থাকেন। তাঁর কর্মে কোনো হিকমত, কারণ ও রহস্য নেই।’ তারা আল্লাহর হিকমতকে অস্বীকার করে। তারা বলে আল্লাহ তাআলা নিছক ইচ্ছার মাধ্যমে করে থাকেন। তিনি করে থাকেন কিন্তু তাঁর কর্মে কোনো হিকমত নেই। তাদের এমন কথা বাতিল। কারণ, তাদের এমন কথা থেকে আবশ্যক হয়ে যায় যে, আল্লাহর ইচ্ছা ও চাওয়া অন্ধের ন্যায় এলোমেলো। এমনটি হলে তাঁর ইচ্ছা ও চাওয়া ভিন্নভিন্ন জিনিসকে একত্রিত করবে এবং সাযুজ্যপূর্ণ জিনিসকে বিচ্ছিন্ন করবে। আর এমন কথা চূড়ান্ত বাতিল।
[1] সূরা আম্বিয়া, আয়াত: ২৩; আল-আকীদাতুত তহাবিয়া, পৃ. ৩২