আর-রাফি‘(উন্নীতকারী, উঁচুকারী), আল-খাফিদ (অবিশ্বাসীদের অপমানকারী)।[1]
আর-রাব (রব, পালনকারী)[2]:
আল-কুরআনে রব নামটি অনেক আয়াতেই একাধিক বার উল্লেখ হয়েছে। রব হলেন যিনি বান্দাকে পরিচালনা, দেখা-শোনা ও যাবতীয় নি‘আমত প্রদান করে লালনপালন করেন।
উপরোক্ত অর্থ থেকে রবের আরো বিশেষ অর্থ হচ্ছে, তিনি তাঁর প্রিয় বান্দাদের কলব, রূহ ও আখলাকের ইসলাহীর মাধ্যমে তারবিয়াত তথা প্রতিপালন করেন। এ কারণেই বান্দার দো‘আয় আল্লাহর এ সম্মানিত রব নামটি বেশি উচ্চারিত হয়। কেননা তারা তাঁর কাছে বিশেষ প্রতিপালন তালাশ করে।[3]
সৃষ্টিকুলের লালনপালনের সব ধরণের দায়-দায়িত্বের কারণে তিনি তাদের ইলাহ হওয়া অধিকারী। রব নামটি পূর্ণতার সিফাত, সমস্ত প্রশংসা একমাত্র তাঁরই, দয়া ও ইহসান তাঁরই, প্রতিপালনের সব ধরণের অর্থে কেউ তাঁর সাথে অংশীদার নয়। আল্লাহ তা‘আলা বলেছেন,
“তাঁর মতো কিছুই নেই। আর তিনি সর্বশ্রোতা ও সর্বদ্রষ্টা।” [সূরা আশ-শূরা, আয়াত: ১১]
মানুষ, ফিরিশতা কেউ তাঁর মতো নয়, বরং সবাই তাঁর গোলাম, সব ধরণের তারবিয়াতে তাদের রবের প্রতিপালিত। তারা সবাই তাঁর অধিনস্ত, তাঁর মহত্ব ও বড়ত্বের সামনে নতজানু। সুতরাং ইবাদত ও ইলাহ হওয়ার ক্ষেত্রে তাঁর সমকক্ষ ও শরীক হওয়ার কারো অধিকার নেই।
আল্লাহ তা‘আলার প্রতিপালন ফিরিশতা, আম্বিয়া ও অন্যান্য সকলকে সৃষ্টি করা, রিযিক দেওয়া, পরিচালনা করা, জীবন ও মৃত্যু দেওয়া ইত্যাদিকে শামিল করে। ফলে তারা এসব নি‘আমেতর কারণে ইখলাসের সাথে একমাত্র তাঁরই শুকরিয়া আদায় করে, তাঁকে ইলাহ হিসেবে গ্রহণ করে, তিনি ব্যতীত কাউকে অলী ও শাফা‘আতকারী হিসেবে গ্রহণ করেন না। অত:এব, বান্দার প্রতিপালনের কারণে ইলাহ হওয়ার অধিকার একমাত্র আল্লাহ সুবহানাহু ওতা‘আলারই।[4]
[1] এ নামদ্বয়ের আলোচনা আল-বাসিত নামের আলোচনার সাথে উল্লেখ করা হয়েছে।
[2] এ নামের দলিল আল্লাহর নিম্নোক্ত বাণী,
“বলুন, আমি কি আল্লাহ ছাড়া অন্য কোন রব অনুসন্ধান করব ; অথচ তিনি সব কিছুর রব?” [সূরা আল-আন‘আম, আয়াত: ১৬৪]
[3] আত-তাফসীর, ৫/৬২০।
[4] আল-খুলাসা, পৃ. ১৭।
আর-রাব (রব, পালনকারী)[2]:
আল-কুরআনে রব নামটি অনেক আয়াতেই একাধিক বার উল্লেখ হয়েছে। রব হলেন যিনি বান্দাকে পরিচালনা, দেখা-শোনা ও যাবতীয় নি‘আমত প্রদান করে লালনপালন করেন।
উপরোক্ত অর্থ থেকে রবের আরো বিশেষ অর্থ হচ্ছে, তিনি তাঁর প্রিয় বান্দাদের কলব, রূহ ও আখলাকের ইসলাহীর মাধ্যমে তারবিয়াত তথা প্রতিপালন করেন। এ কারণেই বান্দার দো‘আয় আল্লাহর এ সম্মানিত রব নামটি বেশি উচ্চারিত হয়। কেননা তারা তাঁর কাছে বিশেষ প্রতিপালন তালাশ করে।[3]
সৃষ্টিকুলের লালনপালনের সব ধরণের দায়-দায়িত্বের কারণে তিনি তাদের ইলাহ হওয়া অধিকারী। রব নামটি পূর্ণতার সিফাত, সমস্ত প্রশংসা একমাত্র তাঁরই, দয়া ও ইহসান তাঁরই, প্রতিপালনের সব ধরণের অর্থে কেউ তাঁর সাথে অংশীদার নয়। আল্লাহ তা‘আলা বলেছেন,
﴿لَيۡسَ كَمِثۡلِهِۦ شَيۡءٞۖ وَهُوَ ٱلسَّمِيعُ ٱلۡبَصِيرُ١١﴾ [الشورى: ١١]
“তাঁর মতো কিছুই নেই। আর তিনি সর্বশ্রোতা ও সর্বদ্রষ্টা।” [সূরা আশ-শূরা, আয়াত: ১১]
মানুষ, ফিরিশতা কেউ তাঁর মতো নয়, বরং সবাই তাঁর গোলাম, সব ধরণের তারবিয়াতে তাদের রবের প্রতিপালিত। তারা সবাই তাঁর অধিনস্ত, তাঁর মহত্ব ও বড়ত্বের সামনে নতজানু। সুতরাং ইবাদত ও ইলাহ হওয়ার ক্ষেত্রে তাঁর সমকক্ষ ও শরীক হওয়ার কারো অধিকার নেই।
আল্লাহ তা‘আলার প্রতিপালন ফিরিশতা, আম্বিয়া ও অন্যান্য সকলকে সৃষ্টি করা, রিযিক দেওয়া, পরিচালনা করা, জীবন ও মৃত্যু দেওয়া ইত্যাদিকে শামিল করে। ফলে তারা এসব নি‘আমেতর কারণে ইখলাসের সাথে একমাত্র তাঁরই শুকরিয়া আদায় করে, তাঁকে ইলাহ হিসেবে গ্রহণ করে, তিনি ব্যতীত কাউকে অলী ও শাফা‘আতকারী হিসেবে গ্রহণ করেন না। অত:এব, বান্দার প্রতিপালনের কারণে ইলাহ হওয়ার অধিকার একমাত্র আল্লাহ সুবহানাহু ওতা‘আলারই।[4]
[1] এ নামদ্বয়ের আলোচনা আল-বাসিত নামের আলোচনার সাথে উল্লেখ করা হয়েছে।
[2] এ নামের দলিল আল্লাহর নিম্নোক্ত বাণী,
﴿قُلۡ أَغَيۡرَ ٱللَّهِ أَبۡغِي رَبّٗا وَهُوَ رَبُّ كُلِّ شَيۡءٖ١٦٤﴾ [الانعام: ١٦٤]
“বলুন, আমি কি আল্লাহ ছাড়া অন্য কোন রব অনুসন্ধান করব ; অথচ তিনি সব কিছুর রব?” [সূরা আল-আন‘আম, আয়াত: ১৬৪]
[3] আত-তাফসীর, ৫/৬২০।
[4] আল-খুলাসা, পৃ. ১৭।