আর-রাকীব (পর্যবেক্ষক, সদা জাগ্রত, অতন্দ্র পর্যবেক্ষণকারী), আশ-শাহীদ (প্রত্যক্ষদর্শী, সাক্ষ্যদানকারী):
গ্রন্থকার শাইখ আস-সা‘দী রহ. বলেছেন, আর-রাকীব ও আশ-শাহীদ এদুটি আল্লাহর নাম। নাম দুটি সমর্থকবোধক। উভয় নাম-ই আল্লাহর সবকিছু শোনা ও দেখা এবং সৃষ্টিকুলের স্পষ্ট ও গোপনীয় যাবতীয় তথ্য অবগত হওয়া প্রমাণ করে। তাদের মনের মধ্যে যা কিছু ঘূর্ণায়মান, যা কিছু তাদের অনুভবে ঘূরপাক খাচ্ছে তিনি সব কিছুই পর্যবেক্ষণ করেন ও দেখেন। সুতরাং সৃষ্টিজগতের বাহ্যিক ও প্রকাশ্য কাজসমূহ তিনি আরও অগ্রাধিকারের ভিত্তিতে পর্যবেক্ষণ করেন।[1]
আর-রাকীব তথা পর্যবেক্ষণকারী আল্লাহর তাদের অন্তরের লুকায়িত জিনিস অবগত আছেন। প্রত্যেক ব্যক্তি যা কিছু করেন তাদের সম্পর্কে তিনি জ্ঞাত। তিনিই সৃষ্টিকুলকে রক্ষণাবেক্ষণ করেন, তাদের ব্যাপারে উত্তম ও নিপুন পরিচালনা তিনি করে থাকেন।[2]
আল্লাহ তা‘আলা বলেছেন,
“নিশ্চয় আল্লাহ তোমাদের উপর পর্যবেক্ষক।” [সূরা আন-নিসা, আয়াত: ১]
“আর আল্লাহ প্রত্যেক বিষয়ে প্রত্যক্ষদর্শী।” [সূরা আল-মুজাদালা, আয়াত: ৬] এ কারণেই মুরাকাবা তথা পর্যবেক্ষণ করা যা মানুষের অন্তরের সর্বোচ্চ কাজ, আল্লাহর এ আর-রাকীব ও আশ-শাহীদ নামের জন্য তাঁর ইবাদত বলে গণ্য। বান্দা যখন জানবে যে, তার প্রকাশ্য ও অপ্রকাশ্য যাবতীয় কাজ, কথাবার্তা আল্লাহর ইলম বেষ্টন করে রেখেছেন, তিনি সর্বাবস্থায়ই তা উপস্থিত করতে পারেন, তখন তার চিন্তা-ভাবনার অপ্রকাশ্য কাজগুলো সংরক্ষণ করা অত্যাবশ্যকীয় হয়ে যায়, আল্লাহ যেসব কাজে অসন্তুষ্ট হবেন সেসব কাজ থেকে সে বিরত থাকে, তার প্রকাশ্য যাবতীয় কাজ-কর্ম, কথাবর্তা যেসবে আল্লাহ রাগান্বিত হন তা সব কিছুই সে হিফাযত করে, তখন সে ইহসানের অবস্থায় তাঁর ইবাদত করবে। ফলে সে আল্লাহর ইবাদত এমনভাবে করবে যে, সে যেন তাঁকে দেখছে, যদি সে আল্লাহকে নাও দেখতে পায় তাহলে সে জান যে, আল্লাহ তাকে দেখছেন।[3]
[1] আল-হাক্বুল ওয়াদিহ আল-মুবীন, পৃ. ৫৮।
[2] আত-তাফসীর, ৫/৬২৫।
[3] আল-হাক্বুল ওয়াদিহ আল-মুবীন, পৃ. ৫৮-৫৯; তাওদীদুল কাফিয়া আশ-শাফিয়া, পৃ. ১২২।
গ্রন্থকার শাইখ আস-সা‘দী রহ. বলেছেন, আর-রাকীব ও আশ-শাহীদ এদুটি আল্লাহর নাম। নাম দুটি সমর্থকবোধক। উভয় নাম-ই আল্লাহর সবকিছু শোনা ও দেখা এবং সৃষ্টিকুলের স্পষ্ট ও গোপনীয় যাবতীয় তথ্য অবগত হওয়া প্রমাণ করে। তাদের মনের মধ্যে যা কিছু ঘূর্ণায়মান, যা কিছু তাদের অনুভবে ঘূরপাক খাচ্ছে তিনি সব কিছুই পর্যবেক্ষণ করেন ও দেখেন। সুতরাং সৃষ্টিজগতের বাহ্যিক ও প্রকাশ্য কাজসমূহ তিনি আরও অগ্রাধিকারের ভিত্তিতে পর্যবেক্ষণ করেন।[1]
আর-রাকীব তথা পর্যবেক্ষণকারী আল্লাহর তাদের অন্তরের লুকায়িত জিনিস অবগত আছেন। প্রত্যেক ব্যক্তি যা কিছু করেন তাদের সম্পর্কে তিনি জ্ঞাত। তিনিই সৃষ্টিকুলকে রক্ষণাবেক্ষণ করেন, তাদের ব্যাপারে উত্তম ও নিপুন পরিচালনা তিনি করে থাকেন।[2]
আল্লাহ তা‘আলা বলেছেন,
﴿إِنَّ ٱللَّهَ كَانَ عَلَيۡكُمۡ رَقِيبٗا١﴾ [النساء : ١]
“নিশ্চয় আল্লাহ তোমাদের উপর পর্যবেক্ষক।” [সূরা আন-নিসা, আয়াত: ১]
﴿وَٱللَّهُ عَلَىٰ كُلِّ شَيۡءٖ شَهِيدٌ٦﴾ [المجادلة: ٦]
“আর আল্লাহ প্রত্যেক বিষয়ে প্রত্যক্ষদর্শী।” [সূরা আল-মুজাদালা, আয়াত: ৬] এ কারণেই মুরাকাবা তথা পর্যবেক্ষণ করা যা মানুষের অন্তরের সর্বোচ্চ কাজ, আল্লাহর এ আর-রাকীব ও আশ-শাহীদ নামের জন্য তাঁর ইবাদত বলে গণ্য। বান্দা যখন জানবে যে, তার প্রকাশ্য ও অপ্রকাশ্য যাবতীয় কাজ, কথাবার্তা আল্লাহর ইলম বেষ্টন করে রেখেছেন, তিনি সর্বাবস্থায়ই তা উপস্থিত করতে পারেন, তখন তার চিন্তা-ভাবনার অপ্রকাশ্য কাজগুলো সংরক্ষণ করা অত্যাবশ্যকীয় হয়ে যায়, আল্লাহ যেসব কাজে অসন্তুষ্ট হবেন সেসব কাজ থেকে সে বিরত থাকে, তার প্রকাশ্য যাবতীয় কাজ-কর্ম, কথাবর্তা যেসবে আল্লাহ রাগান্বিত হন তা সব কিছুই সে হিফাযত করে, তখন সে ইহসানের অবস্থায় তাঁর ইবাদত করবে। ফলে সে আল্লাহর ইবাদত এমনভাবে করবে যে, সে যেন তাঁকে দেখছে, যদি সে আল্লাহকে নাও দেখতে পায় তাহলে সে জান যে, আল্লাহ তাকে দেখছেন।[3]
[1] আল-হাক্বুল ওয়াদিহ আল-মুবীন, পৃ. ৫৮।
[2] আত-তাফসীর, ৫/৬২৫।
[3] আল-হাক্বুল ওয়াদিহ আল-মুবীন, পৃ. ৫৮-৫৯; তাওদীদুল কাফিয়া আশ-শাফিয়া, পৃ. ১২২।