আধুনিক যুগে হাদীস অস্বীকার মূলতঃ প্রাচ্যবিদদের (Orientalist) দ্বারা প্রভাবিত একদল মুসলিম স্কলারের হাতে হয়। যার কেন্দ্র বলা যায় ভারত ও মিসর। মিশরের মুফতী আবদুহু, সৈয়দ রশীদ রিযা, ড. আহমাদ আমীন ও মাহমূদ আবু রাইয়ার হাতে এ ফিতনা অঙ্কুরিত হয়। এদের মধ্যে মাহমুদ আবু রাইয়ার আক্রমণ সবচেয়ে নিকৃষ্ট ছিল। সে তার ‘আযওয়া আলাস-সুন্নাহ' বইয়ে ছাহাবী আবু হুরায়রা (রাঃ) ও হাদীসে রাসূল বিষয়ে বিষোদগার করেছে। সৈয়দ রশীদ রিযা আল্লাহর অশেষ রহমতে তার পূর্বের অবস্থান থেকে ফিরে আসেন এবং তার হাদীস বিরোধী ‘আল-মানার' পত্রিকা হাদীসের পক্ষে বিরাট ভূমিকা পালন করে।
ড. আহমাদ আমীন ‘ফাজরুল ইসলাম' 'যুহাল ইসলাম' ও যুহরুল ইসলাম' এই তিনটি বইয়ে হাদীসে সন্দেহ সৃষ্টি করার চেষ্টা করেছেন। আরব বিশ্বের নামকরা সাহিত্যিকদের মধ্যে ইসলামের ও ইসলামের নবীর বিরুদ্ধে যে সবচাইতে নগ্ন হামলা চালিয়েছে, তিনি হলেন মিসরের অন্ধ সাহিত্যিক ও সমালোচক ড. ত্বহা হুসাইন। রাসূল (ﷺ) ও তাঁর পবিত্র স্ত্রীগণ উম্মাহাতুল মুমিনীনের উপর নির্লজ্জের মত হামলা চালিয়েছেন তিনি।
অন্য দিকে ভারতে ‘আলীগড় মুসলিম বিশ্ববিদ্যালয়'-এর প্রতিষ্ঠাতা ইংরেজ কর্তৃক ‘স্যার’ উপাধিপ্রাপ্ত সৈয়দ আহমাদ খান এই ফিত্নার উত্থান ঘটান। তিনি কুরআন-হাদীসের চাইতে মানতিক ও যুক্তিবাদের উপরে অধিক নির্ভর করেছেন। তার লিখিত তাফসীর গ্রন্থে তিনি মু'জিযা সংক্রান্ত ঘটনাগুলোকে অস্বীকার করতঃ সেগুলোর তা'বীল করেছেন। তারই পদাংক অনুসরণ করে মৌলবী চেরাগ আলী, আব্দুল্লাহ চকড়ালবীসহ আরো অনেকে। সাথে সাথে সৈয়দ রশীদ রিযার মত ইসলামের হিতাকাংখী একদল স্কলার রাসূল (ﷺ)-এর হাদীস নিয়ে সংশয়ে ভুগতে থাকেন। তাদের কিতাবে হাদীস সম্পর্কে স্পষ্ট ধারণা পাওয়া যায় না। বর্তমানে হাদীস অস্বীকার নামক ভয়ানক ফিতনার অন্যতম একটা অংশ হল নাস্তিকতা। তথাকথিত যুক্তি ও বিজ্ঞানের কষ্টি পাথরে হাদীসকে পরীক্ষা করতে গিয়ে মুহাদ্দিছগণ ও ছাহাবায়ে কেরামের মধ্যে বিশেষতঃ আবু হুরায়রা (রাঃ)-কে ঠাট্টা করার মাধ্যমে এই যাত্রা শুরু হয়; এক পর্যায়ে সেই ঠাট্টা সরাসরি হাদীস ও রাসূলকে নিয়ে শুরু হয়ে যায়। ওয়াল ইয়াযু বিল্লাহ।
ড. আহমাদ আমীন ‘ফাজরুল ইসলাম' 'যুহাল ইসলাম' ও যুহরুল ইসলাম' এই তিনটি বইয়ে হাদীসে সন্দেহ সৃষ্টি করার চেষ্টা করেছেন। আরব বিশ্বের নামকরা সাহিত্যিকদের মধ্যে ইসলামের ও ইসলামের নবীর বিরুদ্ধে যে সবচাইতে নগ্ন হামলা চালিয়েছে, তিনি হলেন মিসরের অন্ধ সাহিত্যিক ও সমালোচক ড. ত্বহা হুসাইন। রাসূল (ﷺ) ও তাঁর পবিত্র স্ত্রীগণ উম্মাহাতুল মুমিনীনের উপর নির্লজ্জের মত হামলা চালিয়েছেন তিনি।
অন্য দিকে ভারতে ‘আলীগড় মুসলিম বিশ্ববিদ্যালয়'-এর প্রতিষ্ঠাতা ইংরেজ কর্তৃক ‘স্যার’ উপাধিপ্রাপ্ত সৈয়দ আহমাদ খান এই ফিত্নার উত্থান ঘটান। তিনি কুরআন-হাদীসের চাইতে মানতিক ও যুক্তিবাদের উপরে অধিক নির্ভর করেছেন। তার লিখিত তাফসীর গ্রন্থে তিনি মু'জিযা সংক্রান্ত ঘটনাগুলোকে অস্বীকার করতঃ সেগুলোর তা'বীল করেছেন। তারই পদাংক অনুসরণ করে মৌলবী চেরাগ আলী, আব্দুল্লাহ চকড়ালবীসহ আরো অনেকে। সাথে সাথে সৈয়দ রশীদ রিযার মত ইসলামের হিতাকাংখী একদল স্কলার রাসূল (ﷺ)-এর হাদীস নিয়ে সংশয়ে ভুগতে থাকেন। তাদের কিতাবে হাদীস সম্পর্কে স্পষ্ট ধারণা পাওয়া যায় না। বর্তমানে হাদীস অস্বীকার নামক ভয়ানক ফিতনার অন্যতম একটা অংশ হল নাস্তিকতা। তথাকথিত যুক্তি ও বিজ্ঞানের কষ্টি পাথরে হাদীসকে পরীক্ষা করতে গিয়ে মুহাদ্দিছগণ ও ছাহাবায়ে কেরামের মধ্যে বিশেষতঃ আবু হুরায়রা (রাঃ)-কে ঠাট্টা করার মাধ্যমে এই যাত্রা শুরু হয়; এক পর্যায়ে সেই ঠাট্টা সরাসরি হাদীস ও রাসূলকে নিয়ে শুরু হয়ে যায়। ওয়াল ইয়াযু বিল্লাহ।
পড়ুন: আমরা হাদীস মানতে বাধ্য - PDF