‼️ পোস্টটি সুন্দরভাবে দেখতে এখানে ক্লিক করুন।‼️

প্রবন্ধ আদ-দার, আন-নাফি নামের অর্থ ও ব্যাখ্যা

Abu Abdullah

Knowledge Sharer

ilm Seeker
Uploader
Salafi User
Threads
745
Comments
997
Solutions
19
Reactions
10,257
Credits
6,303
আদ-দার (যন্ত্রনাদানকারী, উৎপীড়নকারী): আন-নাফি‘ (অনুগ্রাহক, হিতকারী, উপকারকারী), আদ-দার (যন্ত্রনাদানকারী, উৎপীড়নকারী)।

আল্লাহর কিছু নাম আলাদাভাবে ব্যবহৃত হয়, আবার কিছু নাম অন্য নামের সাথে মিলে একত্রে ব্যবহৃত হয়। এ ধরণের নামই বেশি। এতে প্রমাণিত হয় যে, আলাদাভাবে আল্লাহ যেমন পূর্ণাঙ্গ গুণের অধিকারী তেমনি যৌথভাবেও তিনি উভয় নামেই পরিপূর্ণ গুণের অধিকারী।

আল্লাহর কিছু নাম আছে যা তার বিপরীত নাম ব্যতীত ব্যবহৃত হয় না। কেননা প্রকৃত পূর্ণতা ও পূর্ণাঙ্গতা উভয় নাম একত্রে ব্যবহার হলেই বুঝা যায়। এ ধরণের নামের অন্তর্ভুক্ত হলো আদ-দার (যন্ত্রনাদানকারী, উৎপীড়নকারী) ও আন-নাফি‘ (অনুগ্রাহক, হিতকারী, উপকারকারী)। উভয় নামই আল্লাহর ইচ্ছাধীন বাস্তবায়িত কাজ, পূর্ণ কুদরত ও সর্বব্যাপ্তি হিকমতের সাথে সম্পৃক্ত।

তিনি তাঁর বান্দাদের মধ্যে যাকে ইচ্ছা দীন ও দুনিয়ার কল্যাণ দান করেন। আবার যে ব্যক্তি ক্ষতি ও অকল্যাণ প্রাপ্তির কাজ করে যা তাকে শাস্তি ভোগ করা অত্যাবশ্যকীয় করে তোলে তাকে তিনি ক্ষতি করেন ও যন্ত্রণা দেন। এ সব কিছুই তাঁর হিকমত, বৈশ্বিক নিয়ম-নীতি ও যে কারণ পাওয়া গেলে এর পরিণতি পাওয়া অত্যাবশ্যকীয় ইত্যাদি কারণে তিনি করে থাকেন। কেননা আল্লাহ সৃষ্টিকুলের জন্য সব কিছুর লক্ষ্য-উদ্দেশ্য ও দীন-দুনিয়ার ভালোবাসা ইত্যাদি উল্লেখ করে দিয়েছেন। আবার সাথে সাথে এগুলো অর্জনের উপায় ও পদ্ধতি বলে দিয়েছেন।

এ পথে চলার আদেশ দিয়েছেন, বান্দাকে এ পথে চলা সহজ করে দিয়েছেন। সুতরাং যে ব্যক্তি আল্লাহর বর্ণিত সে পথে চলবে তাকে উপকার প্রাপ্তির লক্ষ্যে পৌঁছে দিবেন আর যে তাঁর পথ সম্পূর্ণরূপে বা আংশিক ত্যাগ করবে অথবা পূর্ণতা ছুটে যাবে অথবা এর বিপরীত পথে চলবে, তাহলে তার উদ্দিষ্ট পূর্ণতা ছুটে যাবে, তখন সে নিজেই নিজের র্ভৎসনা করবে। আল্লাহর বিরুদ্ধে তার কোন দলিল প্রমাণ থাকবে না, কোন ওযর পেশ করতে পারবে না। কেননা আল্লাহ তাকে শ্রবণশক্তি, দৃষ্টিশক্তি, অন্তর, শক্তি-সামর্থ ও কুদরত ইত্যাদি দান করেছেন।

তিনি তাকে দুটি পথই বলে দিয়েছেন, এ দুপথ প্রাপ্তির উপায় বর্ণনা করেছেন, কী কারণে কোন পথের অধিকারী হবে তাও বলে দিয়েছেন। তাকে দীন ও দুনিয়ার কল্যাণ অর্জনের কোন পথ-ই তিনি বাধাগ্রস্ত করেন নি। সুতরাং সে নিজেই সুপথ থেকে বিচলিত হয়ে অসৎ পথ নির্বাচন করেছে যা তাকে ঘৃণা ও অপমান অত্যাবশ্যকীয় করে দিয়েছে।[1]


[1] তাওদীহুল কাফিয়া আশ-শাফিয়া, পৃ. ১৩০-১৩১।
 
COMMENTS ARE BELOW

Share this page