If you're in doubt ask الله.
Forum Staff
Moderator
Generous
ilm Seeker
Uploader
Exposer
HistoryLover
Q&A Master
Salafi User
ইসলাম আত্মীয়তার সম্পর্ক বজায় রাখার ব্যাপারে অত্যন্ত গুরুত্ব প্রদান করেছে। ইসলাম আত্মীয়তার সম্পর্ক অক্ষুণ্ন রাখা ঈমানের পরিচায়ক হিসেবে নির্ধারণ করেছে।[1] আত্মীয়তার সম্পর্ক বজায় রাখলে বিরাট গুনাহ আল্লাহ ক্ষমা করে দেন।[2] আত্মীয়তার সম্পর্ক ঠিক রাখলে বয়স বৃদ্ধি করা হয় এবং জীবিকা প্রশস্ত করা হয়।[3]
এর বিপরীতে আত্মীয়তার সম্পর্ক নষ্ট করা হারাম। এটি আল্লাহর রহমত থেকে বঞ্চিত হওয়ার মাধ্যম।[4] এর শাস্তি দুনিয়াতেই তাড়াতাড়ি দেওয়া হয়।[5] আত্মীয়তার সম্পর্ক বিচ্ছিন্নকারী জান্নাতে প্রবেশ করতে পারবে না।[6]
এসব কারণে আত্মীয়তার সম্পর্ক বজায় রাখা আল্লাহ তাআলা সর্বাধিক প্রিয় আমল। এ ব্যাপারে কাতাদা রাহিমাহুল্লাহ হতে বর্ণিত, খাসআম গোত্রের এক ব্যক্তি বলেন, আমি নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম-এর কাছে আসি। তখন তিনি তাঁর কিছু সঙ্গী-সাথির সঙ্গে ছিলেন। আমি বললাম, আপনিই কি মনে করেন, আপনি আল্লাহর রাসূল? তিনি বললেন, হ্যাঁ। আমি বললাম, হে আল্লাহর রাসূল! কোন আমল আল্লাহর নিকট সবচেয়ে প্রিয়? উত্তরে তিনি বললেন, আল্লাহর প্রতি ঈমান আনা। আমি বললাম, হে আল্লাহর রাসূল! তারপর কী?’ তিনি বললেন, তারপর আত্মীয়তার বন্ধন বজায় রাখা।...[7]
অনেকে মনে করে, আত্মীয়তার সম্পর্ক অক্ষুণ্ন রাখার অর্থ, যে আত্মীয় ভালো সম্পর্ক রাখে ও ভালো আচরণ করে, তার সঙ্গে সম্পর্ক রাখা এবং ভালো আচরণ করা। এটি ভুল ধারণা। বরং আত্মীয়তার সম্পর্ক বজায় রাখার অর্থ হলো, যে আত্মীয় সম্পর্ক নষ্ট ও বিচ্ছিন্ন করে দিয়েছে, তার সঙ্গে সম্পর্ক ঠিক করা ও জোড়া দেওয়ার চেষ্টা করা। এ ব্যাপারে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেন, সেই ব্যক্তি সম্পর্ক বজায়কারী নয়, যে সম্পর্ক বজায় রাখার বিনিময়ে বজায় রাখে। বরং প্রকৃত সম্পর্ক বজায়কারী হলো সেই ব্যক্তি, যে-কেউ তার সঙ্গে সম্পর্ক ছিন্ন করলে সে তা কায়েম করে।[8]
[1] সহীহুল বুখারী, ৬১৩৮
[2] সহীহুল বুখারী, ১৮৪৪
[3] সহীহুল বুখারী, ২৫৫৭; সহীহ মুসলিম, ২০৬৭
[4] সূরা মুহাম্মাদ, আয়াত: ২২-২৩
[5] সুনানুত তিরমিযী, ৪৩১২; সিলসিলাতুস সহীহাহ, ৯১৮; আলবানী হাদীসটিকে সহীহ বলেছেন।
[6] সহীহুল বুখারী, ৫৯৮৪; সহীহ মুসলিম, ২৫৫৬
[7] মুসনাদ আবূ ইয়ালা, ৪৮৩৯; সহীহুত তারগীব, ২৫২২; আলবানী হাদীসটিকে সহীহ বলেছেন।
[8] সহীহুল বুখারী, ৫৯৯১
এর বিপরীতে আত্মীয়তার সম্পর্ক নষ্ট করা হারাম। এটি আল্লাহর রহমত থেকে বঞ্চিত হওয়ার মাধ্যম।[4] এর শাস্তি দুনিয়াতেই তাড়াতাড়ি দেওয়া হয়।[5] আত্মীয়তার সম্পর্ক বিচ্ছিন্নকারী জান্নাতে প্রবেশ করতে পারবে না।[6]
এসব কারণে আত্মীয়তার সম্পর্ক বজায় রাখা আল্লাহ তাআলা সর্বাধিক প্রিয় আমল। এ ব্যাপারে কাতাদা রাহিমাহুল্লাহ হতে বর্ণিত, খাসআম গোত্রের এক ব্যক্তি বলেন, আমি নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম-এর কাছে আসি। তখন তিনি তাঁর কিছু সঙ্গী-সাথির সঙ্গে ছিলেন। আমি বললাম, আপনিই কি মনে করেন, আপনি আল্লাহর রাসূল? তিনি বললেন, হ্যাঁ। আমি বললাম, হে আল্লাহর রাসূল! কোন আমল আল্লাহর নিকট সবচেয়ে প্রিয়? উত্তরে তিনি বললেন, আল্লাহর প্রতি ঈমান আনা। আমি বললাম, হে আল্লাহর রাসূল! তারপর কী?’ তিনি বললেন, তারপর আত্মীয়তার বন্ধন বজায় রাখা।...[7]
অনেকে মনে করে, আত্মীয়তার সম্পর্ক অক্ষুণ্ন রাখার অর্থ, যে আত্মীয় ভালো সম্পর্ক রাখে ও ভালো আচরণ করে, তার সঙ্গে সম্পর্ক রাখা এবং ভালো আচরণ করা। এটি ভুল ধারণা। বরং আত্মীয়তার সম্পর্ক বজায় রাখার অর্থ হলো, যে আত্মীয় সম্পর্ক নষ্ট ও বিচ্ছিন্ন করে দিয়েছে, তার সঙ্গে সম্পর্ক ঠিক করা ও জোড়া দেওয়ার চেষ্টা করা। এ ব্যাপারে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেন, সেই ব্যক্তি সম্পর্ক বজায়কারী নয়, যে সম্পর্ক বজায় রাখার বিনিময়ে বজায় রাখে। বরং প্রকৃত সম্পর্ক বজায়কারী হলো সেই ব্যক্তি, যে-কেউ তার সঙ্গে সম্পর্ক ছিন্ন করলে সে তা কায়েম করে।[8]
[1] সহীহুল বুখারী, ৬১৩৮
[2] সহীহুল বুখারী, ১৮৪৪
[3] সহীহুল বুখারী, ২৫৫৭; সহীহ মুসলিম, ২০৬৭
[4] সূরা মুহাম্মাদ, আয়াত: ২২-২৩
[5] সুনানুত তিরমিযী, ৪৩১২; সিলসিলাতুস সহীহাহ, ৯১৮; আলবানী হাদীসটিকে সহীহ বলেছেন।
[6] সহীহুল বুখারী, ৫৯৮৪; সহীহ মুসলিম, ২৫৫৬
[7] মুসনাদ আবূ ইয়ালা, ৪৮৩৯; সহীহুত তারগীব, ২৫২২; আলবানী হাদীসটিকে সহীহ বলেছেন।
[8] সহীহুল বুখারী, ৫৯৯১