Doing Automated Jobs
প্রশ্নঃ আখেরাত বা শেষ দিবস কী? সেটার প্রতি ঈমানের হুকুম কী? দলীল দিন?
উত্তর: এ দিন দুনিয়ার সমাপ্তি হবে, এরপর আর দিন অবশিষ্ট থাকবে না। আর এটাই হচ্ছে পুনরুত্থান দিবস।
আখেরাত দিবসের প্রতি ঈমান আনা ওয়াজিব; কেননা তা ঈমানের ছয়টি রুকনের একটি।
আল্লাহ সুবহানাহু ওয়া তা‘আলা বলেন:
﴿ ٱقۡتَرَبَتِ ٱلسَّاعَةُ وَٱنشَقَّ ٱلۡقَمَرُ ١ ﴾ [القمر: ١]
‘‘ক্বিয়ামত নিকটবর্তী হয়েছে এবং চন্দ্র বিদীর্ণ হয়েছে’’। (সূরা আল-ক্বামার: ১)
আর যারা আখেরাতকে অস্বীকার করবে তারা কাফের হয়ে যাবে। মহান আল্লাহ বলেন:
﴿ زَعَمَ ٱلَّذِينَ كَفَرُوٓاْ أَن لَّن يُبۡعَثُواْۚ قُلۡ بَلَىٰ وَرَبِّي لَتُبۡعَثُنَّ ثُمَّ لَتُنَبَّؤُنَّ بِمَا عَمِلۡتُمۡۚ وَذَٰلِكَ عَلَى ٱللَّهِ يَسِيرٞ ٧ ﴾ [التغابن: ٧]
‘‘কাফির সম্প্রদায় ধারণা করে যে, তারা কখনো পুনরুত্থিত হবে না। বলুন: হ্যাঁ নিশ্চয়ই, আমার রবের শপথ; তোমাদেরকে অবশ্যই পুনরুত্থিত করা হবে। অতঃপর তোমাদের কৃতকর্ম সম্পর্কেও অবশ্যই অবহিত করা হবে, আর এ সবই আল্লাহর পক্ষে সহজ’’। (সূরা আত-তাগাবুন: ৭)
মহান আল্লাহ আরো বলেন:
﴿ قَدۡ خَسِرَ ٱلَّذِينَ كَذَّبُواْ بِلِقَآءِ ٱللَّهِ وَمَا كَانُواْ مُهۡتَدِينَ ﴾ [يونس: ٤٥]
‘‘আল্লাহর সাক্ষাৎকে যারা মিথ্যা বলে তারা নিশ্চিতভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে আর তারা হেদায়াতপ্রাপ্ত হয় নি’’। (সূরা ইউনুস: ৪৫)
তবে পুনরুত্থান কবে কখন হবে একমাত্র আল্লাহই জানেন, তিনি আর কাউকেই তা জানান নি। মহান আল্লাহ বলেন:
﴿ يَسَۡٔلُونَكَ عَنِ ٱلسَّاعَةِ أَيَّانَ مُرۡسَىٰهَاۖ قُلۡ إِنَّمَا عِلۡمُهَا عِندَ رَبِّيۖ لَا يُجَلِّيهَا لِوَقۡتِهَآ إِلَّا هُوَۚ ثَقُلَتۡ فِي ٱلسَّمَٰوَٰتِ وَٱلۡأَرۡضِۚ لَا تَأۡتِيكُمۡ إِلَّا بَغۡتَةٗۗ يَسَۡٔلُونَكَ كَأَنَّكَ حَفِيٌّ عَنۡهَاۖ قُلۡ إِنَّمَا عِلۡمُهَا عِندَ ٱللَّهِ وَلَٰكِنَّ أَكۡثَرَ ٱلنَّاسِ لَا يَعۡلَمُونَ ١٨٧ ﴾ [الاعراف: ١٨٧]
‘‘তারা আপনাকে জিজ্ঞেস করে ক্বিয়ামত কখন সংঘটিত হবে। বলুন: এ বিষয়ের জ্ঞান শুধু আমার প্রতিপালকই জানেন। তিনি যথাসময়ে তা প্রকাশ করবেন। আর তখন আকাশমণ্ডলি ও পৃথিবীতে কঠিন পরিস্থিতির উদ্ভব হবে, ‘‘আকস্মিকভাবেই তা তোমাদের উপর আসবে। আপনাকে এবিষয়ে সম্পূর্ণ অবহিত ধারণা করেই তারা আপনাকে প্রশ্ন করে। বলে দিন: এ বিষয়ের জ্ঞান আমার রবেরই আছে, কিন্তু অধিকাংশ লোক তা জানে না’’। (সূরা আল-আ‘রাফ: ১৮৭)
নবী সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন:
«بُعِثْتُ أَنَا وَالسَّاعَةَ كَهَاتَيْنِ»
‘‘আমার নবুওয়ত এবং শেষদিবস এইরূপ’’ (তিনি মধ্যমা এবং তর্জনী আংগুলদ্বয় উচু করে দেখান) (মুত্তাফিকুন আলাইহি)।
সূত্রঃ প্রশ্নোত্তরে তাওহীদ
লেখকঃ ড. ইবরাহীম ইবন সালেহ আল-খুদ্বায়রী
উত্তর: এ দিন দুনিয়ার সমাপ্তি হবে, এরপর আর দিন অবশিষ্ট থাকবে না। আর এটাই হচ্ছে পুনরুত্থান দিবস।
আখেরাত দিবসের প্রতি ঈমান আনা ওয়াজিব; কেননা তা ঈমানের ছয়টি রুকনের একটি।
আল্লাহ সুবহানাহু ওয়া তা‘আলা বলেন:
﴿ ٱقۡتَرَبَتِ ٱلسَّاعَةُ وَٱنشَقَّ ٱلۡقَمَرُ ١ ﴾ [القمر: ١]
‘‘ক্বিয়ামত নিকটবর্তী হয়েছে এবং চন্দ্র বিদীর্ণ হয়েছে’’। (সূরা আল-ক্বামার: ১)
আর যারা আখেরাতকে অস্বীকার করবে তারা কাফের হয়ে যাবে। মহান আল্লাহ বলেন:
﴿ زَعَمَ ٱلَّذِينَ كَفَرُوٓاْ أَن لَّن يُبۡعَثُواْۚ قُلۡ بَلَىٰ وَرَبِّي لَتُبۡعَثُنَّ ثُمَّ لَتُنَبَّؤُنَّ بِمَا عَمِلۡتُمۡۚ وَذَٰلِكَ عَلَى ٱللَّهِ يَسِيرٞ ٧ ﴾ [التغابن: ٧]
‘‘কাফির সম্প্রদায় ধারণা করে যে, তারা কখনো পুনরুত্থিত হবে না। বলুন: হ্যাঁ নিশ্চয়ই, আমার রবের শপথ; তোমাদেরকে অবশ্যই পুনরুত্থিত করা হবে। অতঃপর তোমাদের কৃতকর্ম সম্পর্কেও অবশ্যই অবহিত করা হবে, আর এ সবই আল্লাহর পক্ষে সহজ’’। (সূরা আত-তাগাবুন: ৭)
মহান আল্লাহ আরো বলেন:
﴿ قَدۡ خَسِرَ ٱلَّذِينَ كَذَّبُواْ بِلِقَآءِ ٱللَّهِ وَمَا كَانُواْ مُهۡتَدِينَ ﴾ [يونس: ٤٥]
‘‘আল্লাহর সাক্ষাৎকে যারা মিথ্যা বলে তারা নিশ্চিতভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে আর তারা হেদায়াতপ্রাপ্ত হয় নি’’। (সূরা ইউনুস: ৪৫)
তবে পুনরুত্থান কবে কখন হবে একমাত্র আল্লাহই জানেন, তিনি আর কাউকেই তা জানান নি। মহান আল্লাহ বলেন:
﴿ يَسَۡٔلُونَكَ عَنِ ٱلسَّاعَةِ أَيَّانَ مُرۡسَىٰهَاۖ قُلۡ إِنَّمَا عِلۡمُهَا عِندَ رَبِّيۖ لَا يُجَلِّيهَا لِوَقۡتِهَآ إِلَّا هُوَۚ ثَقُلَتۡ فِي ٱلسَّمَٰوَٰتِ وَٱلۡأَرۡضِۚ لَا تَأۡتِيكُمۡ إِلَّا بَغۡتَةٗۗ يَسَۡٔلُونَكَ كَأَنَّكَ حَفِيٌّ عَنۡهَاۖ قُلۡ إِنَّمَا عِلۡمُهَا عِندَ ٱللَّهِ وَلَٰكِنَّ أَكۡثَرَ ٱلنَّاسِ لَا يَعۡلَمُونَ ١٨٧ ﴾ [الاعراف: ١٨٧]
‘‘তারা আপনাকে জিজ্ঞেস করে ক্বিয়ামত কখন সংঘটিত হবে। বলুন: এ বিষয়ের জ্ঞান শুধু আমার প্রতিপালকই জানেন। তিনি যথাসময়ে তা প্রকাশ করবেন। আর তখন আকাশমণ্ডলি ও পৃথিবীতে কঠিন পরিস্থিতির উদ্ভব হবে, ‘‘আকস্মিকভাবেই তা তোমাদের উপর আসবে। আপনাকে এবিষয়ে সম্পূর্ণ অবহিত ধারণা করেই তারা আপনাকে প্রশ্ন করে। বলে দিন: এ বিষয়ের জ্ঞান আমার রবেরই আছে, কিন্তু অধিকাংশ লোক তা জানে না’’। (সূরা আল-আ‘রাফ: ১৮৭)
নবী সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন:
«بُعِثْتُ أَنَا وَالسَّاعَةَ كَهَاتَيْنِ»
‘‘আমার নবুওয়ত এবং শেষদিবস এইরূপ’’ (তিনি মধ্যমা এবং তর্জনী আংগুলদ্বয় উচু করে দেখান) (মুত্তাফিকুন আলাইহি)।
সূত্রঃ প্রশ্নোত্তরে তাওহীদ
লেখকঃ ড. ইবরাহীম ইবন সালেহ আল-খুদ্বায়রী