প্রশ্নোত্তর অনেক কাজ জমে গেলে অতিরিক্ত কষ্টবোধ করবেন না

Joined
Jun 29, 2025
Threads
4,847
Comments
0
Reactions
29,501

অনেক কাজ জমে গেলে অতিরিক্ত কষ্টবোধ করবেন না​

রবার্ট লুই স্টেভেনসন বলেছেন- “প্রতিটি ব্যক্তিই তার দৈনন্দিন কাজকর্ম সম্পাদন করতে সক্ষম—সে কাজগুলো যতই কঠিন হোক না কেন তাতে কিছু আসে যায় না এবং প্রতিটি লোকই সূর্য ডুবার আগ পর্যন্ত তার সারাটা দিন সুখে কাটাতে সক্ষম আর সেটাই জীবনের অর্থ।” ষ্টেফেন লীকক বলেছেন- “শিশু বলে : আমি যখন বালক হব...। বালক বলে : আমি যখন তরুণ হব. আর যখন সে সময় আসে তখন সে বলে : আমি যখন বিয়ে করব...। বিয়ের পরে কী ঘটে? আর এসব পর্যায় পার হওয়ার পর কী হয়? সবাই একটি চিন্তার পিছনে সদাই পড়ে আছে যে, যখন আমি অবসর হতে পারব...। কিন্তু, সে যখন সত্যিই বৃদ্ধ বয়সে পৌছে তখন পিছন ফিরে তাকায় (অর্থাৎ অতীতের বিষয় নিয়ে চিন্তা করে দেখে।) আর এক শীতল বায়ু প্রবাহে আক্রান্ত হয় (অর্থাৎ অতীতের দুঃখময় ঘটনার কথা ভেবে বিষাদিত হয়ে যায়। (সে ভাবে যে) সে তার সারা জীবন (বৃথা) নষ্ট করেছে, এক মুহুৰ্তও (সুখে) কাটাতে পারেনি। আর আমরা এভাবেই অনেক পরে বা দেরীতে শিখতে পারি যে, বর্তমান কালের প্রতিটি মুহুর্তেই জীবনকে উপভোগ করাই বা বর্তমান কালের প্রতিটি মুহুর্তকে কাজে লাগানোই (প্রকৃত সুখের) জীবন।” যারা তওবা করতে বিলম্ব করে-এই হলো তাদের অবস্থা। আমাদের একজন ধাৰ্মিক পূর্বসূরি বলেছেন- “বিলম্ব করার ব্যাপারে এবং ‘আমি পরে করব’ ও কথা বলার ব্যাপারে আমি তোমাকে সতর্ক করছি কারণ, এটা এমন কথা যা মানুষকে ভালো কাজ করা থেকে বিরত রাখে এবং সওয়াবের কাজ করা থেকে পিছনে ফেলে দেয়।” “তাদেরকে খাওয়া-দাওয়া ও ফুর্তি করতে দাও এবং মিথ্যা আশায় তারা মোহাচ্ছন্ন থাকুক। কেননা, শীঘ্রই তারা (প্রকৃত ঘটনা) জানতে পারবে।” (১৫-সূরা হিজর: আয়াত-৩) ফরাসী দার্শনিক মন্টেইন বলেছেন- “আমার জীবনটা দুর্ভাগ্যে ভরা ছিল, (আমার জীবন) আমাকে কখনো করুণা দেখাওনি।” আমি একথা স্বীকার করছি যে, তাদের জ্ঞান ও মেধা থাকা সত্ত্বেও তাদের প্রসিদ্ধ অনেকেই তাদের সৃষ্টির আড়ালে যে রহস্য রয়েছে তার কিছুই জানত না। আল্লাহ তার রাসূল মুহাম্মাদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর মাধ্যমে যে শিক্ষা পাঠিয়েছেন তারা সে শিক্ষা দ্বারা পরিচালিত হতেন না। “আর যার জন্য আল্লাহ আলোর ব্যবস্থা করেননি, তার জন্য কোনো আলো নেই।” (২৪-সূরা আন নূর: আয়াত ৪০)

إِنَّا هَدَيْنَاهُ السَّبِيلَ إِمَّا شَاكِرًا وَإِمَّا كَفُورًا​

আমি অবশ্যই তাকে পথ দেখিয়েছি, হয়তো সে কৃতজ্ঞ হোক নয়তো অকৃতজ্ঞ হোক।” (৭৬-সূরা দাহর: আয়াত-৩) ডেন্‌টি বলেছেন -“একথা ভাবুন যে, আজকের এই দিনটি আর কখনো ফিরে আসবে না।” এর চেয়ে উত্তম, সুন্দরতর ও অধিকতরপূর্ণ হলো এই হাদীসটি- “এমনভাবে সালাত (নামাজ) আদায় করো যেন এটা তোমার বিদায়কালীন সালাত।” যে ব্যক্তি এ কথা মনে রাখে যে, আজকের দিনটিই তার শেষ দিন সে খাঁটি তওবা করবে, আমলে সালেহ বা নেক আমল করবে এবং সর্বশক্তিমান আল্লাহ ও তার রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর প্রতি অনুগত থাকার আপ্রাণ চেষ্টা করবে।
 
Similar threads Most view View more
Back
Top