- Author
- বযলুর রহমান
- Publisher
- দাওয়াহ টীম ইতালী
মুসলিমের জীবন তখনই সুশোভিত ও আনন্দময় হবে, যখন তার আক্বীদা বা বিশ্বাস হবে স্বচ্ছ, নির্মল ও বিশুদ্ধ। যা প্রত্যেক মুসলিমের ঈমানী চেতনার মূল ভিত্তি। সেটা হল, আল্লাহ তা'আলা এক ও অদ্বিতীয়। তাঁর কোন শরীক নেই। ইসলামী পরিভাষায় একেই বলা হয় তাওহীদ। এই তাওহীদ ভিত্তিক জীবন- যাপনের মাধ্যমেই নিশ্চিত হতে পারে দুনিয়ায় সুখ-শান্তি ও সমৃদ্ধি। পরকালে জান্নাতের অনাবিল শান্তি ও জাহান্নাম থেকে মুক্তি। কিন্তু তাওহীদ পরিপন্থী শিরকের কারণে মুসলিমের সকল ইবাদত নষ্ট হয়ে যাচ্ছে। ঈমানকে করছে ত্রুটিযুক্ত। বঞ্চিত হচ্ছে শাফা'আত থেকে। অফুরন্ত নে'আমত ও সুখ- শান্তিময় জান্নাত থেকে বিতাড়িত হয়ে জাহান্নামের অধিবাসী হচ্ছে। অথচ শিরকমুক্ত আমলের নিশ্চিত ঠিকানা হল জান্নাত।
সমাজে প্রচলিত বিভিন্ন শিরকী আক্বীদা ও কুসংস্কার মুসলিমকে আষ্টেপৃষ্ঠে জড়িয়ে ধরেছে। সে শিরকী আক্বীদার হিংস্র শিকারে পরিণত হয়েছে। কেউ পীর-ফকীরদের নোংরা পরিবেশে বেড়ে উঠছে। কেউ মাযার পূজারীদের ভণ্ডামীর অন্তর্ভুক্ত হচ্ছে। কেউ তথাকথিত মাযহাবের গণ্ডিমুক্ত হতে না পেরে জীবনটাকে তাক্বলীদী ও অন্ধকারে নিমজ্জিত করছে। কেউ আল্লাহকে নিরাকার ও তিনি সর্বত্র বিরাজমান ভ্রান্ত আক্বীদায় বিশ্বাসী। কেউ রাতারাতি রাষ্ট্র ক্ষমতা অর্জনের শয়তানী তন্ত্রের হিংস্র খোরাকে পরিণত হচ্ছে। কেউ কবর, মাযার, খানকা, দরগা, গাছ, পাথর, পুকুর, কুমির, মাছ, কচ্ছপ, কবুতর, পীর-ফকীর, বুযুর্গানে দ্বীন প্রভৃতি মিথ্যা উপাস্যের পূজা করছে। কেউবা আবার খারেজী, শী'আ, মু'তাযেলা, ক্বাদারিয়া, মুরজিয়া, ছুফীবাদ, আহলে কুরআন, রাফেযী, কোয়ান্টাম মেথড, বাউল মতবাদের মত বিভিন্ন ভ্রান্ত ও শিরকী আক্বীদায় জীবন গড়ে তুলছে।
কেউ ব্রেলভী, দেওবন্দী, চিশতিয়া, নকশাবন্দীয়া, মুজাদ্দেদিয়া, চরমোনাই, ছারছিনা, আটরশী, মাইজভাণ্ডারীর মত বিভিন্ন ভ্রান্ত ও শিরকী তরীকায় নিজের জীবনটাকে শেষ করে দিচ্ছে। কেউ রাজনীতির নামে বিজাতীয় শিরকী মতবাদ তথা গণতন্ত্র, সমাজতন্ত্র, জাতীয়তাবাদ, ধর্মনিরপেক্ষতাবাদ, পুঁজিবাদ ইত্যাদির পূজা করছে। কেউ সংস্কৃতির নামে শিরকী সংস্কৃতির পূজা করছে। যেমন শহীদ মিনার, স্মৃতি সৌধ, প্রতিকৃতি, শহীদ দেবী, শিখা চিরন্তন, শিখা অনির্বাণ, খাম্বাকে সম্মান প্রদর্শন করছে, দাঁড়িয়ে নীরবতা পালন করছে, ফুল দিয়ে ভক্তি প্রদর্শন করছে, বাও বা কুর্নিশ করে শ্রদ্ধা নিবেদন করছে এবং পতাকা ও দিবসকে সম্মান করছে। এগুলোর মাধ্যমে মূলত আল্লাহকে অপমান করা হচ্ছে এবং ইসলামকে ব্যাকডেটেড বলে অসম্মান করা হচ্ছে। অথচ এগুলো সবই একেকটা টাটকা শিরক।
মানবজাতির চিরশত্রু শয়তান ইবলীসের উপরিউক্ত ধোঁকা থেকে সতর্ক করে শিরকমুক্ত তাওহীদী সমাজ প্রতিষ্ঠার জন্য আল্লাহ তা'আলা যুগে যুগে অসংখ্য নবী ও রাসূল প্রেরণ করেছেন। যারা সকলেই তাদের স্ব স্ব সমাজ থেকে এই শিরকের শিকড় উপড়ে ফেলে নির্ভেজাল তাওহীদ প্রতিষ্ঠা ও বাস্তবায়ন করতে সক্ষম হয়েছিলেন। কিন্তু দুঃখজনক হলেও সত্য যে, মুসলিম জাতি আজ আবারও তাওহীদী আক্বীদা ভুলে শিরকের বেড়াজালে বন্দি। ঈমান বিধ্বংসী শিরকের ভয়ংকর আক্রমণে ঈমানী চেতনা যেন আজ ক্ষত-বিক্ষত। শিরকের আধিক্যতায় তাওহীদ যেন আজ বিলুপ্তির পথে। মূলত শিরকের মাধ্যমে আল্লাহ সুবহানাহু ওয়া তা'আলাকে অপমান করা হয়, যা ভয়ংকর অপরাধ। ফলে শিরক মিশ্রিত কঠোর পরিশ্রমের আমল ও ইবাদত কোন কাজে আসছে না। তাই পৃথিবীর ইতিহাসে সবচেয়ে বড় ও জঘন্য পাপ এই শিরকের পঙ্কিল প্লাবন থেকে মুসলিম উম্মাহকে সতর্ক করার বিষয়ে দীর্ঘদিনের পরিকল্পনা ছিল। এ লক্ষ্যে অনেক কাজও করি। অবশেষে ইতালী প্রবাসী 'দাওয়াহ টীম ইতালী'-এর সম্মানিত পরিচালক বড় ভাই হাওলাদার শাওন এর একান্ত আগ্রহ ও অনুপ্রেরণায় 'সমাজে প্রচলিত শিরকসমূহ' শিরোনামের উপর কাজটি শেষ করি। অতঃপর 'দাওয়াহ টীম ইতালী'-এর অর্থায়নে বইটি প্রকাশ পেল। ফালিল্লা-হিল হাম্দ।
সমাজে প্রচলিত বিভিন্ন শিরকী আক্বীদা ও কুসংস্কার মুসলিমকে আষ্টেপৃষ্ঠে জড়িয়ে ধরেছে। সে শিরকী আক্বীদার হিংস্র শিকারে পরিণত হয়েছে। কেউ পীর-ফকীরদের নোংরা পরিবেশে বেড়ে উঠছে। কেউ মাযার পূজারীদের ভণ্ডামীর অন্তর্ভুক্ত হচ্ছে। কেউ তথাকথিত মাযহাবের গণ্ডিমুক্ত হতে না পেরে জীবনটাকে তাক্বলীদী ও অন্ধকারে নিমজ্জিত করছে। কেউ আল্লাহকে নিরাকার ও তিনি সর্বত্র বিরাজমান ভ্রান্ত আক্বীদায় বিশ্বাসী। কেউ রাতারাতি রাষ্ট্র ক্ষমতা অর্জনের শয়তানী তন্ত্রের হিংস্র খোরাকে পরিণত হচ্ছে। কেউ কবর, মাযার, খানকা, দরগা, গাছ, পাথর, পুকুর, কুমির, মাছ, কচ্ছপ, কবুতর, পীর-ফকীর, বুযুর্গানে দ্বীন প্রভৃতি মিথ্যা উপাস্যের পূজা করছে। কেউবা আবার খারেজী, শী'আ, মু'তাযেলা, ক্বাদারিয়া, মুরজিয়া, ছুফীবাদ, আহলে কুরআন, রাফেযী, কোয়ান্টাম মেথড, বাউল মতবাদের মত বিভিন্ন ভ্রান্ত ও শিরকী আক্বীদায় জীবন গড়ে তুলছে।
কেউ ব্রেলভী, দেওবন্দী, চিশতিয়া, নকশাবন্দীয়া, মুজাদ্দেদিয়া, চরমোনাই, ছারছিনা, আটরশী, মাইজভাণ্ডারীর মত বিভিন্ন ভ্রান্ত ও শিরকী তরীকায় নিজের জীবনটাকে শেষ করে দিচ্ছে। কেউ রাজনীতির নামে বিজাতীয় শিরকী মতবাদ তথা গণতন্ত্র, সমাজতন্ত্র, জাতীয়তাবাদ, ধর্মনিরপেক্ষতাবাদ, পুঁজিবাদ ইত্যাদির পূজা করছে। কেউ সংস্কৃতির নামে শিরকী সংস্কৃতির পূজা করছে। যেমন শহীদ মিনার, স্মৃতি সৌধ, প্রতিকৃতি, শহীদ দেবী, শিখা চিরন্তন, শিখা অনির্বাণ, খাম্বাকে সম্মান প্রদর্শন করছে, দাঁড়িয়ে নীরবতা পালন করছে, ফুল দিয়ে ভক্তি প্রদর্শন করছে, বাও বা কুর্নিশ করে শ্রদ্ধা নিবেদন করছে এবং পতাকা ও দিবসকে সম্মান করছে। এগুলোর মাধ্যমে মূলত আল্লাহকে অপমান করা হচ্ছে এবং ইসলামকে ব্যাকডেটেড বলে অসম্মান করা হচ্ছে। অথচ এগুলো সবই একেকটা টাটকা শিরক।
মানবজাতির চিরশত্রু শয়তান ইবলীসের উপরিউক্ত ধোঁকা থেকে সতর্ক করে শিরকমুক্ত তাওহীদী সমাজ প্রতিষ্ঠার জন্য আল্লাহ তা'আলা যুগে যুগে অসংখ্য নবী ও রাসূল প্রেরণ করেছেন। যারা সকলেই তাদের স্ব স্ব সমাজ থেকে এই শিরকের শিকড় উপড়ে ফেলে নির্ভেজাল তাওহীদ প্রতিষ্ঠা ও বাস্তবায়ন করতে সক্ষম হয়েছিলেন। কিন্তু দুঃখজনক হলেও সত্য যে, মুসলিম জাতি আজ আবারও তাওহীদী আক্বীদা ভুলে শিরকের বেড়াজালে বন্দি। ঈমান বিধ্বংসী শিরকের ভয়ংকর আক্রমণে ঈমানী চেতনা যেন আজ ক্ষত-বিক্ষত। শিরকের আধিক্যতায় তাওহীদ যেন আজ বিলুপ্তির পথে। মূলত শিরকের মাধ্যমে আল্লাহ সুবহানাহু ওয়া তা'আলাকে অপমান করা হয়, যা ভয়ংকর অপরাধ। ফলে শিরক মিশ্রিত কঠোর পরিশ্রমের আমল ও ইবাদত কোন কাজে আসছে না। তাই পৃথিবীর ইতিহাসে সবচেয়ে বড় ও জঘন্য পাপ এই শিরকের পঙ্কিল প্লাবন থেকে মুসলিম উম্মাহকে সতর্ক করার বিষয়ে দীর্ঘদিনের পরিকল্পনা ছিল। এ লক্ষ্যে অনেক কাজও করি। অবশেষে ইতালী প্রবাসী 'দাওয়াহ টীম ইতালী'-এর সম্মানিত পরিচালক বড় ভাই হাওলাদার শাওন এর একান্ত আগ্রহ ও অনুপ্রেরণায় 'সমাজে প্রচলিত শিরকসমূহ' শিরোনামের উপর কাজটি শেষ করি। অতঃপর 'দাওয়াহ টীম ইতালী'-এর অর্থায়নে বইটি প্রকাশ পেল। ফালিল্লা-হিল হাম্দ।
- Purchase Link
- Click Here to BUY NOW!
বইটি ক্রয় করে লেখক ও প্রকাশককে নতুন বই প্রকাশে উদ্বুদ্ধ করুন।